থার্টি ফার্স্ট নাইটে বারবিকিউ আয়োজন
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি, আমার এই পোস্টটি সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে পৃথিবীর সব প্রান্তেই উৎসব পালন করা হয়। কারণ পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে সেদিন আহ্বান করা হয়। পুরনো বছরের চলে যাওয়া দিনগুলো মুছে ফেলে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ করা হয়। আমরাও সেদিন নতুন বছরকে আমন্ত্রণ করার জন্য পার্টির আয়োজন করি। এই দিন রাতে,পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় সব জায়গাতে অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেদিন পার্টির আয়োজন করে আমাদের বড় দাদা। সেদিন রাতে কি কি আয়োজন করতে হবে তার পুরো একটি লিস্ট আমাদেরকে দিয়েছিল। আমরা সেই লিস্ট অনুযায়ী আগের দিন সব জায়গা থেকে অর্ডার দিয়ে এসেছিলাম। কারণ হলো সেদিন এতটা ভিড় থাকে সব জায়গাতে।বেশি ভিড় হয়ে থেকে মাংসের দোকানে। তাই আমরা আগের দিন যে মাংসের অর্ডার মাছের অর্ডার এগুলো দিয়ে আসি। আপনাদের একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছি সেদিন রাতে দাদা বারবিকিউর আয়োজন করেছিল।
পরের দিন আমি নিলয় দা দীপ্রদা আমরা যে আগের দিন অর্ডার করেছিলাম সেই অর্ডারগুলো আনতে চলে গেলাম। যেহেতু বারবিকিউর আয়োজন করা হয়েছে তার জন্য যাবতীয় মাল জিনিস আমাদের কিনতে হবে। আর বারবিকিউ তৈরি করতে গেলে সেগুলোকে ভালোভাবে আগে থেকে মেরিনেট করে না রাখলে খেতে কিন্তু সুস্বাদু লাগে না। আমরা তিনজনেই বের হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে চিন্তা করলাম আমাদের লেট হয়ে যাবে তাই আমরা তিনজন তিন দিকে চলে গেলাম কেউ গেল মাংস কিনতে কেউ গেল মাছ কিনতে আবার কেউ গেল কয়লা কিনতে। বারবিকিউ তৈরি করতে গেলে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে কয়লা। আমাদের আগে থেকে কিছু কয়লা ছিল কিন্তু সেগুলো কম পড়ে যাবে তার জন্য আরো কিছু কয়লা আমাদের প্রয়োজন ছিল। যাইহোক তিনজনে তিন দিক চলে যাওয়ার পর আমাদের আরও সুবিধা হল আমরা সময় মতন সব কিছু নিয়ে আসতে পারলাম।
বাড়িতে আসার পর তারপর সেগুলো পরিষ্কার করে ফেললাম। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বারবিকিউ তৈরি করতে গেলে দীপ্রদা মশাগুলো মাখিয়ে থাকে। কারণ হলো দীপ্রদা এই বিষয়ে খুব এক্সপার্ট। অনেক প্রকার হয়েছিল তার জন্য একা একহাতে সবকিছু করা সম্ভব নয় তাই আমি দীপ্র দাকে সাহায্য করছিলাম। আর নিলয় দা বারবিকিউ করার মেশিনগুলো পরিষ্কার করছিল। আগেই বলেছি অনেক প্রকার ছিল মাছের ভিতর গলদা চিংড়ি,বাগদা চিংড়ি, চাপড়া চিংড়ি,শোল মাছ,পমফ্রেট মাছ,তেলাপিয়া মাছ।মাংসের ভেতর ছিল চিকেন,কোয়েল পাখি,মাটন শিক কাবাব,মাটন বারবিকিউ।এসব গুলো শেষ করতে করতে আমাদের বেলা বারোটা বেজে গিয়েছিল। আমাদের মাথার ভিতর অনেক চাপ রয়েছে।কারণ অনেক প্রকার হয়েছে যার কারণে আমাদের সকাল সকাল শুরু করতে হবে। আবার মেরিনেট করে কিছু সময় রেখে না দিলে সেগুলো ভালো লাগবে না। যাই হোক, সব কিছু শেষ করার পর আমরা একটি একটি করে পাত্রে সবগুলো পাঁচ ঘন্টা মতো মেরিনেট করে রেখে দিলাম।
এরপর চলে গেলাম ড্রিঙ্কস কেনার জন্য কারণ বারবিকিউর সঙ্গে ড্রিংকস না থাকলে বিষয়টি পরিপূর্ণ হয় না। যাই হোক, ড্রিংকস কিনে তারপর বাসায় যেয়ে স্নান করে সময় মতন চলে এলাম দাদাদের বাসায়। সন্ধ্যের ছয়টা সময় আমরা ছাদে এক এক করে মালপত্র গুলো উঠাতে শুরু করলাম। আর এই আয়োজনের ভিতর যদি একটু সাউন্ড সিস্টেম না বাজে তাহলে ভালো লাগেনা। তাইতো কাজ শুরু করার আগে গান চালিয়ে দিলাম। প্রথমে কয়লায় আগুন জ্বালালাম তারপর সেই কয়লা মেশিনের ভিতর সাজিয়ে তার ওপর প্রথমেই চিকেন দেওয়া হলো। সেদিন রাতে প্রচুর শীত পড়েছিল যেটি আমাদের খুবই ভালো লাগছিল।কারন সবাই জানেন শহরে একটু শীত কম আর আমাদের এই জায়গায় তো অনেকটাই কম। আর এই পার্টিটির আয়োজন করলে একটু শীত না পড়লে আসরটা তেমন জমে না। ছাদের সবাই এসেছিল ছোট দাদা বড় দাদা, দিদিরা সবাই কিন্তু খুবই ভালো ইনজয় করছিল আর আমি,দীপ্রদা, নিলয় দা আমরা তিনজনে ছিলাম রান্নার দায়িত্বে। কেউবা গান করছিল কেউবা গল্প করছিল এই হাসি-ঠাকটার মধ্যে আমাদের প্রথম পর্বের চিকেন শেষ হলো। সবাইকে পরিবেশন করা হলো সবাই খেয়ে অনেকটাই খুশি হলো, একটু ঝাল ঝাল হয়েছিল। বারবিকিউ তে একটু ঝাল না হলে কিন্তু ভালই লাগেনা। এরপর একে একে কোয়েল পাখি, মাটন শিক কাবাব, মাংসের পর্বটা শেষ হলো। এরপর শুরু হল মাছের পর্ব পমফ্রেট, শোল মাছ, চিংড়ি মাছ, তেলাপিয়া মাছ। এ সবগুলোর ভেতর আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিল শোল মাছ পমফ্রেট আর চিংড়ি খেতে দুর্দান্ত লেগেছিল।
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরার দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:৩১.১২.২০২৪
সময়ে:০৯.৪৫ মিনিট
যেহেতু অনেক আইটেমের ছিল আর আমরাই সব কিছু করছিলাম। তার জন্য সব আইটেমের ছবি তুলতে পারিনি আর পানীয় জল যেটা দেখছেন আসলে সেটি সবগুলো নন এ্যালকো তাই সবাই ভুলটা ভাববেন না। খাইতে খাইতে দেখলাম ঘড়ির কাটায় বারোটা বাজতে আর কয়েক মিনিট বাকি আছে। বারোটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আকাশটা ঝলমলে হতে শুরু করল চারিদিকে বাজির আওয়াজ আর হইচই। আমরা খুব হইচই করলাম আর নাচানাচি তো করলাম। আর একে অপরকে হ্যাপি নিউ ইয়ার জানালাম। নতুন বছরটা আমরা হাসিমুখে বরণ করে নিলাম। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ২০২৫ সালের প্রত্যেকটা সময় প্রত্যেকটা দিন সবাই যেন হাসিমুখে থাকতে পারে। আর এই দিনটি আমাদের সবার জীবনে বারবার আসুক এটাই কামনা করি।
থার্টিফার্স্ট নাইটে আপনারা বন্ধুদের সাথে একত্রিত হয়ে বারবিকিউ পার্টি করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। শীতের রাতে বারবিকিউ পার্টি করতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। বারবিকিউ গুলো দেখে যেন খেতে ইচ্ছে করছে।
থার্টিফার্স্ট নাইটে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া হয়েছে দেখছি। কমবেশি সবাই থার্টিফার্স্ট নাইটে বারবিকিউর আয়োজন করে। ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
থার্টিফার্স্ট ডিসেম্বরে দাদার পোস্টে পড়েছিলাম বারবিকিউর পার্টির আয়োজনের কথা। এখন আবার আপনার পোস্টে ডিটেলসে পড়লাম। চমৎকার আয়োজন হয়েছিল এবং অনেক খাবার-দাবার ছিল। সবকিছু মিলিয়ে আপনারা যে সবাই অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন এটাই ভালো লাগার বিষয়। এভাবেই ভালো থাকুন আপনারা সকলে। নতুন বছর আলো আনুক।
দাদা হ্যাংআউটে বলেছিলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে বাসার ছাঁদে মাছ মাংসের বারবিকিউ এর আয়োজন করা হয়েছে। যাইহোক আইটেম দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না। এককথায় বিরাট আয়োজন করা হয়েছিল। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।