বার্ষিক শিক্ষা সফর যাওয়ার অনুভূতি( প্রথম পর্ব)

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে বার্ষিক শিক্ষা সফর যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

বার্ষিক শিক্ষা সফরে ঘুরতে যাওয়া একটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক এবং শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা হতে পারে, যা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাগত এবং সামাজিক জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। এই সফরটি শুধুমাত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণের সুযোগ নয়, বরং এটি আমাদের চিন্তাভাবনা, সামাজিক দক্ষতা, এবং বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।ভ্রমণ করার মাধ্যমে আমরা আরো অনেক ভালোভাবে বিভিন্ন বিষয় বুঝতে পারি।তাই আমাদের জিবনে মাঝে মাঝে ভ্রমণ করা খুবই প্রয়োজন।

২০২৫ সালের শিক্ষাবর্ষে ফাজিল প্রথম বর্ষের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য এক ঐতিহাসিক শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়েছে। ১৯শে ফেব্রুয়ারি বুধবার ,যার গন্তব্য হবে বগুড়ার মহাস্থানগড়। প্রতিষ্ঠানের সকলেই এক সঙ্গে ভ্রমণ করতে গিলে অনেক সুন্দর মজা হয় সেটা আমরা সকলেই জানি।যা আমাদের জিবনে একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকে ।বেশ কিছু দিন আগে শিক্ষকেরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করে তারা সবাই মিলে আমাদের ওসমানপুর বাহলুল উলুস কামিল মাদ্রাসা থেকে বার্ষিক শিক্ষা সফরে আয়োজন করেছেন।প্রতিষ্ঠানের সকলেই যখন একসাথে শিক্ষা সফরে যাবে, তখন এটি একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠবে। সবার মধ্যে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং একটি দলগত অনুভূতি সৃষ্টি হবে। একসাথে সকলেই ভ্রমণ করার মাধ্যমে সবাই নতুন জায়গা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়ে আমাদের শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা তৈরি হবে।

শিক্ষকরা আমাদের ক্লাসের সবাইকে তাদের পক্ষ থেকে শিক্ষা সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বেশ কয়েকদিন ধরে, যারা শিক্ষা সফরে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী, তারা চাঁদা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করছিল। প্রথমে আমার কোনো ইচ্ছা ছিল না যেতে, তবে যখন দেখলাম অনেক বন্ধু- বান্ধবী যাচ্ছে, তখন ভাবলাম সবাই মিলে গেলে ভালোই হবে, কিছু মজা হবে। পরে, আমার কিছু ঘনিষ্ঠ বান্ধবীরাও যেতে না চাইলেও, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, সবাই একসাথে গেলে মজা হবে।তাই পর পর সবাই বলে রাজি করলাম ।

এই ভাবনা থেকে যারা যারা যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছে, তাদের কয়েকজনকে এক সঙ্গে নিয়ে আমরা গতকাল প্রতিষ্ঠানে গেয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে স্যারদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের রশিদ তৈরি করলাম। শিক্ষা সফরের জন্য চাঁদা ছিল ৬৫০ টাকা। এরপর একে একে আমাদের নাম রশিদে লিখিয়ে নিলাম এবং সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম।

প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে এসে, আমরা বাইরে ঝাল মুড়ি দোকান দেখতে পাই । তারপর সবাই মিলে ঝাল মুড়ি খেতে গেলাম। সবাই মিলে মজা করে ঝাল মুড়ি খেলাম এবং অনেক গল্প করলাম। তারপর, শেষপর্যন্ত আমরা সবাই মিলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি আমাদের বাসার পাশেই বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। পাশাপাশি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা যুক্ত রয়েছি ।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি দীর্ঘ কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।