কাঁচকলা আর আলু দিয়ে শিং মাছের ঝোল রেসিপি ।। ১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox এর জন্য
আসসালামু ওয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি খুবই মজাদার আর স্বাস্থ্যসম্মত একটি রেসিপি নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে। আশা করি ভালো লাগবে সবার।
শিং মাছ আমার কেন জানি খুব অপছন্দের মাছ। একদম ছোট বেলা থেকেই শিং মাছ আমি খাই না।
তাই বাড়িতে যখন শিং মাছ রান্না হতো আম্মু আমার জন্য আলাদা করে অন্য মাছ রান্না করতো। আমি সেই আলাদা মাছ দিয়েই খেতাম কিন্তু শিং মাছ খেতাম না কোন সময়ই।
কিন্তু এখন আমি একটু একটু শিং মাছ খাওয়া শিখেছি। এখন আমার শিং মাছ ভালো লাগে কিন্তু ওই যে কখনো খেতাম না বলে বেশি একটা ভালো লাগে না।
আমার পরিবারের খুব পছন্দের মাছ এই শিং মাছ। তাদের জন্য আমি খুব মজা করে এই মাছ রান্না করি।
আজ ও করেছিলাম শিং মাছের ঝোল সবাই বললো খুব মজা হয়েছে তাই রেসিপিটি আপনাদের সাথেও শেয়ার করলাম।
তাহলে চলুন দেখে নেই কি কি লাগছে কাঁচকলা আর আলু দিয়ে শিং মাছের ঝোল তৈরি করতে।
উপকরন ও পরিমানঃ
উপকরণ | পরিমান |
কাঁচকলা | ২টি |
আলু | ২টি |
পেঁয়াজ কুচি | ৩টি |
কাঁচামরিচ কুচি | ৬-৭টি |
আদা বাটা | ২ চা চামচ |
রসুন বাটা | ২ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লবন আর তেল | পরিমান মতো |
রন্ধন পদ্ধতিঃ
ধাপ-১
প্রথমেই কেটে রাখা কাঁচকলা গুলো হালকা লবন আর হলুদ দিয়ে সিদ্ধ হবার জন্য চুলায় বসিয়ে দিবো।
ধাপ-২
হালকা সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিবো।
ধাপ-৩
ধুয়ে রাখা শিং মাছগুলো লবন, মরিচ আর হলুদ গুড়া দিয়ে মাখিয়ে নিবো।
ধাপ-৪
ফ্রাইপ্যানে তেল গরম হতে দিবো। তেল গরম হয়ে এলে মাছের টুকরো গুলো দিয়ে দিবো।
ধাপ-৫
একপাশ ভাজা হয়ে গেলে উল্টে দিবো অন্য পাশ ভেজে নিবার জন্য।
ধাপ-৬
আমার কাছে মাছ একটু কড়া ভাজাই ভালো লাগে তাই কড়া করে ভেজেছি।
ধাপ-৭
এইবার ভেজে রাখা মাছের তেল ব্যবহার করবো তরকারি রান্নার জন্য।
ধাপ-৮
তেল গরম হয়ে গেলে এবার পেঁয়াজ আর কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিবো।
ধাপ-৯
পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে এইবার আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিবো পরিমাণ মতো।
ধাপ-১০
আদা রসুন একটু ভেজে নেওয়ার পর এখন হলুদ গুঁড়া মরিচ গুঁড়া আর লবন দিয়ে দিবো।
ধাপ-১১
শুকনো উপকরণ গুলো একটু ভেজে নিবো।
ধাপ-১২
তেলের মধ্যে তেলে ভাজা হয়ে গেলে এবার একটু পানি দিয়ে দিবো। পানি দিয়ে মসলাগুলো একটু কষিয়ে নিবো।
ধাপ-১৩
এইবার সিদ্ধ করে রাখা কাঁচকলা দিয়ে দিবো আর সাথে আলু দিয়ে দিবো এবং ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
ধাপ-১৪
এখন একটু সময় নিয়ে আলু আর কাঁচকলা করা কষিয়ে নিবো।
ধাপ-১৫
পরিমান মতো পানি দিয়ে দিবো।
ধাপ-১৬
আলুগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য একটু সময়ের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো।
ধাপ-১৭
তরকারিতে পানি ফুটতে থাকলে যখন পানি একটু কমে আসবে তখন ভেজে রাখা শিং মাছ গুলো দিয়ে দিবো। এবং মাছগুলো তরকারির সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিবো।
ধাপ-১৮
তরকারি যখন প্রায় হয়ে আসবে ঠিক তখনই কুচি করে রাখা ধনিয়াপাতা দিয়ে দিবো।
ধাপ-১৯
এইতো তৈরি হয়ে গেল কাঁচকলা আলু দিয়ে শিং মাছের ঝোল।
খেতে খুবই সুস্বাদু হয় এই তরকারিটি আমি যদি শিং মাছ না খেতাম তাহলে এ তরকারির স্বাদ কি রকম হয় তা জানতাম না।
টিপস-এন্ড-ট্রিকসঃ
১.কাঁচকলা কেটে রাখলে দেখা যায় যে কাঁচকলা কালো হয়ে যায়। কিন্তু কাঁচকলা কাটার পর হলুদ গুঁড়া আর লবন দিয়ে মাখিয়ে রাখলে কাঁচকলা আর কালো হয় না।
২.কাঁচকলা রান্নার আগে হালকা সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিলে তরকারি কালো হয় না।
তাহলে আজ এ পর্যন্তই সবাই খুব ভালো থাকবেন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।
কাঁচকলা ও আলু দিয়ে শিং মাছের রেসিপি আপনি খুব সুন্দরভাবে করেছেন। আজ দেখি সবাই শুধু শিং মাছের রেসিপি দিচ্ছে। আপনার শিং মাছের রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আপুনি।
শিং মাছ কেন আপু আপনার পছন্দ না? আমারতো খেতে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু কাঁচকলা আমার একদমই অপছন্দ। আপনি কাঁচ কলা দিয়ে খুবই সুস্বাদু করে শিং মাছ রান্না করেছেন। আমি অবশ্য কখনো শিং মাছ ভেজে রান্না করিনি। আপনার ভেজে রান্না করার কারণে রেসিপিটি আরো বেশি লোভনীয় লাগছে।
কেন জানি না শিং মাছ আমার ছোট থেকেই অপছন্দ। দেখতেই ভয় লাগতো😂 সত্যি কথা।
কাঁচকলা আর আলু দিয়ে শিং মাছের ঝোল রেসিপি বেশ লোভনীয় লাগছে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
চেনা করেছি প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
ছোট বেলা থেকেই শিং মাছ আমার পছন্দের একটি মাছ। তবে এভাবে কখনো শিং মাছ ভেজে কাঁচকলা আর আলু দিয়ে খাই নি। আমার বাসায় শিং মাছ বেশিরভাগ সময় ভুনা করেই খাওয়া হয়। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এভাবে একবার শিং মাছ খেয়ে দেখতে হবে। আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি আমার কাছে ভালো লেগেছে আপু। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমাদের বাড়িতে এইভাবেই খাওয়া হয় বেশি। ভুনা খুব কম খাওয়া হয়।
শিং মাছ খেতে আমার বেশ ভালই লাগে। বিশেষ করে যদি চামড়া ছিলে খাওয়া হয়। আপনি খুব সুন্দর করে কাচকলা দিয়ে শিং মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যদিও কখনো এই রকম রেসিপি খাওয়ায় নাই। আপনার নতুন ধরনের রেসিপি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেকের কাছেই শিং মাছ খুবই প্রিয়। মনে হচ্ছে আপনার কাছেও অনেক প্রিয় শিং মাছ।
কাঁচকলা আর আলু দিয়ে শিং মাছের ঝোল রেসিপি 😋
দারুন হয়েছে আপু। দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না এভাবে কখনো খাইনি তবে আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক মজাদার একটি রেসিপি বাড়িতে ট্রাই করতে পারেন ভাইয়া।
শিং মাছ আমার খুব পছন্দের আম্মা বলতেন শিং মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয় । আপনি খুব সুন্দর ভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে কাঁচকলা এবং আলু দিয়ে শিং মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। এতো অসাধারণ রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আমার আম্মুও বলতো শিং মাছ খুব ভালো আর আমাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করতো কিন্তু আমি খেতাম না।
অনেক দারুন রেসিপি তৈরি করলেন। কাঁচকলা যেমন সুস্বাদু একটি সবজি, তেমনি সেই মাছ অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি মাছ। তার সাথে আলু দিয়ে খুব সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করলেন। আমার মনে হয় খেতে খুবই ভালো লাগবে। রেসিপির কালারটাও বেশ ভালো এসেছে।
পুষ্টিগুন সসম্পুর্ন একটি রেসিপি শিং মাছের ঝোল।
আমার কাছে ও শিং একেবারে পছন্দ না।আমি এখনোও খাই না।আজকে কাচা কলা দিয়ে শিং মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আমিও কখনও খেতাম না কিন্তু ইদানীং খাই একটু একটু।
আমার আবার শিং মাছ ছোট থেকেই খুব প্রিয়, একন যাতে একটু একটু করে খেতে পারতেছে, কিছু দিন পরে আপনারাও শিং মাছ অনেক প্রিয় হয়ে যাবে, যাইহোক আপনার কাঁচকলা আর আলু দিয়ে শিং মাছের ঝোল রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে, রান্নাটি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছে, সেই সাথে আপনি অনেক সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপনা করেছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু মনি।
হ্যাঁ ভাইয়া শিং মাছ খেতে খারাপ না ভালোই লাগে।