ট্রাভেলিংঃ-ইসলামাবাদ রেলওয়ে স্টেশন ভ্রমণ- (২য় পর্ব) শেষ পর্ব।
কেমন আছেন সবাই?
প্রিয় কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম? আশা করি বন্ধুরা আপনারা সকলেই ভালো আছেন? আমিও কিছুটা ভালো আছি তবে পুরোপুরি ভালো নেই বলতে গেলে। গতকালকে আমি আপনাদেরকে পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছিলাম একটু গ্রামে যাব। আমার ছোট ভাই বিদেশ থেকে দেশ আসলো তাই একটু দেখতে গেলাম। গতকালকে গেছিলাম আর আজকে ফিরে এসেছি বেশ জার্নি গেল। বিশেষ করে গ্রামে এত বেশি গরম তা গ্রামে থাকলেই বোঝা যায়। অনেক বেশি গরম একদম অস্থির হয়ে গেছিলাম। আজকে সন্ধ্যায় আবারো বাসায় ফিরে আসলাম যেহেতু বাচ্চাদের স্কুলে এখন ভালো ক্লাস চলতেছে তাই থাকার ইচ্ছে থাকলেও চলে আসলাম। অবশেষে নিজ গন্তব্যে ফিরে এসে একটু ফ্রি হয়ে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম।
যেহেতু পোস্ট দিনের বেলায় শেয়ার করার চেষ্টা করি বিকেলে বাচ্চাদেরকে পড়ালেখা করাতে বসাতে হয়। তাই আজকে দেরি হয়ে গেল যেহেতু গ্রাম থেকে আসলাম ব্যস্ত সময় কাটিয়েছি। যখন সময় সুযোগ হল তখনই আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করতে উপস্থিত হয়ে গেলাম। আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইসলামাবাদ রেলওয়ে স্টেশন ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব। যদিও বন্ধুরা আমি প্রথম পর্ব আপনাদেরকে শেয়ার করেছিলাম। সেই সুযোগে আমি আপনাদেরকে আজকে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে চলেছি।
বর্তমান সময়ে সড়ক পথ কিংবা নৌপথ অথবা আকাশ পথ সবকিছুতেই অনেক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুধু আমাদের বাংলাদেশ সরকার নয় পুরো বিশ্বের মধ্যেই বেশ উন্নতির ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশেও অনেক বেশি কাজ করতেছে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সড়ক পথের উন্নয়নে। তবে ইদানিং দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেলওয়ে স্টেশন এবং রেলওয়ে সড়ক চালু হয়েছে। আমাদের কক্সবাজারে ও তার ব্যতিক্রম নয়। বেশ ভালো লাগে এখন কক্সবাজারে আসা কিংবা কক্সবাজার থেকে ঢাকা শহরে যাওয়ার অনেক সুযোগ হয়েছে সবার জন্য। বিশেষ করে যারা পর্যটকরা আসেন তাদের জন্য অনেক বেশি উপকারে আসলো। যখন প্রথম দিন আমি আপনাদেরকে শেয়ার করেছি ইসলামাবাদ রেলওয়ে স্টেশন দেখার অনুভূতি। সেদিন আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল রেলওয়ে স্টেশনটি দেখে।
কারণ দীর্ঘদিনের মানুষের স্বপ্ন ছিল রেলওয়ে স্টেশন চালু হবে এবং রেলে করে মানুষ ঢাকা শহরে যাবে। সরকারের সহযোগিতা এবং জনগণের সহযোগিতায় পূর্ণ হয়ে গেল সেই স্বপ্ন। রেলওয়ে স্টেশনটি দেখে আমার খুব ভালোই লেগেছে। আমরা যখন সন্ধ্যা বেলায় গেছিলাম তখন রেলওয়ে স্টেশনের উপরে আমরা ঘুরাঘুরি করেছি। বিশেষ করে রেলওয়ে স্টেশনটি তিন তলা বিশিষ্ট ছিল। তাই আমি চেষ্টা করেছিলাম উপর থেকে রেলওয়ে স্টেশনের দৃশ্য উপভোগ করার। সেজন্য সবাই মিলে উপরে উঠে গেলাম। যদিও বাচ্চারা ছিল অনেক বেশি ভয় কাজ করছিল। কারণ রেলওয়ে স্টেশন থেকে নিচের দিকে দেখতে বেশ ভয় লাগছিল। অনেক উপরে থেকে আমরা নিচের দিকে দেখলাম। উপরে উঠে যখন চারপাশের দৃশ্য গুলো দেখলাম মনে হল অনেক সুন্দর কিছু দেখতেছি।
বিশেষ করে যেই জায়গায় সাব রেলওয়ে স্টেশনটি স্থাপন করা হয়েছে সেখানে বিশাল ধানের মাঠ ছিল ধান ক্ষেত ছিল। রেলওয়ে স্টেশন চালু করার পিছনে হাজার হাজার মানুষের জায়গা জমিন দখলে গেছে। যদিও সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে আমি মনে করি একদিকে উন্নতি হলেও অন্যদিকে মানুষের প্রচুর পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গেছে। কারণ যে জায়গাগুলোতে রেলওয়ে স্টেশন কিংবা রেল রাস্তা গুলো গেছে হাজার হাজার মানুষের অনেক স্বপ্নের জায়গা অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা ছিল। যাক কিছু পেতে হলে কিছু ব্যয় করতে হয় তাই সরকারের সহযোগিতায় জনগণের সহযোগিতায় আমরা সুন্দর একটি রেল স্টেশন এবং রেলপথে যাতায়াতের সুযোগ পেয়েছি।
বিকেল বেলায় যখন রেলওয়ে স্টেশনের উপরে প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখছিলাম তখন মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। ধান ক্ষেত গুলো এত সুন্দর দেখছিলাম দূর থেকে একদম সবুজে সমারো হয়ে পুরো জায়গাটি ভরপুর ছিল। তাছাড়াও দূর থেকে গ্রামীণ দৃশ্য গুলো খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছিল। এই জায়গাটি খুব সুন্দর একটি জায়গা ছিল এক সময়। তবে এখনো কম সুন্দর নয় এখনো অনেক সুন্দর একটি জায়গা। রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করার কারণে আরো অনেক বেশি সৌন্দর্যের বৃদ্ধি পেয়েছে। বিকেল বেলায় স্থানীয় লোকজন এখানে ভ্রমণ করতে আসে। যেহেতু এই রেলওয়ে স্টেশনটি এখনো অফিসিয়ালি ভাবে চালু হয়নি। কিন্তু রেলস্টেশন রেল আসার সম হলে আগে সিগন্যাল দেওয়া হয়।
রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি যে সব লোকজন থাকে তারা সরে যায় যখন রেল আসার সময় হয়ে যায়। আমরা সেখানে জিজ্ঞেস করলাম যে রেল কখন আসবে তখন উনারা একজনই উত্তর দিলেন রাত আটটায় রেল আসবে। তাই আমরাও নিশ্চিন্তে একটু ঘোরাঘুরি করেছিলাম। যেহেতু ইতিমধ্যেই রেলওয়ে স্টেশন চালু হওয়ার পরেই বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা হয়েছে এখানে। তাই একটু আতঙ্কে ছিলাম কারণ আমাদের সাথে ছোট ছোট বাচ্চারা ছিল তারা এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছিল। বিশেষ করে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে উপরে উঠে যখন সব দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়েছি।
সেখানে আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি তা হচ্ছে কিছু মহিলারা অনেক বড় দল বেঁধে এসে সেখানে বসে নাস্তা করতেছে। নাস্তা গুলো অবশ্যই ঘর থেকে তৈরি করে এনে এখানে সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে খাচ্ছিলো। এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালোই লেগেছিল। সবকিছু মিলিয়ে বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম বন্ধুরা। আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন কত সুন্দর একটি জায়গা। যদিও আমি বিকেল বেলায় একদম সন্ধ্যার মুহূর্তে গেছিলালাম তাই তেমন বেশিসৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি নাই। কারণ অন্ধকারের মধ্যে কোন কিছু দেখে আনন্দ পাওয়া যায় না তেমন।
ধন্যবাদ বন্ধুরা সবাইকে সময় দিয়ে আমার আজকের ব্লগ ভিজিট করার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | ইসলামাবাদ রেলওয়ে স্টেশন |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সাধারণত শহরের চেয়ে গ্রামে গরম কম অনূভূত হয়। কিন্তু আপনার থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম একটা মন্তব্য পেলাম। যাইহোক স্টেশন টা তো দারুণ। আধুনিক স্টেশন বললেও ভুল হবে না। চারিদিক সাজানো গোছানো পরিকল্পনা অনুযায়ী করা। পাশেই সুবিশাল ধানক্ষেতটাও বেশ লাগছে। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো আপু।
শহরে তো আমরা সারাক্ষণ বাসায় থাকি তাছাড়া শহরে লোডশেডিং করে না তাই বললাম। তবে আপনি ব্লগিং পড়লেন বেশ ভালো লাগলো।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু। যত দিন যাচ্ছে তত যেন আমাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হচ্ছে। আমাদের এখানে সড়ক পথ বেশি একটা ভালো ছিল না তবে এখন অনেক ভালো হয়ে গেছে। খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের এই ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট। যেখানে অচেনা অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু আপনি ব্লগটি পড়লেন এবং অনেক কিছু জানতে পারলেন ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণ পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। অচেনা জায়গা সম্পর্কে বেশ ধারণা পেয়ে গেলাম এবং দেখতে পারলাম আপনার পোস্ট থেকে। তবে একথা সত্য যত দিন যাচ্ছে তত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হচ্ছে। আমাদের দেশে বর্তমান যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়ে গেছে এবং হচ্ছে।
আমার বেশ ভালো লাগলো আপু আপনাদের সাথে তথ্যগুলো শেয়ার করতে পেরে। আর আপনার সময় দিয়ে পোস্ট ভিজিট করলেন অনেক ধন্যবাদ।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1790458392085225633?t=2hX4AqKiFI_U8oRCeipYNg&s=19
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। এই স্টেশনে ভ্রমণের প্রথম পর্বটি আমি দেখেছিলাম৷ আজকে এর শেষ পর্বটি দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ আপনি এখানে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে দেখলেন।