"সুগন্ধা পয়েন্টের মজাদার কাঁকড়া ও মাছ ফ্রাইয়ের মজার গল্প"
আজ- ২৫ ভাদ্র , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
০৯ সেপ্টেম্ববর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
রোজ শুক্রবার,
আসসালামুআলাইকুম।সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম আমার লেখার শুরুতেই। আশা রাখি অনেক ভাল আছেন আর নিজ নিজ কাজ নিয়ে সবাই ব্যস্ত আছেন। আমি সামশুন নাহার হিরা @samhunnahar কক্সবাজার জেলার চট্রগ্রাম বিভাগের মেয়ে। আমি ব্লগিং করি আমার বাংলা ব্লগ এ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। আমি আজ ও একটি নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগিং করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আমি আজ শেয়ার করবো কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টে অবস্থানরত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ফ্রাই ও মজার কাঁকড়া ফ্রাই নিয়ে কিছু কথা।
আজ আমি আপনাদের কে এই কাঁকড়া ও মাছ ফ্রাইয়ের মজার গল্প বলবো। আসলেই বলতে গেলে আমরা মাছের মধ্যে এভাবে ডুবে আছি সত্যি নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী মনেকরি। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে কক্সবাজার এর একদম পাশ দিয়ে বঙ্গোপসাগরের
অবস্থান। প্রতিদিন হাজার হাজার ফিশিং বোট আসা-যাওয়া করে আমাদের কক্সবাজারের বাঁকখালী ন্দী দিয়ে। মাছ বোট থেকে নামার সাথে সাথেই বাজারে আনা হয়। অথবা যেখানে মাছের আড়ত আছে সেখান থেকে ও আনলে একদম ফ্রেশ মাছ পাওয়া যায়। এইখান থেকে প্রতিদিন অনেক অনেক মাছ ঢাকা, চট্রগ্রাম ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই দেওয়া হয়।। এই মাছে কোন মেডিসিন ব্যবহার করে না বা বরফ ও দেওয়া হয় না। তাই বলতে গেলে মাছের স্বাদ একদম ঠিক থাকে।
যেটা বলতে চাইছি সেটা হচ্ছে এই মাছের আড়ত থেকে ফ্রেশ মাছ ও কাঁকড়া এনে ব্যবসায়ীরা সমুদ্রের দ্বারে কিংবা বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও ভ্যান গাড়ি নিয়ে এই মাছ গুলো সাপ্লাই দেই। এই মাছ তারা আইস দিয়ে সংরক্ষণ করে কিংবা ফ্রেশ মাছ ও কাঁকড়া এনে পর্যটকদের চাহিদা মিটায়। এই মাছ গুলো খেতে অনেক স্বাদের হয়। প্রত্যেকটা মাছ সামুদ্রিক এবং ফ্রেশ মাছ।
আমি অভাক হয়ে চেয়ে থাকি বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষের ভিড় এখানে। অনেক লম্বা লাইন থাকে। কাড়াকাড়ি অবস্থা। অনেক অনেক মাছ ও কাঁকড়া ফ্রাই বিক্রি হয় প্রতিদিন এখানে। কক্সবাজারের যেকোন হোটেল, রেস্টুরেন্টে এই মাছ ও কাঁকড়ার সমাহার। এছাড়া সেন্টমার্টিনে তো আর ও বেশি।
কিছু দিন পর শীতকাল তো শুরু হবেই। কক্সবাজারের যত সমুদ্রে যাওয়ার গলি/রোড আছে সব খানে মাছের দোকার আর দোকান। যেমন সুগন্ধা, লাবণী, ঝিনুক মার্কেট গলি/রোড, কলাতলী, ইনানী, দরিয়া নগর ইত্যাদি। কত নাম যে আছে নিজের জায়গার নাম নিজেই জানিনা।
করোনার কারণে বন্ধ থাকায় দুই বছর তো পর্যটক আসতে পারে নাই। তাই এই বছর শীতের মধ্যে অনেক জমজমাট হবে কক্সবাজার। তাই সবাইকে শীতকালের অগ্রিম শুভেচ্ছা ও আমন্ত্রণ জানায়। শীতকাল আমার প্রিয়।আশা করি সবার প্রিয় হবে। সবাই চেষ্টা করবেন একবার হলেও ঘুরে যান আর আমাদের কক্সবাজারের সামুদ্রিক ফ্রেশ মাছ খেয়ে যান। অনেক ভাল লাগবে সবার কাছে। জীবনকে উপভোগ করুন বেশি বেশি ভ্রমণ করেন।
নিম্নে ক্যামেরার বর্ণানা দেওয়া হলো
ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
আশা করি আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের ভাল লেগেছে। ভাল লাগার বিষয় কক্সবাজার বলে কথা। আজ আমি আমার লেখা শেষ করবো। অন্য একদিন দেখা হবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন।
Lots of mombakkies out and about today, keep an eye on your pension pipe.
Thank You so much for your responsibility
একদম ঠিক বলেছেন আপু আমরা আসলেই অনেক ভাগ্যবতী যে প্রচুর পরিমাণে মাছ আমরা ইচ্ছে করলেই খেতে পারছি। কক্সবাজারের বাকখালি নদী দিয়ে ফিশিং বোর্ড থেকে মাছ নামানোর দৃশ্যটি আমার খুব দেখতে ইচ্ছা করছে এ ধরনের ফ্রেশ মাছ দেখতে ভালই লাগে মনে হয়। সামুদ্রিক ফ্রেশ মাছগুলো খেতে আসলেই অনেক মজাদার কক্সবাজার গেলেই এরকম মাছ খাওয়ার সুযোগ হয়। মাছের বেশ কয়েকটি দোকানের নাম আপনি শেয়ার করেছেন যেগুলো আমার জানাই ছিল না অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্টটি পড়ে।
ধন্যবাদ আপু আপনি খুব সুন্দর মতামত দিয়েছেন। আপু কক্সবাজার আসেন আপনাকে মাছ নামানোর দৃশ্য দেখাবো আর ফ্রেশ মাছ ও খায়াবো।
সত্যি আপু আমরা মাছে ভাতে বাঙালি এই কারণে যে আমাদের দেশে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।আপনি ঠিক বলেছেন হাজার হাজার ফিশিং বোট আসা-যাওয়া করে আমাদের কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী দিয়ে। মেডিসিন বা বরফ দেওয়া হয় না বলে মাছের স্বাদ ঠিক থাকে।কক্সবাজারের সামুদ্রিক ফ্রেশ মাছ খেয়ে যান।সত্যি আপু আশা আছে কক্সবাজারের সামুদ্রিক ফ্রেশ মাছ খেয়ে আসার। ধন্যবাদ
আপু আসবেন দাওয়াত ফ্রেশ মাছ খাওয়ার জন্য।আসলেই ফ্রেশ মাছ খাওয়াবো কক্সবাজারের। মাছের আড়ত দেখাবো 😊😊💕💕
শীত কাল আমারও খুবই প্রিয়। শীতকালে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতেও বেশ ভালো লাগে। আপনি ঠিকই বলেছেন এই মাছগুলো খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। আর খেতেও ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ফটোগ্রাফি এবং গল্পের মাধ্যমে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনি আমার পোস্টি সময় দিয়ে পড়েছে। আর আপনাকে কক্সবাজারে স্বাগতম। দাওয়াত রইলো ফ্রেশ মাছ খাওয়াবো।
আপনার বিভিন্ন মাছের এবং কাঁকড়ার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন ছিল। সামুদ্রিক ফ্রেশ মাছগুলো খেতে আসলেই অনেক মজাদার, কক্সবাজারে গেলেই এরকম মাছ খাওয়ার সুযোগ হয়। আমিও কয়েকবার গিয়েছিলাম এবং এরকম ফ্রেশ মাছ ভাজি করে খাওয়া হয়েছিল, আসলে খেতে অনেক অনেক মজা লাগে। ফ্রেশ এবং তাজা মাছ নিয়ে আপনার আজকের অনুভূতিগুলো পড়ে বেশ ভালই লাগলো।
আপনি ঠিক বলছেন ভাইয়া খেতে অনেক মজা এবং ফ্রেশ মাছ খাওয়া হয়। সামুদ্রিক মাছের স্বাদ আলাদা।