আত্মহত্যা নিয়ে || কথা ও কবিতা||~~
স্বরচিত কবিতা--""
বন্ধুরা সবাইকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
পেপার কাটিং
আত্মহত্যা একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং জটিল বিষয়। এটি একটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যা যা মানুষের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। আত্মহত্যার পেছনে সাধারণত গভীর বিষণ্ণতা, হতাশা, এবং নিরুপায় অবস্থার মতো মানসিক কারণগুলো কাজ করে। জন্যই ইদানিং আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। ফেসবুক কিংবা সামাজিক মাধ্যম গুলো খুললেই আত্মহত্যার খবর প্রতিদিন যেন চোখের সামনে ভেসে আসে। তাই বেশ কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম আত্মহত্যা নিয়ে একটি কবিতা লিখব। এবং মেসেঞ্জারে অনেকেই আমাকে ভীষণ অনুরোধ করেছেন এই আত্মহত্যা নিয়ে আমি যেন একটি কবিতা লিখি সচেতনতামূলক।
আজকে যখন আমার এলাকার এক ছোট ভাই বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে। এই খবরটা ফেসবুকে দেখতে পেয়ে আমি অনেক বেশি মর্মাহত হয়েছি। এবং খোঁজখবর নিয়ে পরে জানতে পারলাম যে বাবার কাছে টাকা চেয়ে পায়নি বলে সে আত্মহত্যা করেছে।
আর সেজন্যই আজ দুপুর থেকে প্রায় অনেক সময় লেগেছিল আমার এই কবিতাটি লিখতে। সচেতনতামূলক এবং মোটিভেশনাল কবিতা। আমার আজকের আয়োজনে থাকছে।
কবিতাটি লিখে ফেসবুকে পোস্ট করার সাথে সাথে অনেকগুলো পত্রিকায় এসেছে আমার এই কবিতাটি।
এবং অনেকেই আমাকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে কবিতাটি লেখার জন্য। বন্ধুরা কবিতাটি পড়ার আগে সংক্ষেপে একটু জেনে নেই আত্মহত্যা কারণ-?
এবং কেন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়-?
আত্মহত্যার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে নিম্নলিখিতগুলো উল্লেখযোগ্য:
- মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, স্কিজোফ্রেনিয়া ইত্যাদি মানসিক রোগ আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
- সামাজিক সমস্যা: সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, বুলিং, পারিবারিক সমস্যা, আর্থিক সমস্যাও আত্মহত্যার প্ররোচনা হতে পারে।
- বিষাক্ত সম্পর্ক: পারিবারিক সহিংসতা, প্রেমে ব্যর্থতা, বা কোনো সম্পর্কের চাপে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
- আত্ম-সম্মানহীনতা: ব্যক্তির মধ্যে আত্ম-সম্মানবোধের অভাব, নিজের প্রতি ঘৃণা, অথবা ব্যর্থতার ভয় আত্মহত্যার দিকে ধাবিত করতে পারে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধে কিছু কার্যকর পদ্ধতি নিম্নলিখিতভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে:
- মানসিক সমর্থন: প্রিয়জনদের মানসিক সহায়তা প্রদান করা, তাদের কথা শোনা এবং বুঝতে চেষ্টা করা।
- পরামর্শ ও থেরাপি: পেশাদার মনোবিদ, সাইকোলজিস্ট বা সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ গ্রহণ করা এবং থেরাপি করা।
- আনন্দদায়ক কার্যকলাপ: ব্যক্তির জন্য আনন্দদায়ক কার্যকলাপ খুঁজে বের করা যা তাদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।
- সামাজিক সংযোগ: সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি করা, নতুন বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, এবং সামাজিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করা।
- সজাগ দৃষ্টি: আত্মহত্যার চিন্তা করা ব্যক্তিদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়া।
আত্মহত্যা একটি চরম পদক্ষেপ এবং এটি কোনো সমস্যার সমাধান নয়। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া এবং প্রিয়জনদের পাশে থাকা আমাদের সকলের দায়িত্ব। সবাই যদি একে অপরের পাশে দাঁড়াই, তবে আত্মহত্যার প্রবণতা কমানো সম্ভব। প্রতিটি জীবনই মূল্যবান এবং প্রতিটি সমস্যারই সমাধান আছে। আমাদের কেবল ধৈর্য্য ধরে সেই সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
তো বন্ধুরা আমরা সকলেই মানসিক স্বাস্থ্যকে আরও বেশি উন্নত করব। এবং আজকের এই কবিতাটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়বো এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পারলে শেয়ার করব।
পেপার কাটিং
কবিতা- আত্মহত্যা চাইনা যে আর
কলমে- সেলিনা সাথী
গাই জীবনের গান
বেঁচে থাকার শপথে আজ
ভরে উঠুক প্রাণ।
প্রতিটি স্বপ্নে, প্রতিটি শ্বাসে
জ্বালাই আলোর দীপ ,
বিষণ্ণতায় গাঁথি আবার
নব জীবনের থ্রিপ।
আত্মহত্যার আধারে নয়
আলোয় পথে ফিরি,
শত দুঃখের মাঝেও দিবো
সুখ সাগরে পাড়ি।
বিরহ আর বেদনাতে
বিষাদে ভরে মন
তবুও হাল ছেড়েনা কেউ
পার হবে এই ক্ষণ।
দুঃখের স্রোতে যায় বয়ে যায়
যত কষ্টের ঢেউ,
ভালোবাসার বাঁধনেতে
আসবে আবার কেউ।
প্রেমের মালা পরবে গলায়
বাঁধবে নতুন আশা
বাঁচার জন্য ছুটে চলি,
দূর করে হতাশা।
ফিরবো না আর পিছুপানে
অগ্রগামী হবো
বেঁচে থাকার খুঁজতে মানে
অবিচল রবো।
আত্মশক্তির ডাকে ভেঙে
ফেলি কষ্টের বাঁশি ।
আত্মহত্যা চাইনা যে আর
দুঃখ ভুলে হাসি।
শপথ করি ভাই -বোনেরা
আত্মহত্যা নয়,
লড়াই করে বেঁচে থেকে
আনতে হবে জয়।
পেওনা তাই ভয়।
রঙিন করি জীবনটা আর
নিবো জয়ের শিক্ষা
আত্মহত্যা চাইনা যে আর,
কঠোর ভাবে দীক্ষা।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
২৬ জুন ২০২৪
সময় বিকেল ৪:২০
কবিতা কুটির নীলফামারী।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।
♥♥
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: কবিতা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
!upvote 15
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ Participate in the "Seven Network" Community2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ ⚜💯.
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven).
the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 100%
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
এই ব্লগটা দারুণ করেছ। একদম সময়োপযোগী। অসাধারণ ভাবে আত্মহত্যার দিক গুলো তুলে নিয়ে এলে তোমার কবিতা ও তার বিশ্লেষণের মাধ্যমে। আজ এটা একটা সর্বব্যাপী সমস্যা। এর প্রতিকার একটা চ্যালেঞ্জ। এমন ভালো ভালো ব্লগই আমাদের উপহার দিতে থাকো
একদম ঠিক বলেছ দাদা চারিদিকে আত্মহত্যার প্রকোপ অনেকাংশে বেড়ে গেছে। আর সে কারণেই মূলত এই ব্লগটি সাজিয়েছি। 🥀
আত্মহত্যা অর্থাৎ নিজেকে নিজেই হত্যা করা। ব্যাপার টা খুবই কষ্টের হয়ে থাকে যখন শুনি আমার পরিচিত একজন আত্মহত্যা করেছে। সৃষ্টিকর্তা এরজন্য রেখেছেন কঠিন শাস্তি। আসলে আপু যারা আত্মহত্যা করে তারা কিন্তু একেবারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই করে। আমি বলছি না এটা ঠিক। ঐসময়ে তাদের পাশে থাকার তাদের সাত্ত্বনা দেওয়ার বুদ্ধি দেওয়ার কেউ থাকে না। এইজন্যই তারা এমনটা করে। চমৎকার লিখেছেন কবিতা টা আপু।