ঘুরে দেখা লালবাগ কেল্লা পর্ব-০২ |১০% লাজুক খ্যাকের জন্য|
আমার বাংলা ব্লগের সকল সৈনিকদের জানাই সালাম,আচ্ছালামুয়ালাইকুম।
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আমি আজকে আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হতে পারছি এইজন্য আলহামদুলিল্লাহ।আজকে আমি লালবাগ কেল্লার দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব।গত পর্বে আমি অনেক কথাই বলে দিছি আজকে যতটুক মনের ভাব আছে তা প্রকাশ করব।ঢাকা শহরে শুক্রুবার মনে হয় পার্ক গুলোতে অনেক লোক জমায়েত হয়। কারণ সব অফিস কম বেশী ছুটি থাকে তাই সবাই বের হয় ঘুরতে। টানা ছয় দিন অফিস করার পর একদিন ঘুরতে বের হলে ভালোই লাগে।আর ঘুরার স্থান যদি হয় খুবই সুন্দর তাহলে তো আর কথাই নাই মনকে আনন্দিত করে দেয়।
এই গেট থেকে প্রবেশ করানো হয়, আমরা যখন প্রবেশ করছি তখন বেশী লোক ছিল না। কেননা আমরা চারবন্ধু একটু তারাতারি করেই গেছিলাম। কারণ আমরা সবাই জানি যে ঢাকা জ্যামের শহর তাই যে কোন কাজে অনেক আগেই বের হতে হয়। আমাদের সৌভাগ্য যে কোন জ্যাম ছিল না।
এই ভবন গুলো অনেক আগের, এখন কেউ বসবাস করে না।যাকে বলা হয় বাস অযোগ্য তবে ঐতিহ্য হয়ে আছে।তখনকার সময় এতো সুন্দর কারুকাজ কিভাবে মাথায় ছিল বুঝে উঠতে পারি না।এখন শুধু দেখা যায় সবাই ছবি তুলে। বিশেষ করে এই দেয়ালের পাশে দাড়িয়ে ছবি নিলে অনেক ভালো আসে জদিও আমি অনেকেরই তুলে দিছি।
ছবি তুলতে তুলতে এবং ঘুরতে ঘুরতে অনেক সময় হয়ে গেলো, এবার দেখতে পেলাম অনেক লোক।মনে হচ্ছে পাচটার পরে অনেক লোক জমায়েত হয়ে গেলো।অনেক বেশী জায়গা থাকার কারণে লোক বেশী মনে হয় নায়। তবে জায়গা যদি ছোট হত তাহলে অক্সিজেন এর ঘাটতি পরে যেত। বিকেল পাচটা যখন বাজল তখন খুবই শীতল বাতাস, তখন ফিল হলো গ্রাম গ্রাম।এবার বন্ধুরা মিলে বসে পরালাম মাঠে কেননা অনেক হাটাহাটি করে দেখছি এবং অনেক ছবি তুলছি। একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য বসলাম মোটামুটি সবাই বসে গল্প শুরু করে দিছে।নাই কোন গাড়ির হর্ণ নাই কোন জ্যাম তাই খোশ গল্প মেতে উঠলাম।গল্প করতে করতে কখন জেন সন্ধ্যা হয়ে গেলো টেরই পেলাম না।বন্ধু বলতে ছিল আমার আরো কিছু ছবি তুলতে হবে।তাই দিলাম আরো কিছু ছবি তুলে।
লাস্ট ছবিটা কেল্লার উপর থেকে নেয়া,প্রবেশ করার পর সোজা সামনে গিয়ে একটা দুইতলা ভবন আছে সেখানে উঠে গেলাম। তবে সেখানে অনেক লোকালয় ছিল কেননা কেল্লার ভিউটা পাওয়ার জন্য দুই তলায় উঠা খুবই দরকার।
এটা হলো পুকুর, কি অবাগ হচ্ছেন যে পুকুরে মানুষ কিভাবে বসে আছে।পানি না থাকার কারনেই এভাবে সবাই বসে আছে।তবে এখনে এখন খুবই ভালো একটি আড্ডার জায়গা হয়েছে।
সন্ধ্যা নামার আগে আগে পেয়ে গেলাম আমার পছন্দের ফুল বকুল ফুল।লাস্ট যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা হলো বকুল তলা। এখানে অনেক বকুল ফুল পরে আছে কেউ কেউ নিচ্ছে আবার কেউ কেউ ফুলের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছে।
ছয়াটা বেজে যাওয়ার সাথে সাথে যারা দায়িত্বরত গার্ড আছে তারা সবাইকে বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করল।এভার সবাই আস্তে আস্তে বের হতে শুরু করল।
ঘুরে ঘুরে আপনাদের অনেক দেখালাম চলুন এবার আমরাও বের হয়ে যাই।
ডিভাইস | রেডমি নোট ৫ |
---|---|
লোকেশন | লালবাগকেল্লা |
আবার দেখা হবে কথা হবে নতুন কোন ব্লগে ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন এই কামনা করেই বিদায় নিচ্ছি।
🥰ভালোবাসায় 🥰
@salmanabir
এর আগে আমি লালবাগের কেল্লায় গিয়েছি। খুব সুন্দর একটা জায়গা। বেশি বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত পার করেছেন লালবাগের কেল্লায় ঘুরতে গিয়ে। খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে আপনার উপস্থাপনা মাশাল্লাহ অনেক ভাল ছিল ভাই। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ঢাকায় এত বার গিয়েছি কিন্তু ঐতিহাসিক এই নিদর্শন টি দেখার খুব একটা সুযোগ হয় নাই। আমার এই জীবনে শুধুমাত্র একবার লালবাগ কেল্লা ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আপনি লালবাগ কেল্লার অনেকগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে দেখে আমার ঘুরে আসা সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল। আসলেই অসাধারন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম আর তাই লালবাগ কেল্লা ঘুরতে গিয়ে আপনার আনন্দের মাত্রাটাও বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর ছিল।তবে বানান এবং কাল প্রয়োগের বিষয়টা একটু খেয়াল রাখবেন।পড়তে পড়তে এমন কিছু ত্রুটি দেখলে অনেকসময় ভালো দেখায় না।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য 🥰
ধন্যবাদ আমার ভুল ছিল বলে দেওয়ার জন্য,ভালোবাসা রইল।
সত্যি ভাই আপনি আপনার মনের ভাবগুলো খুব সুন্দর করে লিখেছেন। এবং লালবাগ কেল্লা খুবই সুন্দর একটি জায়গা। আর আপনি ঠিকই বলেছেন শুক্রবারে কমবেশি সবারই ছুটি থাকে। সবাই চায় মনোরম এবং দর্শনীয় স্থান গুলোতে ঘুরে বেড়ানো জন্য। আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছে, প্রত্যেকটা ফটোগ্রফি ছিল দারুণ। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করে,ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। আপনার ঘুরতে যাওয়া দেখে আমার অনেক হিংসা হল। আমি এর আগে কখনো লালবাগ কেল্লায় ঘুরতে যাইনি। আপনি অনেক সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজ আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখার সুযোগ পেলাম ধন্যবাদ ভাইয়া।
লালবাগ কেল্লা টি বেশ চমৎকার এখানে বাংলার অনেক ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে ।গত বছর আমিও গিয়েছিলাম জায়গাটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আপনি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য
লাল ভাগ কেল্লা ঐতিহাসিক এক পর্যটন কেন্দ্র অনেক শুনেছি নাম তবে যাওয়া হয়নি।আপনার পোস্টের মাধ্যমে আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম।ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভ কামনা রইল।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ,
লালবাগ অনেকবার যাওয়া হইছে তবে কখনো ব্লগ তৈরি করা হউ নাই। আসলে যারে নিয়ে যাই তাকে ছবি তুলে দিতে দিতেই জীবণ শেষ তাই আর আলাদা কোনো ছবি তুলার মুড থাকে না। আপমার ভ্রমণ কাহিনি পডে ভালো লাগলো ভাই।
লালবাগ কেল্লা ঘুরে এ পর্বে এসে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন খুবই ভালো লাগলো আমিও বেশ কয়েকবার গিয়েছি আমারও খুব ভালো লাগে এই ঐতিহ্যবাহী জায়গা ঘুরতে।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে লালবাগ কেল্লার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন এর আগে আপনি আমাদের মাঝে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলেন আমি দেখেছিলাম। এবার দ্বিতীয় পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এত চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।