হিমোগ্লোবিন কম (৭.৫) দুই ব্যাগ ব্লাড নিতে হচ্ছে।
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পরিবারের সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে? নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন। আমিও ভালো আছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে। তবে একটু অসুস্থ। একটু বললে ভুল হবে মারাত্মকভাবে অসুস্থ। তবে অসুস্থ হলেও নড়াচড়া খাওয়া দাওয়া সবকিছু করতে হচ্ছে। একদম যে শুয়ে থাকব সেই রকম কোন উপায় নেই আবার শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে না তেমন। ছোটখাটো হাতের কাজ থাকে কাজগুলো আছে সেগুলো করে নেওয়ার চেষ্টা করি। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা রয়েছেন তাদের খাবার দাবারের খেয়াল রাখতে হয় তাদের দেখাশোনা করতে হয়। সেই অসুস্থতার মাঝেও আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিং নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তাছাড়া ও সাংসারিক কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি। বলতে গেলে কোন রকমের কষ্টের মধ্যে দিন চলে যাচ্ছে।
অবশ্যই বুঝতে পারছেন আমি কি বিষয়ে শেয়ার করব আপনাদের। অসুস্থতা নিয়ে আজকে আমি আপনাদের সাথে লিখব। আসলে আমার এই বছরটা অসুস্থতার মধ্যে গেল। যেহেতু গত বছরের নভেম্বর মাসে আমরা মাকে হারিয়েছি। মা আমাদেরকে চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। সেই গত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই পুরো বছরটা খুবই খারাপ গেছে। চারদিকে খারাপ খবর চারদিকেই অশান্তি শারীরিক অশান্তি সবকিছু মিলিয়ে যেন এক বিষন্নময় জীবন। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ ভালো আছি। সৃষ্টিকর্তা হয়তো ভাগ্যের মধ্যে যা লেখা থাকে সেগুলোই ঘটে থাকে। সবকিছু মিলিয়ে বাচ্চাদেরকে নিয়ে জীবনটা খারাপ যাচ্ছে না ভালো আছি। ডাক্তারের কাছে যেতেই থাকছি। একটা না একটা ডাক্তার চেঞ্জ করতে আছি। কারণ যে রোগের বিশেষজ্ঞ সে রোগের ডাক্তারের কাছে যেতে হয়।
যেহেতু একটি ডাক্তারের কাছ থেকে এই ট্রিটমেন্ট নিচ্ছি প্রতিনিয়ত। ডাক্তার বলল টেস্ট করানোর জন্য। যেহেতু চোখ দেখে বললো যে হিমোগ্লোবিন কম। তো আমিও টেস্ট করাই নিলাম ডাক্তারের কথা মত। আসলেই বুঝতে পারি নাই আমার হিমোগ্লোবিনে এত কমে যাবে। কারণ হিমোগ্লোবিন কমে গেলে যে কিছু লক্ষণ দেখা যায় তা আমার শরীরের মধ্যে সেগুলো একদম দেখা যায়নি। যদিও কাজ করতে গেলে একটু হাঁপিয়ে যেতাম। কিন্তু আমি মনে করেছিলাম সেটা একটু শারীরিক দুর্বলতা সেজন্য। কিন্তু এভাবে যে হিমোগ্লোবিন কমে যাবে সেটা আমি মোটেও বুঝতে পারি নাই। কারণ হিমোগ্লোবিন অনেকবার কমে গিয়েছিল আমার সেই দিক থেকে বুঝতে পারি যে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার শারীরিক যে সমস্যাগুলো দেখা যায় সে সমস্যাগুলো আমার মোটেও হয়নি।
হঠাৎ করে যখন রিপোর্ট হাতে পেলাম মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরার মত অবস্থা। কারণ কমে যাবে কিন্তু এত কমে যাবে আমি বুঝতে পারি নাই। তাহলে আমি আগে থেকে একটু সতর্ক থাকতে পারতাম। হঠাৎ করে যখন ৭ঃ৫হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ দেখতে পেলাম তখন খুবই খারাপ লাগলো। মুহূর্তের মধ্যে আমার মনোবল শক্তি একদম দুর্বল হয়ে গেলো। এরপরে দেখা গেলে যে আমার প্রেসারটা বেড়ে গেল। হিমোগ্লোবিন যেহেতু কমে গেল রিপোর্টটা নিয়ে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে দেখা করলাম। ডাক্তার আমাকে বললেন প্রেসার মেপেছি কিনা। আমি বললাম না এই কয়েকদিনে আমার প্রেসার চেক করা হয়নি। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম প্রেসার বাড়া কিনা। তখন উনি আমাকে বললেন হ্যাঁ একটু বাড়া আছে।
তাই ডাক্তার আমাকে প্রেসারের ওষুধের পরিমাণ আগের তুলনায় আরেকটু বাড়িয়ে পরিবর্তন করে দিলেন। যেহেতু আয়রন ক্যালসিয়াম ওষুধ খেতে পারিনা গ্যাসের সমস্যা অনেক বেড়ে যায় তাই আমাকে ব্লাড দেওয়ার জন্য বললেন। যেহেতু গ্যাসের পরিমাণ এভাবে বেড়ে যায় একদম নিঃশ্বাস নিতে পারি না। স্বাভাবিক অবস্থায় অনেক বেশি গ্যাসের সমস্যা করে। সেই জায়গায় আয়রন ক্যালসিয়াম খেলে অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। ডাক্তার আমাকে বলল ঠিক আছে রক্ত দিব কিনা বা রক্তে স্যালাইন দিব তার জন্য আমাকে কিছু টেস্ট করে নিতে হবে আবারো। কি কারণে রক্ত কমে যাচ্ছে সে বিষয়টা দেখতে হবে কোন সমস্যা আছে কিনা শারীর।
টেস্ট গুলো লিখে দিলো একটা টেস্টের মধ্যে ৫ হাজার টাকা করে তিন-চারটা টেস্ট দিল আমাকে। তো সেগুলো আমি ক্লিনিকে দিয়ে এসে তিন দিন পরে রিপোর্ট পেলাম। গতকালকে রিপোর্ট হাতে পেয়ে আবারো ডাক্তারের কাছে চলে গেছি। তখন উনি বললেন আসলে কোন সমস্যা পাওয়া যায়নি আপনাকে দুই ব্যাগ ব্লাড দিতে হবে। তো এই হল সিদ্ধান্ত। এক ব্যাগ ব্লাড দেওয়ার পরে এক সপ্তাহ পরে আর এক ব্যাগ দিতে হবে। যেহেতু প্রেগনেন্সিতে কম সময়ের মধ্যে এত পরিমাণ ব্লাড কমে গেছে। হয়তো আরো দেরি হলে আরো পরিমাণ কমে যেতে পারে। সেই জন্য ব্লাড নেওয়া দরকার।
অল্প পরিমাণ কমে গেলে সেগুলো খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পূরণ করা যায়। কিন্তু অতিরিক্ত কমে গেলে একদম সিভিয়ার হয়ে গেলে তো ব্লাড নিতে হবে। তাই আমিও আর না করি নাই যেহেতু আমার জীবন আমার ভালোমন্দ আমাকে বুঝতে হবে। আজকের সন্ধ্যায় এক ব্যাগ ব্লাড দিয়ে দিব। বাকি এক ব্যাগ এক এক সপ্তাহ পরে দিতে হবে। দোয়া করবেন সবাই যেন সবকিছু ঠিকঠাক হয়। শারীরিক সুস্থতা হচ্ছে আল্লাহর নিয়ামত। অসুস্থ হলে বোঝা যায় ভোগান্তি কেমন। কারো জীবনে যেন এমন অসুস্থতা নেমে না আসুক। সবার জন্য দোয়া করছি। আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন।
লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | Wiko-T3 |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#lowhemoglobin #suffering-fromillness #feelingsshare #creativewriting #amarbanglablog #steemxclusive #shy-fox
আমার আজকের টাস্কঃ-
শারীরিক সুস্থতা আমাদের জন্য কত বড় একটি নিয়ামত সেটা আমরা অসুস্থ না হলে বুঝতেই পারি না। আপনার হিমোগ্লোবিন খুবই কম থাকার কারণে দুই ব্যাগ ব্লাড দেওয়া লাগবে। আজকের সন্ধ্যায় একদম ব্লাড দেওয়ার পর আশা করছি অনেকটাই সুস্থ হয়ে যাবেন। আমারও প্রেগনেন্সি সময় দুই ব্যাগ ব্লাড দেওয়া লেগেছিল হিমোগ্লোবিন কম থাকার কারণে। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল আপু।
এটাই আশা করছি আপু ব্লাড দেওয়ার পর যাতে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায় দোয়া করবেন আমার জন্য।
আপনার শারীরিক অসুস্থতার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগছে আপু। দোয়া করি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। ব্লাড নেওয়ার পর আশা করি সুস্থ হয়ে যাবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
সবার দোয়া যেন আল্লাহ কবুল করেন তাই যেন হয় সুস্থ হয়ে যাই।
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
দুই ব্যাগ ব্লাড নিন এবং সুস্থ হয়ে উঠুন আপু।
ইনশাআল্লাহ সামনের দিনগুলো আপনার জন্য মঙ্গলজনক হবে। আসলে মায়েরা অসুস্থ হলেও সব কাজ করতেই হয়, কি আর করা।
ধন্যবাদ আপু আপনার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
শত অসুস্থ হলেও বাচ্চাদের জন্য কাজ করতে একদম কষ্ট লাগে না ভালো লাগে সব সময়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সব সময় দোয়াতে রাখবেন।
https://x.com/nahar_hera/status/1870903412864524661?t=Djc_hyHFdrqkO9QC1P7w0w&s=19
হঠাৎ করেই হিমোগ্লোবিন এত কমে গেল! এটা আসলেই চিন্তার বিষয়। আপনার আবার গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। সবুজ ফলমূল খাওয়ার ট্রাই করেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলেন। আশা করি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন আপু। আপনার জন্য দোয়া রইল
প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি খায় তারপরও গ্যাসে ডিস্টার্ব করে। গত কালকে রক্ত এক ব্যাগ দিয়ে দিলাম আলহামদুলিল্লাহ।
আরও খেতে থাকেন আপু, শারীরিক পরিশ্রম করারও চেষ্টা কইরেন।
আপু প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আপনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ জানতে পেরে অনেক খারাপ লাগলো। আপনার হিমোগ্লোবিন খুব কম হওয়ার কারণে ডক্টর বলেছে ২ ব্যাগ ব্লাড দেওয়া লাগবেদেওয়া লাগবে ।আশাকরি দুই ব্যাগ ব্লাড দেওয়ার পরে আপনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে যাবেন। আপনার জন্য দোয়া রইল।
যেহেতু ডাক্তার সাজেস্ট করলো তাই অবশ্যই দেব ভাইয়া যাতে সুস্থ হয়ে যাই দোয়া করবেন।
আপু আপনার অসুস্থতার কথা শুনে সত্যিই অনেক খারাপ লাগছে। এরকম অসুস্থ হলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু। অনেক অনেক দোয়া রইল আপনার জন্য।
আজ থেকে বছর চারেক আগে আমিও একই সমস্যায় পড়েছিলাম আপু।তবে আমি ব্লাড নেইনি। বেশ কিছু দামি স্যালাইন এবং অনেক পরিমাণে ফলমূল, এবং দেশি ছোট মুরগি খেয়েছিলাম অনেক। আর দিনে দুটো করে ডিম এক কেজি করে দুধ খেতে বলেছিলো ডাক্তার। এখন অবশ্য সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে।দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন আপু এই কামনাই করি।
আপনার অসুস্থতার কথা জানতে পেরে অনেক বেশি খারাপ লাগছে আপু। দোয়া করি আপনি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন । ডাক্তার বলেছেন দুই ব্যাগ রক্ত দিতে হবে আপনাকে। আশা করি রক্ত দেওয়া হলে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু।