🔥আগুনের লেলিহান শিখায় হাজারো মানুষের স্বপ্ন আজ ছাই হয়ে গেল🔥
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা,,আজ হাজারো মানুষের করুন আর্তনাদের কিছু গল্প আপনাদের সাথে তুলে ধরছি।শত শত স্বপ্ন আর আশা আকাঙ্খার নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। কারণ এখন ঈদ মৌসুম।আর ঈদ মৌসুমে প্রত্যেকটি ব্যবসায়ীর খুব ভালো ব্যবসা হয়। বিশেষ করে কাপড় ব্যবসায়ী যারা। তারা অনেক স্বপ্ন অনেক আশায় বুক বেঁধে নতুন উদ্যোমে ব্যাবসা শুরু করে এই ঈদের মৌসুমে।নতুন নতুন ইনভেস্ট করেও তারা ব্যবসাকে আরো ভালো একটি জায়গায় রুপ নেওয়ার জন্য প্রানপনে চেষ্টা করেছেন।কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। আজ হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রূপ নিয়েছে।হাজার হাজার মানুষ আজ পথের ফকির।গতকাল রাতে যারা ছিল কোটিপতি আজ তারা পথে বসিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
বন্ধুরা আজ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যখন ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুকে গেলাম তখন একটি ঘটনা দেখে আমার মনটা মর্মাহত হয়ে গেল কি নিদারুণ আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে বঙ্গবাজার মার্কেটে।বাংলাদেশের বৃহৎ পাইকারি মার্কেট এই বঙ্গ বাজার।বঙ্গ বাজার মার্কেটে আগুনের খবর শুনে সত্যিই এতটা খারাপ লাগছিলো যে আমার মনে হচ্ছে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।হাজার হাজার মানুষের আত্মচিৎকার,নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার আহাজারি।সত্যিই অনেক দুঃখজনক অনেক বেদনাদায়ক।কোটি কোটি টাকার সম্পদ এক নিমিষেই ছাই হয়ে গেল।ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা চোখের সামনে দেখছেন আগুনের লেলিহান শিখায় তাদের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।এই ঈদে এত বড় ক্ষতি এটা মেনে নেয়া সত্যিই অনেক কষ্টকর।অনেকেই আছেন লোন করেছেন অনেকেই হাওলাত করে টাকা এনে নতুন উদ্যোমে ব্যবসা শুরু করেছেন।এক নিমিষেই তারা আজ পথে বসে গেল।ব্যবসায়ীদের মন আজকের দুমড়ে-মুচড়ে ছটফট করছে অসহ্য যন্ত্রনায়।চোখের সামনে হাজারো মানুষের পথে বসা দেখতে পারা এটা যে কতটা কষ্টকর, এটা একজন মানুষ হিসেবে আমার মেনে নিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
এই বঙ্গ বাজার থেকে আমিও স্বপ্নকুড়ে নিয়ে এসে নীলফামারিতে সাথী ফ্যাশন নামে তৈরি পোশাকের দোকান দিয়েছিলাম।এবং বঙ্গ বাজার থেকে অনেক পাইকারি দরে মাল কিনে আনতাম আমার দোকানের জন্য।তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গ বাজারে অনেক কাপড় ব্যবসায়ীদের সাথে আমার একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।আজ যখন প্রথমে খবর পেলাম বঙ্গ বাজারে আগুন লেগেছে তখন সেই সমস্ত মানুষের মুখ গুলো আমার চোখের সামনে ভাসতে শুরু করে এবং মন থেকে একটি দোয়া উচ্চারিত হচ্ছিল হে আল্লাহ তুমি হেফাজত করো।হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন এভাবে ধুলিস্যাৎ করোনা।স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেল আজ।যেখানে ফায়ার সার্ভিসের 48 টি ইউনিট কাজে লাগিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না।এমনকি হেলিকপ্টারে করেও পানি দেয়া হচ্ছিল আগুন নেভানোর জন্য।দীর্ঘ আধঘন্টা আগুন ছিল অনিয়ন্ত্রিত।যাদের কোটি কোটি টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেল, হিসাব-নিকাশের খাতাগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেল।এত দামী দামী পোশাক গুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেল।তাদের জীবনে আর্তনাদে আজ ছাইগুলো ডুকরে ডুকরে কাঁদছে।হাজারো মানুষ আবার পথে বসে গেল। ছাই হলো তাদের এবারের ঈদ আনন্দ।এ এক অপূরণীয় ক্ষতি।এক হতে পুষিয়ে দেয়ার মত সাধ্য কারও নেই।তাইতো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের প্রতি,সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিইবা করার আছে।হাজার হাজার মানুষের জীবনে নতুন নতুন গল্প রচিত হলো এই মহা অগ্নিকাণ্ডে।মহান আল্লাহতালা সকলকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন।আমরা মানুষ হিসেবে মানবিক কিছু গুণাবলিকে ধারণ করে তাদের পাশে এসে অনেকের দাঁড়াবে পারি।যার যার সাধ্য কিংবা সামর্থ্য অনুযায়ী।মর্মাহত হৃদয় নিয়ে। আজ এখানেই। আগামীতে আবার আসব নতুন নতুন আয়োজন নিয়ে।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য বঙ্গ বাজারে আগুন লাগানোর কোন ফটোগ্রাফি আমি করিনি তাই সেখানকার কোন ফটোগ্রাফি আজকের এই পোস্টে ধারণ করলাম না
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু গতকাল দেখিলাম টিভিতে আগুনের উত্তাপ আর ভেঙ্গে পড়ছে হাজারো দোকান পাট ৷ আসলে জীবনে কখনো কি হবে সেটা বোঝা কঠিন ৷ যেখানে ব্যবসায়ী গন সামনে ঈদ কে সামনে রেখে এতো আয়োজন ৷ সেটা এক মূহুর্তে শেষ ৷ শত শত মানুষের স্বপ্ন নিমেশেই পুড়ে গেলো ৷
দিনশেষে এটা দেশের অর্থনৈতিক হ্রাস ফেলবে ৷
হাজারো মানুষের স্বপ্ন এভাবে পুড়ে ছাই হতে দেখা এত বেশি বেদনাদায়ক, যা আসলে বলে বোঝানো যাবে না। সত্যি অনেক কষ্ট পেয়েছি।♥♥
বঙ্গবাজারের আগুনের উত্তাপ প্রতিটি মানুষের মন যেন পুড়িয়ে ছাইখার করে দিচ্ছিল। ঘটনাটি আসলেই বড়ই মর্মান্তিক। প্রতিটি মানুষের কান্নায় মনে হয় হৃদয় ভেঙ্গে যাচ্ছিল। আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া আল্লাহ তাদেরকে যেন ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্বপ্নগুলো যেন আবার বাস্তবায়ন হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ব্যবসায়ীদের আহাজারি এবং আর্তনাদ কোমল হৃদয় টাকে ছিঁড়েখুঁড়ে কুরে খাচ্ছিল সত্যিই অনেক কষ্টদায়ক।মহান আল্লাহতালা সকলকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন।♥♥
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বঙ্গবাজারের আগুন লাগার ঘটনা। সত্যি আপু এই ঘটনা গতকালকে যখন থেকে দেখেছি নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগছে। আপনার নীলফামারিতে সাথী ফ্যাশন নামে তৈরি পোশাকের দোকান ছিল। তাই আপনি সেখান থেকে পাইকারিতে কাপড় নিয়ে আসতেন আপনার দোকানে। সত্যি আপু সেখানে অনেক মানুষের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। মহান আল্লাহতালা যেন তাদেরকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করে।
মহান আল্লাহতালা সকলকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন। এটাই কামনা করি। অনেক মর্মাহত হৃদয়ে,,
আপু আপনি ঠিক বলেছেন হাজারো মানুষের হাসি আনন্দ স্বপ্ন সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমিও সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন মোবাইলটা হাতে নিলাম, দেখলাম ফেসবুকে এই নিউজ এ , প্রথম ভেবেছিলাম এটি আগেকার ঘটনা পরে অবশ্যই দেখে বুঝতে পারলাম এটা আজ সকাল কার ঘটনা। যেহেতু এটা একটি পাইকারি মার্কেট ছিল সেহুতু আমার মনে হয় এই মার্কেটে জামা কাপড়ের কোন অভাব ছিল না। আমরা কাউকে চিনি না দেখেও আমাদের কাছে তো অনেক খারাপ লাগছে ।আর যেহেতু সেখানকার ব্যবসায়ীরা অনেকেই আপনার পরিচিত নিশ্চয়ই আপনার কাছে আরো বেশি খারাপ লাগছে। হাজারো পরিবার পথে বসে আছি আপু এই অগ্নিকাণ্ড। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুক। কোন কিছু বলার ভাষা নেই।
মহান আল্লাহতালা কখন কাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবেন। তা আসলে আমরা কেউ জানিনা। তাই আমাদের সময় থাকতে সংযত হতে হবে।বঙ্গ বাজার এর সকল ব্যবসায়ীর জন্য অনেক খারাপ লাগছে।
আপু সত্যি সকালবেলা যখন এমন একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেলাম তখন অনেক খারাপ লেগেছিল। সেখানে কত মানুষের দোকানপাট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আর কত মানুষের স্বপ্ন তার সাথে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আপনি বঙ্গ বাজার থেকে পাইকারি মূল্যে ড্রেস নিয়ে সাথী ফ্যাশন হাউজ চালাতেন জেনে ভালো লাগলো।সত্যিই অনেক দুঃখজনক অনেক বেদনাদায়ক। ছাই হলো তাদের এবারের ঈদ আনন্দ। আল্লাহতালার কাছে একটাই চাওয়া মানুষকে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করুন। ধন্যবাদ।
এই বঙ্গ বাজারে অনেক ব্যবসায়ী আমাকে বোন বানিয়েছিলেন। আমাকে মেয়ে বানিয়ে ছিলেন। তাদের চেহারাগুলো আজ চোখের সামনে ভেসে উঠছে। সত্যিই অনেক কষ্ট পাচ্ছি আপু।
গতকাল আমার হাজব্যান্ড ফেসবুকে একটা ভিডিওতে দেখাচ্ছিল বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি। ভিডিওটি দেখেই বুকটা যেন দুমড়েমুচড়ে উঠলো। কারণ কত শত লোকের স্বপ্ন ছাই হয়ে যাচ্ছে। না জানি কত প্রাণ চলে গিয়েছে অগ্নিকাণ্ডে। প্রতিবছর এই সময়টাতে অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনাগুলো শুরু হতে থাকে। আর আজকের এই দাউদাউ করে জ্বলা আগুন কারো বুক পুড়ে ছাই করে দিচ্ছে, কারো কারো স্বপ্নগুলো কে মাটিতে মিশিয়ে দিল।
হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন আজ পুড়ে ছাই হয়ে গেলো এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে।
আমি যখন প্রথম শুনি বঙ্গবাজারে আগুন লাগার কথা তখন সকাল ৬ টা বাজে অফিসে যাচ্ছিলাম। তখনও বুঝিনি এতটা ভয়াবহ অগ্নিকান্ড হবে। পরে সোশ্যাল মিডিয়া তে দেখে আমি রীতিমত ইমোশনাল হয়ে গিয়েছি। কত মানুষের কত সম্পদ চলে গেল। অনেকেই নিঃস্ব হয়েছে। আল্লাহ তাদের সবাইকে ধৈর্য ধরনের তৌফিক দান করুন।
আমিও ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এই খবরটি পেয়েছিলাম। গতকাল যা সত্যিই অনেক বেদনাদায়ক অনেক কষ্টের।
আসলেই আপু ঈদের আগে হাজার মানুষের সপ্ন ছিলো আর আগুনে পুরে সেই সপ্ন গুলো একদম শেষ,তাদের কান্নায় যেনে পুরো ঢাকা কষ্ট পাচ্ছে। নিউজটা দেখে খুবি খারাপ লেগেছে। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা তাদের ধৈর্য দিবেন।
এবার ঈদে হাজার মানুষের স্বপ্ন যেমন পুড়ে ছাই হয়ে গেলো ঠিক একদল সুবিধাবাদী লোক এটার সুবিধা গ্রহণ করবে অন্যভাবে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে।সেদিকেও আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।♥♥
সত্যিই আপু আমার ও অনেক বেশি খারাপ লেগেছিলো বঙ্গবাজের অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ৷ অনেক মানুষের স্বপ্ন আশা পুড়ে ছাই হয়ে গেলো নিমিষেই ৷ সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লাগার মতো একটা ঘটনা ৷ তাঁদের আতনাত সত্যিই ভীষণ কষ্টের ৷
স্বপ্ন হলো ছাই সত্যিই অনেক কষ্টদায়ক অনেক যন্ত্রণাদায়ক।স্বপ্ন চুরি হতে দেখেছি জীবনে অনেক কিন্তু এভাবে পুড়ে ছাই হওয়া এই প্রথম একটি দৃষ্টান্ত দেখলাম।♥♥
মানুষের বর্তমানে যেটা আছে সেটাই তার, ভবিষ্যতে কি আছে সেটা বোঝা বড় দায়। আজকে আমি এই অবস্থায় আছি কালকে আমার কি হবে সেটা আল্লাহ জানেন। ঐদিন সকালবেলায় এই সংবাদ যে দেখার পরে ভীষন খারাপ লাগছিল। এই আগুন লাগার ফলে কত পরিবার আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। ওখানে আমি একটা কথা শুনছিলাম, একজন বলছিল আমার আন্ডারে চল্লিশ জন কর্মী ছিল। আর আজকে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আসলে এ ধরনের ঘটনা গুলো সত্যি মর্মাহত হওয়ার মত। সবাইকে হেফাজত করুক আমিন।
কারণ ওই বাজারে অনেক মানুষ ছিলো যারা অনেক বড় ব্যবসায়ী। এবং অনেকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাদের আন্ডারে এইরকম 40 জন 50 জন কর্মচারী কাজ করতেন। আজ তারা প্রত্যেকেই নিঃস্ব হয়ে গেলেন। মহান আল্লাহ তুমি সকলকে হেফাজত করো।আমিন♥♥