মরণ পুকুর (দ্বিতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
১৭ই জানুয়ারি, মঙ্গলবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।অনেকদিন ধরেই মাথায় একটা গল্প ঘুরপাক খাচ্ছে, একটা ভৌতিক গল্প নিজের মতো করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব আশা করি ভালো লাগবে।
সুনীল দত্তের ছেলে যেহেতু তার বাসায় কাজ করে তাই এটা তার জন্য খুবই সহজ একটা কাজ, পরদিন সকালে, আশিস তোর কাকিমার বাতের ব্যথা বেড়ে গেছে রে, এখান থেকে পাঁচ গ্রাম পড়ে একটা ভালো কবিরাজ পাওয়া গেছে রে। তুই বাবা চল আমার সাথে দুজন মিলে একটু তার সাথে দেখা করে আসি বড় উপকার হবে রে, আশিস গত দিনের কথাগুলো ভুলে গেছে কারণ সে তার মালিক বিভিন্ন কাজে তার সাথে যাওয়া হয়।
সরল মনে তারা একটু বেলা করেই রওনা দিল, তান্ত্রিকের সাথে দেখা হল এবং সেখান থেকে তারা বিকেল বেলায় ফেরত চলে আসলো।
আশিস দত্ত বাড়িতে যাওয়ার পরেই তার বাবাকে বলে তুমি জমিটা আমার মালিকের কাছে বিক্রি করে দাও।
ছেলের মুখে এমন কথা শুনে বাবা অবাক হয়ে গেল, যে ছেলে কাল অব্দি জমি বিক্রি করার বিপক্ষে ছিল হঠাৎ করে আজকে বাড়ি ফিরে সে জমি বিক্রির জন্য পাগল কেন হয়ে গেল? ছেলে কোন ভাবেই মানছে না তার মাথায় ভুত চেপেছে সে জায়গাটা বিক্রি করে দেবে। এই নিয়ে বাবা ছেলের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়।
সুনীল দত্ত অনেক চিন্তায় পড়ে গেল কারণ সে জানে তার ছেলে সবগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত , তারা চাচ্ছিল এখানে একটা পাকা বাড়ি করতে কারণ তার আরো দুইটা মেয়ে রয়েছে এদেরকে বিয়ে দিতে হবে।
তবে একমাত্র ছেলের এরকম পাগলামো দেখে তারা খুবই চিন্তিত হয়ে গেল সে রাতে ছেলে রাগ করে তার মালিকের কাছে চলে যায় আর বাসায় ফেরেনি। এত আদরের একটা ছেলের এরকম পাগলামো দেখে বাবা-মা কিছুটা ভয় পাচ্ছে।
পরদিন সকাল থেকে সুনীল দত্তের দুই মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না, সকালবেলা তারা তো না বলে কোথাও যাওয়ার কথা না পুরা এলাকা তন্ন তন্ন করে খোঁজা হলো কিন্তু তাদেরকে কোথাও পাওয়া গেল না। সারাদিন শেষে সন্ধ্যাবেলা তাদের বাড়ির পাশে পুকুরে দুটো মেয়ের লাশ ভেসে ওঠে।
আগে দিন রাত্রে এরকম ঝগড়া হলো এবং পরের দিন সকালেই দুটো অপমৃত্যু সবাই সন্দেহ করছে সুনীল দত্তের ছেলেই হয়তো এই কাজটা করেছে। সুনীল দত্ত নিজেও সন্দেহ করছে সম্পত্তির জন্য তার ছেলেই হয়তো বোনদের মেরে ফেলেছে।
কিন্তু গ্রামের মোড়ল অর্থাৎ আশিস দত্তের মালিক বৃত্তশালী একজন সে সাক্ষী দিচ্ছে তার ছেলে সারারাত তার বাসায়ই ছিল, এজন্য গ্রামের মানুষ সুনীল দত্তর ছেলেকে কিছু বলতে পারল না। সবার মধ্যে একটা ভয় বিরাজমান করছে কিন্তু গ্রামের মোড়ল সে যেন নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে।
পরদিন সকালে একই ভাবে আরো দুটো অপমৃত্যু, বিকেল বেলা সেই পুকুরেই ভেসে উঠেছে সুনীল দত্ত ও তার স্ত্রীর মৃত লাশ।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মরণ পুকুর আজকের পর্বের শেষ অংশ পরে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। সুনীল দত্ত ও তার স্ত্রীর মৃত লাশ বেশে উঠার কারণ খুবই অদ্ভুত। এভাবে অপ্রত্যাশিত মরণ কাম্য নয়। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম। আজকের পর্ব শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অবশ্যই আমি খুব শীঘ্রই এর পরবর্তী পর্ব নিয়ে এসে গল্পটির রহস্য খোলাসা করবো,অসংখ্য ধন্যবাদ আমার গল্পের পাঠক হওয়ার জন্য।
ভীষণ খারাপ লেগেছে গল্পটি পড়ে এই মরণ পুকুর গল্পটি।কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়ে ঠিক কি করলো বুঝতে পারছি না একে একে দুই বোনের লাশ।এরপর মা-বাবার লাশ পুকুরের মধ্যে।সম্পত্তির লোভ এমন একটি খারাপ জিনিস মানুষ অনেক খারাপ হতে বাধ্য হয়।গল্পটি পড়ে শেষে ভয় পেয়ে গেছি পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
সব রহস্য ভেদ করতে হলে চোখ রাখতে হবে পরবর্তী পর্বে জন্য আমি চেষ্টা করব আমার পরবর্তী পর্বের মধ্যে সবকিছু রহস্যের খোলাসা করতে।
প্রথম পর্বে পড়েছিলাম যে মোড়লের কাছে জমি নিবে ৷ কিন্তু তা নেওয়ার জন্য কবিরাজের কাছে জান ৷ কিন্তু এ কি হলো কবিরাজ কি এমন করলো দুইটি লাশ পুকুরে৷
যা হোক পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা ৷
কবিরাজ কিছু একটা তো করেছিল যার জন্য একের পর এক মৃত্য হয়ে যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই সবকিছু খোলাসা করে দিব চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে জন্য।
আরে বাপরে গল্প তো বেশ সুন্দর জমে উঠেছে। এক দিনের ভিতরেই চারজনের অপমৃত্যু। আশা করব গল্পের ending টা খুব সুন্দর হবে। আর সেই জন্যই অপেক্ষা করে বসে থাকলাম। পরবর্তী পর্ব যখন লিখবেন তখন যদি পারেন মেনশন দিয়েন, আমি পড়ে নেব। আজকের পর্বটাও খুব সুন্দর লেগেছে তবে বেশ কিছু সাসপেন্স রয়ে গেল।
দুই রাতে মোট চারজন মারা গেল, সেটাও রহস্যজনকভাবে কিন্তু একই রকম বা একই প্লেসেই মারা গেল সবাই। শেষ পর্বটা সুন্দর হবে কিনা জানিনা তবে রহস্যময় এবং হান্টেড বলে কথা একটু তো সাসপেন্স থাকবেই, খুবই ভালো লাগলো আপনি নিজ দায়িত্বে দ্বিতীয় পর্ব টা পড়েছেন এবং তৃতীয় টা লেখার সময় মেনশন করতে বলেছেন আমার খুব ভালো লেগেছে।
@rupaie22 দাদা আমার পরবর্তী পর্ব বা শেষপর্ব চলে এসেছে। আপনি চাইলে দেখে আসতে পারেন লিংক দেয়া হলো: মরণ পুকুর (শেষ পর্ব)
আমি অবশ্যই পড়বো ভাই😊