কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ কলি দিয়ে দেশী কই মাছের ভুনা রেসিপি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সব সময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ২৫শে পৌষ,শীতকাল। ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ । আজ একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজ সকাল থেকেই ঢাকার আবহাওয়া রৌদ্রোজ্জ্বল। রৌদ্রোজ্জ্বল হলেও মৃদু বাতাস শীতের অনুভূতি ভালোই জানান দিচ্ছে। আর শীতকালের সৌন্দর্যই হচ্ছে শীত। শীতকালটা আমার কাছে বেশ লাগে। শুধু শীতের জন্য নয়! নানা রকম খাবার দাবার -নানা ধরণের সবজি আর ঘোরাঘুরির জন্যও বেশ লাগে। শীতকালের নানা ধরণের সবজির মধ্যে একটি পেঁয়াজের কলি। আপনাদের কেমন লাগে জানিনা, আমার কিন্তু বেশ ভালো লাগে। আর আজ ভালো লাগার পেঁয়াজের কলি দিয়ে কই মাছ রান্নার একটি রেসিপি উপস্থাপন করবো আপনাদের কাছে। পেঁয়াজের কলি কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারি।এছাড়া ব্যাথা উপশমকারি উপাদান থাকায় জ্বর, মাথা ব্যাথা ও হাড় ব্যাথার জন্য বেশ উপকারি। এছাড়া অনেকের পছন্দের কই মাছও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যাদের হজম শক্তির সমস্যা আছে তারা চোখ বন্ধ করে কই মাছ খেতে পারেন। এছাড়া শিশুর বাড়ন্তের জন্যও কই মাছ খুব দরকারি। এখন বাজারে চাষের কইয়ের ছড়াছড়ি। দামও লাগালের মধ্যে। দেশি কইয়ের বেশ দাম। এই কই গুলো দেশি। এবং বেশ বড়। আর যেকোন বড় মাছের স্বাদেই কিন্তু আলাদা। আমি আজ কাঁচা মরিচ ওপেঁয়াজের কলি দিয়ে কই মাছের ভুনা রেসিপিটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। সময় পেলে ট্রাই করে দেখতে পারেন। খেতে কিন্তু দারুণ। অনেক কথা হলো, এখন চলুন দেখে নেই কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ কলি দিয়ে দেশী কই মাছের ভুনা রেসিপি তৈরির ধাপ সমূহ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
দেশী কই মাছ | ৮পিস |
---|---|
পেঁয়াজ কলি | ১ কাপ |
আদা | ১/৪'ইঞ্চি |
রসুন | ৩ কোয়া |
কাঁচা মরিচ | ৭-৮পিস |
পেঁয়াজ কুচি | আধা কাপ |
ধনে পাতা | কুচি ৪ টেঃ চামচ |
লবন | প্রয়োজন মতো |
হলুদ গুড়া | ১চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | আধা চাঃ চামচ |
সরিষার তেল | ২ টেঃ চামচ |
লেবু | এক টুকরো |
রন্ধন প্রণালী
ধাপ - ১
প্রথমে কই মাছগুলোকে কেটে পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছি। সামান্য হলুদ ,লবন ,মরিচ গুড়া ও লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে রেখে দিয়েছি।
ধাপ - ২
এবার পেঁয়াজ ,কাঁচা মরিচ ,রসুন ও আদা বেটে নিয়েছি।
ধাপ - ৩
কাঁচা মাছ গুলো ভেজে একটি বাটিতে তুলে নিয়েছি।
ধাপ - ৪
প্রথমে পরিমাণ মতো তেল দয়ে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে বাটা মশলা দিয়ে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ - ৫
পিয়াজ ভাহা ভাজা হয়ে এলে তাতে একে একে সকল মশলা দিয়ে দিয়েছি। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সামানয পানি দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ - ৬
মশলা যখন তেল থেকে ছেড়ে আসবে, তখন পেঁয়াজ কলি দিয়ে দিয়েছি। এবং সামান্য ভেজে নিয়েছি। এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ - ৭
এরপর ভাঁজা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। এবং ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
পানি যখন শুকিয়ে আসবে তখন ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি। ব্যস তৈরি কাঁচা মরিচ ও পিয়াজ কলি দিয়ে দেশী কই মাছের ভুনা রেসিপি।
পরিবেশন
সর্বশেষে একটি বাটিতে সাজিয়ে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য।
আশাকরি, আজকের কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ কলি দিয়ে দেশী কই মাছের ভুনা রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করি সবসময় নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করতে। এবারও সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে, সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন-নিরাপদে থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণি | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung A-10 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ৯ই জানুয়ারি, ২০২৪ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপনার বেশি কই মাছের রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে আসলো। এখন শীতকাল আর শীতকালের সবজি দিয়ে যে কোন জিনিস রান্না করলে এমনিতেও খেতে ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ কলি আমারও খেতে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে পেঁয়াজ কলি ঝাল ঝাল ভুনা করলে একটু বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আপনার রেসিপিটি অনেক মজার হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে।
আমারও খুব প্রিয় পেঁয়াজ কলি। তাই শীতকালে প্রায় কিছুতেই দেই। ধন্যবাদ আপু।
আপু বর্তমানে দেশি মাছ পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার,বাজারে গেলে চাষের মাছের অভাব নেই। তাইতো মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগের শেষ নেই। যাই হোক আপনি আজ দেশি কৈ মাছের খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক তাই দেশি মাছ আজকাল পাওয়া বেশ কঠিন। যদিও পাওয়া যায় দাম খুব বেশি। যাইহোক বেশ মজা হয়েছিল রেসিপিটি।
দেশি কই মাছ, সে তো এখন সোনার হরিণ। দেশি কই মাছ খুব একটা পাওয়া যায় না। আজ আপনি পেঁয়াজের কলি এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে কই মাছের সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে কই মাছ রান্না করে আমার খাওয়া হয়নি। দেশি কই মাছ অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। কই মাছের এই লোভনীয় রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। লোভনীয় রেসিপি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
এভাবে একদিন করে খাবেন। বেশ লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু।
কৈই মাছ দিয়ে যেকোনো সবজি রান্না করলে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপু আপনি তো পেঁয়াজ কলি খুবই মজাদার ভাবে রান্না করেছেন। রান্নার প্রতিটি ধাপ দেখে মনে হল ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। মসলা বেটে রান্না করলে এমনিতেই রান্না খেতে অনেক মজা লাগে। পেঁয়াজ কলি এভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার শেয়ার করা রেসিপিটা ভীষণ ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ।
আমার আবার কই মাছ ভাজি ও ভুনা খেতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
এরকম মাছের রেসিপি গুলো আমার কাছে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আপনি চমৎকারভাবে কৈই মাছের রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। কৈই মাছ আমার অতি ফেভারিট। আশা করি অনেক অনেক সুস্বাদু হয়েছে এই রেসিপি।
জি ভাইয়া বেশ মজা হয়েছিল রেসিপিটি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি দেশি কই মাছের ভুনা রেসিপি অনেক মজাদার ভাবে তৈরি করেছেন দেখছি। আপনার তৈরি করার রেসিপিটা দেখেই তো অনেক লোভনীয় লাগছে। পেঁয়াজ কলি দিয়ে এটা তৈরি করেছেন দেখে একটু বেশি ভালো লাগলো। রেসিপি টা দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে।
শীতকালে আমি পারলে সব কিছুতেই পেঁয়াজকলি দেই এতো প্রিয়। ধন্যবাদ আপু।
দেশী কই মাছ! কতদিন, কত বছর যে চোখেই দেখিনি তার কোন হিসেব নেই৷ আপনি তো কামাল করে দিয়েছেন আপু। আর পেঁয়াজ কলিও আমার খুব প্রিয় কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এসব পাওয়া যায় না৷ তাই খাওয়াও হয় না৷ আপনার এই রেসিপি দেখে আমার খুবই ক্রেভিং হচ্ছে।
বাহিরে থাকলে এ ধরনের অনেক খাবারই মিস হয় আপু। একবার শীতে এসে খেয়ে যাবেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ কলি দিয়ে দেশী কই মাছের ভুনা রেসিপি করেছেন যা ভীষণ চমৎকার সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে। অসাধারণ সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন আপু।কই মাছ অনেক সুস্বাদু একটি মাছ খেতেও অনেক বেশি সুস্বাদু দেশি কই মাছে।আপনি ভীষণ লোভনীয় ভাবে রেসিপিটি করেছেন এবং রন্ধন প্রনালী আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনালে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
যদিও কাঁটা খুব বেশি কই মাছের কিন্তু খেতে বেশ মজা। আর রেসিপিটি খেতে বেশ মজা হয়েছিল আপু। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
এত লোভনীয় দেশী কই মাছের ভুনা রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে অসম্ভব ভালো লাগলো। আপনার আজকের রেসিপিটা আমার তো দারুন পছন্দ হয়েছে। মজার মজার রেসিপি গুলো তৈরি করে মাঝেমধ্যে আমাদেরকেও কিন্তু দাওয়াত দিতে পারেন। তাহলে মজার মজার খাবারগুলো আমরাও খেতে পারতাম। এই দেশী কই মাছের ভুনা রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু বলে মনে হচ্ছে। সবাই মনে হয় মজা করে খেয়েছেন।
আবার যখন রান্না করবো তখন দাওয়াত দেবো আশাকরি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কৈ মাছ ভুনা আমার খুবই পছন্দ। তবে পেঁয়াজকলি দিয়ে এভাবে ভুনা করে কখনো খাওয়া হয়নি। পেঁয়াজকলি দিয়ে আমাদের বাসায় তেমন সবজি রান্না করা হয় না। যাইহোক আপনার রেসিপি টা দেখে ভালো লাগলো। খেতেও নিশ্চয়ই দারুন হয়েছে। সুস্বাদু এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।