জেনারেল রাইটিং পোস্ট ||| আমার ব্লগ লেখার বাস্তবতা ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হতে চলেছি।আমি সব সময় বাস্তবতা নিয়ে লেখার চেষ্টা করি এবং বাস্তব ঘটনাকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করি। সেটি হয়তোবা আপনাদের অনেকের কাছে ভালো লাগে আবার অনেকের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে।আজকে আমি আপনাদের মাঝে জেনারেলের রাইটিং "আমার ব্লগ লেখার বাস্তবতা" নিয়ে হাজির হলাম। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে পুরো ঘটনাটি দেখে নেওয়া যাক।
আমি ব্লগগ লেখার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলাও করি দুইটি বিষয় নিয়ে সমানভাবে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। আর এর পাশাপাশি সংসারের কাজ তো আছেই এরপরে আবার আমার ছোট্ট ব্যবসাটিকেউ সামাল দিতে হয়। আর এই পুরো কাজটি কিভাবে করে চলছি ঠিক তার পুরো বর্ণনায় আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি।মেয়েদের সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো যা কিছু করা হোক না কেন সংসারের কাজটা এটি করতেই হবে।আর একটি মেয়ে সংসারের কাজ না করলে সে সংসারটি আসলে ভালোভাবে পরিচালিত হয় না। কারণ কাজের লোক দিয়ে সংসার পরিচালনা করা খুব কঠিন।
আমি যখন কাজ করি ঠিক তখন সব সময় আমার ফোনটি আমার পাশে রাখি কারণ যে রেসিপিটি তৈরি করি। ঠিক সেই রেসিপিটির প্রতিটি ধাপ প্রত্যেকটি অংশের ফটোগ্রাফি করি কারণ এই রেসিপিটি আবার আপনাদের সামনে রেসিপি পোস্ট হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য।আর এজন্য দেখা যায় আমার এই পরিস্থিতি প্রতিবেশী কেউ দেখলে অনেক সময় অট্টহাসিতে মেতে ওঠে যে রান্নার পাশাপাশি আমি এগুলো কি করছি।তখন তাদেরকে বুঝাইতে হয় যে আমি যে লেখালেখি করি ঠিক সেখানে এই ফটোগ্রাফিগুলো যদি না দেই। তাহলে আমার লেখাটা সবার সামনে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারব না। তখন হয়তোবা অনেকে ব্যাপারটি বুঝে আবার অনেকে ব্যাপার টিকে অন্যভাবে নেন।
আবার দেখা যায় যখন বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যায় তখনও বিভিন্ন সময় রিক্সায় উঠে চলার সময় বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করি এবং অনেক সময় স্কুলে বসে লেখা লেখি করি তখনো অনেককেই প্রশ্ন করে এগুলো কেন লিখছি বা কি করছি আর কেনই বা এত ফটোগ্রাফি করছি। তখন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে ভালো লাগে কারণ কাজের বিনিময়ে আমি এখান থেকে অর্থ এটি ভেবে অনেক গর্ববোধ করি।
আবার যখন ব্যবসায়িক কাজে বিভিন্ন গ্রামে ছুটে চলি। তখন ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি এবং আমার সহকর্মীদের জীবনের অনেক গল্প শুনি। সেই গল্পগুলো অনেক সময় আপনাদের মাঝে গল্প হিসেবে উপস্থাপন করি এবং জেনারেল রাইটিং হিসেবে উপস্থাপন করি।তাই আমার প্রতিটি গল্পই বাস্তবভিত্তিক।আর এজন্য আমার প্রত্যেকটি কাজ করতে এবং একই সঙ্গে সব মিলিয়ে কাজ করতে অনেক ভালো লাগে।
পরিশেষে একটি কথাই বলব সেটি হল প্রত্যেকটি কাজের সঙ্গে আমার বাংলা ব্লগকে আমি জড়িয়ে ফেলেছি।আর আমার জীবনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকে মেনে নিয়েছি।তাই আমার এই কাজগুলো কোন জায়গায় করতে দ্বিধাবোধ হয় না বা সংকোচবোধ করি না।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
আপু আপনার অনুভূতি গুলোর সাথে আমার অনুভূতি অনেকটাই মিলে গেলো।আসলে আমরা যারা গৃহিণী তাদের পরিবারের কথা আগে ভাবতে হয়।এর পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে ব্লগিংয়ের কাজে নিযুক্ত রাখতে হয়৷ আর এটা গর্বের বিষয় ও বটে।সবকিছুর পাশাপাশি নিজের কাজ করে যাওয়া।অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এটাই বাস্তবতা।তাই সবার সামনে বিযয়টি উপস্থাপন করলাম।
https://x.com/mst_akter31610/status/1881766407832289570?t=huMv60oIzOzYTIa0PPXNAg&s=19
এটা বাস্তব আমরা যেহেতু ব্লগ নিয়ে কাজ করি আমরা বিভিন্ন সময় ফটোগ্রাফি করি। তবে সেই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করে সত্যি বলতে বেশ বাজে অবস্থা। কিন্তু এগুলো পরোয়া না করে যখন যে পরিবেশে যায় সময় সুযোগ পেলে ফটোগ্রাফিগুলো করার চেষ্কটা করি। আপনি বিষয়গুলো পোস্টের মধ্যে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার জন্য প্রথমে অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু এই ব্যস্ততা এক সময় কাটিয়ে সফল হবেন। এই দিনে সংসার বাচ্চা সবকিছু সামলিয়ে কাজ করতে কষ্ট হয়ে যায়। তবে যখন নিজে বলতে পারি যে আমি নিজে উপার্জন করি তখন এসব কিছু কিছুই মনে হয় না। তবে একটা বিষয় ভীষণ খারাপ লাগে যখন কোন কিছুর ছবি ধারণ করতে চাই তখন অনেকেই অনেক কিছু বলে। এসব শুনে নিজের কাছেও একটু খারাপ লাগে কিন্তু তাদের বলতে পারি যে আমরা নিজেরা অর্থ উপার্জন করি। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার ব্যস্ততার এই পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার বাড়িতে একজন আছে। বড় ভাবি ঠিক এভাবেই কাজ করে থাকেন। আর মাঝেমধ্যে আমাদের বলেন আপনারা তো চেয়ার টেবিলে বসেই শান্তিতে কাজ করতে পারেন। কিন্তু আমার দৌড়ের উপরে কাজ করতে হয়। তবে খেয়াল করে থাকি আমাদের আগেই তিনি কাজ করে বসে থাকেন। আবার টায়ারেও থাকতে পারে। আসলে সবকিছু নিজের কঠোর পরিশ্রমের ফল আর কি। ভালো লাগলো আপনার বিস্তারিত ব্লগ করা সম্পর্কে সময় দেওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানতে পেরে। অনেক অনেক দোয়া রইল।
উৎসবমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সংসারের কাজ,ব্যবসা এবং ব্লগিং,সবকিছু একসাথে সামলানো আসলেই খুব কঠিন। তবে আপনি সবকিছু খুব ভালোভাবে সামলাচ্ছেন আপু। আসলে মনের মধ্যে সংকোচবোধ থাকলে ব্লগিং করা যায় না। তাই লোকের কথায় কান দেওয়া মোটেই উচিত নয়। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।