বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির- (পর্ব-৫)।
হ্যালো বন্ধুরা!
সবাই কেমন আছেন পড়ন্ত বিকেলে?
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার আশা করি সকলেই ভাল আছেন? আমিও সকাল থেকেই অনেক ব্যস্ত ছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে গানের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা। খাওয়া দাওয়া করে যখন ফ্রি হলাম তখন ভাবলাম আপনাদের সাথে একটু কানেক্টেড হয়। আপনাদের সাথে কানেক্টেড হওয়া মানে তো ব্লগিং শেয়ার করব ভালো-মন্দ। আপনারা এসে খুব সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করেন এগুলো পড়ে বেশ ভালো একটি সময় যায়। সেই অনুযায়ী আজ নতুন একটি ব্লগিং শেয়ার করব আপনাদের সাথে। আজ আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামের পঞ্চম পর্ব নিয়ে এসেছি। এর আগে আমি চারটি পর্ব শেয়ার করেছি ধারাবাহিকভাবে বেশ ছাড়া পেয়েছি। আশা করি আমার আজকে পর্ব আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রাচীনকালের সেই গ্রামে ঐতিহ্যগুলো বর্তমানে নেই বললে চলে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সভ্যতার সেই ঐতিহ্য আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় অতল গর্তে তলিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। সেই পুরনো দিনের স্মৃতি আসবাবপত্র এছাড়া ও মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহৃত জিনিসপত্র এখন আর নেই বললেই চলে। তখনকার মানুষ মাটির তৈরি জিনিসপত্র, বাঁশের তৈরি ও বেতের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র ব্যবহার করত। বড় বড় গাছ দিয়ে খোদাই করা অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র মানুষ ব্যবহার করত। মানুষ তখন মনের ভাব প্রকাশের জন্য তেমন কোনো মাধ্যম ছিল না। আস্তে আস্তে মানুষ লিখতে শিখে পড়তে শিখে মনের ভাব আদান প্রদান করতে শিখে পত্র লেখার মাধ্যমে।
কিন্তু সেই অতীতের পত্র লেখার যে একটা প্রচলন ছিল বর্তমানে সভ্যতার ছোঁয়ায় আজ হারিয়ে গেছে। যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল ফোন বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ একমাত্র মাধ্যম এখন।
মানুষ এখন আগের মত পত্র বিনিময়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করে না। এইসব হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার স্মৃতিগুলো বাংলাদেশের জাতীয় মিউজিয়ামে স্মৃতিগুলো ধারণ করেছে। যাতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বেড়ে ওঠা প্রজন্মরা সেই স্মৃতিগুলো দেখে বাঙালির ঐতিহাসিক গ্রামীন ঐতিহ্যগুলো অনুধাবন করতে পারে। মানুষ আগে পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা বা বোট। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন সেতু স্থাপন এবং যান্ত্রিকতার কারণে সেই নৌকাগুলো আর ব্যবহৃত হয় না। এখন সাগরের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক বোট। মানুষের প্রধান জীবিকার মাধ্যম ছিল কৃষিকাজ এবং সাগর থেকে মাছ ধরা।
মানুষের খাওয়া-দাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো কৃষি কাজ থেকে উত্তোলিত ফসল এবং সাগর দেখে নিয়ে আসা মাছগুলো। মাছ ধরার যে মাধ্যমগুলো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নৌকা ও বোট সেগুলা বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে অনেক সুন্দর করে রাখা হয়েছে। বাঙালির সেই নিদর্শন বিভিন্ন ধরনের পোশাক আশাক বিভিন্ন ধর্ম, কৃষ্টি, কালচার ও উপজাতিরা রয়েছে সব স্মৃতি বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ মিউজিয়ামে রয়েছে দেশ-বিদেশের নামকরা বিভিন্ন কালচার নিয়ে স্মৃতি।
যতক্ষণ বাংলাদেশ মিউজিয়ামে ছিলাম ততক্ষণ অনেক ভালো লেগেছিল। অনেক গুলো ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম সেগুলো আপনাদের সাথে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করতেছি। আপনারা বেশ ছাড়াও দিয়েছেন অনেক ভাল লেগেছে গত পর্বগুলোতে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে। আশা করি আমার আজকের পর্বটি আপনাদের ভালো লাগবে আজ এই পর্যন্ত তাহলে পরবর্তী পর্ব নিয়ে আবার উপস্থিত হব। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | w3w |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বাংলাদেশের ন্যাশনাল মিউজিয়ামে আপনি সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন পাশাপাশি দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। মিউজিয়াম মানে পুরানো সব স্মৃতি। এখন আধুনিকতার যুগে পুরানো ঐতিহ্য গুলো দেখা যায় না বলেই চলে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলছেন আপু আমিও এমন কিছু দেখি নাই যেগুলো জাতীয় মিউজিয়ামে যেয়ে দেখার সুযোগ হয়েছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ঘোরাঘুরি করার পূর্ব ৫ পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি করার খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করলেন দেখছি সে সাথে অসম্ভব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও ছিল। মিউজিয়ামে অনেক রকমের জিনিসপত্র রয়েছে যেগুলো দেখলে ভীষণ ভালো লাগে এমনিতে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে অনেক রকমের দৃশ্য দেখে নিলাম। ভালোই ছিল আজকের পোস্ট।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে তাই।
মিউজিয়াম মানেই তো পুরনো স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখা। আর সেই হিসেবে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পুরনো কিছু স্মৃতি দেখতে পেলাম। আসলে এটা ঠিক বলেছেন আপু পুরনো ঐতিহ্য বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেকটাই মলিন হয়ে গিয়েছে। আগে সবাই একরকম জীবন যাপন করত। কিন্তু বর্তমান জীবনযাত্রা ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। যার কারণে সে পুরনো কিছু জিনিস দেখতে হলে জাদুঘরে যেতে হয়। তাছাড়া আজকে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছেন তার মধ্যে অনেক কিছুই দেখতে পেয়েছি। বাংলা লিপির উদ্ভব ও বিবর্তন এই জিনিসটা দেখে খুব ভালো লাগলো আপু।
আমি মনে করি আগের জীবন যাপন গুলো অনেক রিয়েল ছিল আপু এখনের জীবন যাপন আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ কেমন জানি নিষ্ঠুর হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি আপনি কিন্তু দারুন ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। যদিও ন্যাশনাল মিউজিয়ামে কখনো যাওয়া হয়নি। তবে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক কিছুই জানতে পারলাম এবং দেখতে পেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
সময় সুযোগ হলে দেখতে যাবেন আপু অনেক ভালো লাগে অনেক মানুষজন এখানে যাই দেখার জন্য।
আসলেই মিউজিয়ামে ঘুরতে গেলে অনেক কিছুই চোখে পড়ে। আগেকার দিনে অনেক ছবিতে দেখেছিলাম কত বড় বড় নৌকা নিয়ে তারা সাগরের মাঝখানে যায়। কিন্তু কখনো এত বড় এবং এত সুন্দর নৌকা দেখা হয়নি। আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে পুরানো দিনের নৌকা গুলো দেখতে পেলাম। এরকম সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার আমারও খুব ইচ্ছা আছে। চারপাশের পরিবেশটা কি সুন্দর দেখাচ্ছে। আপনার পোষ্টের কারণে আমরা মিউজিয়ামটা ঘুরতে পারলাম। অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে আপনার পোস্ট।
বাংলাদেশের জাতীয় মিউজিয়ামে নাই এমন কিছু নেই আপু অনেক কিছু আছে এখানে গেলে অনেক কিছু দেখার সুযোগ আছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি করে খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফির কালেকশন করেছেন দেখছি। আসলে সেখানে গেলে একটা স্মৃতি ক্রিয়েট করা যায়। যেমন অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস দেখা যায় এবং সেটা যদি ক্যামেরা বন্দি করা যায়, তখন সেটা স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ঠিক কথা বলছেন ভাইয়া এসব জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে গেলে অনেক কিছু দেখা যায় শেখানো যায় এবং অনেক কিছু স্মৃতি ধরে রাখা যায়।
একদম যথাযথ বলেছেন আপু আমারও তাই মনে হয়। ধন্যবাদ চমৎকার একটি ফিডব্যাক দেয়ার জন্য।
আমার অনেক দিনের ইচ্ছা বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে গিয়ে ঘুরে আসবো একবার হলেও। আপনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে বেশ ভালই ঘুরাঘুরি করলেন তাহলে। আজকে আপনি ঘুরাঘুরি করার পঞ্চম পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। মিউজিয়ামের ভিতরে অনেক রকমের জিনিস রয়েছে যেগুলো অনেক বছরের পুরাতন। সেই সৌন্দর্যতা দেখলে মনটা একেবারে ভালো হয়ে যায়।
আশা করি আপনি অতি শিঘ্রই যেতে পারবেন আপনার জন্য দোয়া করি যেন আপনি আমাদেরকে যেয়ে আপডেট গুলো দিতে পারেন।
পুরাতন অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে আপু নতুন বা আধুনিকতার ছোয়ার। বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ হওয়াই এদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নৌকার একটা বিশেষ জায়গা ছিল। যদিও এখন ততটা নেই। বাংলাদেশ ভাষার আগের স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ টা এই প্রথম দেখলাম। প্রাচীন লিপিগুলো থেকেই আজকের আমাদের এই বাংলা ভাষা। অনেক সুন্দর ছিল আপনার এই পর্বের পোস্ট টা আপু।
কিছুদিন আগের কথা ও মানুষের পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। তবে এরপরে বড় বড় ফেরি বের হয়েছে এখন কিন্তু সেতু মাধ্যম হয়েছে।
আপু বাংলাদেশের ন্যাশনাল মিউজিয়ামের নৌকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। বাংলাদেশের ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি আমাদের ফাউন্ডার দাদাও পর্ব আকারে শেয়ার করে আসতেছে। আপনার পর্বে বাংলা লিপির উদ্ভব ও বিবর্তন গুলো দেখে খুব ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ।
হ্যাঁ দাদার শেয়ার করা পোস্টগুলোও দেখি অনেক ভালো লাগে দেখতে।
অনেক ভাল লাগল জাতীয় জাদুঘরের ভেতরে তোলা ফটোগ্রাফ গুলো। বাংলার প্রাচীণ ঐতিহ্য আর লিপি সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।ভাল বর্ণনাও দিয়েছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আসলে বাংলাদেশ মিউজিয়ামে নেই এমন কিছু বাদ পড়েনি সবকিছু এখানে স্মৃতি হিসেবে রাখা হয়েছে দেখতে অনেক ভালো লাগে।