ছোট দাদার বিবাহ জমজমাট খাওয়া দাওয়া ও ফটোগ্রাফি শেষ পর্ব
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে ছোট দাদার বিবাহের শেষ পর্বটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি,আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
বিয়ে শেষ হতে হতে অনেক রাত হয়ে গেল। আপনাদের একটা কথা জানিয়ে রাখি। যারা হিন্দু ধর্মে আছে তারা একটু ভালো জানবে যে হিন্দুদের বিয়ের সময় ছেলেকে এবং মেয়েকে দুজনকেই সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয় এটাকে হিন্দু ধর্মে উপবাস বলে থাকে। তারা যে একেবারেই খেতে পারবে না তা কিন্তু নয়। তারা সারা দিনে ফলমূল খেতে পারবে আর তারা ভাত খেতে পারবে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তারা ভাত খেতে পারবে এটা নিয়ম। বিবাহটা যার যার ধর্মে সেই ভাবে পালন করা হয়ে থাকে। যাই হোক বিবাহ শেষ হতে হতে অনেক রাত হয়ে গেছিল আর এদিকে আমারও কিন্তু ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। পরবর্তীতে আমি, নিলয় দাদা,বড় দাদা, ছোট দাদা পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে কিন্তু খেতে বসলাম। ছোট দিদিকে এবং ছোট দাদাকে পাশাপাশি বসতে দেওয়া হল তারা কিন্তু দুজনে খুবই খুশি। আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম এবং বাড়িতে যাওয়ার জন্য তৈরি হলাম।
এবার পরবর্তী অনুষ্ঠান হচ্ছে মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া। অনেক নিয়ম কানুন রয়েছে যাই হোক সব নিয়ম কানুন পালন করা হলো। পরবর্তীতে আমরা সবাই ছোট দিদিকে নিয়ে গাড়িতে উঠলাম আর প্রায় ৪৫ মিনিট পর আমরা বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। বাড়িতে পৌঁছাতে পৌছাতে প্রায় রাত তিনটা বেজে গিয়েছিল। আবার এদিকে সকালে অনেক কাজ রয়েছে যেহেতু বিবাহের বাড়ি। তার মানে বুঝতেই পারছেন অনেক কাজ রয়েছে আর বড় দাদা আমাদেরকে কাজের দায়িত্ব দিয়েছে। এখানে আরেকটা মজার কথা বলতে আমি ভুলে গিয়েছি। দিদিকে যখন বাড়িতে নিয়ে আসা হল তখন আমরা গেট ধরেছিলাম। আর আমরা যা দাবি করব সেই দাবি পূরণ করে তারপর ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। এটা একটা রীতিনীতি আর এটি একটি মজার ঘটনা। যেটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে কারণ মিষ্টি খাওয়ার জন্য অনেক টাকা পাওয়া যায় 😀😀😀😀। যাইহোক দিদির সাথে অনেক কথোপকথন করতে হয়েছিল কিন্তু আমি ছিলাম নাছোড় বাধা। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত দিদিকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। যাইহোক আমরা অনেকেই ছিলাম আর দিদি আমাদের দাবি পরবর্তীতে মেনে নিয়েছিল। দিদি আমাদেরকে পঁচিশ হাজার টাকা দিয়েছিল মিষ্টি খাওয়ার জন্য।
যাইহোক সে রাত আনন্দেই কেটে গেল আর ঘুম হলো না। পরের দিন হলো বৌভাত আর বৌভাতের জন্য আলাদা একটি জায়গা ঠিক করা হয়েছিল সেখানে বৌভাতের অনুষ্ঠান হবে। সকাল হতেই শুরু হয়ে গেল কাজের চাপ। নিলয় দাদা আমি দুজনে চলে গেলাম সেই জায়গাতে যেখানে বৌভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। সেখানে যেয়ে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা। সবাই ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা। গেট সাজানো হয়েছে কিনা। এমন টুকিটাকি অনেক কাজ রয়েছে সেগুলো দেখাশোনা করতে লাগলাম। সন্ধ্যা হতেই শুরু হয়ে গেল বৌভাতের অনুষ্ঠান। আমি বাড়িতে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বৌভাতে আসার জন্য তৈরি হয়ে নিলাম। প্রচুর লাইটিং করা হয়েছিল আর যেখানে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেখানে খোলা আকাশের নিচে। কারণ বড় দাদার ইচ্ছা ছিল খোলা আকাশের নিচে ব্যবস্থা করার জন্য। কারণ অল্প আলোতে যখন খোলা আকাশের নিচে খাওয়া-দাওয়া করা হবে তখন কিন্তু একটা মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হবে যেটা কিন্তু বড় দাদা আগে থেকেই ভেবে রেখেছিল। আর এখানে ছবি তোলার জন্য অনেক প্লেস ছিল যেখানে সবাই বৌভাতে এসে ছবি তুলছিল আর বিভিন্ন ধরনের খাবার এখানে ছিল সবাই কিন্তু খুব আনন্দে খাওয়া দাওয়া করছিল। একদিকে নাচানাচি হচ্ছে অন্যদিকে খাওয়া-দাওয়া সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ ছিল।
ক্যামেরা পরিচিতি :oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১৯.১১.২০২৩
সময়:০৯.১০মিনিট
স্থান: কলকাতা
সন্ধ্যা হতেই কিন্তু ছোট দিদিদের বাড়ি থেকে আত্মীয় স্বজনরা আসতে শুরু করলো। আর ছবি তোলার জন্য আলাদা একটি প্লেস ছিল সেখানে দিদির সঙ্গে দাদার সঙ্গে ছবি তোলার জায়গা ছিল। ছোট দাদার বিয়েতে একটা জিনিস আমার খুবই ভালো লেগেছে। সেটা হলো দাদার বিয়েতে যারা কাজ করছে যারা ক্যাটারিং এ রয়েছে তাদেরকে কিন্তু সবাইকে খাওয়ার অনুরোধ করেছিল তারাও কিন্তু দাদার বিবাহটা অনেক উপভোগ করছিল। এ কথাটা বলার কারণ হচ্ছে যারা আমাদের অনুষ্ঠানটা ফুটিয়ে তোলার জন্য পরিশ্রম দিয়ে থাকে। অনেক জায়গায় দেখা যায় তাদেরকে কিন্তু মূল্যায়ন করা হয় না।আরো তারা যদি কোন ভুল কাজ করে থাকে তাহলে তাদেরকে বকাঝকা করা হয়ে থাকে। কিন্তু দাদার বিয়েতে এমনটি কখনোই হয়নি অনেক গরিব মানুষ ছিল তারা কিন্তু দাদার বিয়েতে খাওয়া-দাওয়া করেছিল। ছোট দাদার বিয়ে মানে একটি রাজকীয় ব্যাপার ছিল। কারণ এখানে এত পরিমানে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল সেগুলো বলে আমি শেষ করতে পারবো না। কারণ সন্ধ্যা থেকে সবাই খাওয়া দাওয়া শুরু করেছিল আর রাত ১ টা পর্যন্ত। আর আমি আগে থেকেই বলেছি আমি খাওয়া-দাওয়া প্রিয় একটা মানুষ। আমার কথা হল পেট যদি ভরা থাকে তাহলে সব ভালো 😀😀😀। আমি তো সন্ধ্যা থেকেই শুরু করেছিলাম খাওয়া-দাওয়া আর রাত একটা পর্যন্ত। শুধু যে খাওয়া দাওয়া করছিলাম তা কিন্তু নয়😀😀 অনেক দায়িত্ব ছিল সে দায়িত্বগুলো পালন করছিলাম। সবকিছু মিলিয়ে ছোট দাদার বিবাহের অনুষ্ঠানটা আমার কাছে খুব খুব ভালো লেগেছিল। সবাই আশীর্বাদ এবং দোয়া করবেন তারা যেন সারা জীবন সুখে শান্তিতে সারাটা জীবন কাটাতে পারে।
বাহ,আপনার কত ভাগ্য ভালো,ছোট দাদার বিয়েতে অনেক দায়িত্ব পেয়েছেন।আর ছোট দিদির কাছ থেকে এতগুলো টাকা হাতিয়ে নিলেন,এটা কিন্তু ঠিক হলো না,হাহাহা।মজা লাগলো খুব,তবে এটাও ঠিক করেন নি,এতগুলো খাবার একসাথে দিয়ে লোভ লাগালেন। এখন সেই দিনের খাবারগুলো চোখের সামনেই দেখছি খেতে পারছি না।যাইহোক মোটামুটি বড় দাদার পোস্টগুলোতে বিবাহের কিছু ব্যাপার জেনেছিলাম।আজ অনেক দিন পর আবার আপনার পোস্টটা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ছোট দাদার বিয়ের অনেক কিছু জানতে পারলাম। বড় দাদার পোস্টেও ছোট দাদার বিয়ের সম্পর্কে ফটোগ্রাফি ও অনেক কিছু জানতে পেরেছি এর
আগেও। তবে বিয়েতে বেশ মজা করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে।ছোট দাদার বিয়ে বলে কথা আনন্দ তো হবেই।খাবারগুলো এতটা লোভনীয় ছিল যে দেখেই লোভ লেগে গেল। অনেক ধন্যবাদ ভাই দারুন একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।