☘️ থানকুনি পাতা দিয়ে গরম গরম মুচমুচে সুস্বাদু ঝাল পাকোড়া রেসিপি ☘️প্রিয়🥀@shy-fox 10% beneficiary🥀।
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দুয়াতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি অনেক।
আমি @santa14 আজকে আমি আপনাদের সাথে চলে এলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে।থানকুনি পাতার সুস্বাদু ঝাল ঝাল মুচমুচে পাকোড়া রেসিপি।থানকুনি পাতার রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। থানকুনি পাতা দিয়ে হাতে মাখিয়ে ভর্তা তৈরি করাটা তো আরও ভালো লাগে।থানকুনি পাতার প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে অনেক রকমের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে জ্বর ও ঠান্ডা রোগ নিরাময় হয়।
সারাদেশে যেহেতু করোনা মহামারীতে পরিস্থিতি অনেক খারাপ। তাই আমাদের সবার প্রয়োজন এই থানকুনি পাতা নিয়মিত খাওয়া।আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের প্রাই সবাই দেখছি অসুস্থ। তাই বলছি থানকুনি পাতার ভর্তা বা যেই কোনো রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি আজকের মজাদার পাকোড়া রেসিপি।
নং | উপকরণ সমূহ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | থানকুনি পাতা | ৫০ গ্রাম |
২ | আলু | দুইটি |
৩ | টমেটো | চারটি |
৪ | পেঁয়াজ | দুইটি |
৫ | রসুন | একটি |
৬ | আদা | পরিমাণ মতো |
৭ | ডিম | একটি |
৮ | কাঁচা মরিচ | দশটি |
৯ | ধনিয়াপাতা | পরিমাণ মতো |
১০ | শুকনো মরিচ গুঁড়ো | দুই চামচ |
১১ | হলুদ গুঁড়ো | এক চামচ |
১২ | ম্যাজিক মসলা | এক চামচ |
১৩ | ময়দা | হাফ কাপ |
১৪ | চাউলের গুড়ো | হাফ কাপ |
১৫ | কনফ্লাওয়ার | দুই চামচ |
১৬ | সয়াবিন তেল | এক কাপ |
১৭ | লবণ | পরিমাণ মতো |
প্রথমে আমি থানকুনি পাতা নিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নিবো। এরপর আমি থানকুনি পাতা গুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে নিবো।
এবার আমি পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও আদা নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে নিবো।এখন পেঁয়াজ, রসুন, আদা, টমেটো, কাঁচা মরিচ, আলু ও ধনিয়াপাতা নিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবো। এরপর সব গুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে নিবো।
এখন ময়দা, চাউলের গুড়া ও কনফ্লাওয়ার একটি থালায় নিয়ে নিবো।
এবার একটা থালায় শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ম্যাজিক মসলা ও লবণ নিয়ে নিবো।
এখন আমি সব গুলো উপকরণ এক সাথে নিয়ে হাত দিয়ে ভালো ভাবে মেখে নিবো। এরপর থানকুনি পাতা কুচি গুলো দিয়ে দিবো এবার।
এখন থানকুনি পাতা কুচি গুলো ভালো ভাবে হাত দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে নিবো। এরপর একটি ডিম ফাটিয়ে দিয়ে দিবো।
এখন সব উপকরণ মাখানো হলে । এবার আমি সব শুকনো মসলা গুলো দিয়ে আবার হাত দিয়ে ভালো ভাবে মামাখিয়ে নিবো।
এখন ময়দা, চাউলের গুড়া ও কনফ্লাওয়ার দিয়ে দিবো। এরপর সব গুলো উপকরণ আবার ভালো করে মাখিয়ে ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিবো।
এখন চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তেল দিয়ে। এরপর হাতে নিয়ে পাকোড়া তৈরি করে সব তেলে দিয়ে দিবো।
এবার পাকোড়া গুলো এক পাশে হলে অপর পাশে ভেজে একটি থালায় নিয়ে নিবো।
এখন গরম গরম পাকোড়া পরিবেশনের জন্য একটি থালায় টমেটো সস্ দিয়ে সাজিয়ে দিলাম। খেতে ঝাল ঝাল মুচমুচে টেস্টি। আশা করি আমার আজকের এই পাকোড়া রেসিপি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কেমন হয়েছে দয়া করে কমেন্ট করে জানাবেন।
আপনি খুব সুন্দর করে ঝাল পাকোড়া তৈরি করেছেন। পাকোড়া গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে। দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে আপনার রন্ধন পদ্ধতি খুবই অসাধারণ ছিল। আপনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে থানকুনি পাতা দিয়ে পাকড়া তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে ।এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই । ভালো থাকবেন।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মতামত শেয়ার করে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য ও অনেক দুআ ও শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
https://twitter.com/shantaislam3309/status/1493259727790538753?t=I-8R8tMpvrIF_pcfgiIoyg&s=19
থানকুনির পাতা দিয়ে এভাবে ঝাল পকোড়া রেসিপি তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে খেতে। অনেক সুন্দর করে ঝাল পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে ঝাল জাতীয় খাবার খুবই ভালো লাগে ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া খেতে অনেক মজাদার হয়। বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার ঝাল পাকোড়া দেখেই খেতে মন চাচ্ছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া গঠন মূলক মন্তব্য শেয়ার করে উৎসাহিত করার জন্য।
আপু,থানকুনি পাতা অনেক উপকারী একটি খাবার।আমি এটি খুবই পছন্দ করি। বিশেষত এই পাতার ভর্তা বেশি ভালো লাগে। তবে এভাবে কখনো পকোড়া তৈরি করে খাওয়া হয় নি। আপনি খুব সুন্দর করে তৈরি করেছেন যে দেখে ইচ্ছে করতেছে খেয়ে নিতে। অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু।
থানকুনি পাতা দিয়ে ঝাল পাকোড়া কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার প্রতিটা ধাপ দেখতে অসাধারণ হয়েছে। পাকোড়াগুলো দেখে আমি লোভ সামলাতে পারছি না। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আপু একবার বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন অনেক টেস্টি হয়।আর শরীলের জন্য অনেক উপকারী। ধন্যবাদ আপু।
আপনার পাকোড়া রেসিপি দেখে তো আমার পেটের ক্ষুধা বেড়ে গেল। মনে হচ্ছে এটি যদি না খেতে পারি তাহলে অনেক মিস করে ফেলব। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করছেন আপনি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
বাহ রেসিপিটি চমৎকার হয়েছে। এটা কি সেই থানকুনি পাতা যেটা দিয়ে করোনার সময় কত গুজব ছড়িয়েছিলো মানুষ। তবে আমি শুনেছি এই পাতার নাকি অনেক ভেষজ গুনাগুন। নানান রোগ ভালো করে এই পাতা। ধন্যবাত এই পাতা দিয়ে একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপু। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
জি ভাইয়া থানকুনি পাতায় অনেক ঔষধী গুণাবলী রয়েছে। এটা হয়তো তখনকার জন্য গুজব ছিলো। তবে এটা গুজব নয় শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
ওয়াও আপু অসাধারণ, আপনি খুবই সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে থানকুনি পাতা দিয়ে মচমচে সুস্বাদু পাকোড়া তৈরি করেছেন তার প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আমার যখন জ্বর হয় তখন আমার আম্মু থানকুনি পাতার বড়া তৈরি করে আমাকে খাওয়ার জন্য দেয়। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
গঠন মূলক মন্তব্য শেয়ার করে উৎসাহিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আপনার তৈরি করা করা পাকোর দেখে খেতে ইচ্ছা করতেছে । কারন অনেকদিন থেকে এরকম পাকোর খাওয়া হয়নি । আপনার তৈরি করা রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে । অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন আপনি । তাছাড়া ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।