ফটোগ্রাফি পোস্টঃবিভিন্ন ধরনের পিঠা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ১৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,শীতকাল। ২রা জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ ।আজ একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজ সুর্যের দেখা নেই ঢাকায়। গতকাল যদিও কিছুটা সময়ের জন্য সূর্য্যের দেখা মিলেছিল তবে তাপ ছিল কম। সেই সাথে ছিল প্রচুর বাতাস। তাই শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে। আজও বেশ ঠান্ডা । আবহাওয়াবিদরা বলছেন,বছরের শুরুতে সারা দেশের শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের কয়েকটি এলাকায় আজ শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। আগামী দু–তিন দিন শৈত্যপ্রবাহের এলাকা বাড়তে পারে। বাংলাব্লগের বন্ধুরা নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে। পোস্টের ভিন্নতা আনার জন্য চেষ্টা করি প্রতি সপ্তাহে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছে।কি পোস্ট করবো আজ ভাবতেই ফোন ঘেটে পেলাম কিছু পিঠার ফটোগ্রাফি যা আমি মেলায় গিয়ে তুলেছিলাম কিন্তু শেয়ার করা হয়নি আপনাদের সাথে। আজ সেই সকল মজার পিঠার ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
প্রথম ফটোগ্রাফি
এই পিঠার নাম লবঙ্গলতিকা। ভিতরে নারকেল পুর দেয়া। বিভিন্নভাবে ভাঁজ করে সুন্দর ডিজাইন এর পিঠাটি। পিঠার ভাঁজগুলো লবঙ্গ দিয়ে সিল করে দেয়া হয় বলেই এই নাম পিঠাটির। তেলে ভাজ়ার পর পিঠাটিকে চিনির শিরায় ভেজান হয়। খেতে একটু বেশি মিস্টি। তবে উপরে ক্রিস্পি আর ভিতরের নারকেল পুর ।খেতে দারুন লাগে।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
এই পিঠাটি সবার পরিচিত নারকেল পুলি। চালের গুড়া বা ময়দা, নারিকেল্ ,গুড় বা চিনি দিয়ে এই পিঠা বানানো হয়। এই পিঠা তেলে ভাজার পাশাপাশি ভাপেও বানানো হয়। খেতে বেশ মজা এই পিঠা।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
মাছ পিঠা এটি। ভিতরের বিভিন্ন ধরনের পুর দিয়ে বানানো হয়। আর ডিজাইনটি করা মাছের মতো। তাইতো এই পিঠাকে মাছ পিঠা বলে। এই পিঠা মিস্টি ও ঝাল দু'ভাবেই বানানো হয়।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
ঝাল পোয়া পিঠা। কাঁচামরিচ, হলুদ সহ বিভিন্ন ধরনের মশালা দিয়ে এই পিঠা বানানো হয়। যারা মিস্টি খেতে পছন্দ করেন না বা যাদের মিস্টি খাওয়া বারন তারা এই পিঠা খেতে পারেন। এই পিঠা ময়দা বা চালের গুড়া দিয়ে বানানো হয়।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
মালপোয়া পিঠার ফটোগ্রাফি এটি। বেশ মজা এই পিঠাটি।আমার বেশ পছন্দের পিঠা এটি।এই পিঠা তেলে ভাজার পর চিনির শিরায় ভিজানো হয়। আর দেখতেও বেশ সুন্দর এই পিঠা।
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
নকশীপিঠার ফটোগ্রাফি। বানানো বেশ কঠিন। কিন্তু খেতে বেশ মজা। মুচমুচে রসালো। এই পিঠার নকশার উপরই নির্ভর করে এই পিঠার সৌন্দর্য। বিয়ের ডালা সাজাতে এই পিঠা বেশি ব্যবহার করা হয়। এই পিঠার বেশ কদর এর নকশার জন্য।
সপ্তম ফটোগ্রাফি
তেলের পিঠার ফটোগ্রাফি। এই পিঠাটি চালের গুড়া ও গুড় দিয়ে বানানো। সাথে তিল ব্যবহার করেছে। আজাকাল সব কিছুতেই ফিউশন করার চেস্টা। তারই ফলস্বরুপ এই সাদা তিলের ব্যবহার।
আশাকরি আজকে বিভিন্ন ধরনের পিঠার ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। চেস্টা করি সব সময় একই ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার না করে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার। নিজের প্রতি যত্ন নিন। আর এই শীতে পরিবারের বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হোন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী ফটোগ্রাফি
ক্যামেরা Samsung Galaxy A-10
পোস্ট তৈরি @selina 75
তারিখ ২রা জানুয়ারি, ২০২৪ ইং
লোকেশন ঢাকা,বাংলাদেশ
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ
আজ সুর্যের দেখা নেই ঢাকায়। গতকাল যদিও কিছুটা সময়ের জন্য সূর্য্যের দেখা মিলেছিল তবে তাপ ছিল কম। সেই সাথে ছিল প্রচুর বাতাস। তাই শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে। আজও বেশ ঠান্ডা । আবহাওয়াবিদরা বলছেন,বছরের শুরুতে সারা দেশের শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের কয়েকটি এলাকায় আজ শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। আগামী দু–তিন দিন শৈত্যপ্রবাহের এলাকা বাড়তে পারে। বাংলাব্লগের বন্ধুরা নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে। পোস্টের ভিন্নতা আনার জন্য চেষ্টা করি প্রতি সপ্তাহে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছে।কি পোস্ট করবো আজ ভাবতেই ফোন ঘেটে পেলাম কিছু পিঠার ফটোগ্রাফি যা আমি মেলায় গিয়ে তুলেছিলাম কিন্তু শেয়ার করা হয়নি আপনাদের সাথে। আজ সেই সকল মজার পিঠার ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
প্রথম ফটোগ্রাফি
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
সপ্তম ফটোগ্রাফি
আশাকরি আজকে বিভিন্ন ধরনের পিঠার ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। চেস্টা করি সব সময় একই ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার না করে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার। নিজের প্রতি যত্ন নিন। আর এই শীতে পরিবারের বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হোন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung Galaxy A-10 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ২রা জানুয়ারি, ২০২৪ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আপু আপনি একটা কাজ করলেন। এমন শীতের দিনে এমন পিঠার রেসিপি কেউ করে? দেখেই তো মুখ টা চুচু করছে। চোখের সামনে এমন সব লোভনীয় পিঠা দেখে কিন্তু চোখ সড়াতে পারছি না। বেশ দারুন হয়েছে আজকের ফটোগ্রাফিগুলো।
কই রেসিপি করলাম পিঠার ফটোগ্রাফি করলাম আপু।
ডাইল্য তাস্ক
Daily Task
https://x.com/selina_akh/status/1874827032649171237
এ তো সব নতুন নতুন পিঠার ফটোগ্রাফি। পিঠা দেখে তো লোভ লেগে গেল আপু। কতদিন হয়ে গেল পিঠা খাওয়া হয় না। এবার শীতে পিঠাই খাওয়া হয়নি। কবে যে বাড়ি যাবো, পিঠা খাব। মাছ পিঠার ফটোগ্রাফিটি বেশি ভালো লাগলো। এই পিঠা আমি আগে কখনো দেখিনি। দারুন সব পিঠার ফটোগ্রাফি আমার কাছে দের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন আপু। মেলায় গিয়ে ফটোগ্রাফিগুলো করেছেন। সুন্দর সুন্দর পিঠার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
মাছ পিঠাটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন মজা । মেসেই একদিন বানিয়ে খেয়ে নিন কস্ট করে। যখন বাড়িতে যাবেন তখন মায়ের হাতে্র খাবেন। ধন্যবাদ আপু।
বাহ্ আজকে দেখছি আপনি আমাদের মাঝে চমৎকার কয়েকটি ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে বিশেষ করে আপনার পুলি পিঠার ফটোগ্ৰাফিটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ
্ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
এত রকম পিঠার ছবি দিয়ে আপনি তো রীতিমত বিপদে ফেলে দিলেন। এখন আমি এগুলো খেতে পাই কোথা? অথচ জিভে যে জল চলে এসেছে। অসাধারণ সবকটি পিঠার ছবি আপলোড করেছেন আমাদের সামনে। এ কিন্তু ভারী অন্যায় কাজ আপু। নকশিপিঠাটি দেখে সবচেয়ে লোভ লাগছে।
আপনার মত আমারও লোভ লাগছিলো যখন পোস্ট লিখছি। আর নকশী পিঠা খেতে আসলেই বেশ মজা। ধন্যবাদ দাদা।
দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু বিভিন্ন ডিজাইনের এবং স্বাদের পিঠাগুলো ফটোগ্রাফি দেখে। পিঠা পুলি খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর তৈরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। মন চাইছে প্রতিটি পিঠা নিয়ে খেয়ে ফেলি। এত মজার মজার পিঠার ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করলেন লোভ লাগিয়ে দিলেন।
আমারও বেশ ভালো লাগে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানাতে ও খেতে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
শীতের সময় বিভিন্ন রকম পিঠা খেতে এমনিতেই খুব ভালো লাগে। শীতের দিন মানেই তো পিঠা ফুলের উৎসব। আর শীতের সময় বিভিন্ন রকম পিঠা না খাওয়া হলে তো এই সিজনটা উপভোগ করা যায় না। মজার মজার ফটোগ্রাফি করেছেন। এটা দেখেই তো ইচ্ছে করছে, সবগুলোর থেকে একটা একটা নিয়ে খেয়ে ফেলি।
আসলে শীতের সময় পিঠা না খেলে হয় না। সব ধরনের পিঠা খেতেই এই সময় বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এত মজার মজার পিঠার রেসিপি শেয়ার করলেন দেখে খুবই লোভ লেগেছে। পিঠা খেতে আমি অনেক ভালোবাসি। গরম গরম পিঠা দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। ঠিক তেমনি আপনার পিঠার ফটোগ্রাফি দেখে আর লোভ সামলানো যাচ্ছে না কোনো রকম ভাবে। কেন যে মজাদার পিঠার ফটোগ্রাফি দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন।
পিঠার রেসিপি শেয়ার করিনি বিভিন্ন পিঠার ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।