আজ-১২ ই-মাঘ - ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
২৬ শে-জানুয়ারী -২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
রোজ-বৃহস্পতিবার।
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আপনাদের দোয়ায় সুস্থ আছি এবং ভালো আছি।পোস্ট করার একটি ধারাবাহিক নিয়ম হয়ে গেছে।সেই অনুযায়ী আমি আজও নতুন একটি ব্লগ লেখা শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি।আজ প্রতিদিনের মতোই নতুন একটি বিষয় নিয়ে ব্লগিং করব আপনাদের সাথে।আজকের বিষয়টি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়াম নিয়ে লেখা।ঢাকায় যখন ঘুরতে গিয়েছিলাম ডিসেম্বরের শেষের দিকে তখন বেশ কয়েকটি জায়গার ঘোরাঘুরি হয়।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়াম।সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরার পর রমনা পার্কের দিকে রওনা দিচ্ছিলাম।

Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।


Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
এমন সময় মেয়ের বাবা বলল আগে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়াম টা একটু ঘুরে আসি।তখন আমিও না বলি নাই বেশ ভালো হয় তাহলে এই বলে সবাই ঢুকে পড়ি টিকেট নিয়ে।বেশ জ্যাম ছিল এবং টিকেটের দাম তেমন বেশি নেয় নাই মোটামুটি কমের মধ্যেই পাওয়া গেছে।সবাই মিলে মাক্স নিয়ে নিলাম কারণ মাক্স ছাড়া সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছিলো না।সবাই মাক্স পরিধান করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সবাই ঢুকে পড়ি।প্রথমে ঢুকার পরেই সোজা দ্বিতীয় তলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় আমাদেরকে।

Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।

Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।

Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।

Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
ঢোকার শুরুতেই দেখতে পেলাম একটা বিশাল রুমের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র রাখা হয়েছে।এরপর আর একটু যাওয়াতেই দেখতে পেলাম বেশ সুন্দর জঙ্গল সেখানে জঙ্গলের মধ্যে হরিণ,বাঘ, শিয়াল সবকিছু রাখা হয়েছে।এভাবে আর একটু যাওয়ার পরে দেখি গ্রাম বাংলার চিত্র সুন্দর করে সংরক্ষণ করা হয়েছে।যেখানে গ্রামের চাষিরা জমি চাষ করতেছেন।চাষিরা ধান রোপেনের চিত্র বেশ সুন্দর ছিল।গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে যাওয়া নদীতে জাল দিয়ে বেশ সুন্দর করে মাছ ধরার দৃশ্য বেশ ভালো লাগছিল।এছাড়া গ্রামের বড় গাছের নিচ বাজার বসার সুন্দর দৃশ্য অপরুপ ছিল।বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশের এমন কোন জিনিস বাদ পড়েনি যা সংরক্ষণ করা হয়নি।বেশ সময় নিয়ে আস্তে আস্তে সব ঘুরে ঘুরে দেখছি এবং অনেক ফটোগ্রাফি নিয়েছি।

Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।

Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।

Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
প্রত্যেকটা জিনিস এত সুন্দর ছিল এত মনোরম ছিল বলার মতো না।বিশাল ভবন অনেক গুলো রোম।এক একটি রুমের মধ্যে এক এক দৃশ্য রাখা হয়েছে বাংলাদেশের।বাচ্চারা অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন কারণ শহরে থাকার কারণে গ্রামের সব জিনিস দেখার সুযোগ হয় না।তাই গ্রামের দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে বেশ আনন্দের সাথে দেখছিল।আমিও তো অনেক খুশি কারণ সেখানে এমন কিছু কিছু জিনিস ছিল যা আমি গ্রামে থেকেও গ্রামের জিনিস দেখতে পাইনি।

Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।


Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।

Device-Wiko-T3
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ মিউজিয়ামে বাংলাদেশের সর্বস্তরের গ্রামের এবং শহরের সব কিছু রাখা করা হয়েছে।আমি ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামের প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি ও মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আমার ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনারা দেখতে পারবেন বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামের অভ্যন্তরীণ দৃশ্য।
💚💖আশা করি আমার আজকের ব্লগ আপনাদের ভালো লেগেছে।কেমন লেগেছে মতামত দিয়ে জানালে অনেক বেশি ভালো লাগবে।পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ থাকবেন এবং ভালো থাকবেন।সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে আমার আজকের ব্লগ এখানে সমাপ্তি করছি আবার দেখা হবে।💚💖
স্থান-বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর -ঢাকা-বাংলাদেশ।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/i3d8j
বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন জাদুঘরে। আসলে জাদুঘরে গেলে দেশের অনেক ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কে জানা যায়। আমি যখন ফার্মগেট এলাকা ছিলাম তখন অনেকবার জাদুঘরে গিয়েছিলাম। আপনার জাদুঘরে আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম।
ঠিক বলছেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে যেয়ে মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করা দরকার।কারণ অনেক কিছু দেখার আছে শেখার আছে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনারা তো দেখছি সরাসরি বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি করেছেন। দেখেই বুঝতে পারছি বেশ ভালই মুহূর্ত কেটেছে আপনাদের। ভেতরের দিকের অংশগুলো সত্যি অসাধারণ। আমার যদিও এই জায়গাটিতে এখনো যাওয়া হয়নি কিন্তু আমার অনেক দিনের ইচ্ছে এই জায়গাটিতে যাওয়ার। ভাগ্যে থাকলে একদিন অবশ্যই যেতে পারবো। কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখে আরো আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে আমার। আপনার জীবনসঙ্গী মিউজিয়ামে ঘুরে আসার কথা বলার সাথে সাথে আপনি তো আর না করতে পারলেন না।আসলে ঘুরাঘুরির বিষয় হলে কেউই মানা করতে পারে না। বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন সবাই মিলে।
ঠিক বলছেন আপু ঘোরাঘুরি কথা বললে না বলতে নেই।যত সম্ভব তাড়াতাড়ি ঘুরে আসা খুব দরকার কারণ না বললে যে সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে যাবে😀😆।
আপনি এরকম মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আমার কাছে পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে তাহলে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করলেন সবাই মিলে। আমি তো ফটোগ্রাফিতে দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম আর আপনারা তো সরাসরি দেখেছেন সত্যিই এরকম মুহূর্ত ভীষণ ভালো লাগে। আপনার হাজব্যান্ড বাংলাদেশ জাদুঘরে ঘোরার কথা বলার সাথে সাথেই তাহলে রাজি হয়ে গেলেন। আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
অনেক সুন্দর আপু দেখতে।বাংলাদেশের এমন কোন বিষয় নাই যা বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে তুলে ধরে নাই।সবকিছু বেশ সুন্দর করে ওয়ালমেট আকারে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
জাতীয় যাদুঘরে সম্পূর্ণ বাংলাদেশের রুপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমি গিয়েছিলাম তখন আমার বেশ ভাল লেগেছিল। আমাদের হারিয়ে যাওয়া অনেক কিছুই সংরক্ষন করা আছে। মসলিন শাড়ী এবং মসলিন শাড়ীর সুতা যে তুলা থেকে তৈরি হয় তাও দেখান হয়েছে। বাচ্চাদের নিয়ে এসব জায়গায় ঘুড়তে গেলে তারা বেশ আনন্দ পায়। ঘুড়তে যাওয়ার সুন্দর কিছু মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলছেন আপু মসলিম কাপড় থেকে শুরু করে সব ধরনের কাপড় সংরক্ষণ করা আছে। আমি পরবর্তীতে শেয়ার করব ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আমিও বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম। বিশাল এরিয়া নিয়ে জাদুঘরটি তৈরী করা হয়েছে। সম্পূর্ণটা ঘুরে দেখতে আমার সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা। সেখানে গেলে গ্রামের শহরের প্রাচীন অনেক কিছু দেখা যায়। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলছেন ভাইয়া বিশাল এরিয়া দেখতে অনেক সময়ের ব্যাপার ধন্যবাদ আপনাকে।