মসুর ডাল দিয়ে পিঁয়াজু রেসিপি🍳||১০% shy-fox এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুগণ আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন ।আমার মাতৃভাষা ব্লগে আজকে একটি রেসিপি শেয়ার করব।
🍲আমরা যখন বাসা থেকে বের হয়ে বাইরের কোন হোটেলে খেতে চাই তখন ভাজাপোড়া বেশি খাওয়া হয়। পিঁয়াজু খেতে আমরা সবাই কম বেশি পছন্দ করি। মেলা বা হাট-বাজারে গেলে এই পিঁয়াজু বেশি পাওয়া যায়। রমজান মাস আসলে আমাদের বাসায় প্রতিদিন পিঁয়াজু তৈরি করা হয়। এই পেঁয়াজু দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে চেনে। শীতের সময় গরম গরম ঝাল ঝাল পিঁয়াজু খেতে অনেক ভালো লাগে। পিঁয়াজু তৈরিতে বিভিন্ন রকম ডাল ব্যবহার করা হয়।অনেকে আবার আটাও মেশায়। তবে আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মসুর ডাল দিয়ে পিঁয়াজু তৈরি রেসিপি। আমি শুধু মুসুর ডাল দিয়েই তৈরি করব অন্য কোন ডাল বা আটা এরমধ্যে মেশাবো না।🍲
মসুর ডাল দিয়ে পিঁয়াজু রেসিপি
এই রেসিপিটি তৈরি করার পুরো প্রক্রিয়া আমি পর্যায়ক্রমে নিচে তুলে ধরব।
🥣 রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ🥣
উপকরণ:
- মসুর ডাল
- পেয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- আদা
- রসুন
- হলুদ গুড়া
- শুকনো মরিচগুঁড়া
- জিরা বাটা
- ধনিয়া গুড়া
- লবণ
- সয়াবিন তেল
প্রক্রিয়া - ০১
প্রথমে আমি মুসুর ডাল ৩ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছিলাম। কারণ ডালগুলো ব্লেন্ড করার সময় যাতে অনেক নরম হয়। তারপর ব্লেন্ডারে অনেক ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিয়েছি। আপনারা ইচ্ছা করলে পাটায় বেটে নিতে পারেন
প্রক্রিয়া - ০২
এ পর্যায়ে কয়েকটি কাঁচা মরিচ এবং কয়েকটি পিয়াজ নিয়েছি তারপর পেয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচ কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি। কাঁচা মরিচের ঝাল এর পাশাপাশি আমি শুকনা মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করব।
প্রক্রিয়া - ০৩
আমি আদা জিরা এবং রসুন বেটে নিয়েছি। এবার ব্লেন্ড করা ডালের মধ্যে সব মসলা দিয়ে ভালোভাবে মাখাতে হবে। তবে মসলাগুলো দেওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে ডালের পরিমাণের উপর।
প্রক্রিয়া - ০৪
এবার কড়াইয়ের মধ্যে সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তেল ভালোভাবে গরম হওয়ার পর ছোট ছোট করে পিঁয়াজু তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম। তবে চুলার হিট অবশ্যই কমিয়ে রাখতে হবে।
প্রক্রিয়া - ০৫
এবার পিঁয়াজু গুলো উল্টে উল্টে দিতে হবে। এভাবে কয়েকবার উল্টিয়ে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গরম গরম মুচমুচে পিঁয়াজু।
💕তৈরি হয়ে গেল আমার মসুর ডাল দিয়ে পিঁয়াজু রেসিপি। এই পিঁয়াজু তৈরীর প্রক্রিয়া অনেক সহজ।অন্যান্য ডালের চাইতে মসুর ডালের পিঁয়াজু খেতে অনেক ভালো লাগে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সকলকে অনেক ধন্যবাদ।💕
আপনার তৈরি করা মসুর ডালের পিয়াজি টি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। আমি এইসব তেলে ভাজা রেসিপি খেতে অনেক ভালোবাসি । আপনি রেসিপিটি আমাদের মাঝে অনেক গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আমার প্রিয় জিনিস 😋
খিদে চেপে গেলো রে,,,,
মনে হচ্ছে দু চারটা খেয়ে ফেলি।
যাক তোমার রেসিপি এবং পোস্ট কোয়ালিটি ভালো ছিল। শুভ কামনা রইল ♥️
এগিয়ে যাও।
ধন্যবাদ বন্ধু তোমার অনুপ্রেরণাই তো আমার শক্তি।
আমার খুব প্রিয় একটা খাবার এটি। আমি প্রায়ই তৈরি করি।বুটের ডাল দিয়ে তৈরি করার চেয়ে মসুর ডাল দিয়ে পিয়াজু তৈরি করা খুব সহজ। এটি অনেকটা মুচমুচে হওয়ার কারণে খেতে বেশি মজা লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে এই রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ওয়াও অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার মসুর ডালের পিঁয়াজুর রেসিপি টি৷ আমার তো খাওয়ার ইচ্ছা করতেছে৷ আপনার পোস্ট কোয়ালিটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। এতো সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামতের জন্য
পেয়াজু আমার খুব পছন্দের। সন্ধ্যা বেলায় আগে হোটেল এ গেলেই পেয়াজু খেতাম। সালাদ দিয়ে পেয়াজু খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে এখন আর খাওয়া হয়না। খাওয়া হয়না বলতে কমিয়ে দিয়েছি ওজন কমাতে। শুভকামনা রইল ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
মসুর ডাল দিয়ে পেয়াজু এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে এর আগে অনেকবার দেখেছিলাম এই রেসিপিটি। তবে এখনো খেয়ে দেখা হয়নি। দেখে মনে হয় খুবই সুস্বাদু এটি। আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন রেসিপিটি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপু
বাহ অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। পেঁয়াজু দেখে এখন আমার খেতে ইচ্ছে করছে। আর এই ধরনের খাবারগুলো খেতে অনেক টেস্টি ও সুস্বাদু হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল
পিঁয়াজু আমার ভিশন পছন্দের খেতে অনেক মজাদার। অনেক সুন্দর করে পিঁয়াজু তৈরীর করেছেন দারুন হয়েছে দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকুন
পেঁয়াজু আমার খুব পছন্দের খাবার ভাই।বিকালে বাহিরে বের হলেই বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে পেঁয়াজু খাওয়া হয়।আপনি খুবই সুন্দর পেঁয়াজু বানিয়েছেন ভাই।ছবিগুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।পেঁয়াজু বানানোর পদ্ধতিও ধাপে ধাপে খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই