ফিরে দেখা সেই দিনগুলো শেষ পর্ব।। ১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আসসালামু ওয়ালাইকুম,

সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

ঘুরতে পছন্দ করি আমরা সবাই। যদি মন খারাপ থাকে তাহলে ঘুরতে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। ঘুরতে গেলে মানুষিক শান্তি পাওয়া যায়। আর প্রতিদিন রুটিনে চলা জীবনটা একটু স্বস্তি পায়। মানুষিক যতো অশান্তি আছে দূর হয়ে যায়। তাই সবারই ঘুরতে যাওয়া উচিত।

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আমার ফিরে দেখার সর্বশেষ পর্ব। আর সর্বশেষ পর্বটি হলো সেন্টমার্টিন নিয়ে। আপনাদের কাছে ভালো লাগবে আশা করি।

jpg_20220516_040621_0000.jpg

কক্সবাজার থেকে আমরা রওনা দেই সকাল ৬ঃ৩০ টায় জাহাজের উদ্দেশ্য। আমাদের জাহাজের সময় ছিলো ৮ টায়। আমরা পৌছে যাই ৭ঃ৩০ মধ্যে। জাহাজে উঠে জায়গা মতো বসে যাই। আমাদের জাহাজ ছাড়তে দেরি করেছিল ৮ টায় ছাড়ার কথা সেখানে ছাড়লো ৯ টায়।

মনে অনেক খুশি যে সেন্টমার্টিন যাচ্ছি। কিন্তু মাঝ পথে জাহাজটি দুলছিল ঢেউ এর সাথে খুব ভয় পেয়েছিলাম তখন মনে মনে আল্লাহ কে ডাকছিলাম। এমন হালকা দোল খেতে খেতেই আমরা পৌছে যাই সেন্টমার্টিন ঠিক ২ টায়।

আমি অপেক্ষায় ছিলাম কখন নামবো আর দেখবো সেন্টমার্টিন। নামার পর দেখলাম জায়গাটা বেশ সুন্দর।

আমরা হোটেল খুঁজে হোটেলে উঠলাম। তারপর কোন রকম ব্যাগ রেখে চলে গেলাম সমদ্রে সৈকতে। কি সেই সৌন্দর্য আজও মনে পরে।

হোটেলে ফিরে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর বিশ্রাম নিয়ে বিকেলের পর আবার গেলাম সমদ্রে।
সেদিন আমাদের আর ছেঁড়া দ্বীপ যাওয়া হয়নি।

তাই পরের দিন সকালে উঠে নাস্তা শেষ করে চলে গেলাম স্পিডবোটে করে ছেঁড়া দ্বীপে। স্পিডবোটে সুরক্ষার জন্য লাইফ জ্যাকেটও ছিল। কারন যে বড় বড় ঢেউ আসে তার জন্য লাইফ জ্যাকেট নিয়ে যাওয়াই ভালো।

Screenshot_20220508-220512_Video Player.jpg

যে জায়গায় নামানোর কথা সেখানে নামায়নি কারন সমদ্রের নিচে প্রবাল এর জন্য স্পিডবোট চলছিল না।
তাই ওইটুকু পথ আমরা নেমে হেঁটে যাচ্ছিলাম।

received_414389796460498.jpeg

সবচেয়ে সুন্দর ছবি

received_526901238789191.webp

সেখানে যাবার পর ক্যামেরাম্যান হায়ার করি। তারপর অনেক ছবি তুলি আমরা। ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছিল।

received_1207851859951119.webp

মাথায় অনেক রোধ লাগছিল আর গরম লাগছিল তাই আমরা ঠিক করলাম তরমুজ খাবো। আমার কথা হলো তরমুজ খাবো ভালো কথা কিন্তু ছবি যে তুলবো আমায় তো জানাবে।
যাই হোক তাও ছবি তুলেছিলাম যদিও আমি তরমুজ খেয়ে প্রায় শেষ করে ফেলেছিলাম। হাহাহা

received_450181606028985.jpeg

তারপর বেশ কিছু ছবি তুলে আমরা আবার রওনা দেই হোটেলে ফিরার উদ্দেশ্য। এসে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিশ্রাম নেই। সেদিন রাতে আর সমদ্রে যায় নি। আমরা যে হোটেলে উঠেছিলাম তাদেরই হোটেলের খাবারই আমরা খেয়েছিলাম যে কয়দিন ছিলাম সেখানে। সেদিন রাতে তো আর বাহিরে বের হয়নি তাই সেদিন তাদের বললাম স্পেশাল কিছু তৈরি করতে।

received_363662885819390.webp

তাই সেদিন মেনুতে ছিল রূপচাঁদা মাছ বারবিকিউ, পরোটা আর একটা সামদ্রিক মাছের ফ্রাই। মাছগুলো মোটামুটি বড়ই ছিল দুজনের জন্য যথেষ্ট।
খাবার গুলো খেতে বেশ ভালো ছিল। আমার কাছে রূপচাঁদা মাছের বারবিকিউ খুব ভালো লেগেছে।

সন্ধ্যার দিকে আবার সমদ্রে যাই। এইভাবেই আরও একদিন চলে যায়। পরের দিন এইভাবেই ঘোরেফেরা করেই চলে যায়।

received_669490607451492.jpeg

কিন্তু ৩য় দিন মজা একটু বেশি করেছিলাম। আমরা কাকড়া আর শামুক ধরেছিলাম।

received_702087550986800.jpeg

জীবিত কাকড়া আর শামুক আমি এর আগে কখনও দেখিনি আর হাত দিয়ে ধরিনি।

তারপরের দিন আমরা জাহাজে করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য রওনা দেই। কক্সবাজার এসে পরে রাত ১০ টার বাসে উঠে পরি আর পরদিন সকালে বাড়িতে চলে আসি ভালোভাবে।

এইভাবেই আমার ঘোরাফেরা শেষ হয়ে যায়। মোট ৭ দিন এর ঘোরাফেরা ছিল। আসতে যেতে ২ দিন আর মাঝে ২ দিন কক্সবাজার আর ৩ দিন সেন্টমার্টিন।

কেমন লাগলো আপনাদের এই ঘোরাফেরা পর্বটি অবশ্যই জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

Sort:  
 2 years ago 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম অপরূপ লীলাভূমি হলো সেন্ট মার্টিন। খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। খাওয়া-দাওয়া আর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করা সব মিলিয়ে খুব দুর্দান্ত মুহূর্ত কাটিয়েছেন । এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ‌‌।

 2 years ago (edited)

হ্যাঁ ভাইয়া সেই দিনগুলো খুব সুন্দর ছিল। দিনগুলোর সাথে অনেক ভালো লাগা মিশে আছে।

 2 years ago 

সেন্টমার্টিন জীবনে আমি একবার গিয়েছি। তবে সেটি ছিল ১১-১১-১১ সালে। সেই দিনটি খুবই স্পেশাল একটি দিন ছিল, বিশেষ করে দিন মাস বছর এসব দিক দিয়ে। আমরা অনেক মজা করেছিলাম পুরো সেন্টমার্টিন এরিয়া জুড়ে। সেই ধারাবাহিকতায় আপনাদেরকে দেখছি সুন্দর ও রোমাঞ্চকর মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেন্টমার্টিনে। ধন্যবাদ আপনাকে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমার স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

সেন্টমার্টিন জায়গাটা সত্যি খুব সুন্দর। যে একবার যাবে সে ভুলতে পারবে না।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু আমিও গিয়েছিলাম এবং আমার স্মৃতি বিজড়িত অনেক মুহূর্ত সেখানে রয়ে গেছে। সুযোগ পেলে আবার ও গিয়ে ঘুরে আসবো ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

বাতাসের কারনে জাহাজে একটু ভয় লাগলেও পরে সেন্টমাটিনে যেয়ে সব ভয় কেটে গেছে।যাই হোক খাবারের মেন্যু দেখে আমারই লোভ লাগছে।রুপচাঁদা মাছের ফ্রাই দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।

 2 years ago 

জাহাজে খুব ভয় পেয়েছিলাম তাই জাহাজের কথা ভাবলে যেতে ইচ্ছে হয় না।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন মন খারাপ হলে ঘুরতে বেরোলে এমনিতে মন ভালো হয়ে যায়। তবে সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে গেলে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনি অসাধারণ কয়েকটা দিন পার করেছেন। এবং আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন, ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন ছিল এবং আপনাদের আনন্দ ময় গল্পগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 2 years ago 

সেন্টমার্টিনের কথা শুনেই তো অনেক ভালো লাগলো। আসলে কয়েকবার কক্সবাজার গেলেও সেন্টমার্টিন যাওয়া হয়নি। অনেক সুন্দর লাগছে আপনাদের দুজনকে। ফটোগ্রাফার দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। তাছাড়া খাবারের মেনু গুলো খুব ভালোই লেগেছে। রূপচাঁদা মাছের ফ্রাই মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর সুন্দর সময় উপভোগ করলেন। আমাদের মাঝে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

রুপচাঁদা মাছের বারবিকিউটা অনেক মজা হয়েছিল সাথে পরোটা খুব মজা হয়েছিল।

 2 years ago 

সেন্টমার্টিনে আমি আজও কখনো যায়নি তবে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করতে পারলাম । আপনার অভিজ্ঞতাটি দারুন ছিল আপু ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর শেয়ার করার জন্য। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রইল।

 2 years ago 

গেলে অবশ্যই আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 61938.24
ETH 2404.86
USDT 1.00
SBD 2.53