'ভালোবাসি তোমাকে ' গল্পের তৃতীয় পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমি আমাদের মাঝে 'ভালোবাসি তোমাকে' গল্পের তৃতীয় পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



pexels-taylor-thompson-865581658-25685741.jpg
সোর্স
সকাল হতেই শুভ মনিকাকে ঘুম থেকে ডাকবে। মনিকাকে বলে তাড়াতাড়ি ওঠো সকাল হয়ে গিয়েছে বাবার বাড়িতে যেতে হবে। মনিকা ঘুম থেকে উঠল ফ্রেশ হয়ে সামান্য খাবার খেয়ে তারা রওনা করলো। মনিকার বাবার বাড়ি যেতে তিন ঘন্টার মতন সময় লেগে। তিন ঘন্টা পর তারা পৌঁছে যায় শুভ তার শ্বশুরবাড়িতে। শুভ প্রথম শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিল। বিয়ের পর প্রথম শুভ শ্বশুর বাড়িতে যায়।তাই প্রথমে তার শাশুড়ি তাকে বরণ করে তারপর ভিতরে নিয়ে এসেছিল। প্রথম এসেছে জামাই,তাই খুব ধুমধাম করে সব কিছুর আয়োজন করা হয়েছি। শুভর শাশুড়ি মা তাকে ফ্রেশ হয়ে নিতে বলে। শুভ ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে দেখে টেবিলে তার জন্য শরবত রেখে দেওয়া হয়েছে। শরবত খেয়ে শুভ বিশ্রাম নিতে থাকে কিন্তু তখনই একদল তার শালা শালি এসে রুমে হাজির হয়। নতুন দাদাবাবুকে পেয়ে তারা খুশিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গল্প করতে করতে বিকাল গড়িয়ে যায়। তখন তার শালা শালী এলাকাটাকে ঘুরিয়ে দেখার জন্য তাকে নিয়ে বের হয়।


শুভ মনে মনে ভাবতে থাকে আসার পর থেকে সে মনিকাকে আর দেখতে পায়নি। কোথায় গেল? শুভ ভাবে আমি তার বাড়িতে এসেছি আমি চিনি না জানি না সে আমার সঙ্গে থাকতে পারতো। যাইহোক হয়তোবা সে অনেকদিন পরে এসেছে তাই সবাইকে সময় দিচ্ছে। শুভ নতুন শালা শালীদের সঙ্গে গ্রাম ঘুরে দেখছিল। ঘুরতে ঘুরতে একটি পর্যায়ে শুভ মণিকাকে ফোন দেয়। কিন্তু মনিকার ফোনটি ওয়েটিং ছিল তাই শুভ ফোনটি কেটে দিল। শুভ ১৫ মিনিট পর আবারো ফোন দেয় মনিকা কে আবারো ওয়েটিং পায় শুভ। তখন শুভর একটু সন্দেহ হয়। মনিকা বাড়িতে এসেছে কিন্তু এত সময় ধরে এসে কার সঙ্গে কথা বলছে। আমি তো তাকে কখনো ফোনে ব্যস্ততার সময় কাটাতে দেখিনি। ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা নেমে আসে, শুভ শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাড়িতে এসেই দেখে তার জন্য নাস্তা রেডি করা রয়েছে। নাস্তা খাওয়ার সময় মনিকা রুমে ছিল। শুভ মনিকা কে বলে আমি তোমাকে ফোন দিয়েছিলাম তোমাকে ওয়েটিং পেলাম কার সঙ্গে কথা বলছিলে? তখন মনিকা বলে আপনি কি আমাকে সন্দেহ করছেন? হ্যাঁ আপনি সন্দেহ করতেই পারেন কারণ আমি ওয়েটিং ছিলাম।


শুভ তার কথায় একটু অবাক হয়ে যায় কারণ সে যেভাবে বলতে চেয়েছে মনিকা তার উল্টো ভাবে নিয়েছে। তাই শুভ মনিকাকে বলে তুমি আমাকে ভুল বুঝছো আসলে তুমি যেমন ভাবে নিয়েছো আমি কথাগুলো সেভাবে বলিনি। আমি তোমার স্বামী আমার অধিকার আছে কথাটা শোনার। মনিকা বলে আপনি হয়তো বা ভুল করছেন।আমরা হতে পারি স্বামী-স্ত্রী কিন্তু আমাদের মন থেকে আমরা এখনো পর্যন্ত নিজেদের স্বামী স্ত্রী ভাবতে পারেনি। আমরা বাইরে সবার কাছে স্বামী স্ত্রী কিন্তু নিজেদের কাছে এখনো না। তাই আমি আপনাকে বলছি আপনি আমার উপর কোন বিষয় নিয়ে জোর করবেন না। এই কথা বলে মনিকা রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আর এদিকে শুভ নাস্তা শেষ না করে রুমের বারান্দায় যে বসে থাকে। শুভ মনে মনে ভাবতে থাকে মনিকা তার সাথে কেন এমন ব্যবহারটি করছে।


রাতে খাওয়া দাওয়ার পর তারা দুজনে ঘুমাতে আসে। প্রতিদিনে এর মতন ওই একই ভাবে তারা ঘুমালো। নতুন জায়গাতে শুভর কিছুতে ঘুমা আসছিল না তাই সে চোখ মিলিয়ে শুধু শুয়ে ছিল। সে হঠাৎ শুনতে পায় ফিসফিস করে কেউ যেন কথা বলছে। একটু খেয়াল করতেই সে অবাক হয়ে যায় কারণ আর কেউ কথা বলছে না মনিকা কথা বলছে। সে শুধু অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে মনিকার দিকে। এত রাতে মনিকা কার সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলছে। শুভর বুঝতে আর বাকি থাকল না কোন কিছু। শুভ বুঝতে পারে মনিকা তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলছে। না দেখার ভাব করে না শোনার ভাব করে শুভ ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল হতেই শুভ ব্যাগ গুছাতে শুরু করে। শুভ ব্যাগ গুছিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তার শাশুড়ি বলে। আজ হঠাৎ করে তুমি চলে যাচ্ছো কাল রাতে তো কিছু বললে না। শুভ উত্তর দেয় হঠাৎ অফিস থেকে ফোন এসেছে ইমারজেন্সি আমার অফিসে যেতে হবে। আমি মনিকাকে রাতে বলেছি আপনি চিন্তা করবেন না। মনিকার যতদিন পর্যন্ত ইচ্ছা সে আপনাদের কাছেই থাকবে। এই বলে শুভ চলে যায়। মনিকা ঘুম থেকে উঠেই দেখে শুভ রুমে নাই।সে ভেবেছিল হয়তো বা বাইরে কোথাও গিয়েছে। যে ফ্রেশ হয়ে তার মায়ের কাছে যায়। তার মা তখন তাকে বলে অফিসে এত ইমারজেন্সি কি কাজ তুমি কিছু জানো কি? মনিকা বলে কার অফিস? তখন তার মা তাকে বলে কেনো শুভ তোমাকে বলেনি সে তো ইমারজেন্সি তার অফিসের কাজের জন্য সকালে উঠেই চলে গেল। মনিকা বলে শুভ তো আমাকে রাতে কিছু বলেনি। সঙ্গে সঙ্গে শুভ কে ফোন দেয় মনিকা। কিন্তু শুভ ফোনটি কেটে দেয়। মনিকা আবারো তাকে ফোন দেয় আবারও ফোনটি কেটে দেয়। মনিকা ফোন দিতেই থাকে সে বুঝে উঠতে পারে না শুভ কেনো তার ফোনটি রিসিভ করছে না। কিছুক্ষণ পর মনিকা আবারও শুভকে ফোন দেয় এবার ফোনটি রিসিভ করে শুভ বলে আমি কাজে আছি একটু পরে কথা বলছি। শুভ এই বলে ফোনটি কেটে দিয়ে সে তার কাজ করতে থাকে।

আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Sort:  
 last month 

গল্পটায় বেশ রহস্য পাচ্ছি। মনিকা কার সাথে কথা বলছে সেটা শুভ জানে না।আর তাদের মধ্যকার সম্পর্কটাও ভালো নেই। তবে শুভ মনিকাকে না বলেই চলে গেল, বিষয়টা তো মনিকার ভাবনার বিষয়।কারণ সে তো জানেই না যে শুভ রাতে দেখেছে মনিকা কারো সাথে কথা বলছে।যাইহোক গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।বাকি অংশ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56890.04
ETH 2356.22
USDT 1.00
SBD 2.39