শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণ পর্ব: ৪
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি,আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণের চতুর্থ পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোনাঝুরি হাট এখানে সব থেকে বেশি আকর্ষণ করেছিল এখানকার আদিবাসীদের কালচার। এই হাতটা অনেকটাই বড় ছিল। হাটের বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসীদের দেখা যাচ্ছিল। তারা এক এক দলে বিভক্ত হয়ে তাদের আঞ্চলিক গান এবং নাচ পরিবেশন করছিল। কিছু সময় দাঁড়িয়ে তাদের পরিবেশন দেখছিলাম খুব ভালই লাগছিল। আগেই বলেছিলাম এখানে বেশিরভাগ নকশা করা জামা কাপড় দোকান বসে ছিল। হাটের ভেতর ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পেলাম একটি লোক ভ্যানের উপর বিভিন্ন ধরনের ফল মাখা বিক্রি করছে। দেখে খুবই খেতে ইচ্ছা করছিল তাই দেরি না করে উনার কাছে যে আমরা একটি আম মাখা দিতে বললাম। উনি আমাদের বড় একটি আম সুন্দর করে বিভিন্ন ধরনের মসলা এবং আচার দিয়ে মাখিয়ে দিলেন। এতে দুর্দান্ত লেগেছিল টক টক ঝাল ঝাল মাঝেমধ্যে আচারের সুগন্ধ পাগল করে দিচ্ছিল।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে চলে গেলাম আর একটা দোকানে শরবত খাওয়ার জন্য। এখানে উনি বিভিন্ন ধরনের ফলের শরবত তৈরি করছিল। আমি কোনদিন আমপোড়া শরবত খাইনি। দাদা বললো আমপোড়া শরবত নাকি খুবই ভালো লাগে খেতে। তাই ওনাকে দুইটি আম পোড়া শরবত দিতে বললাম খেতে একটু অন্যরকম লাগছিল। একটু পোড়া পোড়া গন্ধ আর আমের স্বাদ দুটি মিলিয়ে খুব সুস্বাদু একটি শরবত তৈরি হয়েছিল। মেলায় এসেছি আর ঝাল মুড়ি খাব না এটা কি কখনো হয়। আমার সব থেকে প্রিয় একটি খাবার হচ্ছে ঝাল মুড়ি। আমি কোথাও ঘুরতে গেলে সামনে যদি ঝালমুড়ি দেখতে পাই সঙ্গে সঙ্গে আমি সেটি খাওয়া শুরু করি। এতটাই প্রিয় ঝালমুড়ি আমার বেশি করে উনাকে দু প্যাকেট ঝালমুড়ি দিতে বললাম। ঝালমুড়ি খেতে খেতে আমরা সোনাঝুরি হাট ঘুরে ঘুরে উপভোগ করছিলাম।যেহেতু এখানে এসেছি আর এখান থেকে কিছু কেনাকাটা করবো না সেটা কি হয়। এখান থেকে একটি নকশা করা একটি ব্যাগ কিনলাম, একটি চাদর কিনলাম,একটি শাড়ি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ফটো কিনলাম, হাতের তৈরি বাচ্চাদের খেলনা কিনলাম, কিছু আসবাস পাত্র ইত্যাদি। কিনা কাটা করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেছিল।তাই সেদিন আর কোথাও ঘুরতে যেতে পারলাম না। হোটেলে যাবার পথে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। এর পর হোটেলে যে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:২৪.১২.২০২৪
সময়:০৫.০৩মিনিট
স্থান:শান্তিনিকেতন
বহুদিন বহুকাল হয়ে গেল সোনাঝুরির হাট যাব যাব করে যাওয়া হয়ে ওঠেনা। সবার কাছেই শুধু গল্প শুনি আর পৌষ মেলায় যাবার কথা তো বোধহয় চিন্তা করে করেই ভুলে গেছি। এখন আপনার পোস্ট দেখে আবার মনে হচ্ছে যে কবে যাব। আমাদের বাঙ্গালীদের জন্য শান্তিনিকেতন সত্যিই শান্তির নিকেতন যেন বড় মন চায় যেতে। কি জানি কবে পারবো।
দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলায় কাটানো চতুর্থ পর্ব শেয়ার করেছেন। এর আগের পর্বটা আমি দেখেছিলাম। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছিল এটার আগের পর্ব। আর এখন এই পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। মেলায় অনেক রকম জিনিসের দোকান দেখলাম।
মেলায় ভ্রমণ করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি মেলায় খুব ভালো সময় কাটিয়ে ছিলেন, এটা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। মেলায় ঘুরাঘুরি করার সময় খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো দেখে ভালো লেগেছে। আশা করছি আপনার মেলায় কাটানো মুহূর্তের পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ি শেয়ার করে নিবেন।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। কখনো মেলায় গেলে এ জাতীয় জিনিসগুলো বেশি দেখতে পায়। ঠিক তেমনি আপনি শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণ ভ্রমণ করে সুন্দর সব ফটো ধারণ করে দেখিয়েছেন। অনেক ভালো লাগলো বর্ণনার সাথে ফটোগুলো দেখে।
আপনি পৌষ মেলা ভ্রমণ করেছেন এবং সেই মেলা থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। এই সমস্ত মেলাগুলো ভ্রমণ করতে পারলে অনেক কিছু দেখতে পারা যায় আবার সেই সাথে অনেক কিছু কিনতেও পারা যায়। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করে বেশ অনেক কিছু দেখাও জানার সুযোগ করে দিয়েছেন তাই ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট।
সোনাঝুরি হাটের কথা অনেক শুনেছি। এই হাট হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী একটি হাট। যাইহোক মেলায় গিয়ে ঝালমুড়ি খেতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। পৌষ মেলায় গিয়ে মজার মজার খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন দেখছি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।