আমার প্রিয় লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে চলছে একুশে বইমেলা। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি পুরো মাসে আমি আমার বাংলা ব্লগে শুধুমাত্র বই নিয়ে লিখব। তারই ধারাবাহিকতায় আজ লেখব আমার অন্যতম প্রিয় লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীকে নিয়ে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর সাথে আমার পরিচয় শৈশবে। আমাদের পাঠ্যবইতে সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনাগুলোর অন্তর্ভুক্তি ছিল। তার লেখা পড়ে বেশ মজা পেতাম। এজন্য নামটি সেই ছোটবেলাতেই অন্তরে গেঁথে যায়। তার প্রবাস বন্ধু রচনাটি কতবার যে পড়লাম তার কোন শেষ নেই! যতবারই পড়ি ততোবারই মজা লাগে, ভালো লাগে।
আমাদের বাংলাদেশে রম্য সাহিত্যিকের সংখ্যা খুবই কম। যে কয়জনই বা আছে, তারাও ঠিক সৈয়দ মুজতবা আলীর মত জমিয়ে লিখতে পারেনা। যার কারণে তাদের পাঠকও তেমন নেই। সৈয়দ মুজতবা আলী বাস্তব ঘটনাগুলোই গল্প আকারে প্রকাশ করতেন। যার কারনে তার গল্পগুলো ধরতে বা বুঝার জন্য পাঠকের খুব একটা কষ্ট হতোনা। উপরন্তু উপস্থাপনের জন্য সব সময় আনন্দ পাওয়া যেত। এ কারণেই আমি সৈয়দ মুস্তাফা আলীর লেখা একটু বেশি পছন্দ করতাম।
তিনি যেহেতু বাস্তব ঘটনাগুলোই বলতেন তাই পাঠক খুব সহজেই বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পারত। তার লেখা পড়ে কখনোই মনে হয়নি এগুলো কল্পনাশ্রিত। বরং তার বেশির ভাগ লেখা এমন ভাবে উপস্থাপন করেছেন, যেন ঘটনাগুলো তার সাথেই ঘটেছে। অথবা এমনটাও হতে পারে তিনি নিজের সাথে ঘটা ঘটনাগুলোই আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এটাই বা কজন পারে? আমি বহু ভ্রমণ বিষয়ক বই পড়েছি। এমন অনেক হয়েছে, বইগুলোকে পড়ে মনে হয়েছে লেখক হয়তো কারো কাছ থেকে শুনে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে মুজতবা আলীর লেখা ছিল একদম ব্যতিক্রম। একে তো নিজের ঘটনাগুলোই লিখতেন, তার ওপর মজাদার উপস্থাপনা তাকে বাংলাদেশের অন্যান্য সাহিত্যিক থেকে একদমই আলাদা করে রেখেছে।
তার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে মনে হতো যেন আমি নিজেই ভ্রমণে গিয়েছি। ঘটনাগুলো আমার সাথেই ঘটেছে। এমনটাই বাস্তব ছিল তার গল্প বলার ঢং। সৈয়দ মুজতবা আলীকে নিয়ে লিখে শেষ করা যাবে না। তার লেখা ছিল অত্যন্ত দূরদর্শী, মজাদার, সহজ এবং সাবলীল। বাংলাদেশে বর্তমানে যদিও উনাকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না। তবে এটা উনার ব্যর্থতা নয়। বরং আমাদের ব্যর্থতা যে আমরা উনাকে যথাযথ কদর করতে পারিনি। উনার লেখাকে নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে পারিনি। কখনোই মনে হয়নি, উনার মত লেখক বাংলাদেশে আর জন্ম নেবে। সৈয়দ মুজতবা আলী একারণেই আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখকদের একজন।
সৈয়দ মুস্তাফা আলীর বেশ কয়টা লেখা আমরা পড়েছি। উনার লেখাগুলো খুব হাস্য রহস্য করছিল। এইজন্য তিনি আমাদের মত অনেক মানুষের মনে আনন্দ প্রদান করার মধ্য দিয়ে জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন। ভালো লাগলো আপনার প্রিয় লেখক জেনে।
আমার খুব ভালো লাগে উনার লেখা। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ রম্য সাহিত্য খুবই কম রয়েছে আমাদের সাহিত্য অঙ্গনে। তবে সৈয়দ মুস্তাবা আলী বেশ অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর সাহিত্য রচনা করে গেছেন যেগুলো পাঠকের মনে আনন্দ প্রদান করে থাকেন। আমি ওনার অনেকগুলো লেখা পড়েছি। আর সেই লেখা পড়ে বেশ ভালোলাগা খুঁজে পেতাম।
আমার মন খারাপ থাকলে উনার লেখা পড়ি। যাইহোক, ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আপনার প্রিয় লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী সম্পর্কে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক ভালো লিখেছেন আপনি।
ধন্যবাদ আপু। খুব সুন্দর কিছু কথা বলেছেন।
সৈয়দ মুজতবা আলীর বই আমিও কিছু পড়েছিলাম তার লেখাগুলো সত্যিই অসাধারণ।আপনার প্রিয় লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর তা জেনে ভালো লাগলো। তবে তার সম্পর্কে এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যা পড়ে খুব ভালো লাগলো এবং অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।