কবিতা --"ইলিশ মাছ"||~~
স্বরচিত কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।
কবিতাটির মূলভাব
ইলিশ মাছ এবং তার ডিম নিয়ে এক ধরনের প্রেম ও ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়েছে। ইলিশ মাছের স্বাদ, তার সৌন্দর্য এবং রান্নার মাধ্যমে পাওয়া সুখের অনুভূতি নিয়ে কবিতাটি গঠিত। ইলিশের সোনালি রঙ ও নোনা জল থেকে আসা এক স্বাভাবিক আকর্ষণ এবং তার মিষ্টি ঘ্রাণের মাধ্যমে কবি ব্যক্তিগত ভালোবাসা ও আনন্দের কথা বলেছেন। ইলিশের ডিমও এখানে বিশেষভাবে উল্লেখিত, যা খাবারের স্বাদে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। রান্নার প্রক্রিয়া, মশলা-মাখা সুর, ঝোল বা ভাজার স্বাদ সব কিছু মিলে কবি ইলিশ মাছকে এক অমূল্য রত্ন হিসেবে মনে করেন। পুরো কবিতার মূল ভাবটি হলো, ইলিশ মাছ এবং ডিমের প্রতি এক অগাধ ভালোবাসা এবং তার রান্না ও খাওয়ার মাধ্যমে পাওয়া আনন্দ।
নোনা জল থেকে আসাপানি মাখা ঘ্রাণ,
চিরকাল সুরে বাসা।
তার সোনালি শরীর, শোভায় উজ্জ্বল,
গরম ভাতের সাথে, যেন সুখের মন্ত্র।
ডিমে ঢাকা, তার কোমল দান,
বিশ্বমুখী প্রেম, এক খাঁটি অহংকার।
এ যেন সঙ্গীত, রান্নাঘরে গাওয়া,
মশলা-মাখা সুর, রুপালি এক আভা।
ভাজা কিংবা ঝোল, স্বাদে ভরা,
আলপিন ছুঁয়ে যেন হৃদয়ে ধরা।
মাঝে মাঝে মনে হয়, এই ইলিশে কোনো রহস্য,
প্রতিটি কামড় যেন, এক নতুন চুম্বন!
ডিমের জাদু, স্বাদে তার খেল,
কেন জানি মনে হয়, আজও বাঁচে সেই বেল।
ইলিশ, তুমি আমার সুখের সঙ্গী,
তোমার প্রতি ভালবাসা কখনো হবে না কম।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আহা ইলিশ মাছ নিয়ে এতো চমৎকার কবিতা লিখা যায় ভাবাই যায় না। কি চমৎকার গুছিয়ে নিজের অনুভূতির রং মিশিয়ে কবিতা লিখে গেলেন। আপনি সত্যিই গুণী লেখক, শুভ কামনা সবসময়ই।
কবিতা অসাধারণ ছিল।
যারা জাত কবি তারা যেকোনো বিষয়ের উপর লিখতে পারে। আর আমি একটু একটু চেষ্টা করি। খুবই সুন্দর উৎসাহ মূলক এবং গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমে দেখে ভেবেছিলাম ইলিশ মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন পরবর্তীতে দেখলাম ইলিশ মাছ খেয়ে চমৎকার কবিতা লিখেছেন কবিতার ভাষায় ইলিশ মাছের স্বাদ ভাজা ইলিশ আর ঝোল ইলিশ সবকিছুই উল্লেখ করেছেন বেশ ভালো লেগেছে আপু। ইলিশ মাছ নিয়ে কবিতা তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছি ইলিশ মাছের তথ্যগুলো তুলে ধরার এই কবিতার মধ্যে। ইলিশ মাছ ভাজা কিংবা ঝোল যেভাবেই রান্না করি না কেন, এর স্বাদ কিন্তু সত্যিই অতুলনীয়।
ইলিশ মাছের স্বাদ এবং সৌন্দর্য নিয়ে খুবই সুন্দর করে একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার কবিতা টি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনার লেখা প্রতিটি কবিতা অনেক বেশি ভালো লাগে। ইলিশ মাছের রেসিপির ফটোগ্রাফি টি দেখে লোভ লেগে গেল আপু। রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।
ইলিশ মাছের এই রেসিপিটা করেছি। কিন্তু এখনো পোস্ট করা হয়ে ওঠে নাই। দেখি সময় পাচ্ছিনাতো। তবে খুব দ্রুতই রেসিপিটি পোস্ট করব ইনশাল্লাহ।
ইলিশ মাছ যেমন ইলিশ মাছ খেতেও তেমন। আপনি ইলিশ মাছ নিয়ে চমৎকার কবিতা লিখেছেন। তবে আপনার কবিতা মানে ভিন্ন কিছু। আপনার কবিতা থেকে অনেক কিছু উপলব্ধি করা যায়। সত্যি বলতে আপনার কবিতাগুলো যতই পড়ি ততই ভালো লাগে। অসাধারণ একটি কবিতা লিখে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আসলে আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার কবিতার মধ্যে বাস্তবতা তুলে ধরতে। যে বিষয়গুলো আমাদের জীবনের সাথে নিবিড় ভাবে জড়িয়ে থাকে।
বাহ চমৎকার আপু। ইলিশ মাছ নিয়ে যেন বাঙালির সব অনূভুতি আপনি এই কবিতায় প্রকাশ করেলন। চমৎকার লাগল আপনার কবিতা টা আপু। দারুণ লিখেছেন আপনি। যদিও আপনি বরাবরই বেশ ভালো লিখে থাকেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।
ইলিশ আমার খুব প্রিয় মাছ। তাই ইলিশ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ইলিশ মাছ নিয়ে খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি খুবই সুন্দর হয়েছে। কবিতা প্রতিটি লাইন অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কবিতা লিখে শেয়ার করার জন্য।