শুভ বিকেল সবাইকে,
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে সব সময় ভালো থাকার চেষ্টা করি বন্ধুরা। আজকের নতুন ব্লগে আপনারা সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের রেসিপি ব্লগে। চেষ্টা করি প্রতি সপ্তাহে একটি করে রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। রেসিপি তৈরি করতে একটু সময় দিয়ে করতে হয়। যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিয়ে করতে হয় বলে সব সময় ইউনিক রেসিপিগুলো তৈরি করা হয়ে ওঠেনা। তাছাড়া ইউনিক কিছু রেসিপি তৈরি করতে হলে যথেষ্ট পরিমাণ পরিশ্রম হয়। তারপরও চেষ্টা করি প্রতি সপ্তাহে একটি করে ভিন্ন ধরনের রেসিপি শেয়ার করতে। বন্ধুরা আজকে আমি যে রেসিপি শেয়ার করবো তা হচ্ছে কাঁঠালের রস প্যান কেক তৈরি করা।
আমরা তো দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। তাছাড়াও আমরা সকাল বিকাল ভিন্ন ধরনের নাস্তা খাওয়া পছন্দ করি। বিকেল বেলা আমরা একটু ভাজাপুড়া খেতে চাই চায়ের সাথে। কাঁঠালের সিজন আসলে আমি কাঁঠালের রস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করি। যে কাঁঠালের কোয়া গুলো একটু নরম হয়ে যায় সেগুলো দিয়ে পিঠা বানালে খেতে খুবই ভালো লাগে। একদিকে পুষ্টিকর একটি খাবার অন্যদিকে কাঁঠালের ফ্লেভারে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। বন্ধুরা আমি কাঁঠালের রস দিয়ে পাকন পিঠা তৈরি করি বেশির ভাগ সময়। তবে আমি দুই দিন আগে এই রেসিপিটি তৈরি করেছি। চিন্তা করলাম যে কাঁঠালের রস দিয়ে প্যান কেক তৈরি করবো। সত্যি খেতে এত সুস্বাদু হয়েছে আপনারা না খেলেই বুঝতে পারবেন না।
কাঁঠালের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন “এ”। আমরা সিজন আসলেই পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁঠাল খাওয়ার চেষ্টা করি। যেহেতু আমাদের জাতীয় ফল আমরা খুব স্বল্প মূল্যে পেয়ে থাকি কাঁঠাল গুলো। আমাদের জাতীয় ফল-কাঁঠাল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আর বাচ্চারা তো খেতে কম চাই। যেহেতু কাঁঠালের রস দিয়ে পিঠা তৈরি করলে খেতে পছন্দ করে তাহলেই মন্দ কিসের। তবে আপনারা এভাবে তৈরি করে খেয়েছেন কিনা জানিনা। কিন্তু আমি ছোটকাল থেকেই এই রেসিপিটির সাথে পরিচিত। আমার মা কাঁঠালের রস দিয়ে সব সময় পিঠা তৈরি করতেন সিজন আসলে। সেখান থেকে শিখা এই রেসিপিটি। আশা করি আপনাদের কাছে রেসিপিটি ভালো লাগবে। কাঁঠালের রস দিয়ে প্যান কেক তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। তাহলে ধাপ গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি বন্ধুরা—--
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ |
আপনারা তো দেখতে পাচ্ছেন প্রথমে আমি সব উপকরণসমূহ রেডি করে নিয়েছি পরিমাণ মত নিয়ে।
কাঁঠালের রস দিয়ে প্যান কেক তৈরীর ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
প্রথমে আমি কাঁঠালের কোয়া গুলো নিয়েছি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। কাঁঠালের কোয়ার ভিতর থেকে বিচি গুলো বের করে নিয়েছি। বিচিগুলো বের করে নেওয়ার পরে ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
রান্নার ধাপ-২
বন্ধুরা আমি প্রথমে উপকরণ সমূহ উল্লেখিত পরিমাণ আপনাদেরকে দেখিয়ে নিয়েছি। এখন সরাসরি পিঠা প্রস্তুতির ধাপে চলে যাচ্ছি। পিঠা তৈরির জন্য প্রথমে একটি বড় পাত্র নিয়েছি। সেখানে উল্লিখিত পরিমাণ সব উপকরণসমূহ ঢেলে নিচ্ছি। এই ধাপে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি কি কি উপকরণ নিয়েছি।
রান্নার ধাপ-৩
সবশেষে দিয়েছি বেকিং সোডা এবং স্বাদমতো লবণ। এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি সব উপকরণ দেওয়া শেষ করেছি। এখন হ্যান্ড বিটার দিয়ে ভালো করে বিট করে নিতে হবে যাতে ভিতরে শক্ত থেকে না যায়।
রান্নার ধাপ-৪
যখন ভালোভাবে বিট করে নেওয়া শেষ হয়ে যায় তখন কোরা নারকেল গুলো দিয়ে দিলাম। নারকেল দেওয়ার পরে আবার কিছুক্ষণ মিশিয়ে নিয়েছি। এরপরে ত্রিশ মিনিটের জন্য রেখে দিব।
রান্নার ধাপ-৫
এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি ফ্রাই প্যান নিয়ে নিলাম। ফ্রাই প্যানের মধ্যে হালকা তেল ব্রাশ করে নিয়েছি। যেহেতু আমি ডো তৈরি করার সময় তেল দিয়েছি এখন প্যান কেক তৈরি করতে পর্যাপ্ত তেল দেবো না তাই তেল ব্রাশ করে তৈরি করবো প্যান কেক। তেল ব্রাশ করার পরে একটি চামচের সাহায্যে প্যান কেক সাইজের ফ্রেই প্যানের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
রান্নার ধাপ-৬
এক সাথে তিনটে করে দিয়েছি। ঢাকনা দিয়ে চুলার আঁচ একদম লো হিট এ রাখবো যাতে পুড়ে না যায়। কিছুক্ষন পর ওল্টিয়ে দিয়ে এভাবে সময় দিয়ে প্যান কেক গুলো তৈরি করে নিয়েছি।
রেসিপির পরিবেশনা
বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এভাবে আমি পর্যায়ক্রমে প্যান কেক গুলো ভেজে নিলাম। এই প্যান কেক গুলো খেতে এত ভালো লেগেছে তাছাড়া অনেক বেশি সফট হয়েছিল। যেহেতু আমি কাঁঠালের রস দিয়েছি ফ্লেভারটাও অসাধারণ ছিল। যেহেতু প্যান কেক এর মত করে তৈরি করেছি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আসলে আমি তেলের মধ্যে ভাজা করে করি নাই কারণ ভাজাপুড়া শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ডুবো তেলে ভেজে নিলেও খুবই মজার হয়। কালার যেমন সুন্দর হয়েছে খেতেও তেমনি সুস্বাদু ছিল। তবে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানিনা আমার আজকের রেসিপিটি। বন্ধুরা যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে মতামতের মাধ্যমে জানাবেন কেমন লাগলো। আর আপনারা যদি তৈরি করতে চান তাহলে আমার রেসিপিটি ফলো করে তৈরি করতে পারেন খেতে বেশ ভালো লাগে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হবো নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
কাঁঠালের রস দিয়ে প্যান কেক তৈরির রেসিপি দেখে অবাক হয়েছে গেলাম। এই রেসিপি আমি আগে কখনো করিনাই। তবে প্যান কেক গুলোর কালার কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছে। দেখে মনে হয় খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। 🌹
ধন্যবাদ আপু বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মতামত পড়ে। আশা করি রেসিপিটি তৈরি করবেন আপনিও।
চেষ্টা করবো আপু 💞
কাঁঠালের রস দিয়ে যে কোন ধরনের পিঠা খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি আমার আম্মুর হাতে তৈরি করা কাঁঠালের রসের পিঠা বেশ কয়েকবার খেয়েছিলাম। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কাঁঠালের রস দিয়ে প্যান কেক তৈরির রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল আপু।
বেশ মজার হয় কাঁঠালের রস দিয়ে পিঠা তৈরি করে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আগে জানতাম কাঁঠাল ভেঙ্গে কোয়া থেকে বিচি গুলো বের করে সোজা খেয়ে ফেলে। এখন দেখছি কাঁঠাল দিয়ে কেকও তৈরী করে খায়। আরো কত রকমের খাবার যে দেখবো আল্লাহই জানে। আপনারা এত সুন্দর সৃজনশীল বুদ্ধি কোথায় লুকিয়ে রাখেন,বলেন তো। কাঁঠালের রস দিয়ে প্যান কেক তৈরির রেসিপি দেখে আমি ফিদা হয়ে গেছি। ধন্যবাদ।
এটাতো আমার ছোটকাল থেকেই এই কাঁঠালের পিঠার সাথে পরিচিত। আপনিও দেখবেন এভাবে খেয়ে অনেক ভালো লাগবে।
অনেক আগে একবার এভাবে কাঁঠাল দিয়ে প্যানকেক তৈরি করেছিলাম। আমার কাছে ভালই লেগেছিল খেতে তবে অনেকদিন করা হয়না। যেহেতু এখন কাঁঠালের সিজন তাই এই রেসিপিটা খুব সহজেই তৈরি করা যাবে। আপনার কাছে এই রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপু এত মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বাহ তাহলে তো বেশ ভালো আপু যেহেতু আপনিও তৈরি করতে জানেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
কি দারুন সুন্দর হয়েছে আপু আপনার কাঁঠালের প্যান কোক গুলো।আমার সত্যি খেতে মন চাচ্ছে বানিয়ে আপনার কেকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে প্যান কেক তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় কেকের রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
কালারটা যেমন সুন্দর হয় আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে কাঁঠালের একটি ফ্লেভার পাওয়া যায় পিঠা থেকে সেটা অনেক বেশি ভালো লাগে।
আমাদের বাসায় ও বানানো হয় কাঁঠালের রস দিয়ে পিঠা,আর আপনি বানিয়েছেন প্যানকেক।প্রায় একই রকম রেসিপি।যাই হোক প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু আগে কিন্তু বড়া এবং পাকন পিঠা তৈরি করতাম। এইবারে প্যানকেক তৈরি করলাম।
কেক প্রায় তৈরি করে খাওয়া হয় কিন্তু প্যান কেক তেমন একটা তৈরি করা হয় না। আপু আপনি আজকে একদম ইউনিক একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। এর আগে আমি কখনো পাকা কাঁঠাল দিয়ে এভাবে প্যানকেক তৈরি করতে দেখিনি বা শুনে নি। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার রেসিপিটা। খেতে মনে হয় ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল।
আপনিও তৈরি করবেন আপু আমার পদ্ধতি দেখে ভালো লাগবে খেতে আশা করি।
আমার কাছে এরকম প্যান কেকগুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি কাঁঠালের রস দিয়ে অনেক মজাদার প্যান কেক তৈরি করেছেন। আমার কাছে দেখতে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর এটা দেখে এখন খেতেও অনেক ইচ্ছে করতেছে। সন্ধ্যা বেলায় কিন্তু এটা গরম গরম হলে আর কোনো কিছুরই প্রয়োজন হবে না। আমি তো এই কেক অনেকবার তৈরি করেছিলাম। ধন্যবাদ এই রেসিপি সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তাহলে তো বেশ ভালোই হলো যেহেতু আপনিও তৈরি করতে জানেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আজ আপনার কাঁঠালের রস দিয়ে প্যান কেক তৈরি করা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলে এভাবে আমার কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে প্যান কেক তৈরির পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন। আপনার তৈরি করার পদ্ধতি দেখে আমিও তৈরি করব কাঁঠালের রস দিয়ে প্যানকেক। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
খেয়ে দেখবেন আপু খেতে খুবই সুস্বাদু অনেক সুন্দর একটি ফ্লেভার আসে।
আপু কাঁঠাল দিয়ে কখনো কোন পিঠা খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার ছিল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করবো।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার তো বেশ ভালো লাগে আপু আমি সিজন আসলে কাঁঠাল দিয়ে পিঠা খাওয়ার চেষ্টা করি। আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। তালের রসের মত প্রায়।