বোনদের হঠাৎ সারপ্রাইজ
নমষ্কার,,
সময় তখন বিকাল পৌনে পাঁচটা হবে হয়তো। হঠাৎ করেই দেখি ছোট বোন অন্বেষা আমাকে ফোন করেছে। রিসিভ করতেই আমাকে বলল দাদা তুমি কি বাড়িতে আছো। আমি বললাম হ্যাঁ। তারপর অন্বেষা বলছে তাহলে একটু পর বাড়ি থেকে বের হয়ে শ্যামলীর মাঠে চলে এসো, আমি অর্পিতাকে নিয়ে তোমার ওখানে আসছি। আমি রীতিমতো অবাক। প্রথমে ভেবেছি হয়তোবা মজা করছে। কারণ আমরা সব সময় এরকম মজা করেই থাকি। তার মধ্যে অর্পিতা আসার ব্যাপারটা আমার কাছে আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। কারণ অর্পিতা আলসেমো করে ঘর থেকে বের হয় খুব কম।
১৫ মিনিট পর আবার ফোন করে বলছে আমরা কিন্তু কাছাকাছি চলে এসেছি। আমি তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলাম শ্যামলী স্কয়ারে। দেখি দুই বোন আমার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। দেখা হওয়ার সাথে সাথেই তো ফাজলামো শুরু হয়ে গেল আমাদের। সবথেকে বেশি মজা করছিলাম অর্পিতার সাথে। কারণ ওর সাথে দেখা হয় খুব কম। অন্বেষার সাথে মাঝে মধ্যেই আমার আড্ডা হয়।
যাই হোক তিন ভাইবোন একসাথে শ্যামলীর মাঠে গিয়ে বসলাম। একের পর এক গল্প শুরু হয়ে গেল। আর একটু সুযোগ পেলেই একজন অপরজনের পেছনে লাগছি। এই খুনসুটি গুলো ভাই বোন ছাড়া একদমই জমে না। সন্ধ্যে লাগার আগ মুহূর্তে হঠাৎ করেই রাজিব আমাকে ফোন করল। রাজীবকেও আমি শ্যামলীর মাঠে আসতে বললাম। তখন আমরা তিনজন থেকে হয়ে গেলাম চারজন। দলটা আরেকটু ভারী হয়ে গেল। রীতিমতো হইহুল্লোড় করে আড্ডাবাজী চলতে লাগলো।
একটা সময় পর সবাই মিলে মম খেতে গেলাম। মম আমার খুব একটা পছন্দের না। কিন্তু বোনদের আবার ভীষণ প্রিয়। শ্যামলীর মাঠের আশেপাশে প্রচুর ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে। আমরা একটাতে বসে মম অর্ডার করলাম। আমাদের সামনেই বানিয়ে দিল। সবাই খুব জমিয়ে খেল। কিন্তু আমি ঝালের জন্য খুব একটা খেতে পারিনি। চোখ দিয়ে জল বের হওয়ার মত ঝাল ছিল। ওটা শেষ করে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আরো কি একটা যেন খাওয়া দাওয়া করা হলো আমার নামটা মনে পড়ছে না। চিকেন আইটেম ছিল ওটা।
সেদিনের সন্ধ্যাটা এত চমৎকার কেটেছিল বলে বোঝাতে পারবো না। হঠাৎ করে পাওয়া এই আনন্দ গুলোই সব থেকে মিষ্টি হয় বোধ হয়। শেষ মুহূর্তে রাজীব আসায় আনন্দটা হয়তো বেড়ে গিয়েছিল। আমরা সবাই উপভোগ করেছি আমাদের এই আড্ডাবাজি টা। চারপাশের এলাকা দিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে যে যার মত বাড়ির দিকে আবার রওনা দিয়ে দিলাম।
ভাইবোনের সম্পর্কটা আসলে এমনি হয়, আপনার বোনরা আসছে তাই হয়তো তারা আপনাকে শ্যামলীর মাঠে আপনাকে ঢেকে নিল।এভাবে হঠাৎ করে বোনেদের সাথে দেখা তারপর জমিয়ে আড্ডা দেওয়া। যাইহোক বোনদের সাথে বেশ ভালোই আড্ডা দিয়েছেন জেনে ভালো লাগল। বিকেলের সময়টা অনেক ভালো কেটেছে।
সেদিনের আড্ডাটা বেশ জমজমাট ছিল আপু। অনেক মজা করেছি সবাই। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
হঠাৎ করেই দারুন সময় চলে আসে। বিশেষ করে পরিচিত কারো সাথে বা ভাই-বোনদের সাথে আড্ডা দিতে বেশি ভালো লাগে। মম আমারও খুব একটা পছন্দের না। যাইহোক যেহেতু আপনার বোনেরা পছন্দ করে তাই তো সেটাই অর্ডার করেছেন। মাঝে মাঝে এভাবে সময় কাটাতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
মম তে আমি কখনোই কোন টেস্ট পাই না। আবার অনেককেই অনেক মজা করে খেতে দেখেছি। সেদিন বোনরা খুব মজা করে খাচ্ছিল, এটা দেখেই আমার ভালো লাগছিল।
এরকম দুষ্টুমিতে খুনসুটিগুলো নিজেদের ভাই-বোনদের সাথেই করা যায়। তবে আপনার বোনদের দেখে মনে হচ্ছে বেশ দুষ্টুমিতে মেতে ছিলেন সবাই একসাথে। আর ভাই-বোনরা মিলে একসাথে কিছুটা খাওয়া-দাওয়া হয়ে গেল তাহলে। সত্যি বলতে এমন আড্ডাবাজির সময়ে নিজেদের মুহূর্তগুলো মনে রাখার মত হয়। আর সেই মুহূর্তটি আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করেছেন যার জন্য বেশি ভাল লাগলো আমার কাছে। এমন মুহূর্তগুলো আবারো ফিরে আসুক এই প্রত্যাশা করি।
আসলেই ভাই বোন ছাড়া এই আড্ডাগুলো জমে না কখনোই। হয়তো পৃথিবীর সব থেকে মিষ্টি সম্পর্ক এটাই। অনেক ভালোবাসা রইলো ভাই। ভালো থাকবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
বোনদের হঠাৎ সারপ্রাইজ এর অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। আসলে মুহূর্ত গুলো ভীষণ আনন্দ উপভোগ করেছেন। আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশি হলাম লিমন ভাই। এভাবেই পাশে থাকবেন সবসময়।
চার ভাই বোনের হাসিখুশি মুখ দেখে ভালোই লাগছে, আসলে অনেকদিন পর দেখা হলে এমনিতেই খুব ভালো লাগে, মনের ভেতর যত কথা লুকিয়ে থাকে সব কিছু প্রকাশ করা যায়।
এই হাসি গুলো কোটি টাকা দিয়েও কেনা যাবে না কখনোই। জীবনের সব থেকে মূল্যবান সম্পদ এরাই।
প্রত্যেকটা ছবি দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে আপনি খুবই মজা করেছেন আপনার বোনদের সঙ্গে এবং মজাদার মোমো খেয়েছেন। ধন্যবাদ দাদা আপনার কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু,একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবাই খুব আনন্দ করেছি। অনেক দিন পর এত ভালো একটা সময় কেটেছে সবার।
ইস... আমার একটা বোন নেই। আসলে ভাই বোনের এমন সম্পর্কের সাথে আর কোন কিছুর তুলনা চলেনা। আর আপনার লেখার স্টাইলটাও আমার খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।
বোন না থাকলে অনেক কিছু মিস করতে হয় এটা আমিও মানি ভাই,, তবে আত্মীয় স্বজনদের মাঝেও এমন সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে । অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।