অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা গুলো বিরক্তির কারণ হলেও আমাদের ধৈর্য্য ধরা উচিত।
প্রথমেই সবাইকে জানাই সালাম,আদাব। সৃষ্টিকর্তার রহমতে আশা করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছি।
আজকে আমি হাজির হয়েছি একটি লিখা নিয়ে।
লিখতে ভালা লাগোটা আমার বহুদিন এর। কেও যদি জিজ্ঞেস করে তোমার লিখার কারণ কি?
তাহলে আমার একটাই উত্তর আসবে তা হলো জানিনা।
তাহলে আজকের লিখাটা শুরু করি।
আজকের লিখার বিষয় হলো " অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা গুলো বিরক্তির কারণ হলেও আমাদের ধৈর্য্য ধরা উচিত"।
- জীবন সমস্যাপূর্ণ:-
মানুষের জীবন কখনই এক রকম ভাবে চলে না। কিংবা ,
একটা মানুষের জীবন কখনই একই ধারাতে চলে না।
আমরাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের জীবন যাপন করে থাকি। যেকোনো একটা পর্যায়ে আমাদের কাছে সুখকর মনে হলেও অন্য পর্যায়ে ঠিক সেইভাবে কখনো সুখকর মনে হয় না।
কারণ আমরা সকলেই জানি প্রতিটি মানুষের জীবনে কখনো না কখনো, কোনো না কোনো সমস্যা
এসেছে,
আসছে
এবং
ভবিষ্যতেও থাকবে।
কারণ সমস্যার বাইরের পৃথিবীতে কোন মানুষ নেই।
- একটি গল্প সবাই জানেন।যদি কেও না জেনে থাকেন তবে আবার বলছি।
একটি রাজ্যে একটা রাজা ছিলো।
তার রাজ্য নিয়ে খুব ভালোই ছিলো।রাণী,রাজ্য নিয়ে সুখেই ছিলো রাজা।
কিন্তু হঠাৎ রানার কঠিন রোগ ধরা পরলো।
কতো জায়গা থেকে ডাক্তার,বৈদ্য,কবিরাজ দেখানে হলো।
কিন্তু রাজার রোগ তাও সাড়ে না কোনো রকমে। দিন যায় রাজার রোগ আরো বাড়তে লাগে।
রাণী দুশ্চিন্তায় পরে যায়,এতো বড় রাজ্যের হবে কি যদি রাজা দিনি দিন এমন হয়ে যায়।
কিছু সময় পরে একদিন এক কবিরাজ এসে বলে,
একটি সুখী মানুষের জামা লাগবে।
কারণ কবিরাজ রাজাকে বলেছে সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলে।
তবেই রাজার সমস্যা দূর হবে।
রাজা বড় পুরষ্কার ঘোষণা করে সুখী মানুষের জামার জন্য।
কিন্তু রাজা গ্রামে গ্রামে বা পাশের গ্রামে কোন সুখী মানুষ খুঁজে পায়নি।
বহু পরে একজন কে খুঁজে পায়।
কিন্তু!
কিন্তু তার কোনো জামা নেই!
এই গল্পটি দাঁড়া আমি আপনাদের সামনে এটাই উপস্থিত করলাম যে।আমাদের জীবনে আমরা কেউই সুখী নই।
এবং,
পৃথিবীতে যদি কেউ সুখী হয়ে থাকে।
তাহলে দেখবেন তার কিছুই নেই।
কিছুই না থাকার কারণে তার কোনো সমস্যাই নেই। কারণ আমাদের সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় আমাদের কাজের মধ্যে,
কাজ কে ঘিরে,
আমাদের কর্মকাণ্ডকে ঘিরেই প্রতিটি সমস্যা সৃষ্টি হয়।
এবং
আমাদের প্রতিটি ধন-সম্পদকে ঘিরেই আমাদের অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়।
আমরা প্রস্তুত থাকি না।
তখন ঘটনাগুলো ঘটে যায়।
তখন সেটাকে আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে ধরে নি।
আমার সাথে,
আপনাদের সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দেখা হতেই পারে।
এবং অনাকাঙ্ক্ষিতের সংজ্ঞা টাও আলাদা হতে পারে আমাদের মতে।
তবে আপনার সংজ্ঞাটিও আমাকে জানাবেন, আমি জানতে পারলে খুশি হব।
- এখন আমি যেই কথাটা নিয়ে কথা বলছি সেটা হলো অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা:-
আমরা প্রতিনিয়তই চাইতেই কিংবা না চাইতে বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্খিত সমস্যায় পরে থাকি। এবং
এই অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো কোনদিনও বলে কয়ে আসে না।
অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার মূল বিষয় হচ্ছে কোনদিনও অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো বলে আসেনা। যে কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকি না।
এখন এই সমস্যা গুলোর জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি থাকে না, সেই সমস্যাগুলো অতিরিক্ত বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো সবসময় বিরক্ত কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ প্রতিটি অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা বেশিরভাগ সময় খেয়াল করলে দেখবেন আমাদের সুসময়ে চলে আসে। যে কারণে অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো কে এড়ানো অনেকটা কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু এটা এমন নয় যে অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো আমাদেরকে কিছুটা বিব্রত করে না।
আমরা প্রতিটা মানুষই অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো বিরক্ত হিসেবেই দেখি। কারণ এই ঘটনাগুলোর জন্য আমরা ব্যক্তিজীবনেও প্রচণ্ড বিরক্তির শিকার হই।
এটা সত্যি কথা এবং আমাদের এই বিষয়গুলো মানতে হয়।
কারণ ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
- ধৈর্য্য:-
প্রতিটি প্রতিটা মানুষেরই ধৈর্য্য থাকা উচিত।
কারো কমবেশি হতে পারে।
হয়তো কারো বেশী,
কারো কম।
কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষেরই জীবন সুন্দরভাবে যাপিত করতে হলে ধৈর্য্য থাকা অত্যাবশ্যকীয়। কারণ যে মানুষের ধৈর্য নেই সেই মানুষের কোন কাজে সফলতা আশা করাটাও বোকামির পর্যায়ে পরে।
কারণ প্রতিটি কাজে ধৈর্য ধরা একটি সফলতার লক্ষণ। কারণ ধৈর্য না ধরলে সফলতা আসবে না। কারণ সফলতা কখনোই সাথে সাথে পাওয়া যায়না।
সফলতার জন্য কাঠ-খড় পুড়িয়ে কষ্ট করে তবেই সফলতা অর্জন করতে হয়।
সেই কারণেই প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধৈর্য্য।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ধৈর্যধারণ না করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়।
কারণ অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো হুট করে আসে। এবং,
মানব মস্তিষ্ক হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়া তে একটু ভুল করেই থাকে।
এখন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় যদি আমরা ধৈর্যধারণ না করি।
তাহলে বিপদ অনিবার্য।
কারণ আমাদের ধৈর্য ধারণ করেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
সকলকে জানাই আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
নিজেদের মূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমার পাশে থাকবেন।
প্রথমত আমাদের জীবন ফুলের বিছানা নয় যে সব সময় সুখে ভরপুর থাকবে। গল্পটি যর্থাথই লিখেছেন । আমাদের পাঠ্য পুস্তকে ছিল। হার গুর গুর রোগ। সুখি মানুষের জামা লাগবে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে। সত্যি যখন সমস্যা এসে পরে তখন আমাদের ধৈর্য্য ধারন করতে হবে নতুবা আমরা সমস্যার মোকাবিলা করতে পারবো না। দারুন লিখেছেন। ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন আপনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পুরো পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের জীবন বিভিন্ন সমস্যায় পরিপূর্ণ। বারবার মনে হয় দুঃখের সময়টা অনেক বড়।
সত্যিই এই সময়টিতে ধৈর্য সবথেকে বড় ঔষধ তাই ধৈর্য ধরেই এর সমাধান করতে হবে।
ভীষণ ভালো লেখনী ভাই ♥️
দোয়া রইল 🥀
প্রিয় ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খুবই সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।