কক্সবাজার ইনানীর রয়েল টিউলিপ ভ্রমণ (পর্ব-২)
জুমা মোবারক সবাইকে।
প্রিয়া @amarbanglablog পরিবার সবাইকে লেখার শুরুতে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানিয়ে শুরু করতেছি আমার আজকের ব্লগিং। আশা করি সকলেই পবিত্র জুমার দিনে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায়। প্রিয় ভাই ও বোনেরা শত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি নিজের কাজকর্ম গুলো ঠিকঠাক করে নিতে। তো বন্ধুরা সবাই জানেন শুক্রবার দিনটা অনেক ব্যস্ত সময় আমাদের জন্য। বাড়তি কিছু অনেক কাজ জমা থাকে যেগুলো করে নিতে হয়। তো সেই ফাঁকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে কিছু শেয়ার করার জন্য। চলুন তাহলে বন্ধুরা আজকে যে বিষয়ে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক।
সেদিন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম কক্সবাজারের ইনানীর নামকরা হোটেল রয়েল টিউলিপ এ রুম বুকিং নিয়ে। যাবতীয় কাজকর্ম যখন শেষ করে টাকা পেমেন্ট করে আমরা রুমে যাচ্ছিলাম সেই মুহূর্ত পর্যন্ত আপনাদের শেয়ার করেছিলাম। আমি আজকে এরপরের ধাপ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসলে যখন আমরা রুমে গিয়েছিলা সুন্দর ভাবে অনুভব করা যাচ্ছিল। ঠিক তেমনি রুমে বসে নানীর সমুদ্র সৈকত অনুভব করেছিলাম আমরা সবাই। তাছাড়া বাইরের দৃশ্যগুলো আরো সুন্দর ছিল। বিভিন্ন ধরনের সবুজের প্রকৃতি গুলো অনেক সুন্দর ছিল।
একটা দৃশ্য খুব সুন্দর লেগেছে সেটা হচ্ছে যে রুম থেকে একটা মসজিদ দেখা যাচ্ছিল। সেদিন জুমাবার দিন ছিল। তাই সবাই খোলা আকাশের নিচে হলেও জুমার নামাজ আদায় করছিল। জিনিসটা আমার খুবই ভালো লাগছে। এছাড়া আপনারা তো রুমের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পাচ্ছেন। অনেক সুন্দর ছিল রুমের পরিবেশ টা। তাছাড়া আমরা রুম নিয়েছিলাম ছিলাম দুই বেডের। যেহেতু বাচ্চারা সহ আমরা সবাই মিলে একসাথে থাকতে পারি সেই জন্য। এমন সুন্দর ব্যবস্হা করেছিল আমাদের ভাই সওয়ার সাহেব।
যেহেতু জার্নি করে গেছি এবং অনেকক্ষণ ওয়েটিং রুমে বসে থাকছিলাম তাই একটু ক্লান্ত লাগছিল। একটু করে শুয়ে থাকলাম এর পরে আবার সবাই মিলে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ড্রেস চেঞ্জ করার পরে সবাই বের হয়ে যায়। যাওয়ার পথে দেখলাম খুব সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে রয়েল টিউলিপের ওয়েটিং রুমের ভিতরে। যদিও খুব সুন্দর এবং বিভিন্ন আইটেম ছিল ভালো মানের জিনিস গুলো রাখা হয়েছে। বুঝতে তো পারছেন আপনারা যেহেতু ভালো মানের একটি হোটেল। তবে জিনিসের মান ভালো এবং দামও অনেক বেশি ছিল।
যাক যখন গেলাম দাম নিয়ে কি চিন্তা করলে হবে? দাম বেশি হলেও নিতে হবে এবং খেতেই হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের কক্সবাজারের মেইন শহরের তুলনায় ইনানীতে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। যেহেতু জায়গাটা একদম সাইডে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ রেস্টুরেন্ট কিংবা অন্যান্য খাবারের আইটেমগুলো খুবই কম ছিল। তবে যেগুলো স্বল্প সংখ্যক রেস্টুরেন্ট কিংবা অন্যান্য দোকান ছিল সেখানেও জিনিসের দাম বেশি।
তাছাড়া দূরে আছে তবে এত কাছাকাছি গ্রাম কিংবা ঘরবাড়ি একদম নেই। মাঝখানে কিছু ফাঁকা জায়গা আছে সেগুলো বিভিন্ন গ্রুপে বুকিং করে রেখেছেন। যাতে ভবিষ্যতে প্লানিং করে যে কোন কাজগুলো করা যায়। আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে বাইরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নেমে গেলাম রুম থেকে। তো আমরা সরাসরি যাবো হচ্ছে যে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য। রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া-দাওয়া করে এসে হালকা বিরতি নিয়ে বাচ্চারা সুইমিংপুলে গোসল করতে নামবে। তো পরবর্তীতে আমি আপনাদেরকে রেস্টুরেন্টের খাবার দাবার গুলো শেয়ার করব।

ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার রয়েল টিউলিপ রিসোর্ট ইনানী |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/2ev55v
Twitter
আপু আপনাদর রুম থেকে শুধু মসজদ দেখা যায়নি সরাসরি সমুদ্র সৈকতও দেখা যাচ্ছিলো। হোটেলের চার পাশটা দারুন ছিল। যেহেতো ভিআইপি হোটেলে গেছেন সেহেতো জিনিষ পত্রের দাম তো বেশি রাখবেই। তাছাড়া বাংলাদেশের কোন ব্যবসায়ী পন্য বিক্রয় করতে কোন আইন কানুন মানে না। ধন্যবাদ।
ঠিক বলছেন ভাইয়া সমুদ্র সৈকত দেখা যাচ্ছিল খুব সুন্দর ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে।