বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার গল্প (সপ্তম পর্ব)।
আমি চিন্তা করেছিলাম সকাল সাতটা সাড়ে সাতটার ভিতরে ঘুম থেকে উঠতে পারলে আটটার ভেতরে নাস্তা করে আমরা ঘুরতে বের হয়ে যাবো। তবে যেহেতু আর সেটা হয়নি তাই সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা না করে সবাই দ্রুত তৈরি হতে লাগলাম। তৈরি হয়ে নিচে নেমে পাশের একটা হোটেল থেকে নাস্তা করে নিলাম। আমাদের হোটেলের পাশেই ছিল পৌষী রেস্টুরেন্টের একটা শাখা। তাদের খাবার আমাদের পছন্দ হয়েছিলো তাই আমরা সেখান থেকেই বেশিরভাগ সময় খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। যাইহোক নাস্তা শেষ করেই আমরা অটো ঠিক করতে লাগলাম। অটোতে কেমন ভাড়া নেবে সেটা সম্বন্ধে বন্ধু ইমরান আমাদের আগেই ধারণা দিয়ে রেখেছিলো। যার ফলে অটো রিক্সা ঠিক করতে আমাদের খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। অটো রিক্সা ঠিক হতেই আমরা চার বন্ধু সেটাতে উঠে বসলাম।
তারপর শুরু হলো আমাদের চমৎকার মেরিন ড্রাইভ জার্নি। প্রথমে কিছুটা পথ যদিও আমাদের অটো লোকালয়ের ভেতর দিয়ে চলেছিলো। তবে তারপরেই শুরু হল এক চমৎকার দৃশ্যের। হাতের ডান পাশে ছিলো সমুদ্র। আর হাতের বামে ছিলো ছোট বড় টিলা পাহাড়। এই ধরনের চমৎকার রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে সবারই ভালো লাগবে। আমরা অটোওয়ালার সঙ্গে আগেই কথা বলে নিয়েছিলাম। পথের ভেতরে আমাদের যেখানে ইচ্ছা হবে সেখানেই আমরা নামবো। অটো চলতে শুরু করার আধা ঘন্টা পরে আমরা একটা বীচে পৌঁছলাম। সেই বিচটাতে একেবারেই কোলাহল ছিল না। অল্প কিছু লোকজন সেখানে দেখতে পেয়েছিলাম। যারা আমাদের মতো মেরিন ড্রাইভে ঘুরতে বের হয়েছে। তবে ছোট্ট এই ব্রিজটা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিলো। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম অটো রিক্সার ড্রাইভার সে একটু তাড়াহুড়ো করার চেষ্টা করছে।
আমি বুঝতে পারলাম যদি আমাদেরকে অল্প সময়ের ভেতর ঘুরিয়ে সে নামিয়ে দিতে পারে তাহলেই তার লাভ। কারন আমরা অটোরিকশা এভাবে ঠিক করেছিলাম যে আমরা প্রথমে ঘুরতে ঘুরতে পাটোয়ারটেক পর্যন্ত যাবো। সেখান থেকে ফিরতি পথে আমরা সি পার্লের ওখানে নেমে অটো রিক্সা ছেড়ে দেবো। ওয়াটার পার্কে মজা করে তারপর অন্য কোনভাবে আমরা হোটেলে ফিরবো। সেই কারণে অটোওয়ালা একটু তাড়াহুড়ো করার চেষ্টা করছিলো। আমাদেরকে যদি সে তাড়াহুড়ো করে ঘুরিয়ে নামিয়ে দিতে পারে। তাহলে সে আরো একটা ভাড়া ধরতে পারবে। তবে আমরা ব্যাপারটা বুঝে যে সমস্ত জায়গায় আমাদের দেখতে ইচ্ছা করছিলো সেখানেই নেমে যাচ্ছিলাম। আসলে মেরিন ড্রাইভের এই জার্নিটা কক্সবাজার ঘুরতে আসা প্রত্যেকটা ভ্রমণ প্রিয় মানুষই অনেক পছন্দ করে। কারণ এখানকার সৌন্দর্যের সাথে বাংলাদেশের অন্য জায়গার সৌন্দর্য মিলবে না। কোথাও গেলে আপনি পাহাড় দেখতে পাবেন আবার কোথাও গেলে সমুদ্র। তবে পাহাড় আর সমুদ্রের এমন মেলবন্ধন আমাদের দেশে একেবারেই বিরল। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | কক্স বাজার |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের সমস্ত পর্বগুলি ভীষণ আকর্ষণীয়। এই যে রাস্তার কথা বর্ণনা করেছেন এটা সত্যিই বড় মনোরম। আমি এই রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম। আর এর বামদিকে লবণ চাষ করতে দেখেছিলাম। এখানকার বীচগুলি ভীষণ সুন্দর এবং জনমানবহীন। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে সাম্পান। ভ্রমণ বৃত্তান্ত পড়ে বড় ভালো লাগলো।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
মেরিন ড্রাইভের রাস্তা দিয়ে সমুদ্র এবং পাহাড়ের চমৎকার দৃশ্য দেখতে দেখতে যাওয়ার মজাই আলাদা। তাই মেরিন ড্রাইভের রাস্তাটা আমার খুবই পছন্দ। আমি এবং আমার ওয়াইফ এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে যখন গিয়েছিলাম,তখন সিএনজি ভাড়া করেছিলাম একেবারে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তাই সিএনজি ড্রাইভার একেবারে তাড়াহুড়া করেনি। নয়তো ড্রাইভার গুলো অনেক তাড়াহুড়া করে এবং এতে করে ভালোভাবে সবকিছু উপভোগ করা যায় না। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।