নিজের কাজের জন্য অন্য মানুষকে বিরক্ত করা অপরাধের মতই।|| 10% Beneficiaries @shy-fox ||
প্রথমেই সবাইকে জানাই সালাম,আদাব। সৃষ্টিকর্তার রহমতে আশা করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছি।
❤️ সবার জন্য অবিরাম ভালোবাসা ❤️
আজকে আমি হাজির হয়েছি একটি লিখা নিয়ে।
লিখতে ভালা লাগোটা আমার বহুদিন এর। কেও যদি জিজ্ঞেস করে তোমার লিখার কারণ কি?
তাহলে আমার একটাই উত্তর আসবে তা হলো জানিনা।
তাহলে আজকের লিখাটা শুরু করি।
আজকের লিখার বিষয় হলো " নিজের কাজের জন্য অন্য মানুষকে বিরক্ত করা অপরাধের মতই "।
★★"অন্যকে বিরক্ত করা"★★
- বিরক্ত কী:-,
কোন একটি মানুষকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ করার জন্য প্রতিনিয়ত বলতে থাকা,
কিংবা একটি মানুষকে প্রতিনিয়ত তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজের জন্য চাপ দেওয়াকে এবং জালানোকে আমি বিরক্ত হিসেবে মনে করি।
হয়তো বিরক্তি এর আভিধানিক ভাষা হয়।তো অন্য কিছু হবে আমি একটু দেখলাম বিরক্তকে অসন্তুষ্টি বলা হয়েছে।
আমার মতে এটি একটি কারণ। বিরক্ত হওয়া মানে অসন্তুষ্ট হওয়া।একটি মানুষের জীবনে অনেক ব্যস্ততা থাকে।
এবং,
যখন একটা মানুষ বিরক্ত হয়, তখনও একটা মানুষ অসন্তুষ্ট হয় অর্থাৎ খুশি হয় না।
কারণ বিরক্ত এমন একটি ব্যাপার যে ব্যাপারটি মানুষের জীবনে অসন্তুষ্টি বয়ে আনে,
কিংবা কেউ খুশি থাকে না যখন বিরক্তি আসে তখন।
- অন্যকে বিরক্ত করা:-
আমাদের মানুষ জাতির মধ্যে একটা স্বভাব খুব লক্ষণীয়।
সেটা হচ্ছে:- নিজের কাজের জন্য অন্য মানুষকে প্রতিনিয়ত বিরক্ত করতে থাকা। আমাদের কাজের জন্য আমাদের জীবনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজের জন্য অবশ্যই অন্য মানুষের সাহায্য নিতে হয়।
এবং আমরা সকলেই অন্য মানুষকে ছাড়া অর্থাৎ একজন অন্যজনকে ছাড়া বেঁচে থাকতে পারি না।
কারন আমরা মানুষ, আমরা একা বাঁচতে শিখি নি।
আমরা একা বাঁচতে পারব না। কিন্তু তার মানে এই না যে আমরা নিজেরা বাঁচার জন্য অন্য কাউকে বিরক্ত করতে থাকব।
আমার কাজ অর্থাৎ আমার দায়িত্ব সেই কারণে আমার কাজটি কিভাবে সম্পন্ন হবে সেই দায়িত্ব আমার।
আমি অন্যজনের সাহায্য নিতে পারি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা নিজেদের সাহায্য নেওয়ার জন্য অন্য মানুষকে বিরক্ত করতে থাকব। কারণ এটা কোন শোভনীয় পর্যায়ে পরে না।
এবং আমি মনে করি এই কাজটি করা ঠিক নয়।
★★"অন্যকে বিরক্ত করার পরিনাম"★★
- পরিনাম কি:-
পরিনাম এর আভিধানিক অর্থ হলো শেষ দশা।
আমরা যদি নিজেদের ভাষায় বলতে চাই তাহলে পরিণাম মানে হল: আমার যে কাজগুলো করি সেই কাজগুলোর ভবিষ্যৎ কিংবা যে ফলটা থাকে সেটাকে আমরা পরিমাণ হিসেবে বলে থাকি।
অর্থাৎ কোন কাজের ফলাফল হল সেই কাজের পরিনাম।
- অন্যকে বিরক্ত করলে পরিনাম ভালো হয়না:-
আমরা মানুষ জাতির একটা স্বভাব হচ্ছে আমরা যত চাই তত পাই।
সে মানুষ জাতির মধ্যে আমি যে শুধু অন্যকে বুঝাচ্ছি সেইটা নয়। আমি আমার নিজেকেও বুঝাচ্ছি। কারণ আমাদের ছোটবেলা থেকেই এই স্বভাব তৈরি হয়ে যায় যে আমরা যতটা চাই তার চেয়েও আরো বেশী চাই।
আমরা যখন দেখি যে কোন একটা মানুষ আমাদেরকে সাহায্য করছে। তখন আমরা তাকে অবশ্যই ভালোবাসতে শুরু করে দিই কিংবা ভালোবাসা বলতে আমি বুঝালাম আমরা তাকে পছন্দ করতে শুরু করি।কিন্তু আমাদের মধ্যে আরেকটা কাজ বেড়ে যায় সেটা হচ্ছে যারা আমাদেরকে সাহায্য করে আমরা তাদের উপর ততই নির্ভরশীল হয়ে পরি।
এবং এই নির্ভরশীলতা টা আমাদের জন্য ভবিষ্যতে কাল হয়ে দাঁড়ায়।সেইটা আমরা বর্তমানে কিংবা অতীতে বুঝতে পারিনা। কারন ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা আমরা সবাই করি না।
কিংবা,
আমাদের সবার করার মত মানসিকতা নেই।
আমাদেরকে যখন একটা মানুষ মন ভালো থেকে সাহায্য করে তখন আমরা সেই সাহায্যটা নি
এবং
আমরা আবারও চাই যে ওই মানুষগুলো যেন আমাদেরকে আবারো সাহায্য করে। অর্থাৎ একটা সময়ে গিয়ে আমরা যে কাজগুলো নিজেরাই করতে পারব একটু কষ্ট করলে সেই কাজগুলোর জন্যই আমরা অন্যকে বিরক্ত করতে শুরু করে দি।
অন্যকে বিরক্ত করতে করতে একটা সময় ওই মানুষটা আমাদেরকে আর দরকার এ সাহায্য করতে চায় না। কারণ আমরা আগেই ওই মানুষটাকে বিরক্ত করে ফেলেছি।
এবং তার ফলে যেটা হয় সেটা হলো আমরা আমাদের চরম বিপদের সময় অন্য কাউকে পাশে পাই না। কারণ আমরা দরকার ছাড়াও একটা মানুষকে অতিরিক্ত বিরক্ত করে ফেলেছি।
এবং এই সাহায্য না পাওয়া এবং দরকারে একেবারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরা টাই হয় বিরক্ত করার পরিণাম।
নিজের কাজের জন্য অন্য মানুষকে বিরক্ত করা
নিজের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান ঠিক তার সাথে আমাদের জন্য অন্যের জীবনে অত্যন্ত মূল্যবান।
আমাদের প্রতিটা মানুষের জীবনেই কোন না কোন ব্যস্ততা কিংবা সমস্যা রয়েছে। আমরা সেসব সমস্যাকে একপাশে রেখে অন্য একটা মানুষের সাহায্য করে কিংবা অন্য জন্য আমাদের সাহায্য করতে আসে।
কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা তাকে বিরক্ত করব।
কারণ একটা মানুষ যখন বিরক্ত হয়ে যায় তখন অবশ্যই তার সমস্যা হয় এবং অন্যের জীবনের সমস্যা সৃষ্টি করা কিংবা ক্ষতিগ্রস্ততা বয়ে আনা একটি অপরাধ।
সেই কারণে মানুষকে বিরক্ত করা অপরাধের শামিল।
সকলকে জানাই আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
নিজেদের মূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমার পাশে থাকবেন।
আপনার লেখার যৌক্তিকতা রয়েছে। সত্যি আমার সমস্যায় যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তবে ভাল কিন্তু তাকে নিজের কাজের জন্য বিরক্ত করা ঠিক নয় । কারন আমার মত তারও জীবনে বহু ব্যস্ততা বহু সমস্যা থাকতে পারে । সেটা উপলদ্ধি করার মত মানসিকতা থাকতে হবে। যাই হোক লেখাটি যতটুকু বুঝেছি তাতে আমার এটাই মনে হয়েছে যে নিজের জন্য অন্য কাউকে বিরক্ত না করাই শ্রেয় বরং কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে তাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত তার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা । ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাহ,দারুণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন ভাইয়া।আমি আপনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি,নিজের কাজ নিজেই সর্বোচ্চ দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে ,কিছু ক্ষেত্রের বিষয় আলাদা ।যেখানে ক্ষমতাধীন মানুষের সাহায্য অবশ্যই প্রয়োজন হয়।কিন্তু মানুষকে বিরক্ত করে কখনো আদায় করা সম্ভব নয় বরং ভালো ব্যবহার দিয়ে সম্ভব।ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর লিখেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুবই সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন এবং সময় উপযোগী একটি মন্তব্য করেছেন।