বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার গল্প (প্রথম পর্ব)।
রাসেল যে চাকরিটা করে সেখানে ছুটি একেবারেই কম যার। ফলে ওর জন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়া খুব সমস্যা। যাইহোক তারপরেও ফেরদৌস রাসেলের সাথে কথাবার্তা বলে আমাকে জানালো রাসেলের কথায় তেমন ইতিবাচক কিছু সে পাইনি। তখন রাতের বেলায় আমি আবার রাসেলকে ফোন দিলাম। ওর কি সমস্যা সেটা শুনে সে ব্যাপারে আমি তাকে সাহায্য করার আশ্বাস দিলাম। তারপরে রাসেল রাজি হয়ে গেলো ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারে। তবে বন্ধু বান্ধব সবাই রাজি হলেই ঘুরতে যাওয়া হয়ে যায় ব্যাপারটা এমন না। কারণ প্রত্যেকটা সার্কেলে এমন দু একজন বন্ধুবান্ধব থাকে যারা শেষ মুহূর্তে গিয়ে তাদের মতামত পাল্টে ফেলে। আমাদের গ্রুপের ভেতর তেমন একজন আছে। সেই ব্যক্তি হচ্ছে রাফসান। অবশ্য ফেরদৌসের ও এই সমস্যাটা রয়েছে। যার ফলে যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া না হচ্ছে। ততক্ষণ পর্যন্ত আমি নিশ্চিত হতে পারছিলাম না।
যাই হোক দেখতে দেখতে শেষ পর্যন্ত সেই মহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত হোলো। এর ভেতরে রাফসান আমাকে জানিয়েছিল ওর সাথে ওদের এলাকার আরও দুটো ছেলে যাবে। শুনে আমি চিন্তা করেছিলাম বেশ ভালই হবে। ঘুরতে যাওয়ার সময় দল একটু ভারী হলে বেশ মজা হয়। যেদিন আমাদের রওনা দেয়ার কথা সেদিন রাফসানের সাথে কথা হলে সে আমাকে জানালো সে একাই যাবে। তার সাথে যে দুটো ছেলের যাওয়ার কথা ছিলো তারা শেষ মুহূর্তে তাদের মত পাল্টে ফেলেছে। যাই হোক তখন আমি রাফসানকে জানালাম তাহলে তুই দ্রুত চলে আয়। কথাবার্তা বলে ঠিক করলাম বেলা পাঁচটার বাসে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। আমরা ঢাকায় পৌঁছে সায়দাবাদ বাস কাউন্টারে অপেক্ষা করবো। সেখানে বন্ধু রাসেল এবং ফেরদৌস এলে তারপর আমরা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো।
তবে আমার আর রাফসানের বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয়ে গেলো। যার ফলে আমরা পাঁচটার বাস মিস করলাম। পরবর্তীতে আমরা ছটার বাসের টিকিট কাটলাম। বাসটা যথাসময়ে কাউন্টার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। পদ্মা সেতু পর্যন্ত আমাদের জার্নিটা মোটামুটি পরিকল্পনার মতোই আগাচ্ছিলো। যদিও এর ভেতরে আমি পরিকল্পনা কিছুটা পরিবর্তন করেছিলাম। আমি রাসেল আর ফেরদৌসকে বলেছিলাম তারা যেনো আমাদের জন্য মতিঝিল অপেক্ষা করে। আমরা সায়দাবাদ বাস থেকে নেমে মতিঝিল চলে যাবো। তারপর সেখানে চার বন্ধু মিলে মতিঝিলের বিখ্যাত ঘরোয়া রেস্টুরেন্টের খিচুড়ি খেয়ে তারপর কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। তবে তখনো জানিনা কিছুক্ষণ পরেই আমাদের ভোগান্তি শুরু হতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু পার হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আমাদের বাস থেমে গেলো। বাসের সুপারভাইজার কে জিজ্ঞেস করতে সে জানালো বাসে একটু সমস্যা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর সে আমাদেরকে জানালো এই বাস আর সামনে যাবে না। কিছুক্ষণ পরে সেখানে সেই কোম্পানির আরো কিছু বাস আসবে। আমাদেরকে তারা সেই বাসে উঠিয়ে দেবে। তখন বুঝতে পারলাম আমাদের এখানে বেশ খানিকটা সময় নষ্ট হবে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া আপনি কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলেন তা হ্যাং আউটে শুনেছিলাম।বন্ধুরা মিলে কোথাও গেলে আনন্দ একটু বেশীই লাগে।আজকাল সবাই এতো ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে সবাইকে সব সময় পাওয়া ভীষন টাফ।যাক শেষ পর্যন্ত ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পদ্মা সেতুতে যাওয়ার পর বাস নষ্ট হয়ে গেলো।কোথাও যাওয়ার সময় এরকম ভোগান্তি সত্যি ই কষ্ট দেয়।এরপর কি হল জানতে অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পোস্টের জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
ভাইয়া খুবই চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ভাইয়া ভ্রমন করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর কক্সবাজারে যাওয়ার আমার অনেক ইচ্ছা রয়েছে। তবে আপনার বন্ধুর অফিসে তেমন একটা ছুটি পাই না। যাইহোক আপনারা কক্সবাজারের রওনা দিচ্ছেন জেনে খুবই খুশি হলাম। তবে আপনাদের বাসে জানালা একটু সমস্যা হয়েছিল। যে কারণে সুপারভাইজারের জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আপনাদের জন্য কাউন্টার থেকে অন্য বাস দেয়া হবে। যাই হোক বিষয়টা জানতে পেরে ভালো লাগলো। কেননা অনেকটা জার্নির পথে জানালায় সমস্যা হলে ভালো লাগেনা ।আপনাদের যাত্রা শুভ হোক এই কামনা করি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া প্রথম পর্বটি শেয়ার করার জন্য। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল। আর অবশ্যই চলবে ভাইয়া। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
বেশ ভালো লাগার একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে বন্ধু বান্ধব মিলে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। সবাই মিলে ঘুরতে গেলে বেশ ভালো লাগে একসাথে আড্ডা দেওয়া খাওয়া-দাওয়া ঘুরাঘুরি খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত চলে যাই। অবশেষে আপনারা কক্সবাজার আসলেন ঘুরতে সবাই মিলে। মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই প্রতিটি গ্রুপে ২/১ জন সদস্য থাকেই,তারা কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেলে। যাইহোক অবশেষে আপনাদের ট্যুরে যাওয়া হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। তবে ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথেই তো বাস নষ্ট হয়ে ঝামেলায় ফেলে দিয়েছিলো আপনাদেরকে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।