দারুণ সুস্বাদু চিকেন কষা রেসিপি। ১০% সাইফক্স।
আমাদের দেশের গরু খাসির মাংসের দাম অত্যধিক বেশি হওয়ায় সবাই মুরগির উপরই নির্ভরশীল। মুরগির মাংস খেতে খেতে সবার ভিতর একটি চিন্তা কাজ করে যে কিভাবে একটু ব্যতিক্রম ভাবে রান্না করে খাওয়া যায় এটি। একই জিনিস একই ভাবে বারবার রান্না করে খেলে একসময় অভক্তি চলে আসে। কারণ আমরা সবাই সাধারণত আলু দিয়ে মুরগির মাংস ঝোল করে খায় অথবা মুরগির মাংস ভুনা করা হয়।
দুদিন আগে বাসায় পোলাওর চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিলো। কিন্তু পোলাওর চালের খিচুড়ির একটা সমস্যা হচ্ছে এটি আপনার মাছ অথবা মাংস ছাড়া খেতে ভালো লাগবে না। তাই আমি আমার স্ত্রীকে বললাম মুরগির মাংসের একটা রেসিপি তৈরি করো। যেটা কিছুটা ভিন্ন ধর্মী হবে। আমি তাকে বললাম মুরগির মাংস কষা রান্না করো। মুরগির মাংসের এই রেসিপিটি খেতে বেশ খানিকটা অন্যরকম এবং খুবই সুস্বাদু। যদিও এটি খুবই মশলাদার একটি খাবার। তারপরেও মাঝে মাঝে এমন খাবার খেতে ইচ্ছা করে। তো চলুন শুরু করা যাক মজাদার মুরগির মাংস কষা রেসিপি।
মুরগির মাংস কষা
উপকরন সমুহ
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
মুরগী | ১ টি |
আদাবাটা | ৩ টেবিল চামচ |
রসুনবাটা | ৩ টেবিল চামচ |
পেঁয়াজ কাটা | ৩ কাপ |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১ চা চামচ |
কাঁচা মরিচ | ৬টি |
জিরাগুঁড়া | ২ চা চামচ |
গরম মসলা গুড়া | ১ চা চামচ |
এলাচি | ৫টি |
দারচিনি | ১ টুকরা |
তেজপাতা | ১ টি |
লবন | স্বাদমতো |
রন্ধনপ্রণালী
প্রথম ধাপ
প্রথমে একটি কড়াইতে কেটে রাখা পেঁয়াজ, দারচিনি এবং তেজপাতা একসাথে দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিই। খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি ভাজা হয়ে না যায়।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন জিরা গুঁড়া এবং গরম মসলা গুঁড়া বাদে সমস্ত রকম বাটা এবং গুঁড়ামসলা কড়াইয়ের ভেতর দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিই। এই ধাপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কষানো যতো ভালো হবে তরকারির স্বাদ ততো ভালো হবে।
তৃতীয় ধাপ
এখন কেটে দেখা মুরগির মাংস গুলো কড়াইয়ের ভেতর দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নেই।
চতুর্থ ধাপ
এখন কড়াইয়ের ভেতর সামান্য পানি যোগ করি। তারপর কাঁচা মরিচ এবং তেজপাতা দিয়ে দেই।
পঞ্চম ধাপ
এখন গরম মসলার গুঁড়া এবং জিরার গুড়া কড়াইয়ের ভেতর দিয়ে মিনিট দশেক রান্না করি।
ষষ্ঠ ধাপ
ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার চিকেন কষা। এটা আপনি খিচুড়ি, ভাত, পোলাও অথবা পরোটা যেকোনো কিছু দিয়ে খেতে পারবেন। খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু লাগবে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | স্যামসাং a40, হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনি চিকেন কষা রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন।দেখে আমার জিভে জল চলে আসলো। আপনি খুবই চমৎকার ভাবে এটা উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
খুবই দারুন ছিল ভাই। মাংসের কালার দেখে এই যে কারো জিভে জল চলে আসবে। মনে হচ্ছে এটি রান্না করার সময় কোন কিছুরই কমতি ছিল না। আশাকরি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
কালারটা দেখে আসলে মনে হচ্ছিল না যে এটা মুরগির মাংসের ঝোল। অন্য মাংসের তরকারি মনে হচ্ছিলো। আর খেতে আসলেই খুব মজা হয়েছিলো।
রোজার দিনে এই দুপুর বেলা কি দেখালেন ভাই।আপনার তৈরি মুরগির মাংসের তরকারি দেখে পেটের ভেতর মোচর দিয়ে উঠলো।মুরগির মাংস আমার অনেক প্রিয়। আমি মুরগির মাংস খেতে খুবই পছন্দ করি।তাই যখনই যেখানে মুরগির মাংস দেখতে পাই তখনই জিভে জল চলে আসে।আপনার তৈরি মুরগির মাংসের তরকারি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে আরও অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি মুরগির মাংসের রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
মুরগির মাংস আমারও অনেক পছন্দের। কিন্তু মুরগির মাংস ঝোল করার থেকে ভুনা বা কষিয়ে রান্না করলে সেটা খেতে অনেক বেশি মজা লাগে।
ভাইয়া এত মজাদার রেসিপি দিলে কিন্তু বাসায় চলে যাবো,তখন কিন্তু ভাবির ঠেলা কেমনে সামলাবেন জানি না,😜😜।মজা করলাম।ভালো লাগলো ভাইয়া চিকেন কষার রেসিপি। মনে খেতে খুব মজা হয়েছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
চলে আসুন কোন সমস্যা নেই। আপনাদের জন্য বাড়ির দরজা সব সময় খোলা।
শেষ তিনটা রেসিপি পোস্ট দেখলাম তিনটাই মাংসের হি হি। তারমধ্যে দুইটা মুরগির মাংস। মুরগির মাংসের কষা রেসিপি খুব ভালো তৈরি করেছেন ভাই। এবং মাংসটার কালারটা দারুণ এসেছে। কালারটাই এর স্বাদ বলে দিচ্ছে। যাইহোক অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি ছিল। আপনাকে ধন্যবাদ।।
কালারটা যেমন ভালো এসেছিলো স্বাদটাও তেমনি চমৎকার হয়েছিলো।
😛😛😛👌👌
খুবই দারুণ ভাবে মুরগির মাংস ভুনা রেসিপি প্রস্তুত করেছেন। দেখেই জিভে জল চলে আসলো খেতে নিশ্চয়ই ভারী সুস্বাধু হয়েছিল ।এত সুন্দর রেসিপি এমন টাইমে ছাড়া ঠিক হয়নি ইফতারের পরে ছাড়লেই বেশি ভালো হতো। খুব লোভ হচ্ছে দেখেই ।ধাপগুলো সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ঠিকই বলেছেন রোজা থাকা অবস্থায় মজাদার খাবারের ছবি দেখলে আরো বেশি ক্ষুধা লাগে।
মজাদার চিকেন কষা রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে। আর রেসিপিটির ফটোগ্রাফি ও উপকরণের ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর লাগছে। খুব সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাব ফুটে উঠেছে। চিকেন আমার খুব পছন্দ। আপনার রেসিপির কালারের তুলনা হয়না।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা রেসিপি পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আর মুরগির মাংসটা খেতে আসলেই অনেক মজা হয়েছিলো।
বর্তমানে অন্যান্য মাংসের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাই মুরগির মাংস খেতে সবাই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। চিকেন কষা রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এই মজার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রেসিপি তৈরীর প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। 💓💓
বাসায় একবার এইভাবে রান্না করে দেখবেন। খেতে খুবই ভালো লাগবে।
ওয়াও খুব সুন্দর করে চিকেন কষা রেসিপি তৈরি করলেন। যেটা এইভাবে খেতে আমি বেশি পছন্দ করি। এ ধরনের খাবার দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে লোভ সামলাতে পারিনা। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই ধরনের রান্না অবশ্য সকলেই পছন্দ করে। কারণ এই ভাবে রান্না করলে মাংসটা খেতে আরো অনেক বেশি মজা হয়।
মাংসটা দেখে মনে হচ্ছে দেশি মুরগি ছিল। দেশি মুরগি আমার খুবই পছন্দ। অন্যান্য মুরগি থেকে আমি দেশী মুরগী টাই পছন্দ করি। আপনার চিকেন কষার কালারটা অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর করেছি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।