মুসুর ডালের ঝাল ভর্তা নিয়ে এলাম আজ, সাথী রান্নাঘরে চলছে তারি কারুকাজ,🌹
সকলকে শুভেচ্ছা । আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
💞মুসুর ডালের মজাদার ভর্তা রেসিপির মজার গল্প 💞
রেসিপি নিয়ে এলাম আজ,
সাথী রান্নাঘরে চলছে
তারি কারুকাজ,
সঙ্গে থাকবে সৃজনশীলতার
মজাদার সেই গল্প,
গল্প মাঝে খুঁজে পাবে
মহা অণুকল্প।
মুসুর ডালের ভর্তা, খেতে মজা পান কর্তা
☆꧁ "সাথী রান্না ঘরে" মুসুর ডালের মজাদার ভর্তা রেসিপি ও গল্প"꧂☆
মসুর ডালের ঝাল ঝাল ভর্তা বানানোর সময় আমি যে অনুভূতি পাই, তা আসলেই অসাধারণ। যখন আমি প্রথমে ডালটি সেদ্ধ করতে বসি, তখন জল ফোটানোর শব্দ এবং ডালের গন্ধ আমাকে যেন এক অদ্ভুত আরাম দেয়। ডালটি সেদ্ধ হলে তার নরম ও কোমল অবস্থা আমাকে একটা নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেয়, যেখানে রান্নার আনন্দ এবং ঘরের উষ্ণতা মিলে যায়।
পেঁয়াজ এবং রসুন ভাজতে শুরু করলে, সোনালি রং ধারণ করা পেঁয়াজের এবং রসুনের সুগন্ধ ঘর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় আমি অনুভব করি, রান্না শুধু খাওয়ার জন্য নয়, বরং একটি শিল্প যা অনুভূতি এবং স্মৃতি তৈরি করে। যখন কাঁচা মরিচ, হলুদ গুঁড়ো, এবং লবণ যোগ করি, সেই সময় ভর্তার স্বাদের গভীরতা যেন ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে। প্রতিটি উপকরণের সাথে একটা নতুন গল্প শুরু হয়।
সব উপকরণ একসাথে মেশানোর সময়, আমি অনুভব করি যে এটি শুধু রান্না নয়; এটি একটি সৃষ্টির প্রক্রিয়া। ডাল, মসলা, এবং মসলার সংমিশ্রণ তৈরি করে একটি নতুন স্বাদের ভ্রমণ, যা আমার হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে। শেষ মুহূর্তে ধনে পাতা যোগ করার সময় মনে হয়, যেন একটি শিল্পকর্মের শেষ হাতের কাজ হচ্ছে—একটি চমৎকার ডিজাইন যা পুরো পরিবেশনকে উজ্জ্বল করে।
যখন আমি এই ভর্তাটি ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করি, তখন একটি বিশেষ অনুভূতি আমাকে ছুঁয়ে যায়। প্রতিটি কামড়ে সেই ঝাল আর নরম ডালের মিশ্রণ যেন আমার মনকে স্পর্শ করে, এক অনন্য সাদৃশ্য তৈরি করে। এটি শুধুমাত্র স্বাদের বিষয় নয়, বরং একটি স্মৃতি যা প্রতিটি পরিবারে ছড়িয়ে থাকে। রান্নার এই অভিজ্ঞতা আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে, খাবার শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, বরং আমাদের সম্পর্ক, সংস্কৃতি, এবং ভালোবাসার প্রতিফলন।
এভাবেই রান্নার প্রতি আমার ভালোবাসা প্রতিদিন নতুন করে জাগ্রত হয়, এবং প্রতিটি ডিশ আমাকে একটি নতুন গল্প বলে দেয়।
♥☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆♥
সাথী রান্নাঘরে আবারও সবাইকে স্বাগতম। আজ আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের সকলের জন্য খুবই চমৎকার একটি রেসিপি। আর সেটা ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গিয়েছেন। বন্ধুরা আজ সাথী রান্নাঘরে থাকছে সুস্বাদু মজাদার মুসুর ডালের মজাদার ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি।
☆꧁প্রয়োজনীয় উপকরন꧂☆
মুসুর ডাল
রসুন
কাঁচা মরিচ
জিড়া গুঁড়া
লাল মরিচ
হলুদ
পেঁয়াজ
লবণ
সরিষার তেল
- প্রথমে ডাল গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে নেব।
- এবার ডালের মধ্যে হালকা হলুদ এবং কিছু রসুনের কোয়া ও পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিবো সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
- ডাল গুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিব।
- এবার লাল মরিচ গুলো সরিষার তেলে ভেজে নিব। এবং পেঁয়াজ গুলো পাতলা গোল গোল করে কেটে নেবো।
- এবার ভাজা লাল মরিচ, লবণ , কাঁচা পেঁয়াজ কুচি ও সরিষার তেল দিয়ে এক সাথে খুবই ভালো ভাবে মেখে নিয়ে ডাল গুলো দিয়ে মেখে নেব।
- তৈরী হয়ে গেল আমার সুস্বাদু মজাদার মুসুর ডালের ঝাল ঝাল রেসিপি।
পরিবেশন:
গরম গরম ভাত বা রুটি সঙ্গে পরিবেশন করুন। উপভোগ করুন!
এই ভর্তার স্বাদ এবং ঘ্রাণ আপনাকে বিশেষ একটি অনুভূতি দেবে।
তো বন্ধুরা আমার আজকের এই রেসিপিটি যদি, আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে, তবেই আমার সার্থকতা। আপনারা সকলেই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। টা টা,,
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: রেসিপি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আমাদের প্রিয় সাথী আপুর রান্নাঘরে আজ দেখছি দারুন রান্না হয়েছে। মসুর ডালের ভর্তা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। শুকনা মরিচ ভেজে এরপর ভর্তা করলে অন্যরকমের টেস্ট হয়। আর খুবই ভালো লাগে খেতে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। মসুর ডালের ভর্তায় যদি শুকনা মরিচ তেল দিয়ে ভেজে এরপরে করা যায়, তবে সেই ভর্তার টেস্ট অন্যরকম হয়। সেই স্বাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি দেখলাম আজ। মসুর ডাল সবসময় রান্না করে কিংবা ভুনা করে খাওয়া হয়েছে তবে ভর্তা করে কখনো খাওয়া হয়নি। মসুর ডাল এভাবে ভর্তা করা যায় এটা জানা ছিল না। গরম গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগবে। লোভনীয় এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম করে মসুর ডালের ভর্তা বানালে, গরম ভাত কিংবা রুটির সাথে খেতে দারুন সুস্বাদু ও মজাদার হয়ে থাকে। একদিন বাসায় ট্রাই করবেন। খেতে বেশ মজা লাগবে আশা রাখছি।
মসুরের ডাল ভর্তা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই মজা। আজকে আপনার রান্নাঘরে মসুরের ডালের ঝাল ঝাল ভর্তা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এমন ভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন যা দেখে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে।মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
সত্যি কথা বলতে গরম ভাতের সাথে এই মসুর ডালে ভর্তা আজ খুব তৃপ্তি সহকারে খেয়েছি। খুবই মজা ও সুস্বাদু হয়েছিল।
এটা দারুণ স্বাদের রেসিপি, পুরান ঢাকায় থাকার সময় এই রেসিপিটি শিখেছিলাম। পুরান ঢাকার মানুষদের কাছে এটা একটা জনপ্রিয় রেসিপি কিন্তু। অনেক ধন্যবাদ বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি।
আমাদের এদিকেও এই ভর্তার টা অনেক জনপ্রিয়। আমার বাবা ও দাদী দারুন পছন্দ করতেন এই ভর্তাটা। শত ব্যস্ততার পরেও, সময় করে আমার রেসিপিটি দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া।
ওয়াও আপনি লোভনীয় মসুর ডালের ঝাল ভর্তা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন।এককথায় বলতে গেলে জিভে জল আনার মত রেসিপি।ছবি দেখে বুঝতে পারলাম খেতে খুব ভালো হয়েছিল রেসিপিটি।আপনি ধাপগুলো খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
খেতে দারুণ হয়েছিল সেদিন অনেক মজা করে ভাত খেয়েছিলাম মসুর ডালের ভর্তা দিয়ে। আসলেই মসুর ডালের ভর্তা খুবই লোভনীয়।
আপনি তো দেখছি আমার পছন্দের ভর্তা তৈরি করেছেন। মসুর ডালের ভর্তা আমার ছোটবেলা থেকেই ভীষণ পছন্দ। গরম গরম ভাত এবং মসুর ডালের ভর্তা হলে তো এক প্লেট ভাত এমনিতেই খাওয়া যায়। যাইহোক রেসিপিটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মসুর ডালের ভর্তা আপনার এত বেশি প্রিয় আগে জানা ছিল না। এটা একদম ঠিক বলেছেন ঝাল ঝাল ভর্তা দিয়ে গরম ভাত এক প্লেট অনায়াসে খাওয়া যায়।
মসুর ডালের ডালের ঝাল ভর্তা দেখে দিবে জল চলে এসেছে। মসুর ডাল রান্না করে খাওয়া হয়েছে এবং মসুর ডালের বিভিন্ন ধরনের খেয়েছি কিন্তু মসুর ডালের এই ঝাল ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে শিখে নিলাম। অবশ্যই একবার তৈরি করে খেয়ে দেখব দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে।
মসুর ডালের ভর্তা খুবই দুর্দান্ত স্বাদের হয়ে থাকে। একদিন ট্রাই করবেন শুকনা মরিচ তেল দিয়ে ভেজে এবং কাঁচা পেঁয়াজের সাথে ভর্তাটা করতে হবে। আপু জিভে বানানটা একটু ঠিক করে নিয়েন। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।