ফটোগ্রাফিঃ-পছন্দের সুস্বাদু খাবারের সাতটি ফটোগ্রাফি।
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন সুস্থ দিন অতিবাহিত করলেন। কর্মব্যস্তময় জীবনে কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ সময় কাটছেন এই প্রত্যাশা কামনা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। বন্ধুরা আবারও সকল ব্যস্ততা কাটিয়ে আপনাদের উদ্দেশ্যে শুরু করেছি নতুন একটি ব্লগ। চেষ্টার কোন কমতি থাকে না কমিউনিটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দেওয়ার। তবে মাঝেমধ্যে আমরা অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এই যেমন আমি ব্যস্ত হয়ে পড়লাম বাচ্চাদের পরীক্ষা নিয়ে। এত ব্যস্ততার মাঝেও মাঝে মাঝে কিছু বাড়তি ব্যস্ততা আমাদের জীবনে তাড়া করে। ছোট মেয়ের স্কুলে ক্লাস থাকে সকাল আটটায় শুরু হয় তার আগে তাকে রেডি করে পাঠাতে হয়। তাকে সকালে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে ঘরের অন্যান্য কাজগুলো করলাম এবং বড় মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর জন্য রেডি করালাম যেহেতু বড় মেয়ের ক্লাস শুরু হয় দশটায়। এরই মধ্যে ছোট মেয়ে চলে আসে তাকে খাওয়াইয়ে রেডি করতে করতে সময় চলে যায়।
আজকে বড় ভাসুরের মেয়ের সিজারিয়ান বাচ্চা হয়েছে হসপিটালে ভর্তি তাই তাকে দেখতে গেলাম সকালে। সেখান থেকে আসতে আসতে দুপুর হয়ে গেল আর রান্নাবান্না করতে ইচ্ছে করছিল না। যা ছিল তা দিয়ে খেয়ে নিলাম মা মেয়ে। অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। একটু শুয়ে ছিলাম তাও আবার ঘুম আসে না। উঠে গিয়ে একটু আড্ডা দিলাম ডিসকর্ড এ। আবার আসরের আযান দিল নামাজ আদায় করে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। মূলত আমি আজকে আপনাদের সাথে খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। মাঝেমধ্যে ভিন্ন কিছু শেয়ার করে নিতে ভালো লাগে। আজকে আমি যে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব সবগুলো স্কুলের ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠান থেকে নিয়েছিলাম। ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে বেশ সুস্বাদু লোভনীয় খাবার গুলো তৈরি করে আনছিল গার্ডিয়ানেরা। আমি সেখান থেকে আমার পছন্দের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম।
যদিও কিছু খাবার খাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আবার কিছু খাবার খাওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই সব সুস্বাদু মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে আমি আজকে আপনাদের সাথে ব্লগ শেয়ার করতে হাজির হয়েছি। তাহলে বন্ধুরা শুরু করে নেওয়া যাক।
পিজ্জা-
বর্তমান সময়ে সবার বেশ জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে পিজ্জা। আমরা বাইরের খাবারের মধ্যে রেডিমেড খাবারের অন্যতম স্বাদের খাবারের মধ্যে পিজ্জা আমাদের সবার কাছে কম বেশি খুবই প্রিয়। আমার কাছে তো খুবই ভালো লাগে পিজ্জা খেতে। এই পিজ্জা টা এত লোভনীয়ভাবে তৈরি করেছিল যা দেখে আমি লোভ সামলাতে পারি নাই। এত লোভনীয় পিজ্জার ফটোগ্রাফি আমি ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠান থেকে নিয়েছিলাম।
ফুচকা-
আমাদের সবার পছন্দের অন্যতম খাবার হচ্ছে ফুচকা। আমরা যখনই ফুচকা দেখি না কেন খেতে চেষ্টা করি। কারণ এই খাবারটি এত লোভনীয় যে কেউ খেতে ইচ্ছে করে। আমার তো বেশ ভালো লাগে কয়েকদিন পরপর খেতে পারলে। ইদানিং আমি একটা বিষয় খুবই খেয়াল করি তা হচ্ছে আমার মেয়েরাও ফুচকা খেতে খুব বেশি পছন্দ করেন। মা মেয়ে তিনজনে মিলে তাই ফুচকা খেতে মন চাইলে সমুদ্র সৈকতে চলে যায়।
সুজির বরফি-
সুজির বরফি খেতে খুব ভালো লাগে। বিকেলে কিংবা সকালের খাবারে আমার এই খাবার খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে ভাজাপোড়া খাবার আমরা যারা এড়িয়ে চলি তারা এই ধরনের খাবার খেলে খুবই ভালো হয়। আমার তো গরম গরম তেলের পরোটার সাথে সুজির বরফি খেতে খুব মজার লাগে। তাছাড়া ও এমনি এমনি চামচ দিয়ে খেতে দারুণ হয়। সুজির বরফি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা বিশেষ করে লিভারের জন্য খুবই ভালো।
চিকেন সাসলিক-
বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে চিকেন ফ্রাই এবং চিকেনের তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের আইটেম। তার মধ্যে চিকেন সাসলিক আমার বেশ ভালো লাগে। কিছুদিন আগেও এই ধরনের একটি ভিন্ন ধরনের স্বাদের চিকেন সাসলিক খেয়েছিলাম যা খেতে আমার খুব ভালো লাগছিল। যদিও সেই দিনের খাবারের সাথে এই সাসলিক খুবই ভিন্ন। এই খাবার খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি দেখতেও বেশ চমৎকার একটি রেসিপি।
ডিমের চপ-
আপনারা বন্ধুরা একটা বিষয় খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন এখানে যেসব খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমি শেয়ার করেছি সবগুলো অনেক মানসম্মত খাবার এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা খাবার। যদি আমরা এগুলো রেস্টুরেন্ট থেকে অর্ডার করে খাই তাহলে অনেক টাকা আমাদেরকে বিল দিতে হবে। কিন্তু আমরা যদি ঘরে তৈরি করে খাই তাহলে এদিকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার অন্যদিকে আমাদের অর্থের একটু সাশ্রয়ী হবে। এই খাবারটিও দেখতে যেমন সুন্দর ছিল তেমনি খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল।
শাহী চিকেন পোলাও-
যদিও এই খাবারটি আমার টেস্ট করার সুযোগ হয়নি। এই খাবারটি তৈরি করেছিলেন একজন ক্লাস ওয়ানের গার্ডিয়ানের মা। যদিও তারা আফগানিস্তানের নাগরিক ছিলেন। আমার মেয়ের স্কুলের ইংলিশ ভার্সন ওয়ান এ বাচ্চাকে ভর্তি করায় দিয়েছে। ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে এই খাবারটি তৈরি করে আনা হয়েছিল। আমার কাছে খাবারটি এতই ভালো লেগেছে ডেকোরেশনটি জাস্ট অসাধারণ ছিল। এখানে পোলাও ভাতগুলোকে বিভিন্ন কালার দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। তাছাড়াও কিসমিস দেওয়া হয়েছিল এবং চিকেন কাবাবগুলোকে খুব সুন্দরভাবে তৈরি করে সাজিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
পায়েস-
আমরা বাঙালি জাতিরা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে খুব বেশি পছন্দ করি। আমাদের ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা খাবারের মধ্যে অন্যতম আইটেম হচ্ছে পায়েস। পায়েস আমার বেশ ভালো লাগে বিশেষ করে একটু দুধ বাড়িয়ে দিয়ে যদি মালাই এর মত করে তৈরি করা হয় তাহলে খুবই সুস্বাদু হয়। এই পায়েসের রেসিপিটি সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছিল যা দেখতে আমার কাছে খুবই লোভনীয় লাগছিল।
ক্যামেরার বিবরণ
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
লোকেশন | কক্সবাজার |
ক্যাটাগরি | খাবারের ফটোগ্রাফি। |
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
প্রত্যেকটা খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে তো লোভ লেগে গেল। এই খাবারগুলো আমারও খুব পছন্দের। শাহী চিকেন পোলাও আর ডিমের চপ এর ফটোগ্রাফি টা অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। বাকি সবগুলো ফটোগ্রাফি ভীষণ সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফি গুলো সম্পর্কে এত প্রশংসা শুনে ভালো লাগলো।
জাস্ট আও আপু আপনি আজ বেশ কিছু মুখরোচক খাবারের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার মুখরোচক খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এই মুহূর্তে আমার টক দিয়ে ফুচকাগুলো খেতে খুব মন চাচ্ছে। কারণ আমার শরীরর হালকা অসুস্থ কোন খাবারই খেতে মন চাচ্ছিল না। যাইহোক আপু আপনার প্রত্যেকটা খাবারের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তার মধ্যে ফুচকা এবং চিকেন সাসলিক এর ফটোগ্রাফিগুলো সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম মুখরোচক কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খাবার গুলো অনেক সুস্বাদু ছিল ভাইয়া বিশেষ করে ঘরের তৈরি করা খাবার সেজন্য খেতে যেমন ভালো লাগছিল খাবারগুলো খুবই ফ্রেশ ছিল।
আমি আজকে যে কাজ গুলো করেছি-
আপু প্রথম ছবির দিকে লক্ষ্য করুন রকেট চিহ্ন কিংবা আগুন চিহ্ন আপনি কোনটাই ক্লিক করেননি।
আচ্ছা ভাইয়া ভালোভাবে দেয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
পরিবারের নতুন সদস্য এসেছে তার জন্য আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই এবং নতুন সদস্যের সুস্থ স্বাভাবিক জীবন প্রার্থনা করি ঈশ্বরের কাছে। এবার আসি আপনার খাবারের ফটোগ্রাফিতে। লোভনীয় সমস্ত ছবিগুলো। আপনি ঠিক লিখেছেন আজকাল যেন পিজা খাওয়া বিরাট ট্রেন্ডি৷ বাচ্চারা তো পিজার নাম শুনলে এমন করে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে৷ উফফ৷ আমার মেয়েও তাই৷ সবাই বিলিতি হয়ে যাচ্ছে৷ হা হা হা।
আমার কিন্তু ডিমের চপ আর পায়েস দুটোতেই বেশি লোভ জাগল। আহা।
একদম ঠিক বলছেন দিদি বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে পিজ্জা, বার্গার, স্যান্ডউইস। এছাড়াও ডোনাট বেশি খেতে চাই।
মজার মজার সব খাবারের ছবিগুলো দেখেই তো লোভ লেগে গেল আপু। আপনি এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আর খাবার গুলো খুবই লোভনীয় লাগছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকেও।
আপু আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি বেশ লোভনীয়। আপনার পছন্দের সাথে দেখে আমার পছন্দের অনেক মিল রয়েছে । তবে খাবার গুলোর মধ্যে আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে চিকেন সাসলিক ও ডিমের চপ।
একদম আপু প্রায় মানুষ এই খাবার গুলো অনেক বেশি পছন্দ করেন।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই চমৎকারভাবে বেশ কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই জিভে জল চলে আসছিল। এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
যদিও খাবার গুলো খাওয়াতে পারি নাই দুঃখের বিষয়। তবে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি বলে ভালো লাগলো।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে বেশ কয়েকটি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা শাহী চিকেন পোলাও এর রেসিপি টি দেখে লোভ লেগে গেল।
সেদিন তো অনেক খাবার খাওয়ার সুযোগ হয়েছিল ভাইয়া।
আপু আপনার ফটোগ্রাফির সাতটিই খাবারই কিন্তু বেশ লোভনীয়। সব গুলোই এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে। এমন সুন্দর সুন্দর লোভনীয় খাবার কেউ এমন করে শেয়ার করে। বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু অনেক ভালো লেগেছে আমার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগার জন্য।
ভালো লাগা বৃষ্টি পড়ে কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার চমৎকার এই সমস্ত খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। লোভনীয় খাবার ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া দোয়া করবেন যাতে আরো ভালো ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারি।