ছোট গল্প ||| নিরপেক্ষতা মুখে বাস্তবে নয় পর্ব-০২ ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি এই শীতের সময় সুস্থ থেকে শরীরের প্রতি যত্ন নিয়ে সুন্দর আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হতে চলেছি।জানিনা আমার ব্লগগুলি আপনাদের কাছে কেমন লাগে? তবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে কাজ করার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গেছে।তাই আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে আমার লেখা ছোট গল্প "নিরপেক্ষতা মুখে বাস্তবে নয় পর্ব-০২" নিয়ে হাজির হলাম। আর কথা না বাড়ি আজকের পর্বে কি লেখা আছে তা দেখে নেওয়া যাক।
বর্তমান সমাজে এমন কিছু লোকজন আছে, যারা সব সময় নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবে দাবি করে এবং সমাজে তা বাস্তবায়ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগে থাকে।কিন্তু আসলে তাদের মধ্যে নিরপেক্ষতার বিন্দুমাত্র অস্তিত্ব নেই। সমাজে যখন কোন ঘটনা ঘটে আর সেই ঘটনার যখন বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সমাজের সকলে একত্রিত হয়। তখন দেখা যায় এ ধরনের লোকজনেরা মুখে সব সময় নিরপেক্ষতা এই শব্দটি বেশি ব্যবহার করে এবং কথায় কথায় বলে আমি নিরপেক্ষভাবে বলছি আমি কারো পক্ষে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তারা যেকোনো একটি গোষ্ঠী থেকে কিছু অর্থ বা কিছু সুবিধা নিয়ে তাদের পক্ষে কথা বলে যাচ্ছে নির্ভচ্ছিন্নভাবে।আর বর্তমান সমাজে এই ব্যবস্থাটি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত আছে,আর আমার মনে হয় আপনারাও আমার সঙ্গে একমত হবেন।
গ্রামে কিছু বসার জায়গা থাকে যেটি এলাকাভিত্তিক নাম আছে।যাকে কেউ হয়তো বা বলে টং, কেউ বলে চরাট,কেউ বলে খারাল, কেউ বলে মাচাং। আর গ্রামের কিছু অলস লোকজন এইগুলোতে বসে থেকে শুধু পরনিন্দায় ব্যস্ত থাকে এবং দেখা যায় মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে গন্ডগোলও বেধে যায়।আর এই গন্ডগোলের শেষ পরিণতি অনেক সময় দেখা যায় হাতাহাতি পর্যন্ত হয়ে যায়।আর এই ধরনের ঘটনাগুলোর জন্য যখন গ্রামের লোকজন একত্রিত হয় তখন দেখা যায় কিছু লোকজন সুবিধা নেই এবং একটি গুষ্টির কথা বলে।
আর এই সুবিধাভোগী লোকগুলো সবসময় এই ধরনের বিচারে বেশি মাতব্বরি করতে চাই এবং বলবে যে আমি নিরপেক্ষভাবে বিচার করছি কারো পক্ষে আমার কথা বলার দরকার নেই।কিন্তু দেখা যায় সুবিধা ভোগের কারণে একটি নির্দিষ্ট গুষ্টির পক্ষে বিচারকে ধাপিত করে।আর এই ভাবেই দেখা যায় গ্রামে ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলো আলাদা আলাদা সমাজে বিভক্ত হয়ে যায়।আর এতে একটি গ্রামের শক্তি কমে যেতে দেখা যায়। আর এতে করে সেই গ্রামের সফলতাও অনেক অংশে কমে যায়।সফলতা মানে সেই গ্রামের নিম্নবিত্ত ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার সম্ভাবনা কমে যায় এবং তারা দেখা যায় বেশীর ভাগ গড় আয়ের নিচে নেমে যায়।এতে তারা দিনমজুরের কাজ বেশি করে থাকে। আর এভাবে একটি গ্রামের সফলতা দিন দিন নিচের দিকে নেমে যায় এবং সেই গ্রামে আস্তে আস্তে আয় কমে যায়।
পরিশেষে একটি কথাই বলব সেটি হলো আমরা গ্রাম থেকেই সকলেই এসেছি।আর গ্রামে যেন এই ধরনের মুখে নিরপেক্ষতা বলার লোকের চেয়ে বাস্তবে নিরপেক্ষতা বলা লোকের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় সেজন্য আমরা সকলেই সচেষ্ট থাকবো।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।