শুধু তোমাকেই ভালোবাসবো' গল্পের প্রথম পর্ব
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে 'শুধু তোমাকেই ভালোবাসবো' গল্পের প্রথম পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
আপনারা নামটি দেখেই বুঝতে পারছেন এটি প্রেমের গল্প। এই গল্পের ভিতর প্রেম থাকবে, দুঃখ থাকবে, আনন্দ থাকবে। সবকিছু মিলিয়ে আমি এই গল্পটি তৈরি করেছি। গল্প তৈরি করতে গেলে চরিত্রের নাম অবশ্যই দিতে হয়। তাই আমি নায়কের নাম রেখেছি রাতুল আর নায়িকার নাম রেখেছি সুলতানা। তারা দুজনের আলাদা আলাদা ধর্ম ছিল। কিন্তু তারপরেও কোথা থেকে যে তাদের ভেতর ভালোবাসার সৃষ্টি হল সেটা তারা নিজেরাও জানে না। তাদের সম্পর্কটা এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল যে তারা দুজন দুজনকে ছাড়া কিছুই বুঝতো না। নাম শুনে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে ছেলেটা হিন্দু আর মেয়েটা মুসলমান। ভালোবাসায় জাত পাত কিছুই মানে না শুধু থাকে প্রেম আর ভালোবাসা। কিন্তু আমরা একটি সমাজে বসবাস করি। সেখানে কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে সেগুলো আমাদের মেনে চলতে হয়। সমাজের বিরুদ্ধে কোন কাজ করলে আমাদের অনেক পস্তাতে হয়। যাই হোক, গল্পের মূল কথায় ফিরে আসা যাক।
রাতুল জন্মগ্রহণ করে ব্রাহ্মণ ঘরে। রাতুলের বাবা পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। আর রাতুলের মা ছিল গৃহিণী। রাতুলের বাবা এবং মার এনাদের দুজনের চোখের মনি ছিল রাতুল। আর অন্যদিকে সুলতানা একটি আদর্শ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। তার বাবা ছিল মসজিদের ইমাম। আর মা ছিল গৃহিণী। রাতুল এবং সুলতানা তারা দুজনেই জন্মগ্রহণ করে একটি ভদ্র পরিবারে। ছোট থেকেই সুলতানা বাবার খুব আদরের ছিল। সুলতানের একটি বড় ভাই ছিল তার নাম জুয়েল। জুয়েল সবসময় তার বোন সুলতানাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াত। জুয়েল খুব ভালোবাসতো তার বোনকে। বোনকে খাওয়ানো বোনকে গোসল করানো সবকিছু জুয়েল করতো। দেখতে দেখতে সুলতানা ও রাতুল ৫ বছরে পা দিল। রাতুল যেহেতু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিল তাই তাকে প্রতিদিন ভরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে ঠাকুরের পূজা-অর্চনা করতে হতো। আর অন্যদিকে সুলতানা মুসলিম ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিল আর তার বাবা একজন মসজিদের ইমাম ছিল। তার জন্য তাকেও ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়তে হতো। তাদের দুজনের সৃষ্টিকর্তার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা ও ভালবাসা ছিল।
রাতুলের বাবা ও সুলতানার বাবার একদিন পরিচয় হয়। তারা দুজন দুজনকে কোনদিনই চিনতো না। কারণ সুলতানা দের গ্রাম থেকে তিন গ্রাম পার করে ছিল রাতুলদের গ্রাম। একদিন রাতুলের বাবা তাদের গ্রামে একটি লোকের কাছে টাকা পেত সেই টাকা চাইতে গিয়েছিল। কিন্তু লোকটি টাকাগুলো দিতে অস্বীকার হয়। তখন তর্ক বিতর্ক হতে থাকে তখনই পাশ থেকে যাচ্ছিল সুলতানার বাবা। তখন সে জিজ্ঞাসা করে কি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। তখন রাতুলের বাবা তাকে বলে, আমি ইনার কাছে কিছু টাকা পাই বেশ কিছুদিন ধরে উনি আমাকে ঘুরাছে। তাই আজ হাতেনাতে ধরেছি কিন্তু এখন সে টাকা দিতে অস্বীকার হচ্ছে। যেহেতু সুলতানার বাবা তাদের গ্রামে একজন মান্য গণ্য ব্যক্তি ছিল। তার জন্য সুলতানার বাবা বলে আপনি কোন চিন্তা করবেন না আপনার টাকা এখনই আপনি পেয়ে যাবেন। এই বলে সে ধমক দিতেই সেই ব্যক্তিটি টাকা দিতে শিকার হয়। টাকাগুলো পেয়ে রাতুলের বাবা সুলতানার বাবাকে ধন্যবাদ জানাই। সেদিনের পর থেকেই তাদের দুজনের একটি ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। আর এটাই ছিল তাদের সবথেকে বড় ভুল।
ভাইয়া আপনার গল্প পড়তে সবসময়ই ভালো লাগে। আপনি আজ খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। ভালোবাসা এমন একটি জিনিস যা জাত ধর্ম কিছু বুঝে না। কখন কিভাবে কাকে ভালো লেগে যায় কেউ জানে না। রাতুল আর সুলতানার ভাগ্যে হয়তো তাই লেখা ছিল। তাদের দু'জনের বাবার মধ্যে খুব সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়,জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ দিদি
আসলে ভালোবাসা হয় মন থেকে। ধনী গরিব, জাতপাত এগুলো কিছুই মানে না ভালোবাসা। রাতুলের বাবা আর সুলতানার বাবার দেখছি এখন সুন্দর একটা সম্পর্ক হয়েছে। তারা দুজন ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষ। আর তো মনে হচ্ছে তাদের এই সম্পর্ক থেকেই আস্তে আস্তে রাতুল আর সুলতানার ভালোবাসার সম্পর্ক শুরু হবে। দেখা যাক এখন পরবর্তী পর্বে কি হয়। আশা করছি তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্বটি উপস্থাপন করব
আপনার শেয়ার করা আজকের এই গল্পের প্রথম পর্ব পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি কারের ভালোবাসা কখনো কোনো কিছু দেখে হয় না। আর সেই ভালোবাসা হয় মন থেকে। তেমনি রাতুল আর সুলতানার ভালোবাসা ঐরকমই হবে। যদিও এই পর্বে এখনো পর্যন্ত কোনো কিছুই হয়নি। পরবর্তী পর্বে কিহবে এগুলো আশা করছি তাড়াতাড়ি দেখবো।
খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বটি উপস্থাপন করব আশা করি, সবার ভালো লাগবে।