ট্রাভেলিং- রাঙ্গামাটি কাপ্তাই চাং পাং রেস্টুরেন্টে ভ্রমণ।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

শুভ দুপুর প্রিয় পরিবার,

প্রিয় কমিউনিটির @amarbanglablog এর সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা সবাইকে আসসালামু আলাইকুম। লিখার শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগিং পর্বে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। তবে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি সেটা বলতে হয়। আশা করি গরম আমাদের জন্য হাতছানি দিয়ে অপেক্ষা করতেছে। আর চিন্তা করতে হবে না হা হা হা। যদিও শীতের তীব্রতা বেশি কিন্তু কারো কারো কাছে শীত অসহ্য লাগে। কিন্তু শীতের তীব্রতা বেশি হলেও আমার কাছে ভালোই লাগে। কিন্তু গরম যে আমাদেরকে শেষ করে দেবে সেটার জন্য ভয় পাচ্ছি। যাক বন্ধুরা অনেক কথাই বলে ফেললাম। এবার মূল কথায় ফিরে আসি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব রাঙ্গামাটি ভ্রমণের একটি মুহূর্ত।

f.jpg

f1.jpg

যদিও আপনাদের সাথে বলতে পারি রাঙ্গামাটি ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্ত আমার কাছে খুবই মধুর ছিল। কারণ এত সুন্দর একটি জায়গা সত্যি ভ্রমণ না করলে বুঝতেই পারতাম না কত কিছু যে দেখার বাকি ছিল। কিন্তু রাঙ্গামাটি ভ্রমণে যাওয়ার পরে মনে হল যে ভ্রমণ করাটাই স্বার্থক হয়েছে। আপনাদেরকে আমি মাঝ খানেই রাঙ্গামাটি ভ্রমণের একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। তো সেখানে আপনাদের সাথে উল্লেখ করেছিলাম আমরা একটি লেকের মাঝখানে একটি দ্বীপে নেমে গেছিলাম। যেখানে খুব সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। রেস্টুরেন্টের নাম ছিল চাং পাং রেস্টুরেন্ট। যদিও এগুলো উপজাতিদের নাম। আমার কাছে বেশ ভালই লাগছিল রেস্টুরেন্ট টি দেখে।

f2.jpg

f3.jpg

যাওয়ার পরেই আমি তো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম এত সুন্দর একটি স্বচ্ছ পরিবেশ। অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি পরিবেশ ছিল। খোলামেলা পরিবেশে প্রাকৃতিক পরিবেশের কোন অভাব ছিল না। ছিল না তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানির অভাব। যদিও মধ্যখানে একটি দ্বীপের মধ্যে রেস্টুরেন্ট অবস্থিত ছিল। কিন্তু তাদের কাস্টমার ছিল অনেক যারা রাঙ্গামাটি লেক ভ্রমণে যাই। তারা এই রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য অনেকেই খাবার অর্ডার করে দিয়ে রাখেন আগে থেকে। বুঝতেই তো পারছেন আপনারা এত বড় একটি লেকের মাঝখানে রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা।

f4.jpg

f7.jpg

তাও আবার একদম ন্যাচারেল খাবার কোন ভেজাল নেই। মাছ গুলো একদম তরতাজা ছিল। যদিও মাছ গুলো লেকের মাছ ছিল তাছাড়া লাকড়িতে রান্না। তাছাড়াও পাহাড়ি মোরগ ছিল। এছাড়াও শাক সবজি খেয়েছিলাম তাও ছিল একদম ফ্রেশ খাবার। যদিও আমরা মাছ মাংস সব সময় খাওয়া দাওয়া করি। আমরা চাইছিলাম যে জায়গায় ভ্রমণ করবো সেই পরিবেশের খাবার গুলো খাওয়ার জন্য। আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব রাঙ্গামাটি ভ্রমণের সেই রেস্টুরেন্টের কিছু দৃশ্য। তবে খাবার দাবারের ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে আমি আবার উপস্থিত হব আপনাদের সাথে। আপনারা আজকে দেখবেন এই চাং পাং রেস্টুরেন্টের চারপাশের দৃশ্য গুলো।

f6.jpg

f9.jpg

মূলত রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে চারপাশে বাঁশ দিয়ে। তারা অবশ্যই চাকমা ছিল। এখানে উপজাতিদের বসবাস। তাছাড়াও কিছু কিছু কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা বাঁশ ব্যবহার করেছেন। বাঁশ কেন ব্যবহার করেছেন তাদের চারপাশে কিন্তু বাঁশের বাগান অনেক বেশি। কিন্তু আমরা অবশ্যই সেই বাঁশ বাগানে যাইনি। বড় বড় বাঁশ বাগান এখানে তারা চাষ করে অনেক বেশি। তাদের প্রধানত খাবার হচ্ছে বেম্বো। বুঝতে পারছেন বেম্বো বাঁশের বিভিন্ন ধরনের তৈরি আইটেম তাদের খাবারের মধ্যে। এছাড়াও বেম্বো চিকেন ছিল। অন্যান্য আইটেমের ছিল বেম্বো দিয়ে তৈরি। আমি নিজেই দেখেছি তাদের রেস্টুরেন্টের সামনে অনেক গুলো কচি কচি বেম্বো রাখা হয়েছিল।

f5.jpg

f8.jpg

তারা বেম্বো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আইটেম রাখছেন। তবে যাদের পছন্দ হয় তারা অর্ডার করে এবং যাদের পছন্দ হয় না তারা অর্ডার করে না। রেস্টুরেন্টে উঠার সময় বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমি নিয়েছিলাম। চারপাশ থেকে কিছু ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করেছিলাম। তাছাড়া রেস্টুরেন্টের সব দৃশ্য আমি আপনাদের সাথে ফটোগ্রাফি আকারে শেয়ার করেছি। ভীষণ সুন্দর একটি পরিবেশ ছিল। চারপাশে লেক মাঝখানে দ্বীপ শুধু অবস্থিত। সেখানে ছোটখাটো কিছু দোকান ছিল। তবে তারা বিকেল হলে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে চলে যায়। তবে সেখানে কিছু লোকজন থেকে যায়। সন্ধ্যা হলে একদম ভয় কাজ করে। যেহেতু আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করতে একদম সন্ধ্যা হয়ে গেছিল। সন্ধ্যা নেমে আসার কারণে একটু নির্জনতা ফিরে আসে। তাই সবাই চেষ্টা করছিলাম খুব দ্রুত স্থান ত্যাগ করার জন্য।

f10.jpg

f11.jpg

কারণ অনেক অহরহ ঘটনা আছে এই লেকের মধ্যে যা মানুষ নিহত আহত বেশ ঘটনা জড়িয়ে আছে। তো যখন সন্ধ্যা হয়ে গেছিল একটু খারাপ লাগা কাজ করছিল। তাই আমরা দ্রুত বোট ছেড়ে দিয়ে চলে গেলাম। তো বন্ধুরা কি কি খেয়েছিলাম সেই পর্ব নিয়ে অবশ্যই আরেক দিন উপস্থিত হব। আশা করি এই মুহূর্তটা আপনাদের কাছে বেশ ভালই লেগেছে।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationরাঙ্গামাটি চাং পাং রেস্টুরেন্ট
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিট্রাভেলিং


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

Polish_20230713_210902326.png

Steem_Pro.png

Sort:  
 10 months ago 

রাঙ্গামাটি ভ্রমণের এ পর্বে আপনি রাঙ্গামাটির একটি রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে আমাদেরকে অবহিত করেছেন যা জানতে পেরে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।
আসলে ওই অঞ্চলের অধিবাসীরা বাঁশের ব্যবহার সবসময়ই বেশি করে থাকে।
এমনকি আমি যে বার গিয়েছিলাম তখন বাসের মধ্যে সিদ্ধ করা একটি খাবার খেয়েছিলাম অত্যন্ত সুস্বাদু ছিল।
আপনার ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি গুলো সম্পর্কে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

বাঁশের তৈরি জিনিস গুলো দেখতে খুব সুন্দর ভাইয়া। ধন্যবাদ।

 10 months ago 

রেস্টুরেন্ট এর নাম দেখেই তো আমি অবাক! চিং পাং রেস্টুরেন্ট এমন নাম হওয়ার পিছনেও মনে হয় কারণ রয়েছে। পা্হাড়ি মোরগ খেতে ভালোই লাগে আপু। আমি অনেক আগে খেয়েছিলাম। আর রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশও ভালো বুঝা যাচ্ছে 😍

 10 months ago 

পাহাড়ি মোরগ খেতে ভাল লাগে ভাইয়া।

 10 months ago 

রাঙ্গামাটি ভ্রমণের পুরো বিষয়টা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রাঙ্গামাটির এই রেস্টুরেন্ট বাশের বাঁশের তৈরি এবং এখানে বেশিরভাগ খাবার কচি বাড়িতে রান্না করা হয় এ বিষয়টা জেনে খুবই মজা পেলাম।

 10 months ago 

আসলে সেখানে অনেক বাঁশ চাষ করা হয়। তাই তারা খাবার টিও সহজে পেয়ে যাই।

 10 months ago 

জ্বি আপু। আর পাহাড়িরা বাঁশ খেতে বেশি পছন্দ করে 😀😀

Coin Marketplace

STEEM 0.24
TRX 0.21
JST 0.036
BTC 97936.99
ETH 3366.06
USDT 1.00
SBD 3.35