রেসিপিঃতালের কেক ।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সব সময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ১১ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ । আজ একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বন্ধুরা নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আবারও হাজির হয়েছি নতুন আর একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। চেস্টা করি প্রতি সপ্তাহে একটি করে রেসিপি ব্লগ শেয়ার করতে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ নিয়ে এসেছি একটি পিঠার রেসিপি নিয়ে। শীতকাল মানেই বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়া। তবে আমি আজ ভাদ্র মাসের পিঠার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আর হলো তালের কেক পিঠার রেসিপি।বেশ কিছুটা তালের পাল্প ফ্রিজে ছিল।এর আগে আমি সেই তালের পাল্প দিয়ে বানানো তালের পোয়া পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। আর আজ তাই শেয়ার করতে চলে এলাম তালের কেক রেসিপি।তালের এই কেক আমার বেশ পছন্দ ।কারন কোন ধরনের তেল ব্যবহার করা হয় না। তাই বেশ স্বাস্থ্য সম্মত। আর খেতেও বেশ মজা। যেহেতু কুচি ও কোড়ানো দু ধরনের নারিকেল ব্যবহার করা তাই খেতে বেশি ভালো লাগে। আশাকরি আপনাদেরও ভাল লাগবে। তাহলে আর দেরী না করে চলুন দেখে নেয়া যাক তালের কেক রেসিপির উপকরণ সমূহ । সেই সাথে জেনে নেয়া যাক বানানোর ধাপ সমূহ। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
চালের গুড়া | ২ কাপ |
---|---|
তালের পাল্প | প্রয়োজন অনুযায়ী |
চিনি | স্বাদ মতো |
লবন | পরিমান মতো |
খাবার সোডা | ১/৪ চাঃ চামচ |
কুড়ানো | নারিকেল ১কাপ |
কুচি নারিকেল | ৪টেঃ চামচ |
তালের কেক তৈরির ধাপ সমূহ
ধাপ - ১
প্রথমে একটি বাটিতে পরিমান মতো চালের গুড়া নিয়ে নিয়েছি। তাতে পরিমাণ মতো লবন দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ - ২
কোড়ানো ও কুচি নারিকেল চালের গুড়ার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ৩
এবার পরিমাণ মতো তালের পাল্প দিয়ে শুকনো উপকরণ গুলো ভালোভাবে মেখে নিয়েছি। এবং ঢাকনা দিয়ে আধা ঘন্টার জন্য রেস্টে রেখে দিয়েছি।
ধাপ - ৪
আধা ঘন্টা পর মাখানো মিশ্রণটিতে প্রয়োজনীয় চিনি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ৫
এবার পরিমাণ মতো খাবার সোডা চালের ও তালের মিশ্রণের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ৬
এবার পিঠা বানানোর জন্য একটি হাড়ির মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে নিয়েছি। পানি যখন ফুটে আসবে ,তখন কাপড়ের উপর তৈরি ব্যাটারটি দিয়ে দিয়েছি।সেই সাথে তৈরি ব্যাটারের উপর কিছু কুচি নারিকেল ছড়িয়ে দিয়েছি ।এবং ঢাকনা ঢেকে প্রায় ১৫ মিঃ এর মতো জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।কেক সিদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে নিয়েছি। আর এভাবেই বানিয়ে নিলাম তালের কেক ।
পরিবেশন
তালের কেক হয়ে এলে একটি প্লেটে নিয়ে নিয়েছি। এবং টুকরো করে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য।
আশাকরি, আজকের তালের কেক রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আমি চেষ্টা করি সব সময় নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করতে ।এবারো সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। শুভ দুপুর।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণি | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung A-10 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
তাল দিয়ে কখনো কেক খাওয়া হয়নি আমার।আপনি তাল দিয়ে আপু খুব সুন্দর একটি কেক তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কেকটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল দেখে বুঝতে পারছি। নারিকেল দিয়েছেন এজন্য আরো বেশী সুস্বাদু হয়েছিল আশাকরি। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
স্বাস্থ্যকর একটি পিঠা রেসিপি। যেহেতু তেলের কোন কারবার নেই তার মানে নিঃসন্দেহে এটি একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। তাল এবং নারিকেলের সমন্বয় করাতে মনে হচ্ছে খেতে আরও টেস্টি হয়েছিল। ইউনিক একটি রেসিপি খুবই সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আশা করছি আগামীতে আরও ইউনিক সব পিঠা রেসিপি দেখতে পারবো আপনার পোস্ট থেকে।
জানেন আপু এই পিঠায় বা কেকে চিনির জায়গায় যদি গুড় ব্যবহার করতেন তবে স্বাদ তো আলাদা হতই আর অনেক বেশি স্বাস্থ্যকরও খেতে হত। তবে আপনার রেসিপি বলছে এটা বেশ লোভনীয় হয়েছে। আসলে আজকাল চিনির জায়গায় গুড় ব্যবহারের প্রচলন বেড়েছে। সে কারণেই আমিও বললাম।
তালের কেক আমি তৈরি করেছিলাম। ঘরোয়া পদ্ধতিতে এরকম কেক তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা কেক আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। দেখেই বুঝতে পারছি এই কেক খেতে দারুন লেগেছিল। মাঝেমধ্যে এভাবে ঘরোয়া ভাবে কেক তৈরি করে খেতে ভালোই লাগে। যারা এরকম কেক তৈরি করতে পারে না তারা চাইলে তৈরি করতে পারবে।
এত লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে অসম্ভব ভালো লাগলো। আপনার আজকের রেসিপিটা আমার তো দারুন পছন্দ হয়েছে। মজার মজার রেসিপি গুলো তৈরি করে মাঝেমধ্যে আমাদেরকেও কিন্তু দাওয়াত দিতে পারেন। তাহলে মজার মজার খাবারগুলো আমরাও খেতে পারতাম। এই রেসিপিটা দেখে অনেক সুস্বাদু বলে মনে হচ্ছে। সবাই মনে হয় মজা করে খেয়েছেন।
কেকটি অনেক লোভনীয় হয়েছে দেখতে।কেক অনেক ধরনের খাওয়া হলেও তালের কেক কখনো খাওয়া হয়নি। অনেক ইউনিক একটি রেসিপি। রেসিপির প্রতিটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। মজাদার এই তালের কেক রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
তালের কেক বেশ কয়েকবার খাওয়া হয়েছে তবে নিজে কখনো তৈরি করিনি। এই কেকটা খুবই ভালো লাগে খেতে। আপনার রেসিপি টা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। একদম পারফেক্টলি এটা তৈরি করেছেন। উপরে নারকেল দিয়ে ডেকোরেশন করার কারণে খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Daily Task