যমুনা ফিউচার পার্কে সিয়ামের বিয়ের শপিংয়ের অনুভূতি ||~~
সকলকে অনাবিল শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি। আজ আবারো আমার লেখা আর একটি কবিতা নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, আজকের কবিতাটিও।
যমুনা ফিউচার পার্ক বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম শপিং মল। এটি আয়তনে এবং স্থাপত্যশৈলীতে অসাধারণ একটি কমপ্লেক্স, যা কেনাকাটা, বিনোদন এবং লাইফস্টাইলের জন্য জনপ্রিয়। আয়তন: এটি প্রায় ৪২,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, যা এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম শপিং মল করে তুলেছে।
যমুনা ফিউচার পার্কে সিয়ামের বিয়ের শপিংয়ের অনুভূতি
যমুনা ফিউচার পার্কে সিয়ামের বিয়ের শপিংয়ের দিনটি ছিল অন্য রকম এক অভিজ্ঞতায় ভরা। সিয়ামের জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তে তার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু কেনার চেষ্টা করেছি, যাতে তার বিয়ের দিনটি পরিপূর্ণ ও স্মরণীয় হয়। আমরা যখন রিচম্যান শোরুমে ঢুকলাম, চারপাশে অসাধারণ সব পোশাক ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের সমাহার দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
শপিংয়ের তালিকায় ছিল প্যান্ট, শার্ট, পায়জামা, পাঞ্জাবী, কোটি, বেল্ট, ওয়ালেট, টাই, গেঞ্জি, পারফিউম, টাই পিন, এবং আরও অনেক কিছু। প্রতিটি জিনিস খুব মনোযোগ দিয়ে বেছে নেওয়া হয়েছে, যাতে সিয়ামের জন্য এগুলো বিশেষ হয়ে ওঠে। পাঞ্জাবীগুলোর মধ্যে একটি ছিল একদম সিয়ামের পছন্দ অনুযায়ী—দারুণ রঙ ও নকশা, যা তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই।
কোটির জন্য আমরা বেশ সময় নিয়েছিলাম। সঠিক ফিটিং আর মানসম্মত কাপড়ের মিশ্রণে এমন একটি কোটি পাওয়া গেল, যা সিয়ামের গায়ে হলুদের দিন তার আকর্ষণীয় লুকের জন্য একদম উপযুক্ত হবে। টাই আর টাই পিনের ক্ষেত্রেও সঠিক মিল খুঁজে নেওয়া হলো, যেন প্রতিটি ছোটখাটো জিনিস সঠিকভাবে সাজানো থাকে।
শিপুর জন্যও একটি চমৎকার শার্ট কেনা হলো। তার মুখের উচ্ছ্বাস দেখে মনে হলো, এই শার্টটি তার জন্য কতটা আনন্দের। পুরো শপিংয়ে শিপুর সঙ্গে ছিল, আর তারা পুরো সময়টা হাসি, মজা আর আলোচনায় ভরিয়ে রেখেছিল।
সবশেষে পারফিউম কিনলাম, যা সিয়ামের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় এবং তার উপস্থিতিকে আরও উজ্জ্বল করবে। প্রতিটি জিনিস কেনার সময় সিয়ামের প্রতিক্রিয়া আমাকে মুগ্ধ করছিল। মা হিসেবে মনে হচ্ছিল, আমার ছেলের জন্য সবচেয়ে ভালোটি বেছে নিচ্ছি, যা তাকে আনন্দ দেবে এবং তার বিশেষ দিনকে আরও সুন্দর করে তুলবে।
এই শপিংয়ের অভিজ্ঞতা শুধু কেনাকাটার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি আমাদের পরিবারের একটি সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে। সিয়ামের বিয়ের দিনটি যেন তার জীবনের এক সুন্দর অধ্যায়ের সূচনা হয়, সেই কামনা করেই আমরা প্রত্যেকটা জিনিস খুব যত্ন নিয়ে বেছে নিয়েছি।
সিয়ামের বিয়ের শপিং করতে যমুনা ফিউচার পার্কে যাওয়া আমার জীবনের এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। সিয়াম আমার বড় ছেলে, যার জন্য আমি সবসময় অনেক গর্বিত। তার এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে শপিংয়ের পরিকল্পনা করা যেন আমার নিজের স্বপ্ন পূরণের মতো ছিল। আমাদের সাথে ছিল আমার ছোট ছেলে শিপু । এই ছোট দলটাই পুরো অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছিল।
যমুনা ফিউচার পার্কে প্রবেশ করার মুহূর্তটা এক অনন্য অনুভূতি নিয়ে এলো। বিশাল শপিং মল, চারপাশের ঝলমলে আলো, আর মানুষের ব্যস্ত পদচারণা যেন আমাদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। সিয়ামের জন্য পছন্দসই পোশাক কেনার লক্ষ্য ছিল রিচম্যান শোরুম। শোরুমে ঢুকেই যেন আরেকটি নতুন জগতে প্রবেশ করলাম। সেখানে রুচিশীল ডিজাইনের অসাধারণ সব পোশাক একে একে দেখতে দেখতে সময় কীভাবে কেটে যাচ্ছিল, টেরই পাইনি।
সিয়াম প্রতিটি পোশাক দেখে তার মতামত দিচ্ছিল, আর আমি মা হিসেবে তার প্রতিটি পছন্দের সঙ্গে নিজের অনুভূতিকে মিলিয়ে নিচ্ছিলাম। এক এক করে পোশাক বেছে নেওয়ার সময় মনে হচ্ছিল, যেন আমি আমার ছেলের শৈশবকে হাত দিয়ে স্পর্শ করছি। ছোটবেলায় সিয়ামের জন্য প্রথম জামা কেনার দিনটা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সেই ছোট ছেলেটা, যার জন্য আমি এত কিছু করেছি, আজ তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর একটি উদযাপনের জন্য তৈরি হচ্ছে।
শিপু পুরো সময়টা এক অনন্য রঙ যোগ করেছিল। তারা নিজেদের মতামত দিচ্ছিল, হাসাহাসি করছিল, আর আমাদের পরিবেশকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিল। তাদের মজা আর উচ্ছ্বাস যেন পুরো শপিংয়ের অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দময় করে তুলেছিল।
রিচম্যান শোরুমে সিয়ামের জন্য যখন চূড়ান্ত পোশাকটি বেছে নেওয়া হলো, তখন আমার মনে হলো, "এটাই সঠিক। এই পোশাকেই আমার ছেলে তার জীবনের বিশেষ দিনে আরও সুন্দর লাগবে।" শপিং শেষে সিয়ামের উচ্ছ্বাসভরা মুখ দেখে আমার হৃদয় ভরে গিয়েছিল।
মা হিসেবে এই অনুভূতিটা ছিল একেবারে অন্যরকম। মনে হচ্ছিল, আমার নিজের জীবন যেন আরও একধাপ পূর্ণ হলো। সিয়ামের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনা দেখার জন্য আমি কতটা ধন্য! যমুনা ফিউচার পার্কের আলো ঝলমলে পরিবেশ, আমাদের ছোট দলের হাসি-আনন্দ, আর সিয়ামের জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি—সব মিলিয়ে এই দিনটা আমার জীবনের স্মৃতির অ্যালবামে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।
বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিয়ের দিনটি যে কোন মানুষের জন্যই অনেক স্পেশাল। সেই বিয়েতে বর - বৌ সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। আমাদের সিয়াম ভাইকে আশা করি বিয়ের দিন ভীষণ সুন্দর এবং ব্যক্তিত্বপূর্ণ লাগবে। বিয়ের শপিং এর স্মৃতি পড়ে ভীষণ আবেগ আপ্লুত হয়ে গেলাম। মা হিসেবে আপনি অনেক গর্বিত বোধ করছিলেন, যা করাও উচিত। সিয়াম ভাইয়ের বিয়ের সকল কিছুর সাথেই এভাবেই আমরাও সাক্ষী হবো একে একে।শুভকামনা রইলো।
সিয়াম ভাইয়ের বিয়ের কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো। অবশেষে সুভ কাজের জন্য শপিং করতে গিয়েছিলেন।। মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমে সিয়াম ভাইয়ের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা জ্ঞাপন করছি। সিয়াম ভাইয়ার বিয়ে উপলক্ষে রিচম্যান শোরুমে পরিবার নিয়ে ভালোই কেনাকাটা করেছেন দেখতেছি। মা হিসেবে সন্তানের জন্য সবকিছু তার পছন্দমত কিনে দিতে পেরেছিলেন এটা আপনার জন্য আসলেই আনন্দের। সেই আনন্দের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আন্টি।
একটু আগেই সিয়ামের পোস্ট পড়লাম তারপর তোমার পোস্ট পড়ছি। খুব ভালো করেছো একটু সময় হাতে নিয়ে কেনাকাটা শুরু করে কারণ বিয়ের কেনাকাটা তে অনেকটাই সময় লাগে। তাছাড়া তোমার পোস্ট পড়ে যায় বুঝলাম এর জন্য কিনেছো সবটাই তার পছন্দের। বিয়ের মতো একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানে সবকিছু মনের মত হলে তবেই স্মরণীয় হয়ে থাকে। খুব ভালো থাকো, আনন্দে থাকো এবং বিশেষ দিনটি ভালোভাবে কাটুক।