ফটোগ্রাফিঃ- আমার পছন্দের লোভনীয় সাতটি খাবারের ফটোগ্রাফি।
শুভ সন্ধ্যা,
প্রিয় পরিবারের সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি শীতের দিনে সবাই অনেক ভালো আছেন। যেহেতু পুরো বছর অপেক্ষা করি আমরা শীতের আগমনের জন্য। অনেক ঝড় বৃষ্টি তুফান অনেক গরম সবকিছু অতিক্রম করে আমরা আমাদের সবার প্রিয় ঋতু শীতকালের জন্য সবাই অনেক বেশি অপেক্ষা করি। কারণ আমাদের কম বেশি সবার অনেক প্রিয় একটি ঋতু হচ্ছে শীতকাল। এই ঋতুতে মানুষ ঘুরতে বের হয়। বিশেষ করে ডিসেম্বর মাস হওয়ার কারণে বাচ্চাদের স্কুলের ছুটি হয় তাই সবাই যার যার মতো ঘোরাফেরা করতে পারে। অনেকে গ্রামে চলে যায় আবার অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। আমাদেরও একই অবস্থা যেহেতু বাচ্চারা আছে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে চাই। বাধ্য হয়ে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে হয়। এই বছর কোথায় যায় এখনো জানিনা। দেখি কি করা যায় শীতের দিনে কিভাবে শীতের মাস উপভোগ করতে পারি। বন্ধুরা উপস্থিত হয়েছি আবারও কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে।
প্রতি সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় আমি আজকে কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। এক এক সপ্তাহে এক এক ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করি। ফুলের ফটোগ্রাফি কিংবা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি আকাশের সুন্দর দৃশ্য ফটোগ্রাফি শেয়ার করতেও ভালো লাগে। মাঝে মাঝে চেষ্টা করি সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নিতে। খাবার গুলো যখন খাওয়া দাওয়া করি তখনই ফটোগ্রাফি গুলো নেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা সবাই খাদ্য প্রেমিক বাঙালি। খাদ্য খেয়ে আমাদের দেহকে যেমন আমরা সচল রাখি তেমনি আমাদের মনও প্রফুল্ল থাকে। কারণ ভালো খাবার আমাদের শরীরে যেমন শক্তি যোগায় তেমনি মনে শান্তি থাকে।
বিভিন্ন সময়ের করা খাবারের ফটোগ্রাফিগুলো নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নিচ্ছি—
তরমুজঃ-
বন্ধুরা আপনারা এখন যে ফটোগ্রাফিটা দেখতে পাচ্ছেন তা হচ্ছে তরমুজের ফটোগ্রাফি। অবশ্যই সেখানে কিছু আপনারা মালটার দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন। বিশেষ করে আমি তরমুজ খাওয়ার জন্য নিয়েছিলাম সাথে কিছু সবুজ মালটা নিয়েছিলাম। যদিও এখন তরমুজের সিজন নয় কিন্তু সব সিজনে এখন তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। এখন হাইব্রিড জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধ হওয়ার কারণে যে কোন সিজনেই যে কোন ফল খাওয়ার সুযোগ হচ্ছে। এই তরমুজ খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল।
কেকের ডেজার্টঃ-
আমরা সবাই কেক খেতে অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে আপনারা এখানে যে কালারিং কেকদেখতে পাচ্ছেন তা খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। তবে এত ভালো লাগছিল কেকের কালার দেখে বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে তো কালারিং খাবার গুলো অনেক বেশি আকৃষ্ট করে। তবে আমি মনে করি এই ধরনের কালারিং খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যতই ভালো কালার মিক্স করুক না কেন এটি অবশ্যই ক্ষতিকারক। অনেক সময় দেখা যায় মানুষ খাবারের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের ফুড কালার ব্যবহার করে থাকেন। আমি মনে করি ফুড কালার ব্যবহার না করে যে খাবার গুলো তৈরি করা হয় সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য আরো অনেক বেশি উপকারী। যাক সে দিকে আর যাচ্ছিনা কেক ডেজার্ট খেতে খুবই ভালো লাগছিল আর খেতেও দারুণ ছিল।
জর্দা পোলাওঃ-
এখন আপনারা খাবারের যে প্লেট দেখতে পাচ্ছেন এটি অবশ্যই মিষ্টি জাতীয় খাবার। এই জর্দার পোলাও এত লোভনীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছিল এখানে বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস ইউজ করা হয়েছে। আমি মনে করি এ ধরনের খাবার খেতে বেশ মজার হয়। তাছাড়া ও এখানে বিভিন্ন ধরনের ভালো উপকরণ থাকার কারণে যা খুবই হেলদি হবে। তবে যারা মোটা তারা অতিরিক্ত খেলে কিন্তু সমস্যা হবে। এই ধরনের লোভনীয় খাবারের প্লেটে আমি ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠান থেকে নিয়েছিলাম। যে খাবারগুলো আমার দেখতে খুবই ভালো লাগছিল।
পায়েসঃ-
কম বেশি আমরা সবাই পায়েস খেতে পছন্দ করি। তবে অনেকে আছেন মিষ্টি জাতীয় খাবার খুবই কম খেয়ে থাকেন অনেক কম পছন্দ করেন। কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লাগে মিষ্টি হোক বা ঝাল জাতীয় খাবার হোক। বুঝতেই তো পারছেন দুই ধরনের খাবার যাদের পছন্দ হয় তাদের মুখের অবস্থা কেমন হা হা হা। বেশ ভালো রুচি আছে বলা যায় মুখে যে ধরনের খাবার খায় না কেন খেতে ভালো লাগে। পায়েস খেতে খুবই মজার ছিল। বিশেষ করে দুধের মালাই দিয়ে তৈরি করার কারণে খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল।
সালাদঃ-
বর্তমান সময়ে ডায়েট এর ক্ষেত্রে সালাদের কোন বিকল্প নেই। যারা ডায়েট করে থাকেন তারা বেশিরভাগ সালাদ খেয়ে থাকেন। আবার অনেকেই আছেন যে কোন খাবারের সাথে সালাদ খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে ঝাল জাতীয় খাবারের সাথে সালাদ খুবই পছন্দের আমার। এ ধরনের সালাদ খেয়ে পেট ভরা রাখা যায়। এরপর অন্যান্য খাবার খেলে তেমন খেতে ইচ্ছে করে না যার কারণে আমাদের কম খাবার খাওয়ার সুযোগ হয়। এই সালাদের কালার দেখতে যেমন সুন্দর ছিল কিন্তু তেমনি খেতে সুস্বাদু ছিল।
চিকেন নাগেটঃ-
আমরা বিকেল বেলায় যেকোনো ধরনের ভাজাপুড়া খেতে খুব পছন্দ করি। যদিও সব সময় নয় মাঝেমধ্যে এ ধরনের খাবারগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে আমার বাচ্চারা খুবই পছন্দ করে থাকেন চিকেন এর তৈরি যেকোন খাবার জিনিস। আমি এক নাগেট গুলো ঘরে তৈরি করেছিলাম। যেটি তৈরি করার পরে আমি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম রেসিপির। সেই সুন্দর নাগেট এর প্লেট আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি।
চিড়ার কাস্টার্ডঃ-
এই ধরনের ডেজার্ট আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে আমি এই চিড়ার ডেজার্ট তৈরি করেছিলাম রমজান মাসে। ইফতারি করে এই ধরনের ডেজার্ট খাবারগুলো খেলে স্বাস্থ্য অনেক বেশি ভালো থাকে। এখানে আমি চিড়া ব্যবহার করেছিলাম। সেই সাথে দুধ এবং বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস এবং নরমাল ফ্রুটস দেওয়ার কারণে খাবারটি খুবই গরজিয়াস ছিল। যদি সারাদিন রোজা রেখে এরকমের এক বাটি চিড়ার ডেজার্ট খাওয়া যায় তাহলে মনটা অনেক বেশি শান্ত হয়ে যায়।

ক্যামেরার বিবরণ
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
লোকেশন | কক্সবাজার |
ক্যাটাগরি | ফুড ফটোগ্রাফি। |
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আজকে লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু। আপনার লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে তো এখন খেতে ইচ্ছে করছে ।অনেক সুন্দর সুন্দর খাবার ছিল যেগুলো আপনার খুবই পছন্দের। আপনার করা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে পছন্দের খাবার গুলো দেখে ভালো লাগলো।
তাহলে চলে আসেন বোনের বাসায় তৈরি করে খাওয়াবো।
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলেই সব সময় লোভ লেগে যায় আপু। আপনার তৈরি করার নাগেটস গুলো দেখেই মজা লাগছে। এগুলো খেতে ইচ্ছে করছে এই শীতের সময়।তবে যে কেক শেয়ার করলেন এটা আসলে আমাদের জন্য ক্ষতিকর। কারণ ফুড কালার ব্যবহার করা হলেও এগুলো অনেক বেশি ক্ষতিকারক কেমিক্যাল।
একদম ঠিক বলছেন আপু ফুড কালার ইউজ করা মোটেই ঠিক নয়।
বেশ কয়েকটি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দিয়ে একটি ফটোগ্রাফি অ্যালবাম সাজিয়েছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা জর্দা পোলাও রেসিপির ফটোগ্রাফি টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়াও বাকি সব ফটোগ্রাফী বেশ মজাদার।
অনেক ভালো লেগেছে আপনার কাছ থেকে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা শুনে।
লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। ডেজার্ট এবং জর্দা পোলাওর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। বিশেষ করে কেক অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করেছেন। লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কেক গুলো দেখতে যেমন লোভনীয় ছিল খেতেও তেমন সুস্বাদু ছিল আপু।
কি দারুন দারুন সব খাবারের ছবি আপনি শেয়ার করলেন আজ আমাদের সাথে। স্টাটার থেকে ডেজার্ট, কোন ঠিক বাদ দেননি দেখছি। সাথে ফল স্যালাদ, সব মিলিয়ে কমপ্লিট মেনু । ছবিগুলো খুব ভালো তুলেছেন।
ধন্যবাদ দিদি, আমার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগার জন্য।
আমার আজকের টাস্কঃ-
আপু আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে লোভে পড়ে গেলাম। প্রতিটি খাবার দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। শুধু তাই নয় খেতেও ইচ্ছে করছে। পায়েস আমার খুব পছন্দের তাছাড়া ফালুদা কাস্টার্ড খেতে খুবই সুস্বাদু। এত সুন্দর লোভনীয় ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ফটোগ্রাফি গুলো সময় দিয়ে দেখলেন অনেক ভালো লেগেছে।
খুবই মজাদার মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে এরকম খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে থাকেন এই রাতের বেলা খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে জিভে জল এসে গেল। বিশেষ করে জর্দা পোলাও রেসিপিটি দেখে একদম লোভ সামলাতে পারেনি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলছেন জর্দা পোলাও রেসিপিটা আমার কাছেও দারুন লেগেছিল সেই দিন।
বেশি লোভনীয় সাতটি খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার এই লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি ছিল এগুলো।
অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে ফটোগ্রাফার ব্লগ ভিজিট করার জন্য।
কালারিং কেক দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। মজার মজার সব খাবারের ছবিগুলো দেখে অনেক সুন্দর লাগছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে আপু। চমৎকার হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো।
অনেক ধন্যবাদ আপু খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগার জন্য।