বেগুন ভর্তা রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে বেগুন ভর্তা রেসিপি উপস্থাপন করছি।আশা করি,আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
শীতকাল আসলেই বিভিন্ন ধরনের ভর্তা সকাল বেলায় গরম ভাতের সঙ্গে মাখিয়ে খেতে দুর্দান্ত লাগে। ভর্তা সব মৌসুমে খাওয়া যায় কিন্তু শীতকালে ভর্তা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। বেশ কয়েকদিন ধরে ইচ্ছা করছিল বেগুন ভর্তা খেতে। তাইতো আজ সেই ইচ্ছাটি পূরণ করলাম। আমার সব সময় বিভিন্ন ধরনের ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। আজ নিজের তৈরি বেগুন ভর্তা দিয়ে এক থেকে দুই প্লেট ভাত অনায়াসে কখন যে খেয়ে ফেলেছি নিজেই জানি না। খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল বেগুন ভর্তার সাথে একটু টমেটো এড করেছিলাম যার কারণে খেতে টক ঝাল লাগছিল। বেগুন ভর্তা তৈরি করার পর এত সুন্দর গন্ধ বের হচ্ছিলাম যার কারণে আমার জীবে জল এসে যাচ্ছিলাম। তাহলে চলুন এক নজরে দেখে আসা যাক আজকের এই ভর্তা তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণগুলো লেগেছে।
উপকরণ:
নাম | পরিমাণ |
---|---|
বেগুন | একটি মিডিয়াম সাইজ |
টমেটো | একটি মিডিয়াম সাইজ |
পেঁয়াজ কুচি | একটি মিডিয়াম সাইজ |
রসুন | চার কোয়া |
সরিষার তেল | পরিমাণ মত |
কাঁচা মরিচ | দুইটি |
জিরার গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
লবণ | পরিমাণ মত |
ধাপ:১
প্রথমে বেগুন টমেটো কাঁচা মরিচ গোটা রসুন পরিষ্কার জল দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে। এরপর একটি ধারালো ছুরি দিয়ে বেগুনটি লম্বা করে চারটি চির করতে হবে। এরপর প্রত্যেকটি চিরের ভেতর গোটা রসুন এবং মরিচ ঢুকিয়ে দিতে হবে। এরপর সামান্য সরিষার তেল বেগুনের গোটা শরীরে মাখিয়ে দিতে হবে এবং একইভাবে টমেটোটিতে ও সরিষার তেল মাখিয়ে নিতে হবে।
ধাপ:২
এরপর চুলার আগুন জ্বালিয়ে তার ওপর একটি জালি দিয়ে বেগুনটি পুড়িয়ে নিতে হবে এবং একই সাথে টমেটো। আগুনটা মিডিয়াম পর্যায়ে রাখতে হবে যেন বেশি তাপে বেগুন এবং টমেটো পুড়ে না যায়।
ধাপ:৩
এরপর যখন বেগুন এবং টমেটো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে তখন চুলার আগুন নিভিয়ে বেগুন এবং টমেটোর পুড়ে যাওয়া অংশটি হাতের সাহায্যে ছাড়িয়ে নিতে হবে।
ধাপ:৪
বেগুন এবং টমেটো পোড়া অংশটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়ার পর কাটা চামচ অথবা হাতের সাহায্যে সেটিকে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে।
ধাপ:৫
এরপর চুলার উপর একটি ফ্রাইপেন দিয়ে তাতে সামান্য সরিষার তেল দিয়ে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি এবং সামান্য জিরার গুঁড়া দিয়ে সেগুলো ভালোভাবে একটু ভাজি করে নিতে হবে।
ধাপ: ৬
একটু ভাজি হয়ে যাওয়ার পর ফেটিয়ে রাখা বেগুন এবং টমেটো দিয়ে কিছুটা সময় নেড়েচেড়ে দিবো। যাতে করে বেগুন এবং টমেটো পেঁয়াজ কুচি ভালোভাবে একে অপরের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। এরপর দিয়ে দেবো স্বাদমত লবণ। দু মিনিট নেড়েচেড়ে দেওয়ার পর একটি পাত্রে নামিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণে সরিষার তেল দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে দিব। এরপর পরিবেশন করার জন্য একেবারে তৈরি হয়ে যাবে এই বেগুন ভর্তা রেসিপি।
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
আমার মতো করে আপনারা একদিন শীতের সকালে বেগুন ভর্তা তৈরি করুন। খাইতে বসে কখন এক থেকে দুই প্লেট ভাত খেয়ে ফেলবেন নিজেই বুঝতে পারবেন না।
বেগুন ভর্তা খেতে আমি খুব পছন্দ করি।বেগুন ভর্তার সাথে গরম গরম ভাত, এক কথায় অসাধারণ।আজকে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে বেগুন ভর্তা তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি বেগুন ভর্তা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে।শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পছন্দের ভর্তা গুলির মধ্যে বেগুন ভর্তা অন্যতম। খুবই লোভনীয়ভাবে বেগুন ভর্তা তৈরি করেছেন। টমেটো দিয়ে তৈরি করাতে মনে হচ্ছে আরো দ্বিগুণ স্বাদ হয়েছিল খেতে। কিভাবে বেগুন ভর্তাটি তৈরি করলেন পুরো বিষয়টি খুবই সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আসলে এরকম রেসিপি পোস্টগুলো বরাবরই ভালো লাগে আমার কাছে। এই বেগুন ভর্তা রেসিপিটি ভীষণ ভালো লেগেছে তাই অপেক্ষায় রইলাম ভাই আপনার পরবর্তী রেসিপি পোস্ট দেখার জন্য।
টমেটো দিয়ে এরকম বেগুন ভর্তা ভালই লাগে খেতে। শীতকালে এই ভর্তাটা আমার খুবই পছন্দ। আর বেগুন ভর্তা আমার সব সময়ই ভালো লাগে। আপনার এই রেসিপিটা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। গরম গরম ভাতের সাথে খুবই সুস্বাদু লাগবে খেতে। মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ বেগুন ভর্তা আমার খুবই পছন্দের ৷ এমন বেগুন ভর্তা থাকলে আর কি লাগে ! আপনার সুন্দর রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য ৷