|| জগদ্ধাত্রী পুজা পরিক্রমা'২২ | পর্ব-০৪ ||
সকলকে ভালোবাসা ও নমস্কার জানিয়ে আজকে আমি আমার পোস্ট শুরু করছি। গতকাল পোস্ট লেখার সময় প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, তাই একটির বেশি মণ্ডপের ফটো শেয়ার করতে পারিনি। আসলে কয়েকটা দিন যাবৎ সবদিকের পাশাপাশি কলেজেও বেশ চাপ যাচ্ছে। সাধারণত আমি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন কলেজ যাই। কিন্তু এই সপ্তাহটা প্রত্যেকদিনই কলেজ যেতে হয়েছে, তাই রাতের দিকে শরীরটাও বেশ ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে । তাই কালকে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও পোস্ট গুলি কন্টিনিউ রাখার জন্যে একটা বারোয়ারীর ফটো দিয়েই পোস্ট সারতে হয়েছে। যাই হোক আজকে আবার যথারীতি আমি পোস্ট করছি, এবং আমার আজকের বিষয়ও জগধাত্রী পুজো। তো।চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
এখন আমি আপনাদের সাথে যে বারোয়ারীর ফটো শেয়ার করতে চলেছি,তার নাম হলো "নুড়িপাড়া বারোয়ারী" ।এটি হলো কৃষ্ণনগরের একটি অন্যতম বারোয়ারী।তার কারণ হলো,সারা শহরে একমাত্ৰ এই বারোয়ারীতেই চারদিন ধরে পুজো হয়।অর্থাৎ অন্যান্য বারোয়ারী গুলোতে সপ্তমী, অষ্টমী ,নবমী এই তিন দিনের পুজো একসাথে নবমীর দিনকে হয় এবং দশমী পুজো দশমীর দিন হয়।আর নুড়িপাড়া বারোয়ারীতে চারদিনের পুজো আলাদা আলাদা দিনেই হয়,অর্থাৎ নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট পুজো হয়।
তাই এই বারোয়ারীর ঠাকুরের নাম "চারদিনী মা"। এই বারোয়ারী কোনো থিমের ওপর পুজো করে না বা এদের প্যান্ডেল বা লাইটেও খুব বেশি জাঁকজমক দেখা যায়না।এঁদের চারদিন ধরে বিভিন্ন রকম সাঙ্গিস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে,মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ- এসবের মধ্যে দিয়েই কাটে।তবে এদের মূল আকর্ষণ হলো চারদিনের পুজো।এই বারোয়ারীর পুজোর কিছু ফটো আমি নীচে দিচ্ছি।
দিন- ০১/১১/২০২২
সময়- ০৭:০৫ pm
স্থান- কৃষ্ণনগর
ক্যামেরা ডিভাইস -POCO M3
এরপর আমি যে পুজো মণ্ডপের ফটো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সেই পুজো বারোয়ারীর নাম হলো "হাতারপাড়া বারোয়ারী"।এদের জায়গা খুব কম তাই,প্রত্যেকবারই প্যান্ডেল ছোটো খাটোর মধ্যেই সম্পন্ন করে।এরা অল্পের মধ্যেই খুব ভালো করে প্যান্ডেল সাজানোর চেষ্টা করে।তবে এদের মূল আকর্ষণ হলো এদের প্রতিমা।খুব সুন্দর শোলার সাজে এরা প্রতিমাকে সাজায়।সাথে থাকে সোনার সুন্দর সোনার গয়নার সাজ ।এই বারোয়ারীর এবারের থিম ছিল "দুয়ারে বদ্রিনাথ"।
দিন- ০১/১১/২০২২
সময়- ০৭:৫০ pm
স্থান- কৃষ্ণনগর
ক্যামেরা ডিভাইস -POCO M3
আমি জানি ভীষণ ব্যস্ততার ভেতর দিয়ে তোমার দিন যাচ্ছে। নানান কারণে চাপের ভেতরেও থাকতে হচ্ছে বেশ। তবুও যে তুমি নিয়মিত কাজ করছো এটা দেখেই ভালো লাগলো ভাই। আর তোমার পুজো পরিক্রমার পোস্ট গুলো ভেতরে অন্যরকম একটা ভালো লাগার সৃষ্টি করে সব সময়। প্যান্ডেলের কোন বড় ছোট নেই আমার কাছে। মায়ের পূজো সব জায়গাতেই সমান 🙏। খুব সুন্দর ছিল আয়োজনগুলো ভাই। মা আমাদের সকলের মঙ্গল করুক।
আসলে দাদা কমিউনিটিতে টিকে থাকতে গেলে তো কাজের মধ্যে থাকতেই হবে।নিয়ম তো নিয়মই,তাই চেষ্টা করে যাচ্ছি কাজ টা কন্টিনিউ করার।
আর সত্যিই,আসল অর্থে প্যান্ডেলের কোনো ছোট বড়ো নেই,মায়েরও কোনো ছোট বড়ো নেই।আমরা মানুষরাই নিজের অস্তিত্ব প্রমান করতে,নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করে কাউকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যাই তো কাওকে নামিয়ে ধুলোয় মিশিয়ে দিই।কিন্তু মা তো মা-ই,তিনি তাঁর সকল সন্তানদের সমান ভাবেই ভালোবাসেন।