প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি||~~
প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি||~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আবারও আপনাদের জন্য বাংলার অপরূপ সুন্দর যে সজ্জিত প্রকৃতির কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হলাম। প্রচন্ড এই গরমে এবং এই গরমের অস্থিরতায়,মানুষ কি করবে ভেবে পাচ্ছে না প্রায় দিশেহারা হয়ে উঠেছে। অনেকেই তো এই গরম সহ্য করতে না পেরে হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। তবে যারা গ্রামে বসবাস করছে তারা নদীর ধারে গাছের তলে কিংবা বাস ঝড়ের তলে বসে কিছুটা প্রশান্তি নিচ্ছে। অনেকে পুকুরের পানি এবং নদীর পানিতেও সাত রাতে দেখা যাচ্ছে। তবে পুকুর কিংবা নদীর পানি গুলো কিন্তু প্রচণ্ড রকমের গরম
যাইহোক গতকাল প্রকৃতির কাছাকাছি ঘুরে এসেছি।এবং আকাশ হালকা মেঘলা থাকায় আর ঠান্ডা হিমেল বাতাসে মনটা ফুরফুরে হয়ে উঠেছিল।আর তাইতো ফোন ক্যামেরা বের করে কয়েকটি ছবি ক্লিক করে নেই। একে একে সেগুলো এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
গতকাল শহর থেকে একটু দূরে গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম। রাস্তার পাশেই এই সবুজ সুন্দর নির্মল ধান ক্ষেতটির ক্যামেরা বন্দী করে ফেলি আমার মুঠোফোনে। ইচ্ছে করে সবুজে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই। সুন্দর এই পরিবেশগুলো বারবার মন টানে।
আমাদের এদিকে প্রায় প্রতিটি গ্রামের রাস্তায় অনেক সুন্দর। কিছু কিছু রাস্তা হচ্ছে পিচ ঢালা পথ আবার কিছু কিছু হচ্ছে মাটির রাস্তা। রাস্তাগুলো ভালো হওয়ার জন্য চলাচলের জন্য দারুন উপভোগ্য।
তাইতো আমাদের এলাকার গ্রামের এই রাস্তার ফটোগ্রাফিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম।
সবুজ ক্ষেতগুলোর আশেপাশেই ছিল সুন্দর একটি ক্যানেল। চ্যানেলের পানি গুলো কেমন যেন শান্ত হয়ে গেছে। এবং পানিগুলোর রং অনেকটা পুড়া রঙের মতো। ঠিক মাটি পোড়ালে যেরকম একটি কালার হয়। এই তীব্র রোদের কারণে পানির কালার টাও মনে হয় জ্বলে গিয়েছে। আমি তো দেখে জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম। আর এই চিত্রটি আপনাদেরকে দেখানোর জন্যই আমার এই ফটোগ্রাফিটি করা।
পথের ধারে এরকম সারি সারি গাছ এবং কিছু জমিতে ধানের চারা রোপন করা হয়েছে এবং বাকি অনেকগুলো জমি এখনো খনন করা হচ্ছে অন্য কোন ফসল ফলানোর জন্য। হয়তো নতুন কোন ফসলের জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছে জমি গুলো
বন্ধুরা বলুন তো এটা কিসের ফুল-?হ্যাঁ একদম ঠিক ধরেছেন আমাদের এদিকে এটাকে কচুরিপানা ফুল বলে। কচুরিপানা এই ফুলগুলো দেখতে অসাধারণ হয়ে থাকে। ছোটবেলায় পুকুর থেকে তুলে তুলে অনেক খেলা করেছিলাম। আর শৈশবে সেই স্মৃতিগুলো আবার মনে করিয়ে দেয় যখন এই ফুলগুলো চোখের সামনে ভাসে। কোন যত্ন ছাড়াই এই ফুলগুলো কত চমৎকার ভাবে ফোটে। এবং মানুষের দৃষ্টি নন্দিত করে।
খুবই চমৎকার এবং সুন্দর মনোরম পরিবেশে একটি সেলফি না তুললে অপূর্ণ থেকে যায়। আর সে কারণেই আমার এক বড় আপার কাছে আমার এই ছবিটি তুলে নিলাম। সবুজের বুকে লাল কালো সংমিশ্রণের দারুন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমার এই চমৎকার ফটোগ্রাফিটিতে।
লোকেশন-https://w3w.co/most.inch.impressed
ডিভাইস -OPPO-A38
তারিখ- ২৭ এপ্রিল ২০২৪
বন্ধুরা আশা করছি আমার আজকের এই প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদেরকে একটু বিনোদন ভালো লাগার জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র আয়োজন। সকলেই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। নিরাপদে থাকবেন। বেশি বেশি পানি পান করবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বর্তমানে যে গরম পড়েছে, তাতে সত্যিই সবার খুবই খারাপ অবস্থা। আপু, আমাদের এখানে তো গতকাল একজন হিট স্ট্রোক করে মারাও গেছে ট্রেনের ভিতর। তবে এই সময়টাতে গ্রামীণ পরিবেশে একটু ঘুরতে গেলে মন্দ হয় না। আপনার শেয়ার করা মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই দুর্দান্ত হয়েছে। ধান ক্ষেতের ভিতর থাকা কচুরিপানা ফুলগুলো দেখতে অনেক বেশী সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গতকাল থেকে গরম যেন আমাকেও খুব করে ধরেছে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে আসছে। এখন একটু ভালো আছি। প্রচন্ড এই গরমে হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকিটা অনেকটাই বেড়ে গেছে। তবে সেদিন প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে প্রকৃতির এই ফটোগ্রাফি গুলো করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
আজ এমনটা আমাদের এখানে মনে হচ্ছে আপু। আজকে অনেক বেশি গরম পড়েছে আমাদের এখানে।
আজ আমাদের এদিকে অনেক গরম আমারও প্রায় দম বন্ধ হয়ে আসতেছিল মনে হচ্ছে। সাবধানে থাকবেন। অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু, আমি সাবধানে আছি। আপনিও অনেক সাবধানে থাকবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে।
ঠিক বলেছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেকেই হিট স্ট্রোক করে মারা যাচ্ছে। গ্রামের তুলনায় শহরে গরম কিছুটা বেশি। কারণ শহরে আমরা প্রকৃতির তেমন কিছুই দেখতে পাই না। গ্রামে তাও বড় বড় গাছ-পালা নদী এসব থাকার কারণে মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পায়। প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। এরকম ফটোগ্রাফি দেখলেও মনের মধ্যে প্রশান্তি কাজ করে।
প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে ফটোগ্রাফি করে সেদিন অনেক বেশি মজা পেয়েছিলাম। প্রাণটা জুড়িয়ে গিয়েছিল। আর দেহ ও মন শীতল হয়েছিল।
প্রকৃতির ফটোগ্রাফি দেখলে মনের ভেতর অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করে। আজকের দারুন কিছু প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করেছেন। গ্রামের রাস্তাগুলো ভীষণ ভালো লাগে। তারপর গ্রামের পাশে অনেক সুন্দর সুন্দর ক্যানেল দেখতে পারতেছি। আপনি গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। এইরকম পরিবেশে থাকতে ভালোই লাগে কিন্তু আস্তে আস্তে মানুষ গাছ কেটে এর অবস্থা খারাপ করে ফেলতেছে।
প্রকৃতির সাধারণ ছবিগুলো মাঝে মাঝে অসাধারণ হয়ে ওঠে। তার নান্দনিক সৌন্দর্যের কারণে। আর সেজন্যই মূলত প্রকৃতির ফটোগ্রাফি আমাদের অনেকের ভালো লাগে।
এখন মোবাইল ফোন দিয়েই অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করা সম্ভব। আপনি প্রকৃতির মাঝে থেকে ধারণ করা যে ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেগুলো দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এ ধরনের পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে পারলেও অনেক ভালো লাগা কাজ করে। কচুরিপানার এই ফুলগুলোকে আমাদের এলাকাতে জার্মানির ফুল বলা হয়।
আমরা সকলেই প্রকৃতি প্রেমী মানুষ। আমরা প্রকৃতি কে সকলেই অনেক ভালোবাসি। আপনি দেখছি প্রকৃতির মাঝে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন। আসলে প্রকৃতির মাঝে একটু সময় কাটালেই অনেক ভালো লাগে। সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেললে হয়তো অনেক ভালো লাগতো। মাঝে মাঝে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে মন চায়।
একদম ঠিক বলেছেন মাঝেমধ্যে এরকম প্রকৃতির সাথে মিশে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
তাইতো আমি সুযোগ পেলেই প্রকৃতির কাছাকাছি যাই। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলছো আপু গরমে অবস্থা খুব খারাপ। হিট স্ট্রোকে অনেকেই মারা যাচ্ছে। তার মধ্যে আমার চাচাও এই গরমে ধান কাটতে গিয়ে হিট স্ট্রোক করেন।ওনি এখন হসপিটালে আছেন দোয়া করবে আপু।এই গরমে তাও গ্রামে কিছুটা শান্তিতে আছি।যাইহোক আপু গ্রামের পাশে ঘুরতে গিয়েছো।দেখে বেশ ভালো লেগেছে বেশ দারুণ দারুণ সব ফটোগ্রাফি করেছও।সব গুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।
তোমার চাচার জন্য মন থেকে দোয়া করছি তিনি যেন খুব দ্রুত সুস্থতা লাভ করেন। আসলে এ সময়টা আমাদের সবারই সচেতন হওয়া দরকার। সাবধানে থেকো ভালো থেকো।
বাহ দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ।প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। কচুরিপানার ফুল টা দেখতেও বেশ ভালো লাগছে। গ্রামে গেলে এমন দৃশ্য প্রতিনিয়তই দেখা হয়।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। গ্রামে গেলে এরকম দৃশ্য সচরাচর দেখা যায়। আমার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। খুব বেশি ভালো থাকবেন আপু।
প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে উপস্থিত হতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমিও সুযোগ পেলে এমন সবুজের মাঝে হারিয়ে যাই কিছুটা সময়ের জন্য। শান্ত বিকেল বেলায় যখন পুকুর পাড়ে এবং পুকুর পাড়ের পাশে ধান ক্ষেতে উপস্থিত হয়ে কতটা যে ভালো লাগে আপু। আর রাস্তার পাশের সারিবদ্ধ এমন গাছগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই প্রাকৃতিক পরিবেশের পোস্ট দেখে।
আসলে প্রকৃতি ভালবাসেনা এমন মানুষ খুব কম আছে। আর এই প্রচন্ড গরমে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকলে একটু শীতল বাতাস পাওয়া যায়। আর সেই বাতাসে আমাদের দেহ এবং মন দুটোই শীতল অনুভূতি অনুভব করে।
সবুজ ধানক্ষেত। সরু পিচঢালা রাস্তা, রাস্তার পাশে গাছপালা। সুন্দর ক্যানাল খুবই সুন্দর লাগছে। কী চমৎকার দেখতে। চমৎকার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো আপু। একেবারে গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ঠিক যেন তাই। আমি একদম গ্রামীণ পরিবেশটাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আমার ফটোগ্রাফির মধ্যে। ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।