ফিরে দেখা সেই দিনগুলো পর্ব-২ ।। ১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox এবং ৫% abb-school এর জন্য
আসসালামু ওয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি আবার হাজির হলাম আমার ফিরে দেখা সেই পোষ্টের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে।
কক্সবাজার আমরা পৌঁছেছিলাম ৭ ই মার্চ। তারপরের দিন আমরা গিয়েছিলাম হিমছড়ি। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে আমরা হিমছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই ঠিক তিনটার দিকে। পৌঁছাতে বেশ সময় লেগেছিল এক ঘন্টার মত।
ঠিক ৪ টার দিকে আমরা হিমছড়ি গিয়ে পৌঁছেই। হিমছড়ি যাওয়ার পরে যেটা দেখে আমার প্রথমে গলা শুকিয়ে যায় সেটা ছিল পাহাড়ে ওঠা সিঁড়ি বেয়ে। হাহাহা
তার পরেও আমি হার মানিনি ভয় কে জয় করেছে আমি সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ের উপরে উঠেছে। আমি যদি উপরে না উঠতাম তাহলে জানতামই না যে হিমছড়ির ভিউ উপর থেকে এতটা সুন্দর। একদিকে পাহাড় আরেক দিকে সমুদ্র সত্যিই দৃশ্যটা মনে রাখার মতো।
প্রথমে আমরা যেটা করি, একটি ক্যামেরাম্যানকে হায়ার করি ছবি তোলার জন্য। তারপর ওপরে ওঠে আমরা ঝর্ণার পাশে কয়েকটি ছবি তুলি যদিও সেখানে অনেক ভিড় ছিল ছবি তোলা খুব কষ্টকর ছিল।
সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা আমার জন্য খুব কষ্টসাধ্য ছিল।
তাও আমি উঠেছি শুধুমাত্র হিমছড়ির সুন্দর ভিউ দেখার জন্য আর সুন্দর সুন্দর ছবি তোলার জন্য।
সেদিন আমরা অনেক ছবি তুলেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছু ছবিই আছে আমার কাছে।
আমরা ওইদিন হিমছড়ি যেতে দেরি করে ফেলেছিলাম। কিছু সময় পর চারপাশ অন্ধকার হয়ে এসেছিল। তাই তারাতারি আবার নামতে হয়েছে। কারন অন্ধকার হয়ে গেলে ওইখানে থাকাটা সেইফ না।
হোটেলে ফিরতে ঠিক ১ ঘন্টা লেগেছিল। তারপর আমরা কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য রেস্তোরাঁয় যাই।
আমরা নিয়েছিলাম নানরুটি তার সাথে নিয়েছিলাম চিকেন মাসালা, মিক্সড ভেজিটেবল, রাইতা, কোরাল ফিশ ফ্রাই। আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছিল রাইতা আর মিক্সড ভেজিটেবল অন্যান্য খাবারগুলো তেমন ভালো লাগেনি।
খাবার শেষ করে তারপর হোটেলে ফিরে যাই খুব দ্রুত কারন পরের দিন আমাদের জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা। আমার তো সারারাত ঘুম হয়নি এইটা ভেবে যে সেন্টমার্টিন কতটা সুন্দর। কারন সেন্টমার্টিন অনেক সুন্দর জায়গা শুনেছি তবে দেখিনি তাই অনেক কৌতুহল কাজ করছিল।
আপনাদের সাথে আমি সেন্টমার্টিন এর পর্বটি শেয়ার করবো।
আশা করি আজকের এই পর্বটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন।
যতো বেশী উচুতে উঠা যায় ততোই প্রকৃতি দেখতে অনেক সুন্দর হয়।আপনি খুবই সুন্দর সময় পার করছিলেন, আপনাদের ছবি গুলো অনেক সুন্দর আসছে। সব মিলিয়ে ভালো একটি ব্লগ তৈরী করছেন, সুন্দর মুহুর্ত গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন ভাইয়া উচু থেকে প্রকৃতি দেখতে খুব সুন্দর এইটা হিমছড়ি না গেলে বুঝতাম না।
হিমছড়িতে কখনো যাওয়া হয়নি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে হিমছড়ির সৌন্দর্য তা দেখে মুগ্ধ হলাম। যেটা উপভোগ করতে কেমন মজা হবে সেটা গেলেই বোঝা যাবে ।আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ইনশাআল্লাহ একদিন যাবেন আর গেলেই বুঝতে পারবেন ভাইয়া।
সৌন্দর্যটাকে দেখতে গেলে একটু কষ্ট করাই লাগে। আপনি কষ করে সিঁড়ি বয়ে উপরে উঠেছিলেন বলেই ঐরকম সুন্দর দৃশ্যের দেখা পেয়েছেন। তবে আপনি শুধু নিজের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন প্রকৃতির ফটোগ্রাফি কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করতেন। বেশ সুন্দর ছিল আপনার পোস্ট টা।
ছিলো ভাইয়া অনেক ছবি প্রায় সবই হারিয়ে গেছে। মোবাইল, কম্পিউটারে ছিলো সবই হারিয়ে এই কয়টি ছবিই আছে।
হিমছড়ি জায়গাটা সত্যি অনেক সুন্দর। আপনারা অনেক সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আসলে প্রিয় মানুষের সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পুরোনো মেমোরি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক মজা করেছিলাম আমরা। আমার যেতে খুব ইচ্ছে হয় আবারও।
হিমছড়িতে কখনো যাওয়া হয়নি তবে আপনি হিমছড়িতে ঘুরতে যাওয়ার খুব সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আর সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে।
ইনশাআল্লাহ যাবেন ঘুরতে সময় নিয়ে আর আমাদের সাথে তখন অবশ্যই শেয়ার করবেন।
আপনারা হিমছড়ি বারবার ফিরে ফিরে দেখেচেন, আমি আপনাদেরকে বারবার ফিরে ফিরে গেখেছি। হা হা কত আনন্দ। বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের এত সুন্দর ফটোগ্রাফি মূলক ঘোরাঘুরি পোস্টটা।
হাহাহা বেশ ভালো বলেছেন ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।