ফটোগ্রাফি পোস্টঃবিভিন্ন গাছ ,ফুল ও ফলের ফটোগ্রাফি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ২৭শে ভাদ্র, শরৎকাল, ১৪৩১বঙ্গাব্দ.। ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ ।আজ একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছিলাম বৃক্ষ মেলা থেকে। এর আগেও কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করছিলাম বৃক্ষ মেলা থেকে করা ।আমি প্রতিনিয়ত চেস্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনতে। আর সেজন্য প্রতি সপ্তাহে একটি করে ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেস্টা করি। আজ আমি কিছু গাছ ,ফল ও ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো ।যা আমি বৃক্ষ মেলায় ঘুরতে গিয়ে করেছিলাম। আশাকরি ভালো লাবে আপনাদের।
প্রথম ফটোগ্রাফি
বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত ফুল এই কাঠ গোলাপ ফুল। দেশের সর্বত্র কাঠ গোলাপ ফুল দেখতে পাওয়া যায়।কাঠ গোলাপ বিভিন্ন রং এর হয়ে থাকে।সাদা কাঠ গোলাপ দেখতে অপরুপ লাগে।।সারা বছরই এই ফুল ফোটে।মিষ্টি সুগন্ধ যুক্ত এই ফুল সহজেই মন ভরিয়ে দেয়।কাঠ গোলাপ ফুলের পাপড়ির উপর বৃষ্টির ফোটাগুলো থাকায় কাঠ গোলাপ ফুলটিকে আরো সুন্দর লাগছিলো। তাইতো ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এই ফুলের চাষ পদ্ধতি বেশ সহজ। যে কোন জায়গায় সহজে চাষ করা যায়।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
এই ফলটি আজকাল ঢাকার বিভিন্ন সুপার শপ সহ বিভিন্ন জায়গায় বক্রি হতে দেখা যায়।হ্যা এই ফলটির নাম হলো কাঠ লিচু।কাঠলিচু, একপ্রকার লিচু জাতীয় সুস্বাদু ফল। এটি লংগান বা আঁশফল নামেও পরিচিত। এর গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Dimocarpus longan। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উদ্ভিদ। আজ কাল আমদের দেশেও এই ফলের চাষ দেখতে পাওয়া যায়। খেতে আমাদের দেশের লিছুর মতই।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
এই ফলটি সবার চেনা। এটি হলো পাকা ডালিম ফলের ফটোগ্রাফি। ছোট বড় সবারই পছন্দ এই ডালিম ফল। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এ ভরপুর এই ফলটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও বেশ কার্যকর এই ফল। ।আজকাল আমাদের দেশেও বিশাল আকারে এই ফলের চাষ হচ্ছে।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
এই গাছটি আমি প্রথম বৃক্ষ মেলায় দেখলাম।গাছটির নাম লিখা ছিলো লাইলী মজনু। গাছটির পাতাগুলো অন্য রকম। পতার নিচের দিকের অংশের রং লাল ও উপরের অংশের রং সবুজ।গাছটি দেখে বেশ অবাকই হয়েছিলাম।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
এই ফুলের নাম আমি জানি না । কিন্তু দেখতে বেশ সুন্দর। মনে হয় অনেকগুলো ফুল একসাথে ফুটে আছে। ফুলের সাথে সাথে আরও বেশি ভালো লেগেছিলো পাতায় বৃষ্টির ফোটা পরে থাকার দেখে। বেশ সুন্দর লাগছিলো পাতায় বৃষ্টির ফোটাগুলো। আর সেজন্য ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
এটি হলো বাঁশ গাছের ফটোগ্রাফি। এই বাঁশগাছগুলো বেশি বড় হয় না। তাই টবের লাগানো যায়।। আজকাল সৌখিন বাগানীরা তাদের ছাঁদ বাগানে এই বাশ গাছ লাগাছে। আর দেখতেও বেশ সুন্দর বাঁশ গাছগুলো।
সপ্তম ফটোগ্রাফি
পরিবেশবান্ধব স্পাইডার প্লান্ট এর ফটোগ্রাফি এটি। আপনার ঘরের শোভা বাড়াতে ও পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর রাখতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে স্পাইডার প্লান্ট ।সব জায়গায় তার সুন্দর সবুজ পাতা দিয়ে মুগ্ধতা ছড়াতে সক্ষম। সারাবিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনডোর গাছগুলোর মধ্যে অন্যতম স্পাইডার প্লান্ট। বসন্তে গাছটিতে ছোট্ট সাদা ফুল ফোটে। ক্ষণস্থায়ী হয় এই ফুল । উপযুক্ত পরিবেশে গাছটি বছরের পর বছর বাঁচতে পারে। এই গাছ আমরা যদি আমাদের রুমে রাখি তবে রুমের অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
আশাকরি আজকের ফটোগ্রাফি ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | ফটোগ্রাফি | |
---|---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note A5,Samsung A-10 | |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 | |
তারিখ | ১১ই সেপ্টেম্বর | , ২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
কাঠগোলাপ ফুলের উপর কিছু পরিমাণ পানি জমে রয়েছে। এইজন্য বেশি চমৎকার লাগছে। কাঠ লিচু ফলটা প্রথমবার দেখলাম। বেশ অন্যরকম এটা। লাইলী মজনু গাছ এটা দেখেও বেশ অবাক হয়েছি। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো আপু। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
লাইলী মজনু গাছ আমিও দেখে অবাক হয়েছি। তাইতো শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিভিন্ন গাছ ফল এবং ফুলের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি তো দেখছি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। যেখানে গাছ ও ফুলে ফটো চমৎকার ছিল। একটা চমৎকার সব ফটোগুলো দেখে সত্যিই অনেক অনেক ভালো লাগলো আমার। আমি এমনিতেই সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ বেশি পছন্দ করি। ঠিক তেমনি এমন সুন্দর পোস্ট দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
বৃক্ষ মেলায় অনেক গাছ দেখতে পেয়ে ফটোগ্রাফি না করে আর থাকতে পারলাম না। তাইতো কিছু ফল ও গাছের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে এই কাট লিচু আমি এর আগে কখনো খাইনি। এছাড়াও আপনি খুব সুন্দর সুন্দর বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি নিয়ে আজ আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। এছাড়া প্রতিটা ছবির বর্ণনা আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই কাঠ লিচু আমাদের দেশী লিচুর মতো স্বাদ তবে সাইজে ছোট। যাইহোক আমার তোলা ফটোগ্রাফিগুলো যে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কাঠগোলা ফুল টা দারুন ছিল আপু। পাশাপাশি ফুল ও গাছের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে দেখানোর চেষ্টা করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ফটোগ্রাফির প্রতিটি ছবি ভীষণ ভীষণ সুন্দর হয়েছে। কয়েকটি ফুলের ছবি ভীষণভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। প্রথমেই কাঠ গোলাপ ফুলের ছবিটি খুব আকর্ষণীয়। একদম শেষে স্পাইডার প্লান্ট এর গাছটিও ভীষণ সুন্দর। অসাধারণ একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের সামনে তুলে ধরলেন বলে অনেক ধন্যবাদ।
পোস্টের সুন্দর বিশ্লেষনের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
https://x.com/selina_akh/status/1833898112311841219
বাহ্ আপনি অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন আপু।আপনার তোলা সব গুলো ফটোগ্রাফি দারুন ছিলো। বিশেষ করে ডালিম ফলের ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে।ফটোগ্রাফির সাথে বেশ সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করছেন। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
নানা রকমের ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
বিভিন্ন গাছ ,ফুল ও ফলের ফটোগ্রাফি খুবই চমৎকার হয়েছে।সুন্দর বর্ননায় আরো বেশী ভালো লেগেছে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমি চেস্টা করেছি বর্ণনা সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।