রিভিউঃ "মনোলোভা ক্যাফে এন্ড বারবিকিউ" || আমার বাংলা ব্লগ || 10% to @shy-fox || 30-10-2021
১৫ই কার্তিক, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
রিভিউঃ "মনোলোভা ক্যাফে এন্ড বারবিকিউ"
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। দিন যত যাচ্ছে ফুড রিভিউ বা রেস্টুরেন্ট রিভিউ আমার এক ধরনের প্যাশনের মতো হয়ে যাচ্ছে। রেস্টুরেন্ট বা ফুডকে নিয়ে যত রিভিউ দিতে পারি মনের মধ্যে আমার ততই আনন্দ ও অনুভূতি কাজ করে। দিন যত যাচ্ছে আমি নিজেকে ফুড ব্লগার হিসেবে আবিষ্কার করতেছি। খাবার খেয়ে সেটির রিভিউ দিতে বর্তমানে খুবই ভালো লাগে। বর্তমানে ফুড ব্লগিং এক অন্যতম পেশা হয়ে উঠেছে। খাবার রশিক যে কেউই ফুড ব্লগার হতে পারবে। ফুড ব্লগার হতে গেলে জানতে হবে খাবারের মান সম্পর্কে, জানতে হবে রন্ধন কৌশল সম্পর্কে। আর সব থেকে বড় যে বিষয়টি হচ্ছে পকেট ভর্তি টাকা থাকতে হবে তাহলেই আপনি ব্লগিং করতে পারবেন। আর যে জিনিসটি থাকতে হবে সেটি হচ্ছে ভালো মানের একটি ক্যামেরা। তো চলুন শুরু করা যাক আজকের এই রিভিউ টি।
অনেক দিন হয়ে গেছে আমরা সবাই কোথাও ঘুরতে যাই না, খেতেও যাই না। তো আজকে আমরা উদ্দেশ্যহীনভাবে বেড়িয়ে পড়ি কোথায় যাওয়া যায়। তো সে হিসেবে আমরা প্রথমে মেস থেকে বেড়িয়ে অটোতে করে বেড়িয়ে পড়ি। এদিন আমার সাথে ছিলো। ইব্রাহিম, সাদিক ও তারেক। তারা আমরা সবাই ঘনিষ্টজন ও আপনজন। তো যেতে যেতে আমরা একটা নিদির্ষ্ট স্থান সিলেক্ট করি সেটা হচ্ছে আমরা প্রথমে দিনাজপুরের সব থেকে বড় ঈদগাহ ময়দান, যেটাকে বড়-মাঠ নামে সবাই চিনে সেখানে। আমরা সেখানে গিয়ে কিচ্ছুক্ষন আড্ডা দেই।
এবার আসি মূল আলোচনায়ঃ-
আজ আমি আপনাদেরকে একটি রেষ্টুরেন্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। রেষ্টুরেন্টের নাম হচ্ছে "মনোলোভা ক্যাফে এন্ড বারবিকিউ"। এটি বাংলাদেশের দিনাজপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত। এটি দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে ১০ মিনিটি এর দূরত্বে দক্ষিনে বড়-মাঠে অবস্থিত। এখানে অনেক ধরনের খাবার পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি-সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর জন্য রয়েছে আলাদা একটি অবস্থান। রেষ্টুরেন্টটির ইন্টোরিয়র ডিজাইন ছিলো চোখ ধাধানো। রেষ্টুরেন্টটি দু'টি ইউনিটে বিভক্ত। একটি অংশ রেষ্টুরেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং অন্য অংশ কমিউনিটি সেন্টার। তবে যখন কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন রেষ্টুরেন্টটি বন্ধ থাকে। এর ডিজাইনটি বেশ সুন্দর ছিলো।
প্রথমত আমি আপনাদের এর লোকেশন ও ডিটেইলস সম্পর্কে জানাবোঃ-
- নামঃ "মনোলোভা ক্যাফে এন্ড বারবিকিউ"
- Google Maps: https://goo.gl/maps/CH8NS6UonD2STHQJ8
রেষ্টুরেন্টটি দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে বিধায় খুব সহজেই দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে এসে খাবার খেয়ে যেতে পারে। ট্রেন থেকে নেমে মাত্র ১০ মিনিট দক্ষিণ দিকে হাঁটলেই রেস্টুরেন্টটি দেখতে পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্টের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে রেস্টুরেন্টে বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং এখানকার ফ্রেন্ডলি ও আন্তরিকতা সম্পন্ন।
এখন আমি আপনার এর ইন্টিরিয়র ডিজাইন দেখাবোঃ-
এর ইন্টিরিয়র ডিজাইন আসলেই অনেক মনোমুগ্ধকর। এটি প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে এর ডিজাইন টা করা হয়েছে। প্রত্যেকটা ডিজাইন চোখে ধরার মতো। আসলেই প্রকৃতি যেনো এখানেই এসে তার সৌন্দর্য ঢেলে দিচ্ছে। এমন একটা সৌন্দর্য এখানে রয়েছে। আমার সবথেকে ভালো লেগেছে দেওয়ালে টেরাকোটার নিদর্শন। খুব সুন্দরভাবে গাছ ও হাতির দৃশ্য এঁকেছেন নির্মাণশিল্পী আমি তার প্রশংসা করছি।
এখন আমরা এই রেষ্টুরেন্টের ম্যানু লিষ্ট দেখবোঃ-
- এখান থেকে আমরা দেখতে পাই, এখানে কি কি ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
এখন আমি আপনাদের দেখাবো, এখানকার স্পেশাল চিকেন তন্দুরীঃ ও হট কফিঃ--
এখন পেমেন্ট করার সময়ঃ-
১। ৪ টি চিকেন তন্দুর = ১২০ x ৪ = ৪৮০ টাকা
২। ৪ টি বাটার নান = ২০ x ৪ = ৮০ টাকা
৩। হট কফি = ১৫ x ৪ = ৬০ টাকা
৪। পানি = ২ x ১৫ = ৩০ টাকা
টোটাল | ৬৫০ টাকা |
---|
- ম্যানেজার হিসেবে তিনি একজন মিস্টার পারফেক্ট। ওনার ব্যবহার আমার অনেক ভালো লেগেছে। সবার থেকে বেশ ভালো ব্যবহার করেছেন। আর তিনি সব স্টাফবয়-কে সুন্দরভাবে মেইনটেইন করেন।
এই রেষ্টুরেন্ট নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিমত বা মন্তব্যঃ-
এই ধাপে আমি রেষ্টুরেন্টের মূল রিভিউটি প্রদান করবো। আমি যেহেতু একজন ফুড ব্লগার সেহেতু আমার কাছে যা লেগেছে আমি তাই এখানে উল্লেখ করবো। ভালোকে ভালো আর খারাপকে খারাপ হিসেবে তুলে ধরবো। আসলে আজকে আমরা যে চিকেন তন্দুরী টি অর্ডার করেছিলাম, সেটি আমার কাছে ভালো লাগে নি। এর একমাত্র কারণ অতিরিক্ত লবণ দিয়েছিলো মশলাতে। যার কারণে পুরো তন্দরীটি খেতে জঘন্য হয়েছিলো। যদি এই অতিরিক্ত লবণ না হতো তাহলে এই তন্দুরের স্বাদ অনেক ভালো হতো। আমি যতোদূর ধারণা করে নিয়েছি। এখানকার অন্যান্য খাবারের মান হয়তো ভালোই হবে। তবে যে মসলায় এত লবণ দিয়েছে সেটা তাদের চেক করে নেওয়ার দরকার ছিলো। কিন্তু সেটা তারা করে নি, এটা তাদের মূল গাফিলতি ছিলো। সবকিছুই ভালো তবে, এই দিকে লক্ষ্য রাখলে বিষয়টি আরো সুন্দর হবে। তবে আমার কাছে হট কফিটি অনেক ভালো লেগেছে। আহ কফি আমার বরাবরেই ভালো লাগে। কখনো নিজে কফি বানাই নি, তাই এটা কিভাবে বানাতে হয় জানি না।
এই রেষ্টুরেন্টের কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্যে একটা বিশাল বড়ো স্পেস করে দেওয়া আছে, সেখানে যে কেউ ছবি তুলতে পারেন। রাঙিয়ে নিতে পারেন নিজের প্রোফাইলের ওয়াল।
Camera | Vivo |
---|---|
Model | Y11 |
Location | https://what3words.com/fruitcake.clasps.coupler |
আশা করি, আমার এই ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আমার সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
আমি মোঃ আবু হেনা সরকার। আর আমার ডাক নাম সাগর। আমি একজন স্বাধীন চেতনাময়ী ছেলে। যে সবসময় স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেই। আমি লিখতে, পড়তে, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, বিশ্লেষন এবং কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ভীষণ আগ্রহী ও ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। সবার সাথে মিশতে আমার অনেক ভালো লাগে।
আপনাদের মনোভোলা ক্যাপে এবং বারকিউব মুহূর্ত টা অনেক সুন্দর ছিল। আর আপনাদের এই রকম মুহূর্ত দেখে আমার মনটা জুড়িয়ে গেল। আর যাই হোক এরকম পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই।
আমার কাছেও এ ব্যাপারটি খুব ভালো লেগেছে। আমার কাছে ইন্টেরিয়র রেস্টুরেন্টের খাওয়ার চেয়ে বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে। রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র এতটা দারুণভাবে সাজিয়েছেন যা সত্যি বলার ভাষা থাকেনা। আমার কাছে অন্তত অনেক বেশি ভালো লেগেছে আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার তারা অনেক বেশি দামি কিছু দিয়ে রেস্টুরেন্টের সাজাইনি। খুব লিমিটেশন এর মধ্যে থেকে তারা অনেক বেশি সুন্দর কাজ করেছে যা মনোমুগ্ধকর। তন্দুরি চিকেন দেখে মনে হচ্ছে অনেক ঝাল আর মজা হয়েছে আর কফি তো আমার সব সময় খুব পছন্দের।
তন্দুরি চিকেন নিয়ে কি আর বলবো লবণের কারণে কিছুই খেতে পারি নাই। রেটিং ২/১০।
ভাল হয়েছে ভাই রিভিউ টি অনেক। রেস্টুরেন্ট এর ডেকোরেশন টা খুব সুন্দর ভেতরের। বন্ধুরা মিলে ভালই মজা করেছেন দেখছি। ভাল একটি সময় কাটিয়েছেন দেখে ভাল লাগল ভাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব সুন্দর ছিল দিনটি।অনেক ঘুরাঘুরি এর সাথে ছিলো কত মুখ রোচক খাবার।সত্যিই বলতে আজকে দিন অনেক মুহূর্ত ময়।বিশেষ করে আমার জন্য।আমি সবসময় গর্ববোধ করি আপনার মত আমার একজন ভালো বন্ধু আছে ।আপনাকে এই একটি কমেন্ট আপনর জন্য কখনোই যথেষ্ট নয়।তারপরেও এটি শুধুই লোক দেখানো আরকি🤪🤗
যাইহোক আমার ড্রাগন ফল খাওয়া আজকেও হইল না,,,না না না,,😫
এগুলো আমার খুব পছন্দের খাবার। আমি সময় পেলেই বন্ধুদের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে গ্রীল এবং নান রুটি সাথে বিভিন্ন প্রকার পানীয় গ্রহণ করে থাকি। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে।
খুব সুন্দর রিভিউ দিয়েছো বন্ধু। আসলে পরিবেশ টা খুব ভালো লেগেছে আমার। রাতে খেতে গেলে বেস্ট একটা পরিবেশ। আর তাদের গুছালো ভাব টা ছিল অসাধারন। খাবারের মূল্য টাও ঠিক ঠাক ছিল আমি মনে কর। চিকেন চাপ ১২০ টাকা এটা সব জায়গাতেই সেম।
সব জায়গাতেই একই দাম দোস্ত, বেশি দাম নিলে পাবলিক গণধোলাই দিবে
হা হা হা আসলেই কিন্তু বন্ধু কথা ঠিক।
বাহ! অনেক সুন্দর রেস্টুরেন্টে তো । বন্ধুদের সাথে দারুন একটা দিনক্সটিয়েছেন। তবে আমাদের ও এক্টু দাওয়াত দিতে পারেন। চিকেন তুন্দরি আর বাটার নান আমার বেশ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর হইছে আপনার রিভিউ।
এই রেষ্টুরেন্টে আমি আগেও গিয়েছিলাম, আমার ভালো লেগেছিলো। বিশেষ করে এর সৌন্দর্য আমায় মুগ্ধ করে। আজকেও দেখলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। আপনি খাবার রিভিউ এই উদ্যোগ টা আসলেই সেরা ছিলো ভাই। বিভিন্ন জায়গার খাবার এর রিভিউ যখন আমরা এভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি সেখানে সাধারণ জনগনের বড় উপকার হয় কারন, আমরা একটা সময় গিয়ে সিদ্ধান্থীনতায় থাকি যে কোন রেষ্টুরেন্টে খাবো,কোন রেষ্টুরেন্টের খাবার ভালো। রিভিউ জানলে অবশ্যই এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয় না। আপনার পোষ্ট ভালো লেগেছে দাদা। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আমি অনেক আগে দিনাজপুর গিয়েছিলাম,,দিনাজপুর জেলাটা অনেক সুন্দর. আমার খুব ভালো লেগেছে.অাপনার পোস্ট দেখে অাবার মনে পড়ে গেল.ধন্যবাদ
ভাইয়া অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার আপনার এই পোস্টটি পড়ে। পোস্টে ভিতরকার ফটোগ্রাফি ভালোবেসে মনমুগ্ধকর। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।