ঘুরে দেখা লালবাগ কেল্লা পর্ব -০১ |১০% লাজুক খ্যাকের জন্য|
আচ্ছালামুয়ালাইকুম,
হ্যালো বন্ধুগন আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি,বেশ কিছুদিন ধরে ব্যস্ততার কারনে সময় দিতে পারি নায়,নতুন কাজে জয়েন হবার পর থেকে
এতোই ব্যস্ত ছিলাম যে দম নেওয়ার ও সুজোগ ছিল না। আলহামদুলিল্লাহ ব্যস্ততা কাটিয়ে আবার চলে আসছি প্রিয় পরিবারে,আজকে আমি ব্লগ তৈরী করব লালবাগ কেল্লায় কাটানো কিছু মূহুর্ত নিয়ে । অনেকদিন হলো বন্ধুদের সাথে দেখা হয় না এবং সময় ও মিলাতে পারি না কেননা আমার অফডে রবিবার বন্ধুদের অফডে শুক্রবার ।নাইট ডিউটি করে সময় বের করে নিলাম কারণ বন্ধু আড্ডা অনেক ভালো লাগে। চলুন তাহলে সবাই মিলে লালবাগ কেল্লায় ঘুরে আসি।
আমরা চারজনে যাবো কমলাপুর থেকে লালবাগকেল্লা ভাবলাম রিক্সায় করে চলে যাবো, রিক্সায় দেখি অনেক ভাড়া চাচ্ছে। দুই রিক্সা নিতে হবে তখন আলাদা আলাদা হয়ে যেতে হবে, তখন চিন্তা করলাম উবারে যাব, উবার করে গাড়িতে করে চারজনে একসাথে করে চলে গেলাম। ভাড়া ও কম আসল শান্তিও পেলাম। সেদিন ছিল শুক্রুবার ভাবছি বিকালে রাস্তায় অনেক জ্যাম হবে। কিন্তু কোন জ্যামেও পরলাম না। ভিতড়ে ডুকতে হলে টিকিট কেটে ডুকতে হয়ে আমি আগে কখনো যাই নায় শুধু বইতে পড়ছি যে লালবাগ কেল্লা।টিকিট কাটার জন্য লম্বা লাইন, আমি তো লাইনে দাঁড়িয়ে কখনো টিকিট কাটি নায় তাই চিন্তা করলাম এখানেও লাইনে দাড়াব না।দুই নাম্বার ওয়ে ব্যবহার করে চারটা টিকিট কিনে নিলাম।
টিকিট কাটতে গিয়ে একটু হৈ-হুল্লোড় গেছে কেননা সবাই এখন জানে যে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটলে অনেক সময় দরকার। তাই দুই নাম্বার পথ সবাই ব্যবহার করে সেখানেও ভিড় থাকে। ভিতড়ে ডুকেই মন ভড়ে গেলো কেননা অনেক পরিপাটি ছিল। এটাই প্রথম ক্যাপচার ছিল।এতো সুন্দর জায়গা বাহির থেকে বুঝা যায় না। একটা কথা আছে যে বাইরে ফিটফাট মধ্যে সদরঘাট,কিন্তু আজকে উলটো যে বাইরে সদরঘাট মধ্যে ফিটফাট।
আমি মাঠ দেখে খুবই অবাগ হয়ে গেলাম যে এতো সুন্দর কিভাবে রাখছে এতো লোকালয়ের মধ্যে। মাঠে সবুজ ঘাস পাশে আবার ফুলের বাগান।শুধু বাগানই না ফুল গাছ গুলো এতো সুন্দর করে ছাটাই করে রাখা দেখতে খুবই আকর্ষণীয় ছিল।এবং গাছ গুলো বেশী বড় না আবার একেবারে ছোট ও না যেভাবে রাখলে অনেক ভালো দেখায় ঠিক সেভাবেই রাখছে।
এবার দেখুন ভিতরের হাটার রাস্তা, ইউরোপ কান্ট্রির মতো লাগতেছে ঠিক তাই তো।আসলে আমাদের যেভাবে হাটায় আমরা সেভাবেই হাটি, এতো পরিষ্কার থাকার কারণ আছে। প্রথমে ভিতরে কোন হকার প্রবেশ করতে পারে না। দ্বিতীয়ত বাহির থেকে খাবার নিয়ে আসলে প্যাকেট এখানে সেখানে ফালানো নিষিদ্ধ। কেউ যদি ফালায় আর তা যদি ভিতরের গার্ডরা দেখে তাহলে তাকে দিয়ে আবার পরিষ্কার করায়।
এটাই হলো ময়লা ফালানোর ডাস্টবিন এভাবে অনেক জায়গায় রাখা আছে।এই কিছু কিছু কারণে এই জায়গাটা অনেক বেশী পরিষ্কার। তবে এই অবদান আমাদেরই। আমরা চাইলে এই জায়গাটাকে নোংরাও করে দিতে পারি। কিন্তু ভিতরের ম্যানেজমেন্ট ভালো তাই নোংরা করার সুজোগটা পাই না।
লালবাগ কেল্লার ভিতরে মসজিদ, এটা দেখে অনেক বেশী ভালো লাগছে।কেননা শুধু ঘুরলেই হবে না নামাজ সবার আগে। নামাজ মানুষকে সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।
সময় যতো বাড়তে থাকে লোক সংখ্যা ততো বাড়তে থাকে, সবাই সুন্দর ড্রেস পরে আসছে মনে হচ্ছিল ঈদের দিন।অনেকে আবার ফ্যামিলি নিয়ে আসছে ছোট ছোট বাচ্ছা। বাচ্ছেদের বাবা মা সময় দিচ্ছে, বাচ্ছারা দৌড়াদৌড়ি করে তাদের পিছনে বাবা মা ছুটছে।
বন্ধুর সেলফিতে আমি , এখন আর নিজের ছবি তুলতে ইচ্ছা করে না। কেমন জেন মন চায় নায়। আগে সব সময় এখানে সেখানে গেলে অনেক সেলফি নিতাম। আজ মনে হয় বড় হয়ে গেছি।
আরো ভালো ভালো কিছু চিত্র আছে আগামী পর্বে দেখাব ইনশাআল্লাহ ।
ফটোগ্রাফার | আবির |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ৫ |
ভ্রমণ স্থান | লালবাগ কেল্লা |
আবার দেখা হবে কথা হবে নতুন কোন ব্লগে ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন এই কামনা করেই আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
💟আল্লাহ হাফেজ💟
🥰ভালোবাসায়🥰
@salmanabir
Twitter
আমি গিয়েছিলাম অনেক আগে,বেশ সুন্দর জায়গা।ঘুরাঘুরি করার জন্য সুন্দর জায়গা।তবে ছবি দেখে মনে হচ্ছে আরো সুন্দর হয়েছে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আমি আগে কখনো যাই নায় এটাই প্রথমবার ছিল,তবে মনে হচ্ছে আগের থেকে উন্নতি হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক আগে একবার লালবাগ কেল্লায় গিয়েছিলাম। ভেতরে ঢুকে আমিও অবাক হয়েছিলাম। যে এতো আগের একটি স্থাপনা কিন্তু কি চমৎকার পরিপাটি করে গোছানো। লালবাগ কেল্লা আসলেই দেখার মতো একটি জায়গা। আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী ভাই অনেক ভাল লাগার একটি জায়গা ,যে কারো ভিতরে ডুকলে ভালো লাগবে।আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য
লালবাগ কেল্লা টা দারুণ জায়গা। বেশ সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ বিশিষ্ট। আমি একবার গিয়েছিলাম কিন্তু ভেতরে ঢুকতে পারি নাই। বন্ধুদের সাথে বেশ দারুণ ঘুরছেন জায়গা টা। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।।
ভিতরে না ডুকে মিস করছেন অনেক অনেক ভালো একটি জায়গা ,খুবই পরিপাটি এবং অনেক পরিষ্কার পরিছন্ন।
যদিও এখন পর্যন্ত লালবাগ কেল্লায় যাওয়া হয়নি তবে খুব ইচ্ছা আছে লালবাগ কেল্লায় ঘুরে আসার। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে আমি লালবাগ কেল্লার কিছু দৃশ্য দেখতে পারলাম যেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত চমৎকার একটি মুহূর্ত এবং কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঢাকা আসলে একবার দেখে নিবেন ভালো লাগার মতো একটি জায়গা।আশা করি আপনারো ভালো লাগবে
লালবাগ কেল্লায় কখনো যাওয়া হয়নি তবে ইচ্ছা আছে জায়গাটা ঘুরে দেখার। আপনি লালবাগ কেল্লার কিছু সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে যেটা দেখে জায়গাটা ঘুরে দেখার প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে গেল।
জ্বী ভাই ঘুরে দেখবেন ভালো লাগার মতো জায়গা,আমিও ভাবতে পারি নায় যে ভিতরে এত সুন্দর জায়গা
লালবাগ কেল্লায় আমিও ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে লালবাগ কেল্লা জায়গাটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনি আজকে লালবাগ কেল্লায় ঘুরতে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি এবং মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লেগেছে আসলে শুক্রবার একটু জ্যাম কম থাকে আপনি ভালো দিনে গিয়েছেন হয়তো এজন্যই জ্যাম কম ছিল
জ্বী এটা ঠিক যে শুক্রবার জ্যাম অনেক কম থাকে ,ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
বেশ কিছুদিন আগেই লালবাগ কেল্লায় ঘুরতে গিয়েছিলাম জায়গাটা অনেক সুন্দর সবুজে মোড়ানো এবং বাংলার ইতিহাস এবং ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে
মাঠ এবং গাছ খুবই ভালো লাগার মত ছিল,ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য