বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার গল্প ( দ্বিতীয় পর্ব)।
অপেক্ষা করতে করতে হয়তো তারা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। জ্যামে বসে থাকতে থাকতে রীতিমতো অধৈর্য লাগছিলো। মনে হচ্ছিল বাস থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করি। তবে একটা পর্যায়ে গিয়ে জ্যাম কাটিয়ে বাস আবার চলতে শুরু করলো। তারপর অবশ্য আর খুব বেশি সময় লাগেনি। সায়েদাবাদ পৌঁছাতেই আমি আর রাফসান বাস থেকে নেমে গেলাম। তারপর রাসেলকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম সে কোথায় আছে? রাসেল জানালো সে মতিঝিল রয়েছে। তবে ফেরদৌস এখনো সেখানে এসে পৌঁছায়নি। তখন আমি রাসেলকে বললাম আমরা সায়দাবাদ চলে এসেছি। এখন মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। রাসেলের সাথে কথাবার্তা শেষ করেই আমরা একটা রিকশা নিয়ে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সায়দাবাদ থেকে বের হতে আমাদের কিছুটা সময় লেগে গিয়েছিলো। তারপর আর কোন সমস্যা হয়নি। রিক্সায় করে আমরা খুব অল্প সময়ে ঘরোয়া হোটেলের সামনে গিয়ে পৌঁছলাম।
তবে সেখানে গিয়ে দেখি তখনো রাসেল বা ফেরদৌস সেখানে আসেনি। ওদেরকে ফোন দিলে ওরা জানালো ওদের আর কয়েক মিনিট লাগবে সেখানে পৌঁছতে। যাই হোক আমরা দাঁড়িয়ে ওদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। শেষ পর্যন্ত ওরা এসে পৌঁছলে আমরা চার বন্ধু মিলে রেস্টুরেন্টের দোতলায় চলে গেলাম। কারণ তাদের রেস্টুরেন্টের নিচতলায় কোনো এসি ছিলো না। এই প্রচন্ড গরমের ভেতরে বসে খাওয়া দাওয়া করতে কষ্ট হবে জন্য। আমরা চার বন্ধু মিলে দোতালায় গেলাম। যাতে এসির ঠান্ডা বাতাসে বসে শান্তি মত খাওয়া-দাওয়া করতে পারি। আমরা যখন সেখানে পৌঁছেছি ততক্ষণে রাত প্রায় সাড়ে নটা বেজে গিয়েছে। তখনও দেখি সেখানে রীতিমতো ভিড় লেগে রয়েছে। ঘরোয়ার খিচুড়ি ঢাকার মানুষের কাছে অনেক পছন্দের। আমি প্রথম যখন এই খিচুড়ি খায় একবার খেয়েই এই খিচুড়ির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।
এখন মতিঝিলের দিকে কখনো গেলে আমি চেষ্টা করি ঘরোয়ার খিচুড়ি খেয়ে আসতে। যাই হোক আমরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর একটা ফাঁকা টেবিল দেখতে পেলাম। তারপর তড়িঘড়ি করে সেখানে বসে খিচুড়ির অর্ডার করতেই আমাদের সামনে ধোঁয়া ওঠা গরম খিচুড়ি চলে এলো। খিচুড়ি এতটাই গরম ছিল যে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল খাওয়া শুরু করার জন্য। খিচুড়িটা খেয়ে সবাই বেশ প্রশংসা করলো। যদিও আমি সেদিন খিচুড়িতে কিছুটা সমস্যা পেয়েছিলাম। ঘড়োয়ার খিচুড়ির ভেতরে ২ পিস মাটন দেয়া থাকে। মাটনের পিসগুলো সাধারণত খুবই সফট থাকে। তবে সেদিনের মাটনের পিসগুলো আমি কিছুটা শক্ত পেয়েছিলাম। যাইহোক তারপরেও ওভারঅল খিচুড়ির টেস্ট ছিল বেশ ভালো। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা বিল মিটিয়ে দ্রুত আরামবাগের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তখন মাথায় একটা চিন্তায় কাজ করছিল যে এখন গিয়ে বাসের টিকিট পাবো কিনা। কারণ বৃহস্পতিবার রাতে প্রচুর টুরিস্ট কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেই জন্য কিছুটা চিন্তা হচ্ছিলো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মতিঝিলের ঘরোয়া রেস্টুরেন্টের খিচুড়ি খেতে আসলেই দারুণ লাগে। আরামবাগ যাওয়ার আগে চার বন্ধু মিলে ঘরোয়া রেস্টুরেন্টের খিচুড়ি জমিয়ে খেয়েছেন তাহলে। তবে কক্সবাজার যাওয়ার বাসের টিকেট কারো মাধ্যমে আগে কিনে রাখলে মনে হয় ভালো হতো। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
খিচুড়ির ভেতর মাটন আমি কোনদিন শুনিইনি! 🤦♀️ আসলে আমাদের এদিকে খিচুড়িতে নানান ধরণের সবজি দেওয়া হয় মাত্র৷ মটন আবার শক্ত থাকলে ভালো লাগে না। কিন্তু রেস্টুরেন্টে ঘরোয়া খিচুড়ি পাওয়া যায় শুনে খুবই ভালো লাগল।
আপনার যাত্রার বিবরণ পড়ে মনে হল আমিও ঘুরে বেড়াচ্ছি, রাস্তায় জ্যাম সেখানে আটকে গিয়ে কেমন যেন বোর হয়ে যেতে হয়৷