কলকাতার ইকোপার্ক ভ্রমণ || ও মুকুলদির দেয়া সেরা উপহার ||

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম/আদাব

💕কলকাতার ইকোপার্ক ভ্রমণ 💕


1000014341.jpg

1000009304.jpg


বন্ধুরা সবাইকে স্বাগত জানিয়ে শুরু করছি আজকের ব্লগ। তার আগেই জেনে নিতে চাই আপনারা সবাই কেমন আছেন -? প্রত্যাশা রাখছি আপনারা সকলেই খুব ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।💞

1000014361.jpg

বন্ধুরা আজ আমি কলকাতার ইকো পার্ক (Eco Park) ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা চমৎকার ভাবে শেয়ার করতে চলেছি। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি বেশ কিছুদিন আগে কলকাতা গিয়েছিলাম। সেখানে কবি ও কণ্ঠ শিল্পি আমার প্রিয় মুকুল দিদি আমাদেরকে কলকাতার ইকো পার্ক ঘুরতে নিয়ে জান। আজ সেই অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি মেলে ধরছি আপনাদের সাথে।

ইকো পার্ক হলো কলকাতার অন্যতম বড় এবং সুন্দর একটি পার্ক, যা শহরের মাঝে একটি সবুজ নৈসর্গিক স্থান হিসেবে পরিচিত।

ইকো পার্কে প্রবেশ করার সাথে সাথেই খুবই চমৎকার একটা অনুভূতি অনুভব হলো । প্রচন্ড গরমের মধ্যে এক কোমল প্রাকৃতিক পরিবেশের ছোঁয়া। এ যেন সাবুজের স্নিগ্ধ পরশ। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফুলের বাগান, জলাশয়, এবং বৃক্ষরাজির সমাহার আমাদেরকে স্বাগত জানালো। পার্কের বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ধরনের আকর্ষণ

1000009447.jpg

1000014351.jpg

ইকো পার্ক সাধারণত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা একটি পার্ক। এটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের সংমিশ্রণে নির্মিত হয়, যেখানে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়। ইকো পার্কে সাধারণত নিম্নলিখিত উপাদানগুলি থাকে: যেমন -

  • . প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: পাহাড়, নদী, জলপ্রপাত, লেক এবং বনভূমি ইকো পার্কের আকর্ষণের মূল অংশ।
  • . উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বৈচিত্র্য: ইকো পার্কে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা, ফুল, এবং প্রাণী দেখা যায়। এতে স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ হয়।
  • . পরিবেশগত শিক্ষা: ইকো পার্কে শিক্ষামূলক প্রদর্শনী এবং কর্মশালা আয়োজন করা হয়, যা পরিবেশ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করে।
  • পর্যটন সুবিধা: হাঁটার পথ, ট্রেইল, কটেজ, ক্যাম্পিং এরিয়া, এবং পর্যটকদের জন্য অন্যান্য সুবিধা থাকে।
  • টেকসই উন্নয়ন: ইকো পার্কের বিভিন্ন সুবিধা এবং কার্যক্রম পরিবেশ বান্ধব এবং টেকসই উন্নয়নের উপর জোর দেয়।

ইকো পার্ক সাধারণত শহুরে জীবনের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির সাথে একাত্ম হতে চাওয়া মানুষের জন্য একটি আদর্শ স্থান। এটি মন এবং শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ দেয়।

1000014362.jpg

1000014360.jpg
🌹প্রিয় মুকুলদি ও তপন দাদা 🌹

বোটানিকাল গার্ডেন: এর বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এবং ফুলের সমারোহ, যা মুহূর্তেই আমাদের মনকে প্রফুল্ল করে দিল। এ এক অন্য রকম অনুভূতি। এর পর

জলাশয় এবং বোটিং: এখানে বোটিং করার সুযোগ রয়েছে, যা একটি শান্তিপূর্ণ এবং মনোরম অভিজ্ঞতা। দেখে ভীষণ মন ছুঁইয়ে গেল। ঘোরাঘুরির
সময় মুকুল দিদি ও তপন দা অনেক ধরণের খাবার এবং পানি নিয়ে ছিল। যা বেশ আদর করে আমাদেরকে বসে খাওয়াতেন পরম আদরে। ঠিক যেমনটা বাবা -মেয়েরা করেন। এরপর গেলাম -

.রোজ গার্ডেন এবং বাম্বো গার্ডেনে : এই অংশগুলোতে ঘুরে বেড়ানো বেশ আনন্দদায়ক এবং মনোমুগ্ধকর। আর

এমফিথিয়েটার এবং সঙ্গীত ফোয়ারা: এখানে মাঝে মাঝে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মিউজিক্যাল ফোয়ারার প্রদর্শনী হয়, যা ইকো পার্কের ভ্রমণকে আরো রঙিন করে তুলে। আরো মজার বিষয় হলো

.ইকো আইল্যান্ডের এই স্থানটি ইকো পার্কের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ, যেখানে ছোট্ট একটি দ্বীপ রয়েছে এবং সেখানে খুবই চমৎকার ভাবে কায়াকিং করা যায়।

1000011326.jpg

1000011325.jpg

কলকাতার ইকো পার্কে ঘুরতে গিয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানো সত্যিই এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা । এটি একটি পরিবারিক ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত স্থান, যেখানে শিশুরাও বেশ উপভোগ করতে পারে। আমরাও বেশ উপভোগ করেছি। কবিতার আড্ডা ও করেছিলাম সেখানে। ইকোপার্কের চার নম্বর গেট দিয়ে আমরা প্রবেশ করেছিলাম। এ পার্কের মোড় চারটি গেট আছে। যদিও আমরা পুরো পার্ক ঘুরে দেখতে পারিনি কারণ এটা প্রচুর সময়ের ব্যাপার।
তবে তীব্র রোদেও আমরা মজা করেছি অনেক। অনেক ছবি তুলেছি ভিডিও করেছি। এবং কবিতার আড্ডাও করেছি। সব মিলিয়ে চমৎকার এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে অনেক ভালো লাগলো।

পরিশেষে বলবো কলকাতা আসলে অবশ্যই ইকো পার্ক ঘুরে যেতে ভুলবেন না।

1000009967.jpg

1000009965.jpg

1000009874.jpg

1000009876.jpg

1000009872.jpg

1000010953.jpg
মুকুলদির দেয়া সেরা উপহার আমার কাছে।

1000009873.jpg

মুকুল দিদি
আর হ্যাঁ আমার সেই প্রিয় মুকুল দি সেদিন আমাকে এই চমৎকার শাড়িটি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। এই উপহারটি যেন আমার কাছে অনেক বেশি মূল্যবান। দিদি এই শাড়িটা আমার হাতে তুলে দিয়ে বলেছিলেন সাথী, শাড়িটা পরে কোন একটা প্রোগ্রামে গিয়ে আমাকে একটি ছবি তুলে পাঠিয়ে দিবি। অনেক বেশি ভালো লাগবে আমার। মিষ্টি এই মায়ের মত দেবীকে আজ এই ব্লগের মাধ্যমে অসভ্য ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা এবং অনেক অনেক ভালোবাসা জানিয়ে দিলাম।
দিদি, শাড়িটা আজও পড়া হয়ে ওঠে নাই । তবে, নিশ্চয়ই কোন একদিন পড়ে ছবি তুলে তোমাকে পাঠিয়ে দেবো

ইকো পার্কের এই চমৎকার চমৎকার অনুভূতি গুলো একদিনে লিখেই শেষ করা যাবে না। তাই আগামীতে আবারো কোন এক পর্বে আপনাদের সাথে মেলে ধরবো ইকো পার্ক এর অবশিষ্ট অংশ।
সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং মঙ্গল কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

photo_2023-07-07_17-27-00.jpg

আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



বিষয়: ভ্রমণ

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 days ago 

কলকাতা ভ্রমণের দারুণ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে আম্মু. আশা করছি পরবর্তী জীবনে আরও বেশি বেশি বিভিন্ন নতুন জায়গা ঘুরতে পারে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারো এই কামনাই করছি।

 2 days ago 

আমি মনেপ্রাণে দোয়া করি তোমরা ও একদিন অনেক বড় হবে এবং দেশ-বিদেশ ঘুরবে। আপন মহিমায়।
💕

 2 days ago 

দারুণ লিখেছ। কলকাতা ইকোপার্কটা সত্যিই সুন্দর হয়েছে৷ তবে আমার একটি বারও যাওয়া হয়নি৷ প্রতিবারই পাশ দিয়ে যাই আসি৷ কিন্তু ভেতরে ঢোকা হয় না৷ তোমার এই ব্লগ পড়ে আমিও অনেক কিছু জেনে গেলাম। মুকুলদি আর তোমার বন্ধন অটুট থাকুক।

 2 days ago 

ইকো পার্কের মনোরম পরিবেশ সত্যিই তোমাকে মুগ্ধ করবে। আর মুকুন্দির কথা বলছ তিনি আমাকে মায়ের মত আগলে রাখেন দেখলেই কোলে নেয়। খুবই সুন্দর করে জড়িয়ে ধরে। আর তুই তুই করে সম্বোধন করে যেটা আপনার চেয়েও আপন। তবে দিদির দেয়া শাড়িটা এখনো পড়া হয়ে উঠে নাই।
চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু। 💕

 2 days ago 

ইকোপার্ক ভ্রমণ নিয়ে খুব সুন্দর করে লিখলে। এই পার্ক সত্যিই কলকাতার গর্ব। আমি গতকাল একটি পোস্টে নিউ টাউন নিয়েই লিখেছিলাম। এখানকার পরিবেশ আমাকে খুব টানে। মাঝে মাঝে বাইক নিয়ে একা ঘুরে আসি। আর মুকুলদির গান আমার খুব প্রিয়। পোস্টে তোমাকে, মুকুল দিকে এবং সকলকে খুব ভালো লাগছে।

 yesterday (edited)

কলকাতা নিউ টাউনে গিয়েছিলাম ঘুরতে। আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল পরিবেশটা। আর মুকুলদির সুরেলা কন্ঠে খুবই চমৎকার গান করে,
যা আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করে। শুধু তাই নয়,মুকুলদি মায়ের মত করে তার মায়ার জালে আমাকে আটকে রাখে।
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য💕

 5 hours ago 

আমাদের কমিউনিটির সম্মানিত অনেক মেম্বারের মাধ্যমে কলকাতার ইকোপার্ক সম্পর্কে জেনেছি। কি নেই সেখানে...। এত সুন্দর করে পার্কটি সাজিয়েছে,যে দেখবে সেই মুগ্ধ হয়ে যাবে। আর বিশাল বড় জায়গা নিয়ে ইকো পার্কটা তৈরী করা হয়েছে। আপনি সেখানে ঘুরে দারুন অনুভূতি শেয়ার করেছেন। শাড়িও উপহার পেয়েছেন। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 62770.12
ETH 3467.22
USDT 1.00
SBD 2.53