☆꧁ "সাথী রান্না ঘরে"সুইট ম্যাস ম্যালো" তৈরির অনুভূতি ও গল্প"꧂☆
সকলকে শুভেচ্ছা । আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
সুইট ম্যাস ম্যালো
নাফিজা আর জেবিন বসে
করছে শুধু হ্যালো।
সাথী রান্না ঘরে তারা
মজা করে খেলো
সবাই মিলে খেয়ে যেন
ভীষণ তৃপ্তি পেলো।
দারুণ মজার সুইট গুলো
লোভনীয় দেখতে,
মনের মাঝে আলো জেলে
বসে পড়লাম লেখতে।
ছড়া হলো, কবিতা হলো
হলো লেখা গল্প,
মিষ্টি লেখার ছড়াছড়ি
পুরোটা নয় অল্প।
"সাথী রান্না ঘরে"সুইট ম্যাস ম্যালো" তৈরির রেসিপি"꧂☆
☆꧁ "সাথী রান্না ঘরে"সুইট ম্যাচমেলো " তৈরির অনুভূতি ও গল্প"꧂☆
রান্নাঘরে সাথীর "সুইট ম্যাস ম্যালো" তৈরি করা এক বিশেষ অনুভূতি। যখন সে তার নিখুঁত হাতে এই মিষ্টান্নটি বানাচ্ছিল, তখন তার চোখের মধ্যে এক অদ্ভুত উজ্জ্বলতা দেখতে পেলাম। মনে হচ্ছিল, এই মুহূর্তে সে শুধু একটি খাবার তৈরি করছে না, বরং আমাদের সম্পর্কের জন্য এক নতুন স্মৃতি রচনা করছে।
প্রথমে যখন সাথী সব উপকরণগুলো একত্রিত করছিল, প্রতিটি পদক্ষেপে তার যত্ন ও শৃঙ্খলা লক্ষ্যণীয় ছিল। চিনি, কোকো, ও কিছুমাত্র অতিরিক্ত স্পর্শ—প্রত্যেকটি উপাদানের সংমিশ্রণে সে যেন নিজের হৃদয়ের ছোঁয়া লাগিয়ে দিচ্ছিল। রান্নাঘরটি তখন যেন এক শিল্পীর কাজের জায়গা, যেখানে সঙ্গীর প্রিয় মিষ্টি তৈরি হচ্ছিল।
যখন "সুইট ম্যাস ম্যালো" তৈরি হয়ে গেল, তখন তার সৌন্দর্য ও আকর্ষণ দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। সাদা মেঘের মতো কোমলতা, চকলেটের গাঢ় স্বাদ এবং একটি মিষ্টি সুবাস—প্রত্যেকটি উপাদান যেন কথা বলছিল। আমি জানতাম, এটি কেবল একটি খাবার নয়, এটি আমাদের সম্পর্কের মিষ্টতা ও গভীরতা।
প্রথম কামড়ে যখন স্বাদ নিলাম, তখন বুঝলাম সাথীর প্রতিটি চেষ্টার ফলাফল এটি। খাবারের মধ্যে তার প্রেম এবং যত্ন যেন ভেসে উঠছিল। একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করার সময়, মিষ্টির সঙ্গে মিষ্টতা বাড়তে থাকল। এই মুহূর্তগুলো শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং আমাদের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করার জন্যও।
রান্নাঘরের এই সৃষ্টির পেছনে যে অনুভূতি ছিল, তা প্রতিটি কামড়ে প্রকাশ পেত। এটি ছিল আমাদের সম্পর্কের একটি প্রতীক—একটি সুন্দর, স্বাদে ভরপুর অনুভূতি, যা আমাদের জীবনের গতি পরিবর্তন করতে পারে। সত্যিই, সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা লাভ হয়, তা কখনো ভুলতে পারব না। সাথীর এই রান্নাঘরের যাত্রা কেবল খাদ্য তৈরির গল্প নয়, বরং প্রেম, বন্ধুত্ব ও সমঝোতার এক নতুন অধ্যায়।
♥☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆♥
সাথী রান্নাঘরে আবারও সবাইকে স্বাগতম। আজ আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের সকলের জন্য খুবই চমৎকার একটি রেসিপি। আর সেটা ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গিয়েছেন। বন্ধুরা আজ সাথী রান্নাঘরে থাকছে সুস্বাদু মজাদার [সুইট ম্যাস ম্যালো রেসিপি।
☆꧁প্রয়োজনীয় উপকরন꧂☆
ময়দা
গুঁড়া দুধ
লিকুইড দুধ
চিনি
তেল
- প্রথমে একটি বাটিতে ১ টেবিল চামুচ ময়দা নিবো।
- এবার পরিমান মত চিনি ও পাউডার দুধ নিয়ে নিব।
- এবার তেল দিয়ে সব উপকরণ গুলো ভালোভাবে মেখে নিব।
- এবার সব গুলো উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে নিবো খুবই ভালো ভাবে। এবার লিকুইড দুধ দুধ দিয়ে আরো ভালোভাবে মিশিয়ে নিবো।
- এবার চুলায় একটি করাই বসিয়ে হালকা একটু তেলে লিকুইড গুলো রান্না করে খুবই চমৎকার নরম একটি ডো তৈরী করে কয়েটি সেফে সুইট গুলো তৈরী করে গুঁড়া দুধের সাথে আবারো মিশিয়ে নিলেই তৈরী হয়ে যাবে সুইট মেস্ট ম্যালো।
- তৈরী হয়ে গেল আমার সুস্বাদু মজাদার সুইট ম্যাস ম্যালো" রেসিপি"꧂☆
পরিবেশন:
তো বন্ধুরা আমার আজকের এই রেসিপিটি যদি, আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে, তবেই আমার সার্থকতা। আপনারা সকলেই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। টা টা,,
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: রেসিপি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
আসলে আপনি মনে হয় এখন অনেক ফ্রী থাকেন। কারণ আপনি বেশ কয়েকদিন যাবৎ আমাদের মাঝে খুবই মজাদার সুস্বাদু রেসিপি উপস্থাপন করে যাচ্ছেন। সুইট ম্যাস ম্যালো দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। সুইট ম্যাস ম্যালো খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। এতো দারুন সুইট ম্যাস ম্যালো প্রস্তুত প্রণালী অসাধারণ হয়েছে। এতো চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
তেমন একটা ফ্রি থাকি না। তবে মাঝে মাঝে চেষ্টা করি রেসিপি নিয়ে আসার জন্য। রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মিষ্টির রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো আপু। সত্যি এই ধরনের মিষ্টি গুলো খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে একদিন অবশ্যই তৈরি করে নিতে হবে আপু। দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মিষ্টি খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। তবে এই রেসিপিটি খুবই চমৎকার সুস্বাদু মজাদার ও টেস্টি। জিভে জল আসার মতই।
এ যেন একের মধ্যে অনেক কিছু। একদিকে কবিতা আরেকদিকে গল্প আরেকদিকে মিষ্টি তৈরি। মাঝে মাঝে মনে হয় আপনার যারা বেটার বউ আসবে তারা অনেক আনন্দে থাকবে। দোয়া করি আপু আপনার সুন্দর অনুভূতিতে গড়া প্রত্যেকটা পোস্ট যেন এমন মধুর হয়। আর এভাবে সুন্দর মন মানসিকতা নিয়ে যেন বেঁচে থাকেন দীর্ঘদিন সেই কামনা রইল।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে হৃদয়টা ভরে উঠলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু মিষ্টি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। সবাইকে গল্পের ও কবিতার মাধ্যমে খাওয়ালেন কিন্তু আমরা বাদ পড়েছি।যাইহোক আপু মিষ্টি গুলো দেখতে যেমন সুন্দর খেতে নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মিষ্টি গুলো খেতে ঠিক মিষ্টির মতই হয়েছে। খুবই সুস্বাদু ও মজাদার।
অনেক মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি, যেটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই এই রেসিপি অনেক সুস্বাদু ছিল। আমার এই রেসিপিটা সত্যি অনেক পছন্দ হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে এটি তৈরি করে ডেকোরেশন করেছেন। নিশ্চয়ই এটা অনেক বেশি মজাদার ছিল। আমার তো রেসিপিটা দারুন পছন্দ হয়েছে। তাই ভাবছি রেসিপিটি তৈরি করবো।
আপু একদম ঠিক বলেছেন এই রেসিপিটা দেখতে যতটা লোভনীয় হয়েছিল। খেতে ততটাই সুস্বাদু হয়েছে।। জাস্ট ইয়াম্মি।
রান্নার রেসিপি অনেকের শেয়ার করেন৷ তোমার রেসিপির মধ্যে অভিনব বিষয় হলো এখানে রেসিপি পরিবেশনের চমৎকার সাহিত্য৷ একজন আসল ক্রিয়েটিভ পারসন এমনই হয়। চমৎকার লাগল তোমার রেসিপিটি।
রতনে রতন চেনে বুঝলে। এগুলো উপলব্ধি করার মতো মেধা লাগে। আর মেধার সঠিক মূল্যায়ন সবখানে হয় না। চেষ্টা করি সাহিত্যের রূপ ছড়িয়ে দেয়ার। আর এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে সব সময়। খুব বেশি ভালো থেকো শুভ কামনা সব সময়।
মেধা একটা জায়গায় পৌঁছে গেলে তা নেমে যায় না৷ আমি যখন কবিতা লিখি বা যেকোন বিষয়ে প্রবন্ধ বা গদ্য লিখি, চলতি কথায় লিখতে গেলে নিজের মস্তিষ্ক পুষ্টি হয় না৷ বা যেকোন সাধারণ বিষয়ে সাধারণ ভাবে লিখলেও শান্তি হয় না৷ ভাবি আমার লেখা একজনও যদি পড়ে সে কি পাবে? যদি সে সমৃদ্ধই না হল তবে আমার লিখে কাজ নেই৷ 😊😊 চালিয়ে যাও বন্ধু। নিজের আলো কোন কিছুর বিনিময়ে মলিন যেন না হয়৷
আমার ছেলে মিষ্টি খেতে খুবই পছন্দ করে।আপনার রেসিপি বেশ ভালো লাগলো শিখে রাখলাম। অবশ্যই বাসায় শেয়ার করবো।ধন্যবাদ আপু নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার ছেলের মত মিষ্টি খেতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। একদিন বানিয়ে খাওয়ালে ও অনেক বেশি খুশি হবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাহ্! বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। সুইট গুলো দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না। একেবারে অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে এই রেসিপিটা আমিও তৈরি করতে পারবো। এই রেসিপিটা বাসায় একদিন ট্রাই করতে হবে। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই মিষ্টিগুলো দেখতে যতটা লোভনীয় হয়েছিল। খেতে ততটাই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল। খুব অল্প উপকরণ এবং খুব সহজেই এটা তৈরি করা যায়। আর তাই নিশ্চয়ই বাসায় ট্রাই করবেন।