আমার বাংলাব্লগ প্রতিযোগিতা-৬৮ঃ শীতকালীন সেরা ফুলের ফটোগ্রাফি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ৮ই মাঘ,শীতকাল ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ ।আজ একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আর তাহলো আমার বাংলাব্লগের চলমান প্রতিযোগিতা শীকালীন সেরা ফুলের ফটোগ্রাফির জন্য করা। আমার বাংলাব্লগ প্রতি নিয়ত নতুন নতুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আমি চেস্টা করি প্রতিটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করার। কারন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে আমার বেশ ভালো লাগে। শীতকাল হলো ফুলের মৌসুম। যে দিকে তাকাই দেখা মেলে বিভিন্ন রং এর ফুল। পরিচিত ফুলের পাশাপাশি দেখা যায় অনেক অপিরিচিত ফুলের । প্রতিযোগিতায় অংশ্রহনের জন্য আমি এই ফুলের ফটোগ্রাফিগুলো করেছিলাম আগারগার কয়েকটি নার্সারি থেকে। সে সকল ফুলের ফটোগ্রাফিই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
প্রথম ফটোগ্রাফি
ছোট সূর্যমুখী ফুলের ফটোগ্রাফি এটি।সূর্যমূখী একবর্ষী ফুল গাছ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে। দৃষ্টিনন্দন ফুল হিসেবে সূর্যমুখী সবার কাছে পরিচিত। ফুলটি তেলবীজ হিসেবেও দারুণ সমাদৃত। সূর্যমুখীর বীজ পাখির খাদ্য হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। এই তেলে রয়েছে নানা উপকারী গুণ। আমাদের শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতেও সূর্যমুখী তেলের ভূমিকা অনন্য।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
বিভিন্ন রং ও জাতের জবা ফুল দেখা যায়। জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, ঝুমকা জবা, জবা কুসুম, মরিচা জবা ইত্যাদি।পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট জবা ফুল বেশি দেখা যায়। এছাড়া বহু পাপড়ি বিশিষ্ঠ জবা ফুলও দেখা যায়। জবা ফুলে নানান ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে। ফুল, পাপড়ি ও গাছের ছালও ঔষধি গুনসম্পন্ন। চোখ ওঠা রোগ দূর করতে, সর্দি ও কাশিতে, চুলের বৃদ্ধির জন্য জবা ফুল ,পাতার রস বেশ উপকারী।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
আজকাল প্রায় সব জায়গায় এই পিটুনিয়া ফুল দেখা যায়। এই ফুল বিভিন্ন রং এর হয়ে থাকে। আবার একই ফুলে বিভিন্ন রং দেখা যায় ।স্কুল,কলেজ,অফিস,রাস্তা ঘাট এর সৌন্দর্য বর্ধনে এই ফুল গাছ লাগানো হয়। একসাথে অনেক ফুল ফোটে বলে দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে। এই ফুলের আদি নিবাস দক্ষিন আমেরিকা।শীতের মাঝামাঝি সময়ে পিটুনিয়ার কলি বের হয়, বসন্তে ফুল ফোটে ও তা গরমে ঝড়ে যায়। তিন মাসের মত বেঁচে থাকে এই ফুলগুলো। এই ফুলে সুন্দর সুগন্ধি ছড়িয়ে থাকে।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
গোলাপকে বলা হয় ফুলের রানী। এর সৌন্দর্যই এই নামে ডাকার কারন। বিভিন্ন জাতের ও রং এর গোলাপ ফুল দেখা যায়। এর মিষ্টি গন্ধ সকলকে আকর্ষন করে। বিশ্বে প্রায় ৩০০ প্রজাতির গোলাপ ফুল দেখতে পাওয়া যায়। আজকাল বাংলাদেশেও বানিজ্যিকভাবে গোলাপ সহ বিভিন্ন ফুলের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
শীতকালে প্রায় সব জায়গায় এই ফুল দেখা যায়। গাঁদা ফুল বিভিন্ন জাত ও রঙের দেখা যায়। এই ফুল সাধারণত উজ্জল হলুদ ও গাঢ় খয়েরী হয়ে থাকে। সাধারণত: এটি শীতকালীন ফুল হলেও বর্তমানে এটি গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালেও চাষাবাদ হয়ে থাকে। বাগানের শোভা বর্ধন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণ ও গৃহসজ্জায় এর ব্যাপক ব্যবহার করা হয়। গাঁদা ফুলের বেশ উপকারী। কাঁটা স্থানে এই ফুলের পাতার রস লাগিয়ে দিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। আজকালে বানিজ্যিকভাবে এই ফুলের চাষ বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
ডালিয়া:শীতের ফুলের মধ্যে ডালিয়া অন্যতম। ডালিয়া একটি সুদৃশ্য, সুন্দর ফুল। মেক্সিকো দেশ থেকে এর উৎপত্তি স্থল। । ডালিয়া ফুলের নীল ও সবুজ রঙ ছাড়া প্রায় সব রঙেরই হয়ে থাকে। এছাড়াও কালচে লাল পাপড়িতে সাদা দাগ দেয়া দুই রঙের ডালিয়া দেখতে পাওয়া যায়।
সপ্তম ফটোগ্রাফি
চন্দ্রমল্লিকার আদি নিবাস চীনে। কিন্তু জনপ্রিয় বেশি জাপানে। জাপানের জাতীয় ফুল চন্দ্রমল্লিকা। কয়েক হাজার জাত আছে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত শীতকালীন চন্দ্রমল্লিকা ফুল ফোটে। এ ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। তবে সাদা চন্দ্রমল্লিকা ফুল দেখতে বেশি সুন্দর লাগে আমার।
অষ্টম ফটোগ্রাফি
এটি হলো মোরগ ফুলের ফটোগ্রাফি ।কেনো যে এই ফুলকে মোরগ ফুল বলে তা জানি না। আপনারা কেউ জানলে কমেন্ট করে জানালে খুশি হবো। এই ফুলে আমি লালই দেখিছি অন্য কোন রং এর হয় কিনা জানি না।
নবম ফটোগ্রাফি
মিস্টি কুমড়া ফুলের এই ফটোগ্রাফিটি করেছি আমার ব্যালকনীর বাগান থেকে। বেশ ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে গাছটি। সেই সাথে প্রতিদিনই ফুল ফুটছে। তবে এখনো কোন ফল আসেনি।ফল আসলে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশাকরি।
আশাকরি আজকের বিভিন্ন ধরনের ফুলের ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung Galaxy A-10 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ২২শে জানুয়ারি, ২০২৪ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Daily Task
https://x.com/selina_akh/status/1882119088694296678
প্রথমেই আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ফুল সবসময়ই নজর কাড়ে এবং মনে প্রশান্তি এনে দেয়। আপনার ছবিগুলো নিঃসন্দেহে ভালো ছিল। আর সাথে চমৎকার বর্ননা দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য।
আজ আপনি আমাদের মাঝে দারুণ দারুণ কতগুলো ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আসলে সবাই এত সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছে তা দেখে মনে হচ্ছে যেন ফুলের মেলা বসেছে। আপনাকেও ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে আপনার ফটোগ্ৰাফির প্রেমে পড়ে গেলাম আপু। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কোনটা থেকে যে কোনটা ভালো বলবো কিছুই বুজতেছি না।এক কথায় অসাধারণ ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন। শীতকালীন ফুলের ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এজন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু।
অনেক অনেক ভালোলাগা খুঁজে পেলাম আপনার চমৎকার এই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে। আপনার ধারণ করা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ। এবার সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা হয়নি এখনো। শুনেছি পাশের এলাকাতে সূর্যমুখী ফুল রয়েছে। চেষ্টায় আছি সে ফুলের ফটো ধারণ করতে যাওয়ার।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেছেন দেখে আপু অনেক ভালো লাগলো। এইবার প্রতিযোগিতা খুব সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি দেখছি সবার পোস্টে। তবে আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে আপনি ফুলের রাজ্যে বসবাস করেন। ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।